ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ইসরায়েলের হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত: হতাহতের শঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১১:৪৬:৩৪
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ইসরায়েলের হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত: হতাহতের শঙ্কা

দক্ষিণ ইসরায়েলের বেয়ার-শেভা শহরের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টার ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরান থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি এই হাসপাতালে আঘাত হানে। হামলার তীব্রতায় হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি, তবে পরিস্থিতি ‘উল্লেখযোগ্যভাবে সংকটাপন্ন’ বলে জানানো হয়েছে।ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে ইসরায়েলের হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত: হতাহতের শঙ্কাহাসপাতালের বিবৃতি: ‘বেশ কয়েকটি ইউনিট মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত’সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টারের একজন মুখপাত্র বলেন,

“আমরা বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আহতদের অবস্থার মূল্যায়ন করছি। হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে।”

তিনি আরও অনুরোধ জানান,

“এই মুহূর্তে সাধারণ নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা হাসপাতালে না আসেন, যাতে উদ্ধারকাজ ও জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়।”

হামলার পর টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওঘটনার পরপরই টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে সোরোকা হাসপাতালের একাধিক ভবনে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যায়। মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাচের টুকরো, কংক্রিটের ধ্বংসাবশেষ ও সরঞ্জাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই প্রবল ছিল যে, কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভূত হয়।

এখনো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) কিংবা সরকারি পর্যায় থেকে এই হামলার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। তবে ঘটনার ভয়াবহতা প্রমাণ করছে—ইরানের পাল্টা হামলার আওতায় এখন শুধু সামরিক নয়, বেসামরিক অবকাঠামোও টার্গেটে পরিণত হচ্ছে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলসোরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে সরাসরি আঘাত হানার ঘটনাকে অনেক বিশ্লেষক ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার নতুন মাত্রা হিসেবে দেখছেন। এ ধরনের আঘাতে কেবল মানবিক বিপর্যয় নয়, ভবিষ্যতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপগুলোর গতিপথও পাল্টে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ যখন নাগরিক স্থাপনায় পৌঁছে যায়, তখন তা নিছক সামরিক লড়াই থাকে না—বরং পরিণত হয় পূর্ণমাত্রার সংকটে, যেখানে মানবিক বিপর্যয় অনিবার্য হয়ে ওঠে।

সূত্র : ইরান ইন্টারন্যাশনাল।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত