প্রিয় মানুষ হারিয়ে তিনি কাঁদলেন না—কারণটা শুনলে থমকে যাবেন আপনিও

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ২২ ১৫:০৭:১০
প্রিয় মানুষ হারিয়ে তিনি কাঁদলেন না—কারণটা শুনলে থমকে যাবেন আপনিও

শোক নয়, নীরব যন্ত্রণার পথে হাঁটলেন প্রিয়াংকা—বাবার মৃত্যুর পর যে অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নেন তিনিবাবার চোখের মণি ছিলেন প্রিয়াংকা চোপড়া। তার হাতে আজীবনের স্মারক হয়ে লেখা ‘ড্যাডিজ লিটল গার্ল’ উল্কিটি যেন সেই মায়ারই প্রতীক। ২০১৩ সালে তার বাবা, অশোক চোপড়া যখন প্রয়াত হন, তখন পুরো বলিউডে ছিল প্রিয়াংকার জন্য সহানুভূতির ঢল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে—বাবার মৃত্যুর মাত্র ছয় দিনের মাথায় অভিনেত্রীকে দেখা যায় মায়ের জন্মদিন উদ্‌যাপন করতে। পার্টিতে হাস্যোজ্জ্বল প্রিয়াংকাকে দেখে অনেকেই সমালোচনায় মুখর হন।

তবে এই আচরণের পেছনে ছিল একান্ত পারিবারিক যন্ত্রণার অন্যরকম প্রকাশ। প্রিয়াংকা একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি কখনো প্রকাশ্যে কান্না করতে পারতেন না। তার অনুভূতি থাকলেও, তা কখনো নাটকীয় হয়ে ওঠেনি। বাবা-মায়ের স্নেহময় সংসারে বেড়ে ওঠা এই তারকা জানতেন—মায়েরও একইরকম মানসিক যন্ত্রণায় দগ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মুখে হাসি রাখার দায়িত্ব রয়েছে।

শোককে জয় করার সেই যাত্রায় তিনি তার মা মধু চোপড়া এবং দাদা সিদ্ধার্থ চোপড়াকে নিয়ে পাড়ি জমান ব্রিটেনের এক নির্জন দ্বীপে। শুরুটা ছিল নিঃশব্দ, ভারী বাতাসের মতো। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন না। কিন্তু একসময় অনুভূতি নিজের পথ খুঁজে নেয়। তিনজনেই ধীরে ধীরে আবেগে ভাসেন, চোখের জলে ভাগ করে নেন একে অপরের কষ্ট।

প্রিয়াংকা বলেছিলেন, “আমার কাছে পরিবারই প্রথম। আমি বাইরে কাজ করতাম, আবার বাসায় ফিরে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু চোখের জলে নয়—ভেতরের নীরব এক লড়াইয়ে।”

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সকলের শোক প্রকাশের ধরন এক নয়। কেউ প্রকাশ্যে কান্নায় ভাঙেন, কেউ ভিতরে ভিতরে গড়ে তোলেন সহনশীলতার এক দুর্গ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

আমেরযত কাহিনি

আমেরযত কাহিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ ‘আম’ শুধু একটি ফল নয়, বরং এটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত এক... বিস্তারিত