এইচএসসি ২০২৫
আগামীকাল সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা, নিরাপত্তায় কড়াকড়ি

সারাদেশে একযোগে শুরু হতে যাচ্ছে ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে শুরু হওয়া এই পরীক্ষা ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন পুরুষ এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন নারী। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে (আলিম) ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৯ হাজার ৬১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
এবার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি ৮টি বিদেশি কেন্দ্রে ২৯৩ জন প্রবাসী শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৩১৪টি।
পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশ অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গুজব ও প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত বিভ্রান্তি ছড়ালে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
গুজব বা প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি
পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ
দেরিতে প্রবেশকারীদের নাম, রোল, সময় ও কারণ রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে প্রতিবেদন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অনিবার্য কারণে পরীক্ষা বিলম্বিত হলে অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির বলেন, “গুজব ছড়ানো উদ্দেশ্যমূলক। সরকার ইতোমধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের সকল সম্ভাব্য পথ বন্ধ করেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় নজরদারি চালানো হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ—ভুল পথে না গিয়ে বইয়ের পাঠেই মনোযোগ দিন। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ভিড় না করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সহযোগিতার মনোভাব দেখান।”
এদিকে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, রাজশাহী বোর্ডে প্রশ্ন নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় একটি প্রশ্ন বাতিল করা হয়েছে। তবে বিকল্প প্রশ্নপত্র প্রস্তুত থাকায় পরীক্ষায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশাবাদী, সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রস্তুতি, সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয় এবং শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
-আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক
বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়টি সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়, তাদের দাবির যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে অর্থ বিভাগেও একই প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে সরকারি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের, তাই তাদের বেতন কাঠামোও উন্নীত করা প্রয়োজন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা, এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও চলছে। গত শনিবার শাহবাগে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারে শতাধিক শিক্ষক আহত হন, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করেছে।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, আর প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। সম্প্রতি রিট মামলার রায়ের পর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১০মে উন্নীত করা হয়েছে, যার ফলে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেডও ১০মে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের। তাই তাদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা যৌক্তিক। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের কাজের গুণগত ও পরিমাণগত দিক এখন আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তারা শুধু ক্লাস পরিচালনা নয়, প্রশাসনিক কাজ, উপস্থিতি তদারকি, পরীক্ষার দায়িত্ব, অভিভাবক সমন্বয় ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করলে বছরে অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে শূন্য ১৭ হাজার ৮টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে আরও ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। বর্তমানে ১০ম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, এবং ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা। এই পার্থক্যের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ বিষয়ে বলেন, “সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি যৌক্তিক। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং নতুন বেতন কমিশনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য। দাবি পূরণ না হলে তারা বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
-রফিক
নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক এবং শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এই দুটি পদ বাদ দিয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ আনা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন। গত আগস্টে জারি করা মূল বিধিমালাটি সংশোধন করে এসব পরিবর্তন সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রবিবার সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বিধিমালায় শিক্ষক পদ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হলেও সংশোধিত সংস্করণে তা দুটি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে, সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন বিধিমালায় আর থাকছে না।
এই দুটি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের ফল কি না—এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বরং গণমাধ্যমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দেন।
এদিকে, পদ বাতিলের পাশাপাশি বিধিমালায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন আনা হয়েছে বলেও অতিরিক্ত সচিব নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবং বাকি ৮০ শতাংশ পদ 'অন্যান্য বিষয়ে' স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, 'অন্যান্য বিষয়ে' শব্দবন্ধটি বিভ্রান্তিকর ছিল বলে মনে করা হয়। এই বিভ্রান্তি দূর করে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। এই অংশটি সংশোধন করে এখন বলা হয়েছে, "বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী" প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই সংশোধনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অংশ আরও স্পষ্ট হলো বলে তিনি জানান।
৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিতরণ শুরু হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে বলে বোর্ডের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার পরিদর্শক ড. মো. মাসুদ রানা খানের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা দিনে কার্ড বিতরণ করা হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হয়।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ নভেম্বর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা হবে। ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ, ৬ নভেম্বর নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ, ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা ও মাদারীপুর, ৯ নভেম্বর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী, ১০ নভেম্বর গাজীপুর ও ফরিদপুর এবং ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হবে। সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বাকি জেলার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিতরণকৃত কার্ডে কোনো ভুল, যেমন শিক্ষার্থীর নাম, জন্মতারিখ, প্রতিষ্ঠান কোড বা অন্যান্য তথ্যগত ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধনের আবেদন ২০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হলে সংশোধনের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্বীকৃতি বা সর্বশেষ স্বীকৃতি নবায়নের কপি ও কমিটি অনুমোদনপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সংশোধন আবেদনের প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাগজপত্রসহ সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা এখনো নবায়ন করা হয়নি, তাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি নবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বীকৃতি নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না।
একই সঙ্গে বোর্ড সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ না করলে বা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একাডেমিক রেকর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কার্ড সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। “Global Sociology and Decolonization – Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।
এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।
সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনি “The Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”
তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”
প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”
তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”
প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”
তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”
সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।
অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।
কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
যেকোনো নতুন ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো—বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা ইংরেজি শেখার শুরু করি ব্যাকরণের জটিল নিয়মকানুন দিয়ে। এই ভুল পদ্ধতির কারণেই দীর্ঘদিন পড়ার পরও অধিকাংশ মানুষ ভালো করে ইংরেজি বলতে বা বুঝতে পারেন না। ফলস্বরূপ, বলা, শোনা বা লেখায় কমবেশি জড়তা থেকেই যায়।
শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা অভিভাবক—আপনি যে-ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে কঠিন ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারির মারপ্যাঁচ ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে অনায়াসে ইংরেজি বলা শেখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
পুরাতন পদ্ধতিকে বিদায়
বাজারের ১০ দিনে, ৩০ দিনে বা ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, সেগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ, এই ধরনের বই কেনা হলেও নিয়মিত খোলা হয় না।
স্পোকেন ইংলিশের কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ, দেখা যায় অনেকে ভর্তি হলেও নিয়মিত কোচিংয়ে যান না, আর গেলেও খুব বেশি কার্যকর ফল পান না।
শিশুদের মতো করে শিখুন
মানুষ যেকোনো ভাষায় প্রথমে বলতে ও শুনতে শেখে, লিখতে ও পড়তে শেখে পরে। শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে—দেখা, শোনা ও বলার মাধ্যমে। একটি শিশুকে যে ভাষার পরিবেশে রাখা হবে, সে সেই ভাষাই দ্রুত শিখে যায়। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ইংরেজি শেখা শুরু করুন।
আপনার হাতে থাকা মুঠোফোন, আইপ্যাড বা ইন্টারনেট সংযোগকে কাজে লাগান। প্রতিদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে অন্যান্য ভিডিও দেখে যে সময় ব্যয় করেন, আজ থেকে টানা ৩০ দিন সেই সময়টা শুধু ইংরেজি শেখায় দিন।
কার্যকর কৌশল ইউটিউব শো
ইংরেজি শেখার জন্য ইউটিউবে শিশুদের উপযোগী শিক্ষামূলক শো দেখা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এই শো গুলো শিশুদের জন্য তৈরি হলেও, এটি ইংরেজি শেখা শুরুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
ইউটিউবে ‘Blippi’ লিখে সার্চ দিন। ইংরেজি একদম না বুঝলেও এই চ্যানেল দেখে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আপনার বাসায় শিশু-কিশোর থাকলে, তাকে নিয়ে একসঙ্গে দেখুন।
Blippi ছাড়াও Dora the Explorer, Daniel Tiger’s Neighborhood, Sesame Street, Peppa Pig -এর মতো শিক্ষামূলক শো দেখতে পারেন।
এই শিশুদের শো-গুলো গল্পভিত্তিক হওয়ায় এগুলোতে আনন্দ, আবেগ ও চমৎকার গ্রাফিক্যাল ভিডিও থাকে। এগুলো দেখলে আপনি ছবি, রং এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই শব্দের মিল তৈরি করে দ্রুত ভাষা শিখতে পারবেন।
প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে টানা ৩০ দিন এই শো গুলো দেখলে আপনি সহজেই অনেক ইংরেজি শিখে ফেলবেন। আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দেখলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। অবাক হয়ে দেখবেন, আপনার শিশু আপনার চেয়েও দ্রুত ইংরেজি শিখে ফেলছে।
এই কাজটি শুরু করুন। এবং আজই!
সূত্র : প্রথম আলো
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম জরুরি দাবী। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সতর্কবার্তা দেন, যদি এটি বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ ফের ফিরে যাবে ‘শেখ হাসিনার আমলের পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায়’, যা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করবে।
ড. গালিব বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। যদি আমরা এটিকে স্থগিত রাখি, তাহলে হাসিনার আমলের সিস্টেম আবার কার্যকর হবে। এই সিস্টেমে তিনি দাবি করতে পারবেন যে, তিনি নিজে কোনোভাবে অবৈধ ছিলেন না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেটিই অবৈধ ছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটি হতে হবে জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন, যা অর্জনের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো গণভোট।
ড. গালিব আরও বলেন, গণভোটের ফলাফলের রায় পরবর্তী সংসদকে বাধ্যবাধক বা বাইন্ডিং করতে হবে। নতুন সংসদকে অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বলেন, “এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসাথে হবে—এটি মূল বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় আনা।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, সনদের যেসব বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলো একক প্যাকেজে গণভোটের মধ্যে আনা হোক। এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো আলাদা প্যাকেজে গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। দুইটি পৃথক প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে পারবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ড. মির্জা গালিব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি মনে করান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থায়িত্বের জন্য সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য এবং এটি জনগণের ঐকান্তিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ বরাদ্দের তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের চিঠিতে বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। তবে, কোনো অব্যয়িত অর্থ থাকলে তা ২০২৬ সালের ৩১ মে’র মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
চিঠিতে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট, ফ্যাক্স ও টেলেক্স খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা হারে ইন্টারনেট বিল বহন করতে হবে। একইভাবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।
যেসব শিক্ষক মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি কাজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, তাদের সরকারি বিধি মোতাবেক ভ্রমণ ব্যয় প্রদানের সুযোগ থাকবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও বরাবর বরাদ্দ ও মঞ্জুরি প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও-এর আয়ন-ব্যয়ন কর্তকর্তাকে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ শুধুমাত্র সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে, এবং কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা।
এই বরাদ্দের মাধ্যমে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমের ব্যয় পূরণ করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক অর্থ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
-রফিক
সিনিয়র প্রভাষকের কাছে নারী শিক্ষার্থীর গোপন ছবি পাঠানোর অভিযোগে তোলপাড় বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে অসদাচরণের অভিযোগের কারণে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিয়মিতভাবে সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তা এক সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠাতেন।
ঘটনার তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর, সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা বিভাগীয় শিক্ষক ও অনুষদের ডিন ড. মো. আবদুল মজিদ-কে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, ডিন তদন্তের দায়িত্ব দেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে।
পরদিন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সম্প্রতি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের স্নাতক শেষ করেছেন। ছবিগুলো গ্রহণকারী ব্যক্তি একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ নিশ্চিত করেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ আনার পর অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করা হয় এবং ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিক্ষার্থী স্বীকার করেছেন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলে তা সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠিয়েছেন। এই মোবাইল ফোন বর্তমানে সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত, এবং বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অভিযুক্ত প্রভাষকও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ছবিগুলো সংরক্ষণ করিনি, কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, ইন্টার্নশিপ চলাকালে তার সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেছিলেন। পরে তারা নিশ্চিত হন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলছেন। প্রমাণ পাওয়ার পর বিষয়টি তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের জানান এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত ও প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে অনুসন্ধান করা হবে।
প্রশাসন আরও সতর্ক করেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অনুরূপ ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
-রাফসান
ঢাবি ভর্তি যোগ্যতা ও কেন্দ্রসমূহ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া আজ (২৯ অক্টোবর) থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বছরও ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে, যা হল—কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট এবং আইবিএ ইউনিট।
ঢাবির সাধারণ ভর্তি কমিটির ১৪ অক্টোবরের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুবিধা ২৪ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ নভেম্বর আইবিএ ইউনিট দিয়ে এবং শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ইউনিটের মাধ্যমে।
পরীক্ষার সময়সূচি
ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষার দিন ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ—
- আইবিএ ইউনিট: ২৮ নভেম্বর
- চারুকলা ইউনিট: ২৯ নভেম্বর
- ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৬ ডিসেম্বর
- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ১৩ ডিসেম্বর
- বিজ্ঞান ইউনিট: ২০ ডিসেম্বর
আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ
চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হলো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার ধরন ও নম্বর বণ্টন
ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর পরীক্ষা এবং ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।
পরীক্ষার ধরন ইউনিট অনুযায়ী আলাদা করা হয়েছে—
চারুকলা ইউনিট: ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা। এমসিকিউতে ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষায় ৬০ মিনিট সময় নির্ধারিত।
অন্যান্য ইউনিট: ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রত্যেকের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ।
ভর্তিচ্ছুদের যোগ্যতা
ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অবশ্যই ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ইউনিট অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতার মানদণ্ড হলো—
বিজ্ঞান ইউনিট:
- এসএসসি ও এইচএসসি/সমমানের মোট জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০, পৃথকভাবে অন্তত ৩.৫০।
- কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- চারুকলা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৬.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
- আইবিএ ইউনিটের জন্য বিশেষ যোগ্যতা ও দক্ষতা যেমন ইংরেজি ভাষা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও সাধারণ জ্ঞান যাচাই করা হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ দিক
ঢাবি সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষা এবারও বিভাগীয় শহরে কেন্দ্রীভূতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খরচ কমাবে। ভর্তি পরীক্ষা আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। বিশেষভাবে ডিজিটাল স্ক্যানিং ও ফলাফল যাচাই ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- দুই দিন ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে এশা দেওলের স্পষ্ট বার্তা
- "জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসীরা চাঁদাবাজ হতে পারে না"
- স্টার্লিং-ক্যাডের জুটিতে দাপট আয়ারল্যান্ডের
- জুট স্পিনার্সের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- জিবিবি পাওয়ারের Q1 ফলাফল প্রকাশ
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছালো স্বর্ণ
- ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- দিনের শুরুতেই পুঁজিবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য, বেড়েছে তিন সূচকই
- চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতার ভেতরে লুকানো নতুন ভারসাম্য
- খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ উপকারিতা
- দুই পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ ড্রোন হামলা
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজায় ত্রাণে ইসরাইলের বাধা
- বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
- আওয়ামী লীগারদের উদ্দেশ্যে নুরের বিস্ফোরক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তোলপাড়
- রাজধানীর তিন এলাকায় আরও বাসে আগুন এক দিনে ছয় বাসে অগ্নিসংযোগ
- জুলাই সনদ জট রাজনৈতিক দলগুলো অটল অবস্থানে অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের শেষ চেষ্টা
- ট্রাম্পের ঘোষণার পরই সরে দাঁড়াল স্থিতিশীলতা বাহিনী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
- দিল্লিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ আতঙ্ক লালকেল্লা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি
- স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা চলতি বছরই ৭৪ বার দাম সমন্বয় করল বাজুস
- সাবেক মিত্র জামায়াত ও বিএনপি এবার পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী কুড়িগ্রামের ৪ আসনে মুখোমুখি দুই ভাই
- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিকে বাইরে রাখলে আমি নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী
- ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে চলন্ত বাসে আগুন
- শীতের পোশাক: অ্যালার্জি এড়াতে জ্যাকেট, সোয়েটার পরিষ্কারের সঠিক পদ্ধতি
- তারেক রহমানের নেতৃত্বেই শহীদদের স্বপ্নের দেশ গড়া সম্ভব: মীর স্নিগ্ধের
- নব্য ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে বসে থাকব না: বিএনপিকে জুলাই সনদ নিয়ে হুঁশিয়ারি এনসিপি নেতার
- জেনে নিন বৃহস্পতিবারের সদাকাহর গোপন রহমত
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় পতন, সূচক হারাল প্রায় ৪০ পয়েন্ট!
- ৬০ দিনে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি: জীবনযাত্রার চাপ কমাতে ৫টি বিশেষ খাবার
- এক কেজি আলুর দামে এখন পাওয়া যায় না এক আঁটি শাকও!
- আসন পুনর্বিন্যাস বাতিল: বাগেরহাটে ৪টি আসনই বহাল রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
- ভারতের আধিপত্য রুখতে হবে: নির্বাচনী লক্ষ্য নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর কড়া বার্তা
- কফি বিনের গোপন রহস্য: আপনার প্রিয় কাপেও কি লুকিয়ে আছে তেলাপোকার ক্ষুদ্র অংশ?
- ডিএমপি'তে রদবদল: পাঁচ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে বদলি
- তিন দিনের অভিযানে মিলল লাশ: পশুর নদে নিখোঁজ সাবেক নারী পাইলটের মরদেহ উদ্ধার
- কিশমিশের জাদু: কেন এটি প্রাকৃতিক ওষুধ? এক মাসেই শরীরে আসে ৬ পরিবর্তন
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিহাদ ঘোষণা করেছে ইসি
- নৌকার সমর্থকরা হতাশ হবেন না,ধানের শীষ আপনাদের পাশে আছে: মির্জা ফখরুল
- ফুটবল উন্মাদনা: ৬ মিনিটে সব টিকিট বিক্রি, তোলপাড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১০ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সুদানে গণহত্যার প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা: মরদেহ পুড়িয়ে ফেলছে আরএসএফ
- ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খুন: পুরান ঢাকায় দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা
- জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী জননেত্রী শেখ হাসিনা: ভুল মন্তব্যে বিতর্কে কুমিল্লার বিএনপি নেতা
- ৭ শব্দের নায়ক আসিফ মাহমুদ: রাশেদ খান সমর্থন জানালেন তরুণ এই নেতার সিদ্ধান্তে
- মোহাম্মদপুরে আতঙ্ক: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে ককটেল হামলা
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
- ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
- গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
- রেকর্ড ডেট ঘিরে দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- রিয়াল বনাম লিভারপুল: চ্যাম্পিয়নস লিগে হাইভোল্টেজ লড়াই আজ যখন
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য








