সিলেটে পাথর কোয়ারি ইস্যুতে রাজনীতির উত্তাপ, মাঠে বিএনপি-জামায়াত!

সিলেট ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৪ ২০:৩০:১২
সিলেটে পাথর কোয়ারি ইস্যুতে রাজনীতির উত্তাপ, মাঠে বিএনপি-জামায়াত!

সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আলোচনায় এসেছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় শীর্ষ নেতারা। এর মাধ্যমে পাথর উত্তোলন ইস্যু নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা এই রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে সিলেট নগরের চৌহাট্টা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এই রাজনৈতিক নেতারা অংশ নেন। আয়োজন করে সিলেট জেলা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলও হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন এবং এনসিপির মহানগর ও জেলা শাখার সমন্বয়ক নাজিম উদ্দিন ও খায়রুল ইসলাম চৌধুরীসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

বক্তারা জানান, ইজারা স্থগিত থাকা পাথর কোয়ারিগুলো পুনরায় চালু না হলে লাখো মানুষের জীবিকা সংকটে পড়বে। কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে সিলেটের পাথর শিল্প কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তারা।

বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘পাথর কোয়ারি শুধু ব্যবসা নয়, এটা এই অঞ্চলের মানুষের জীবিকার অন্যতম মাধ্যম। সীমান্তের ওপারে পাহাড় কেটে পাথর এনে এলসির মাধ্যমে দেশে ঢোকানো হচ্ছে, অথচ দেশীয় কোয়ারি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি অবিচার।’

জামায়াত নেতা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যারা পরিবেশের কথা বলে কোয়ারি বন্ধ রেখেছে, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সরকারের উচিত পরিবেশ ও জীবিকা উভয় বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।’

এদিকে, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী কিম বলেন, ‘পাথর লুটপাটের ইতিহাস রয়েছে। কোয়ারি ইস্যুতে রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণ অনভিপ্রেত। এতে পরিবেশ সুরক্ষার প্রয়াস বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ১৪ জুন জাফলং পরিদর্শন শেষে জানান, পরিবেশ রক্ষায় সিলেটে আর কোনো পাথর কোয়ারি ইজারা দেওয়া হবে না।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘কোয়ারি একটি পরিবেশগত ইস্যু। এটি রাজনৈতিক রূপ পেলে প্রকৃতি সুরক্ষার চেষ্টা বিঘ্নিত হবে।’

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দাবি আদায়ে ২৮ জুন থেকে ৪৮ ঘণ্টার লোড-আনলোড বন্ধ থাকবে। ৩০ জুন থেকে জেলায় পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি এবং ২ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল পরিবহন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন তারা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত