লন্ডনে বিএনপি-সরকার যৌথ বিবৃতি নিয়ে ক্ষোভে জামায়াত

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ১৭:৫৬:০৩
লন্ডনে বিএনপি-সরকার যৌথ বিবৃতি নিয়ে ক্ষোভে জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠক ও যৌথ বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে দলটির কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

বুধবার (১৮ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক সংলাপের দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. তাহের বলেন,

“প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখেছি। নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আমাদের আপত্তি নেই। আমরা আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হলে তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”

তবে বিএনপির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি প্রকাশের ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন,

“আমরা বিস্মিত হয়েছি—দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দল থাকলেও শুধুমাত্র বিএনপির সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে একটি পক্ষকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বার্তা যায়, যা অন্য দলগুলোর জন্য অপমানজনক ও দৃষ্টিকটূ।”

তিনি মনে করেন, প্রধান উপদেষ্টা চাইলে দেশে ফিরে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তনের ঘোষণা দিতে পারতেন। সেটি না করে লন্ডনে বসেই তারিখ ঘোষণা করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জামায়াত নেতা।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৭ জুন) অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে অংশ নেয়নি জামায়াতে ইসলামি। যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের 'উপেক্ষিত' মনে করায় প্রতিবাদ স্বরূপ তারা আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পরদিন অর্থাৎ বুধবারের আলোচনায় অংশ নেয় দলটি।

ডা. তাহের আরও বলেন,

“বিএনপি বড় দল—তাদের বক্তব্য থাকবে, দাবি থাকবে। কিন্তু সরকারপ্রধান বা অন্তর্বর্তী প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান হওয়া উচিত সকল দলের প্রতি সমান। একতরফা বিবৃতি দিলে তা রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত