দলের স্লোগান প্রকাশ করল ভিপি নুরুল হক নুর

বাংলাদেশের উদীয়মান রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) তাদের আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক স্লোগান ঘোষণা করেছে। আজ শুক্রবার (২০ জুন) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দলের এই স্লোগানটি প্রকাশ করেন।
নুর বলেন, “জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অঙ্গীকার, দেশ হবে জনতার। এটাই গণঅধিকার পরিষদ - জিওপি এর অফিসিয়াল স্লোগান।”
এই স্লোগানের মাধ্যমে দলটি তার রাজনৈতিক আদর্শ, লক্ষ্য এবং জনভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সংক্ষিপ্ত কিন্তু শক্তিশালী ভাষায় তুলে ধরেছে। গণঅধিকার পরিষদের মতে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এবং সম্পদের মালিক জনগণ এবং তাদের অধিকার রক্ষাই দলের মূল প্রতিশ্রুতি।
গণঅধিকার পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর, এবং ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে দলটি দেশের রাজনীতিতে আলোচিত একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মাঝে দলটির সমর্থন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
দলটির নির্বাচনী প্রতীক হলো ট্রাক, যা প্রতিনিয়ত চলমান জনগণের প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে যা বহন করে শ্রম, গণআবেগ এবং পরিবর্তনের প্রত্যাশা।
দলের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জনপ্রিয় ভিপি নুরুল হক নুর, আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন বিশিষ্ট ছাত্রনেতা রাশেদ খান।
নুরুল হক নুরের ঘোষিত স্লোগানটি কেবল একটি রাজনৈতিক শব্দবন্ধ নয়, বরং এটি গণঅধিকার পরিষদের রাজনৈতিক আদর্শের একটি সারসংক্ষেপ। এতে উঠে এসেছে-
- জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি
- জনগণকেন্দ্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার লক্ষ্য
- নতুন প্রজন্মের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্লোগান দলটির আগামীর নির্বাচনী প্রচার, রাজনৈতিক বক্তব্য ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমে একটি কেন্দ্রীয় বার্তা হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গণঅধিকার পরিষদ এমন এক সময়ে এই স্লোগান ঘোষণা করল, যখন দেশ রাজনৈতিক মেরুকরণ ও অবিশ্বাসের এক সংকটময় পর্ব অতিক্রম করছে। গণভিত্তিক রাজনীতির প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে দলটি সাধারণ মানুষের মাঝে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে চাইছে।
রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, “জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার” এই বার্তাটি শুধু রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও সাংবিধানিক অবস্থানও তুলে ধরেছে। এতে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে গণঅধিকার পরিষদ ক্ষমতার উৎস হিসেবে জনগণকে কেন্দ্রস্থলে রাখতে চায়।
গণঅধিকার পরিষদের এই স্লোগান একদিকে যেমন দলের রাজনৈতিক আত্মপরিচয়ের পরিচায়ক, তেমনি এটি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক রণকৌশলের মৌলিক ভিত্তিও বটে। দেশের নতুন ভোটার, তরুণ সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণভিত্তিক রাজনীতিতে আগ্রহীদের জন্য এই স্লোগান একটি শক্তিশালী বার্তা হয়ে উঠতে পারে।
‘জনতার অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অঙ্গীকার, দেশ হবে জনতার।’ এই শ্লোগানেই হয়তো আগামীর রাজনীতি রচনা করতে চায় গণঅধিকার পরিষদ।
-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, বাজেট বৈষম্য ও শিক্ষায় ন্যায্যতার দাবি
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের ১০টি বড় ক্ষতি
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ভোক্তার কষ্ট বুঝছে সরকার:বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- এবার পাকিস্তানকে হামলার হুমকি দিল ইসরায়েল