যৌথ বিবৃতি নিয়ে ক্ষুব্ধ জামায়াত, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছে, তবে দলটি সরকারের নিরপেক্ষতা ও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকের বিরতিতে দলের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের যৌথ সংবাদ সম্মেলন এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল। এটি শুধু জামায়াত নয়, দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও বিব্রত করেছে।” তাহের আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডই মূলত জামায়াতে ইসলামীর প্রথম বৈঠকে অংশ না নেওয়ার অন্যতম কারণ।
তবে তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আলাপ করেছেন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতেই দলটি আলোচনায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সৈয়দ তাহের বলেন, “আমরা সরকারকে ব্যর্থ করতে চাই না, বরং গঠনমূলক সহযোগিতা করতে চাই। কিন্তু নিরপেক্ষতা না থাকলে প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশন কোনো সফলতায় পৌঁছাতে পারবে না।”
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রতি নীতিগতভাবে সমর্থন জানালেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে। দলটি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে এনসিসির আওতার বাইরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা তিন বাহিনী প্রধানের নিয়োগকেও এই কাউন্সিলের বাইরে রাখতে চায়।
সৈয়দ তাহের বলেন, “ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় এনসিসি কার্যকর হতে পারে, তবে এর গঠন ও কর্মপরিধি নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন।”
লন্ডনে বিএনপি-সরকার বৈঠক নিয়ে জামায়াতের আপত্তিগত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুই পক্ষের যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলনকে “নৈতিক বিচ্যুতি” আখ্যায়িত করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ।
জামায়াতের মতে, এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন দেশের রাজনৈতিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছে এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে জামায়াত অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় মূলত এই কারণেই। তারা মনে করে, ওই যৌথ ঘোষণায় জামায়াতকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের পর বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, তারা আলোচনায় অংশ নেবে।”
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- নির্বাচিত নারী, অলঙ্কার নয়: গণতন্ত্রে নারীর শক্তির সন্ধান