ইরান- ইসরায়েল সংঘাত
অবশেষে বন্ধ হতে যাচ্ছে ইরান- ইসরায়েল সংঘাত!

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে কূটনৈতিক মধ্যস্থতা যার কেন্দ্রে ছিল উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার। যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অনুরোধে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানি এই কৌশলগত মধ্যস্থতা চালান। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করে ঘটনাপ্রবাহ বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি ইরান আল-উদেইদ মার্কিন বিমানঘাঁটিতে স্বল্প পাল্লার কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যেটি কাতারের রাজধানী দোহার নিকটে অবস্থিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সামরিক কার্যক্রমের একটি প্রধান কেন্দ্র। হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা তীব্র হয়ে ওঠে।
এই অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন। ট্রাম্প আমিরকে জানান, ইসরায়েল সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ওয়াশিংটনের মতে, এই যুদ্ধবিরতিকে কার্যকর করতে হলে ইরানকে যথাসময়ে রাজি করানো জরুরি। কাতার, যাদের ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করে।
প্রথমেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার গোপন ফোনালাপ করেন। এসব আলোচনায় ইরানকে বোঝানো হয় যে, মার্কিন প্রশাসন এই মুহূর্তে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ চায় না এবং ইসরায়েলকেও সীমিত সংঘর্ষের মধ্যে রাখতে সম্মত করানো হয়েছে। ইরানকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ফিরে আসতে উৎসাহিত করার জন্য কাতার অতীত অভিজ্ঞতা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকগুলো সামনে আনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাতারের প্রস্তাবিত পথনকশায় পরোক্ষভাবে আশ্বাস ছিল যুক্তরাষ্ট্র চাইলে এই উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও বৃহৎ রাজনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখতে পারে। ইরানের দিক থেকেও কৌশলগত কারণে এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়াটা যৌক্তিক বিবেচিত হয়, বিশেষ করে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো এ মুহূর্তে তাদের স্বার্থে ছিল না।
এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর ইসরায়েল ও ইরান উভয় পক্ষই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সামরিক কার্যক্রম হ্রাস করে। যদিও আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা বিবৃতি প্রকাশ হয়নি, তবে মধ্যপ্রাচ্য পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, উভয় পক্ষ এখন আপাতত অবস্থান পর্যবেক্ষণে আছে এবং এই মুহূর্তে স্থল কিংবা আকাশপথে কোনো সরাসরি সংঘর্ষ হয়নি।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের মতে, এই পুরো ঘটনাপ্রবাহ কাতারের একটি শক্তিশালী ভূ-রাজনৈতিক অর্জন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ‘ব্যাকচ্যানেল’ সংলাপের অন্যতম বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাতার আবারও তার অবস্থানকে দৃঢ় করল। মধ্যপ্রাচ্যের জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে, যেখানে সৌদি আরব, তুরস্ক, ইসরায়েল ও অন্যান্য শক্তিগুলোর প্রভাব রয়েছে, সেখানে নিরপেক্ষ অথচ সক্রিয় একটি দেশ হিসেবে কাতার এখন আরও বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
তবে পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলছেন এই যুদ্ধবিরতি শুধুমাত্র একটি সাময়িক শান্তির সুযোগ; মূল সমস্যা সমাধানের জন্য তেহরান, ওয়াশিংটন এবং তেলআবিবের মধ্যে বৃহৎ কৌশলগত সমঝোতা প্রয়োজন। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তার, হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন, এবং ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া এইসব দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার উৎসগুলোর সমাধান ছাড়া সত্যিকারের শান্তি সম্ভব নয়।
এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘নীরব মধ্যস্থতা’ কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। যুদ্ধের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা মধ্যপ্রাচ্যকে সাময়িকভাবে হলেও সংঘাত থেকে সরিয়ে আনতে কাতারের এই উদ্যোগ এখন বিশ্ব রাজনীতিতে প্রশংসিত হচ্ছে। কাতার ভবিষ্যতেও এই কৌশলগত মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে কি না, সেটি নির্ভর করছে মার্কিন-ইরান পরবর্তী উত্তরণপর্ব ও আঞ্চলিক মিত্রদের ভূমিকার ওপর।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি যুদ্ধ ও অবরোধের পর সিরিয়া যেন নতুন এক কূটনৈতিক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। মঙ্গলবার দামেস্কের রাস্তায় সাধারণ মানুষ তাদের নতুন নেতার ওয়াশিংটন সফরকে দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি এক ইতিবাচক মোড় হিসেবে—যা হয়তো যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার পথ খুলে দিতে পারে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা-কে—স্বাধীনতার পর (১৯৪৬) এই প্রথম কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের মার্কিন সফর এটি। এক সময় যাকে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তিনিই এখন কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা করেছেন।
দামেস্কের আইন বিভাগের ছাত্রী বুশরা আবদেল বারি বলেন, “আল্লাহর কৃপায় এই সফর হবে সিরিয়ার জন্য এক নতুন সূচনা, বিচ্ছিন্নতার বছরগুলো শেষে বিশ্বের সঙ্গে পুনঃসংযোগের এক সুযোগ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, “এই সফর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সিরিয়ার পুনর্গঠনের পথ সুগম করবে।”
শরার এই ঐতিহাসিক সফরের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করে ‘সিজার অ্যাক্ট’–এর আওতায় সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে—যা পরবর্তীতে কংগ্রেস স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এই আইনটি মূলত বিনিয়োগ ও আর্থিক লেনদেনে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, আসাদ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সিরিয়াকে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ঠেলে দিয়েছিল।
ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়া বরাবরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ-এর ১৩ বছরেরও বেশি সময়ের শাসনামলে রাশিয়াই ছিল প্রধান রক্ষাকবচ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা পশ্চিমা দেশ ও উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেন, যদিও তিনি এখনো মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের সেতুবন্ধন পুরোপুরি ছিন্ন করেননি।
দামেস্কের তরুণ আইন শিক্ষার্থী বারির ভাষায়, “রাশিয়া আমাদের কিছুই দেয়নি, শুধু ধ্বংস আর মৃত্যু।” অন্যদিকে ৩৬ বছর বয়সী মুদ্রণকর্মী ওমর নাসার বলেন, “সিরিয়া অতীতে সমাজতান্ত্রিক শিবিরে যোগদানের মূল্য চুকিয়েছে। সেই ভুলের পরিণতি ছিল দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতা। এখন পশ্চিমমুখী নীতি হয়তো আমাদের জন্য অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক পুনর্জাগরণের বার্তা আনবে।”
একই সুরে কফিকিওস্ক মালিক সাদ্দাম হাজ্জার বলেন, “ধীরে ধীরে সবকিছু ভালো দিকে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, নতুন মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হতে পারব। এত ত্যাগের পর সিরিয়ার মানুষ নিশ্চয়ই একটি ভালো জীবনের প্রাপ্য।”
আসাদ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ—যা শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে এক শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের দমন-পীড়ন থেকে। এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ, এবং কোটিাধিক সিরীয় ঘরবাড়ি হারিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, অবকাঠামো বিধ্বস্ত, সামাজিক কাঠামো বিপর্যস্ত।
২৫ বছর বয়সী এনজিওকর্মী লায়াল কাদ্দুর এই সফরকে দেখছেন “সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ” হিসেবে। তাঁর মতে, “এই সফর সিরিয়ার বিচ্ছিন্নতা ভাঙার প্রতীক। এর ফলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল ও নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার খুলতে পারে।” তবে তিনি আশঙ্কাও প্রকাশ করেন—“যদি আন্তর্জাতিক সহায়তার বিনিময়ে সিরিয়া আবার বিদেশি চাপের অধীনে চলে যায়? বিশেষত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিক চাপের মুখে?”
সব মিলিয়ে ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্টের এই সফর শুধু কূটনৈতিক অগ্রগতি নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে সম্ভাব্য নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশ যখন পুনর্গঠন ও পুনঃসংযোগের স্বপ্ন দেখে, তখন এই সফর হয়তো সেই পরিবর্তনের সূচনাবিন্দু হয়ে থাকবে ইতিহাসে।
-নাজমুল হাসান
গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সীমানায় একটি বড় ধরনের সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলি অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম ‘শরিম’ জানিয়েছে, এই ঘাঁটি নির্মাণে প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হতে পারে। এতে হাজারেরও বেশি সেনা ও ভারী অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির বরাতে ইরানি গণমাধ্যম প্রেস টিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলকে সরাসরি সহায়তা করার পাশাপাশি এটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আগ্রাসনের ইঙ্গিত হতে পারে।
শরিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার এই ঘাঁটি নির্মাণের ফলে ওয়াশিংটন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সরাসরি সমন্বয় ছাড়াই গাজা অঞ্চলে স্বাধীনভাবে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব কৌশল অনুযায়ী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা পাবে। গত সপ্তাহে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে মার্কিন একটি প্রতিনিধি দল সম্ভাব্য স্থানের বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও গণহত্যার কারণে যখন বিশ্বব্যাপী ইসরাইলবিরোধী ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে, তখন এই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের খবর প্রকাশ ইঙ্গিত দেয় যে, ইসরাইল হয়তো আন্তর্জাতিক চাপ এড়িয়ে তার লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে। তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ কার্যত ইসরাইলি দখলদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে আরও দুর্বল করবে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, এটি এক দখলদারিত্বকে আরেক দখলদারিত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা মাত্র। ইসরাইলি সেনাদের পরিবর্তে এখন মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে ব্যাহত করবে। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমরা এমন কোনো বাহিনীকে মেনে নিতে পারি না, যা গাজায় দখলদার সেনাবাহিনীর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।”
উল্লেখ্য, নভেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব জমা দেয়, যেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স (ISF)’ নামে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের পরিকল্পনা ছিল। এই বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, কাতার ও মিশরের নেতৃত্বে অন্তত দুই বছর গাজায় অবস্থান করবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। এর ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো গাজার পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তবে সমালোচকদের মতে, প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো গাজাকে অস্ত্রশূন্য করা এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের কাঠামো ধ্বংস করা।
মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষকরা বলছেন, গাজার পাশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ কেবল নিরাপত্তার অংশ নয়; এটি আসলে মার্কিন-ইসরাইলি প্রভাববলয়কে স্থায়ী করার কৌশল। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ইরান, লেবানন ও সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে মার্কিন-ইরান সংঘাতের মঞ্চ তৈরি করবে।
তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ মূল সমস্যাগুলো যেমন ইসরাইলি দখলদারিত্ব, যুদ্ধাপরাধের দায়বদ্ধতা এবং ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পুরোপুরি উপেক্ষা করছে। অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, গাজায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি শেষ পর্যন্ত নতুন ধরনের দখলদারিত্বের সূচনা করতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
-রাফসান
ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালতের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর চালানো এই হামলায় অন্তত এক ডজন লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরাসরি ভারত সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।
মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই হামলার তথ্য জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ও নিন্দা
ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি তাঁর দপ্তরের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, এই হামলার সঙ্গে ভারত সমর্থিত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলো জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন
"ভারতের সন্ত্রাসী প্রক্সিগুলোর মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা নিন্দনীয় ঘটনা। ভারতকে এ অঞ্চলে প্রক্সির মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।"
তবে, পাকিস্তানের এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছেন।
হতাহতের সংখ্যা ও ঘটনার স্থান
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি জানিয়েছেন, হামলাটি ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে হয়েছে।
এই আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭ জন।
আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত
এই হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সরাসরি ভারতের পাশাপাশি আফগানিস্তানের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ইসলামাবাদে এই যুদ্ধের জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম।
চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতার ভেতরে লুকানো নতুন ভারসাম্য
বিশ্ব অর্থনীতি আজ যেন এক অদৃশ্য দাবার ছকে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রতিটি চালের পেছনে লুকিয়ে আছে ক্ষমতা, কৌশল, এবং প্রযুক্তিনির্ভর রাজনীতি। একদা মুক্ত বাণিজ্যের প্রতিশ্রুতিতে গঠিত এই বৈশ্বিক বাজার এখন হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চ। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মার্কিন–চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এখন আর কেবল শুল্ক বা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে সীমাবদ্ধ নেই; এটি রূপ নিয়েছে প্রযুক্তি, নিরাপত্তা ও প্রভাব বিস্তারের জটিল প্রতিযোগিতায়।
ওয়াশিংটন এখন মরিয়া চীনের প্রযুক্তি আধিপত্য সীমিত করতে বিশেষত সেমিকন্ডাক্টর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), এবং উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে। অন্যদিকে বেইজিং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রেয়ার আর্থ মেটাল বা বিরল খনিজের রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে যা ছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্টফোন, ইলেকট্রনিক চিপ এমনকি যুদ্ধবিমানও কার্যত অচল। ফলে এই প্রতিযোগিতা আর শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগত শক্তির নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছে।
এই দ্বন্দ্বের প্রভাব সবচেয়ে দৃশ্যমান হচ্ছে বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে। বহুদিন ধরে “বিশ্বের কারখানা” হিসেবে চীন বৈশ্বিক উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল। কিন্তু এখন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো গ্রহণ করছে “চায়না প্লাস ওয়ান” কৌশল অর্থাৎ তারা উৎপাদন ঘাঁটি স্থাপন করছে চীনের পাশাপাশি অন্য দেশে, যাতে রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পায়। এই পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক শিল্প মানচিত্রে উঠে আসছে ভারত, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো উদীয়মান শক্তিগুলো।
বাংলাদেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক সুযোগ। দীর্ঘদিন ধরে পোশাকশিল্পে সাফল্য অর্জন করে দেশটি বিশ্ববাজারে দৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে। এখন সময় এসেছে উৎপাদনের নতুন খাতে বৈচিত্র্য আনার-ইলেকট্রনিক্স, হালকা প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশের। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশকে দেখছেন স্থিতিশীল শ্রমবাজার, প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন ব্যয় ও কৌশলগত অবস্থানের দেশ হিসেবে। এজন্য প্রয়োজন সুদূরদর্শী শিল্পনীতি, নির্ভরযোগ্য অবকাঠামো ও স্বচ্ছ প্রশাসনিক কাঠামো।
অর্থনীতিবিদদের মতে, চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতা কেবল দুটি দেশের সংঘাত নয়; এটি নতুন অর্থনৈতিক ভারসাম্যের জন্ম। বিশ্বায়ন এখন আর একমুখী নয়, বরং হয়ে উঠছে অঞ্চলভিত্তিক ও বহুস্তরীয়। উৎপাদন ব্যয় কিছুটা বাড়লেও, দীর্ঘমেয়াদে এই পরিবর্তন বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করবে এবং একক রাষ্ট্রনির্ভরতা হ্রাস করবে।
তথ্যসূত্র: দি ইকোনমিস্ট, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, রয়টার্স, IMF
দুই পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ ড্রোন হামলা
ইউক্রেনের দুটি প্রধান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে কেন্দ্রগুলোর বাহ্যিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পারমাণবিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে সতর্ক করেছে কিয়েভ। দেশটি বলছে, রাশিয়ার এই হামলা পরিকল্পিত ও ইচ্ছাকৃত, যা গোটা ইউরোপকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাটি হয়েছে খমেলনিটস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতে অন্তত ১২ জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। হামলার পর কিছু সময়ের জন্য উভয় কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, “এটি ইউরোপজুড়ে পারমাণবিক নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করেছে। এখন সময় এসেছে চীন ও ভারতসহ যেসব দেশ পারমাণবিক নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেয়, তারা যেন রাশিয়ার এমন বেপরোয়া হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেয়।” তিনি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA)-কে দ্রুত জরুরি বৈঠক ডাকতে আহ্বান জানান।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর এই আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা রাশিয়ার তেল ও জ্বালানি খাতের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তিনি বলেন, “রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করে শীতের আগেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায়।”
-রফিক
যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজায় ত্রাণে ইসরাইলের বাধা
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক মাস পার হলেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে ইসরাইল এখনও নানা বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মতে, সীমিত প্রবেশপথ, প্রশাসনিক জটিলতা, নিষেধাজ্ঞা এবং নিরাপত্তাজনিত অজুহাতে ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)-এর তথ্য উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যুদ্ধবিরতির এক মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নানা জটিল প্রক্রিয়া ও নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাহত হচ্ছে। সীমিত প্রবেশপথ ও অনিরাপদ পরিস্থিতি আমাদের কাজকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।”
তিনি জানান, এখনো অনেক এলাকায় জাতিসংঘের কর্মীদের প্রতিবার চলাচলের আগে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। গত সপ্তাহে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর আটটি প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি পুরোপুরি অনুমোদন পায়। বাকি চারটি প্রচেষ্টা মাঝপথে বাধাগ্রস্ত হয়— এক ক্ষেত্রে দলটিকে অনুমতি পেতে দশ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র আরও বলেন, “চলমান প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আমরা ও আমাদের সহযোগী সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি যাতে যতটুকু সম্ভব সহায়তা পৌঁছানো যায়। তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।”
বেশি সংখ্যক সীমান্তপথ খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইসরাইলের অনীহা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারহান হক বলেন, “সমস্যাটা ইসরাইলি পক্ষেই। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো তারা নতুন কোনো প্রবেশপথ খোলেনি। ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ক্রমেই ধীর হয়ে যাচ্ছে।”
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজার অধিকাংশ এলাকা এখনও ধ্বংসস্তূপে পরিণত, হাসপাতাল ও স্কুলগুলো অচল, আর খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে দিন কাটাচ্ছে লাখো বেসামরিক মানুষ।
-রাফসান
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লার অদূরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতের রাজধানী ও সীমান্ত এলাকাজুড়ে চরম নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্দাই আই২০ গাড়িতে সংঘটিত এই বিস্ফোরণে নয়জন নিহত ও আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে কয়েকশ মিটার জুড়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়ে, আশপাশের একাধিক গাড়ি পুড়ে যায়, এবং রাস্তাজুড়ে দগ্ধদেহের বীভৎস দৃশ্য তৈরি হয়। ঘটনার পরপরই পুরো দিল্লি শহরসহ সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পাঞ্জাব ও রাজস্থানের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ–নেপাল সীমান্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্ত এলাকাতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। নতুন করে চেকপোস্ট বসানো, সেনা টহল জোরদার করা এবং সিসিটিভি নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (DIA) এবং রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (RAW) সীমান্তবর্তী অঞ্চলের যেকোনো সন্দেহজনক নড়াচড়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
দিল্লির উপ-প্রধান অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা একে মালিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। “আমরা সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। ৭টা ২৯ মিনিটের মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিভে যায়,” বলেন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, লাল কেল্লার পাশের রাস্তায় ছিন্নভিন্ন মরদেহ, ভস্মীভূত যানবাহন ও চারপাশে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ। এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পর্যটকদের ভিড় একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লি থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে প্রায় ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আরও সজাগ হয়ে ওঠে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লাল কেল্লা বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। এদিকে, বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের ঠিক আগে এমন ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করে তদন্তভার দিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর হাতে। এনএসজি এবং দিল্লি পুলিশের বোম্ব ডিটেকশন অ্যান্ড ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থল থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাড়ির ধাতব অংশ, রাসায়নিক অবশিষ্টাংশ এবং বোমার সম্ভাব্য উপাদান সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে। এদিকে স্থানীয় পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে গাড়িটি কে বা কারা পার্ক করেছিল তা শনাক্তের চেষ্টা করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি (ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটি “ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED)” দ্বারা ঘটানো হতে পারে। তবে এখনো কোনো গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি প্রায় ২০ মিনিট ধরে একই স্থানে পার্ক করা ছিল। আশপাশের দোকানপাটে তখন সন্ধ্যার ব্যস্ততা চলছিল, হঠাৎ একটি বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। রাস্তায় আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়, অনেকে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। দিল্লির হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ মেডিকেল টিম নিয়োজিত করা হয়েছে।
এদিকে সীমান্তে বাড়তি সতর্কতার কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালমুখী বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকেও কড়া তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। পেট্রাপোল, রণাঘাট, সোনামসজিদসহ একাধিক সীমান্তপথে কাস্টমস ও বিএসএফ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে কোনো বিস্ফোরক বা অবৈধ উপকরণ প্রবেশ করেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
-রাফসান
ট্রাম্পের ঘোষণার পরই সরে দাঁড়াল স্থিতিশীলতা বাহিনী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই গাজা উপত্যকার জন্য প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগদানের কোনো পরিকল্পনা করছে না। এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তারা বাহিনীর কোনো স্পষ্ট কাঠামো বা কার্যপ্রণালী না থাকার কথা জানিয়েছে।
আমিরাতের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টার বক্তব্য
আবুধাবি কৌশলগত বিতর্ক ফোরামে আমিরাতের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন:
"সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো স্থিতিশীলতা বাহিনীতে একটি স্পষ্ট কাঠামো দেখতে পাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে সম্ভবত এই বাহিনীতে অংশগ্রহণ করবে না।"
এই বক্তব্যটি ইউএই-এর নীতিগত অবস্থানের প্রতিফলন, যা মূলত কোনো সামরিক মিশনে অংশগ্রহণের আগে এর উদ্দেশ্য, নিয়মাবলী এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চায়।
আন্তর্জাতিক বাহিনীর পরিকল্পনা
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয় করা এই আন্তর্জাতিক বাহিনীতে মিশর, কাতার ও তুরস্কের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা ছিল। এই বাহিনীর লক্ষ্য হলো গাজায় সংঘাত-পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন যে এই বাহিনী খুব শিগগিরই গাজায় উপস্থিত হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই ইউএই তাদের অবস্থানের কথা জানাল।
ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ঐতিহাসিক আব্রাহাম চুক্তি সই হওয়ার পর ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে তেলসমৃদ্ধ সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্যতম। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, গাজা ইস্যুতে ইউএই-এর এই সতর্ক সামরিক অবস্থান আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
দিল্লিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ আতঙ্ক লালকেল্লা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চলন্ত গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় এই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এই ঘটনার পর পুরো এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিস্ফোরণ এবং ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে একটি গাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাশে থাকা আরও তিন থেকে চারটি গাড়িতে দ্রুত আগুন ধরে যায়।
ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে:
মেট্রো স্টেশনের সামনে একাধিক গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
বিস্ফোরণের কারণে একটি ভ্যানের দরজা উড়ে গেছে।
সড়কের পাশে বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
দিল্লি পুলিশ এই বিস্ফোরণকে "একটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ" হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
আহতদের উদ্ধার ও প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
বিস্ফোরণে আহতদের দ্রুত লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের ভবন থেকেও আগুনের বিশাল গোলা দেখা গেছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন:
"আমি বারান্দা থেকে আগুনের বিশাল গোলা দেখেছি। বিস্ফোরণ এত জোরে হয়েছিল যে আশেপাশের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।"
কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, যেহেতু বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল খুব বেশি এবং এটি একটি জনবহুল এলাকা, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ঘটনাস্থলের গুরুত্ব
লালকেল্লা পুরনো দিল্লির একটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং সংবেদনশীল এলাকায় অবস্থিত। এটি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পাঠকের মতামত:
- কেবিপিপিডব্লিউবিআইএল দেখাল সাফল্যের নতুন দৃষ্টান্ত
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- রাজধানীতে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন: লকডাউন ঘিরে কড়া নিরাপত্তা
- ওয়াশিংটনে সিরীয় প্রেসিডেন্ট: পশ্চিমা দিগন্তে দামেস্কের নতুন অধ্যায়
- লন্ডনের কমনওয়েলথ ফেয়ারে বাংলাদেশ: ঐতিহ্যের রঙে মুগ্ধ বিশ্ব
- ঋণপত্রে বিনিয়োগ স্থবির, পুঁজিবাজারে নতুন উদ্বেগের সঞ্চার
- রোহিঙ্গা সহায়তায় কোরিয়ার নতুন চাল অনুদান: বাংলাদেশের পাশে সিউল
- যেভাবে উদ্ধার হলেন নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা
- গাজায় মার্কিন ঘাঁটি, নতুন দখলদারিত্বের আশঙ্কা
- মোহাম্মদপুরে স্কুলে ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলা
- ইউরোপে নতুন দিগন্তে রেনাটা পিএলসি
- সোনালী লাইফের লভ্যাংশ ঘোষণা
- ইবনে সিনা ফার্মার প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৬০ শতাংশ
- এনার্জিপ্যাকের প্রথম প্রান্তিক ফলাফল প্রকাশ
- বিকন ফার্মার প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইস্টার্ন কেবলস লিমিটেডের লভ্যাংশ ঘোষণা
- রপ্তানি বাজারে নতুন কৌশল নিচ্ছে মেট্রো স্পিনিং
- ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- ওরিয়ন ফার্মার নতুন লভ্যাংশ ঘোষণা
- ১৭ বছরের আন্দোলনের পরও মনোনয়ন বঞ্চনা, ফতুল্লায় ক্ষোভ তুঙ্গে
- আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যে এলাকায়
- আজ বুধবার ১২ নভেম্বর: ঢাকার নামাজের সময়সূচি
- এক লাফে বেড়ে গেল স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর নতুন মূল্য
- বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও এলাকা বন্ধ থাকবে
- আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আজকের আবহাওয়া যেমন
- টানাপোড়েনের মধ্যেও সুখবর নভেম্বরের শুরুতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন
- ভারত বধের ছক চূড়ান্ত সেরা ১৭ জনকে পরখ করবেন কাবরেরা
- ইউনেস্কোর সভাপতি নির্বাচিত হওয়া আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের বড় অর্জন: শিক্ষা উপদেষ্টা
- আইনস্টাইনও কি ভুল ব্ল্যাক হোলের ছায়া নিয়ে নতুন তত্ত্বে চাঞ্চল্য
- বিপ্লবী জনতার ধোলাই খেলে নেতা দেখতে আসবে না নূর আওয়ামী লীগ কর্মীদের সতর্ক করলেন
- শীতে অতিরিক্ত শীত লাগে কোন ভিটামিন কম থাকলে এই সমস্যা বাড়ে জানেন কি
- বিএনপি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন ৭ নভেম্বরের চেতনায় ৫ আগস্ট অর্জিত: রিজভী
- বগুড়া-২ আসনে ধানের শীষ নিয়ে জল্পনা জোটের মাহমুদুর রহমান মান্না বনাম নতুন মুখ স্নিগ্ধ
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয় সব সংস্কার এখনই করা সম্ভব না আসিফ নজরুল
- থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ৫টি ঘরোয়া পানীয় ক্লান্তি দূর করে ওজন রাখবে স্বাভাবিক
- গণভোট নিয়ে টালবাহানা যারা করছেন তারা পালাবেন কোথায়: চরমোনাই পীর
- ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিপক্ষে জোট এনসিপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
- ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেব মির্জা ফখরুল
- শীতের বাতের ব্যথা কমাতে ৫ খাবার রাখুন পাতে
- আগে গণভোট চাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব জামায়াত আমির
- শীতকালে কেন স্ট্রবেরি খাবেন জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এটি জরুরি
- নির্বাচন সামনে বিশেষ ক্ষমতা পেলেন সামরিক কর্মকর্তারা
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড
- হাসিনার সাক্ষাৎকারগুলো ‘সাজিয়ে রাখা’, আরো নতুন পর্ব আসবে
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- হৃদরোগের ঝুঁকি কম বয়সে: হার্টের রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ৭টি প্রাথমিক লক্ষণ চিনে সতর্ক হোন
- ইতিহাস সৃষ্টিকারী কে এই জোহরান মামদানি? যিনি প্রথম মুসলিম ও সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হতে চলেছেন
- ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ছেলে না থাকলে সম্পত্তি বণ্টনের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা








