সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১৮ জুন) রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. নাসিরুল ইসলাম জানান, ড. শামসুল আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে এবং সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত গোয়েন্দা শাখার প্রধান কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানান তিনি।
তবে, ঠিক কোন মামলার আওতায় এবং কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ড. শামসুল আলম দীর্ঘদিন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিনি পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মেয়াদ শেষে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। দীর্ঘ সময় তিনি দেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিলেন এবং 'প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১' এর অন্যতম প্রণেতা ছিলেন।
গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একজন সাবেক টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা নীতিনির্ধারক পর্যায়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের প্রয়োগ নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ড. শামসুল আলমের আইনজীবী বা পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ইসলামী শিক্ষা প্রসারের জন্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের নেতারা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে শেষ হয়।
‘গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না’
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে গানের মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, এটি মুসলিম সমাজের আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী। বক্তাদের ভাষ্য, “গানের মাধ্যমে নৈতিকতা আসে না, বরং তা চরিত্রে অবক্ষয় ডেকে আনে। ইসলামি আদর্শে নতুন প্রজন্ম গড়ে তুলতে যোগ্য আলেমদের দ্বারা ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে ইসলামি মূল্যবোধ সংকুচিত হচ্ছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে প্রাধান্য না দিয়ে অপসংস্কৃতির প্রসারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “এই দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান, অথচ তাদের জন্য ফরজ দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না হলে সারা দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল, শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসলামিক শিক্ষকের আবশ্যিক নিয়োগের দাবি জানান। এই কর্মসূচিতে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রচার সম্পাদক হামিম আব্দুল আজিজসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
চট্টগ্রামের রাউজানে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি বসতঘর সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বণিকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
যেভাবে ঘটলো অগ্নিকাণ্ড
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় শিক্ষক সিদুল কান্তি ধর জানান, সন্ধ্যায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রাউজান ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তার আগেই ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ভস্মীভূত সবকিছু
আগুনে যেসব পরিবারের ঘর পুড়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—হারাধন ধর, প্রদীপ ধর, বিশু ধর, কৃষ্ণ পদ ধর, লিটন ধর, টিটন ধর, অখিল ধর, কার্তিক ধর, কাঞ্চন ধর, মিলন ধর, পরিমল ধর, বাবুল ধর এবং শ্যামল ধর।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে তারা ঘরের কোনো মালামালই বের করতে পারেননি। নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ সবকিছু আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী অসহায় হয়ে পড়া এই পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তার জন্য প্রশাসন এবং সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। রাউজান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স সার্ভিসের ইনচার্জ সামশুল আলম অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
বরিশালে কারিগরি শিক্ষার্থীরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাত দফা দাবিতে আন্দোলনরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীরা নগরীর ব্যস্ততম চৌমাথা মোড়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে এ ঘোষণা দেন। প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের ফলে যান চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শত শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক মাহফুজুল আলম মিঠু।
তিনি সমাবেশে বলেন, “কারিগরি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তাই আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, তারা বরিশালে প্রবেশ করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।”
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চলছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা উপেক্ষা করে আসছে। বরং কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে চাকরি কাঠামোতে বৈষম্য দূরীকরণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মর্যাদা নিশ্চিত করা, পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষার সঠিক সময়সূচি নির্ধারণ, এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
জীবন্ত নবজাতককে কবরস্থানে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে চাঁদপুরের কুমিল্লা রোডের দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত এই নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক নবজাতককে দাফন করার সময় সে নড়েচড়ে ওঠে। স্থানীয়রা জানায়, হাসপাতাল থেকে নবজাতকটিকে মৃত ঘোষণা করে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়। পরে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, ওই নবজাতকের জন্ম হয়েছিল দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালেই। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন পৌর কবরস্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।
প্রশাসনের অভিযান ও ব্যবস্থা
ঘটনার পর দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি। তিনি জানান, অভিযানে এসে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার (ওটি), প্যাথলজি এবং অন্যান্য কক্ষগুলোর পরিবেশ যথাযথ ছিল না। এছাড়া, পোস্ট-অপারেটিভ রোগীর জন্য কোনো সুব্যবস্থা এবং হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নবায়ন করা ছিল না।
প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওটি এবং প্যাথলজিসহ সংশ্লিষ্ট কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটিতে থাকা রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া হবে, যিনি পরবর্তীতে হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল এবং জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।
নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের কোনো সদস্যকে বাসা বা ফ্ল্যাট ভাড়া না দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মাইকিং করে এই বার্তা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন যুবক একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে মাইকিং করছেন। তিনি বলছেন, “সকল বাড়ির মালিককে জানানো যাচ্ছে, কর্ণফুলী থানা এলাকায় নতুন কেউ ভাড়াটিয়া ভাড়া নিতে এলে, সেই ভাড়াটিয়ার ভোটার আইডি কার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস আগে থানায় জমা দিতে হবে। কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া যাবে না। যদি কোনো ভাড়াটিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আটক হয়, তাহলে সেই বাড়ির মালিককে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে আটক করা হবে। নির্দেশক্রমে সিএমপি, কর্ণফুলী থানা।”
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেছেন, এই আহ্বানের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ সব সংগঠনকে বোঝানো হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠনকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ততম দিন বৃহস্পতিবার। এদিন রাজধানী ঢাকায় মানুষের ভিড় অন্য যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি থাকে। তার ওপর আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে। একইসঙ্গে, আগামীকাল শুক্রবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের আটটি বিভাগীয় শহর থেকে পরীক্ষার্থীরা আজই ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। এই দুই কারণে আজ রাজধানীতে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আব্দুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপা—এই সাতটি দল প্রায় অভিন্ন দাবিতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, দলগুলো বায়তুল মোকাররম, প্রেস ক্লাব, পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিংগেল ও শাহবাগ এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে এবং সেখান থেকে মিছিল শাহবাগ পর্যন্ত যাবে।
যানজটের ভোগান্তি
রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর কারণে সচিবালয়, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগরসহ আশপাশের এলাকার অফিসফেরত কর্মীরা চরম ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, শাহবাগের রাস্তা বন্ধ থাকলে ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন হাসপাতালগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনরা। বিশেষ করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সাবেক পিজি হাসপাতাল), ঢাকা মেডিকেল, বারডেম ও অন্যান্য হাসপাতালের রোগী আনা-নেওয়ায় সমস্যা হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়, তখন ব্যাপক লোকসমাগমের কারণে স্বাভাবিক যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এতে অন্য সড়কগুলোতেও চাপ বাড়ে এবং অচলাবস্থা তৈরি হয়।’ তিনি আরও জানান, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের কাছে অনুরোধ থাকে।
বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় মগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তমের স্ত্রী লিলি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কুইজবাড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ড ও পুলিশি তদন্ত
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মতে, আনিছুর রহমান উত্তমের বাড়ির পাশেই তাদের বিস্কুটের কারখানা রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি কারখানায় গেলেও মঙ্গলবার রাতে তার যেতে দেরি হয়। সে কারণে তার স্ত্রী লিলি কারখানায় যান। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারীরা উত্তমকে হত্যা করতে এসেছিল। কিন্তু লিলি আক্তার তাদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহম্মেদ বলেন, “আমরা জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছি। নিহতের স্বামী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।”
আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের খবর
দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে:
কক্সবাজার: সদর উপজেলার খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে মোহাম্মদ সৈয়দ (৫০) নামে এক রোহিঙ্গাকে পিটিয়ে হত্যার পর বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতোমধ্যে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে আটক করেছে। রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্বামী এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপে পারিবারিক বিরোধের জেরে আলী হোসেন নামে ছয় বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। সন্দ্বীপ থানার ওসি শফিকুল আলম চৌধুরী জানান, অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত করা হচ্ছে।
রাজধানী: দোলাইরপাড়ে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জহিরুল ইসলাম রাকিব (২০) নামে এক বাসচালকের সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশে তার মায়ের উদ্দেশে লেখা দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে, যেখানে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুত্রঃসমকাল
গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গ্রেফতারের পর থানায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে থানার হাজতখানায় ব্যারাক থেকে খাট এনে আসামিকে ‘ভিআইপি বিছানা’ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কথা বলার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশি নৈতিকতা ও দায়বদ্ধতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিটন হাওলাদার (৪৮) একটি সিআর (২০১/২৪) মামলায় এক বছর দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন ওসি মাকসুদ আলম। তবে তাকে অন্য আসামিদের মতো হাজতে না রেখে আলাদাভাবে বিশেষ সুবিধায় থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।
পরের দিন আদালতে পাঠানোর আগে তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বেশ কিছু ছবি ফাঁস হয়ে যায়। ছবিগুলোতে দেখা যায়, হাজতের ভেতরে একটি খাটে বসে সিগারেট হাতে নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন লিটন হাওলাদার। ধারণা করা হচ্ছে, গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করা এসব ছবিই পরে গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মাকসুদ আলম দাবি করেন, “লিটন হাওলাদার অন্য একটি মামলায় জামিন নিয়ে থানায় দেখা করতে আসেন। তবে তিনি আরেকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তিনি নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে তাকে হাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, হাজতে খাট ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ কে দিয়েছে তা তার জানা নেই। কেউ করে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ওসির ভাষায়, “মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। তবে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি আমি স্বীকার করি না। আমাদের থানার পাশেই একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে সেখানেই অসুস্থদের রাখা হয়।” সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর হোসেন বলেন, “কোনো আসামি অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার বিধান রয়েছে। থানার ভেতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হলে সেটি অবশ্যই অনিয়ম। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে থানার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণ মিললে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-রফিক
সাত দফা দাবিতে সাতরাস্তা অবরোধ
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা এলাকায় সাত দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে অবস্থান নিলে ওই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো—
- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ পদোন্নতি কোটার বাতিল
- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি সংক্রান্ত আদালতের রায় বাতিল
- ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদবি পরিবর্তন
- ২০২১ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ বাতিল
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই কোটার কারণে বহু যোগ্য শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবারও পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা সাতরাস্তার মোড়ে প্রায় আধঘণ্টা বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে গেলেও কোনো আশ্বাস না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে সাতরাস্তা হয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অফিসগামীদের সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হয়।
পাঠকের মতামত:
- আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো, জোট নিয়ে নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা
- বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
- পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি: নীরব সতর্কতা জারি করল ভারত
- মির্জা ফখরুল: বিপ্লবী সংগঠন ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়
- দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
- রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
- ‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
- যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
- জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ আর নেই
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
- ঢাকায় পা রাখলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
- প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
- চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
- দেখে নিন সুপার ফোরে বাংলাদেশের টানা তিন ম্যাচের সময়সূচি
- জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?
- নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
- বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
- কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা