হবিগঞ্জে মেধাবী কিশোর হাফেজের মৃত্যুতে উত্তাল জনমত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২৩ ১৫:৩৬:৩৮
হবিগঞ্জে মেধাবী কিশোর হাফেজের মৃত্যুতে উত্তাল জনমত

হবিগঞ্জ শহরের ঈদগাহ পুকুর থেকে হাফেজ আহমদ মনসুর তাহমিদ (১৭)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পুকুর থেকে ভেসে ওঠা মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

তাহমিদ পৌর শহরের ঈদগাহ এলাকার সফিক মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় দারুল ইরশাদ মাদরাসা থেকে হাফেজি সম্পন্ন করে জামাত লাইনভুক্ত সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছিল। তার শিক্ষকদের মতে, তাহমিদ ছিল অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী এবং চমৎকার কণ্ঠের অধিকারী একজন হাফেজ, যিনি জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ জন হাফেজের একজন ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাহমিদ বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেনি। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর রাত আড়াইটার দিকে তার বাড়ির পাশের ঈদগাহ পুকুরে ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখতে পান তারা।

দারুল ইরশাদ মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী জানান, তাহমিদের শরীরে, গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা সন্দেহ করছি, তাহমিদ যাদের সঙ্গে চলাফেরা করত, তারাই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।”

তাহমিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।তাহমিদের প্রথম জানাজা সোমবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে, এবং দ্বিতীয় জানাজা বাদ আছর তার নিজ গ্রামের বাড়ি আলাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাহমিদ পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে মরদেহে কিছু চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।”

তাহমিদের রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের পাশাপাশি উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ