ফিলিস্তিন গাজা

ত্রাণের অপেক্ষায় জীবন উৎসর্গ—গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৯:৪৬:১৮
ত্রাণের অপেক্ষায় জীবন উৎসর্গ—গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ হামলায় একদিনেই প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬৯ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন ত্রাণ সংগ্রহের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, যাদের ওপর সরাসরি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। হামলায় আরও ২২১ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির (জরুরি পরিষেবা বিভাগ) কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুগাইর বলেন, "নেতজারিম করিডোরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মানবিক সহায়তার আশায় সমবেত হন। গতকালও বিপুলসংখ্যক মানুষ ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। ঠিক তখনই ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালিয়ে ১৫ জনকে হত্যা করে। আরও অন্তত ৬০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।"

একই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাসাম আবু-শার বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের পাশেই হাজারো মানুষ সারারাত অপেক্ষা করছিলেন। স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে হঠাৎ করেই ইসরায়েলি সেনারা গুলিবর্ষণ শুরু করে। পরে সাঁজোয়া যান, ড্রোন ও বিমান থেকেও হামলা চালানো হয়।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের জন্য প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো দুঃখপ্রকাশ বা দায় স্বীকার করেনি।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে ৫৫ হাজার ৭০৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ১০১ জন আহত হয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লাগাতার আক্রমণ, বিশেষত ত্রাণের জন্য অপেক্ষমান বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন। ত্রাণ কেন্দ্রে হামলা চালানো যুদ্ধাপরাধের শামিল বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত