ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিরাম আঘাত চালানোর ঘোষণা তেহরানের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ২১:৫৩:০২
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিরাম আঘাত চালানোর ঘোষণা তেহরানের

ইসরায়েলের দখলদারতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ না হলে জায়নিস্ট বাহিনীর যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে অবিরাম হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “আল্লাহর সাহায্যে আমরা ইহুদি আগ্রাসনের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে প্রস্তুত। আমাদের জন্য কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।”

তিনি আরও জানান, ঘাঁটির সদস্যরা ‘চরম মনোবল এবং পূর্ণ প্রস্তুতির’ মধ্যে রয়েছেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইআরজিসির সাম্প্রতিক নিখুঁত ও বিধ্বংসী হামলাগুলো ‘উল্লেখযোগ্য সাফল্য’ বলেও মন্তব্য করেন।

আইআরজিসি বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলের দিকে তারা নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী 'সেজ্জিল' ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র দু’ধাপবিশিষ্ট, দীর্ঘপাল্লার এবং অত্যন্ত ভারী।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল তেহরানের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে দেশটির একাধিক শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী, সামরিক কর্মকর্তা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ইরান এই ঘটনাকে ‘উসকানিমূলক আগ্রাসন’ বলে আখ্যায়িত করে।

পরদিনই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সামরিক কাঠামোয় রদবদল এনে কঠোর জবাবের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেছিলেন, “ইসরায়েলের জন্য অন্ধকার সময় অপেক্ষা করছে।”

এরপর থেকেই ইরান হাইফা, তেলআবিবসহ ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার মেজর জেনারেল মুসাভি বলেন, “ইরান এখন আর শুধু প্রতিরোধ নয়, বরং শাস্তিমূলক হামলা চালাবে।" বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে তার সেই কঠোর অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ৫০ জনের বেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সূত্র: মেহের নিউজ

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত