ইরান-ইসরাইল সংঘাত

ইরানের মিসাইল ঝড়:লক্ষ্য সামরিক ঘাঁটি, ধ্বংসযজ্ঞ চাপা দিতে ব্যস্ত তেলআবিব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ০০:১৩:০৪
ইরানের মিসাইল ঝড়:লক্ষ্য সামরিক ঘাঁটি, ধ্বংসযজ্ঞ চাপা দিতে ব্যস্ত তেলআবিব

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও এক ধাপ ওপরে উঠেছে। ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আবারও একযোগে মিসাইল ও ড্রোনের বহর ছুড়েছে ইরান। মঙ্গলবার (১৭ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে এ সর্বশেষ পাল্টা হামলা চালায় ইরানি সশস্ত্র বাহিনী। এটি গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের ওপর ইরানের দশম দফা মিসাইল ও ড্রোন হামলা।

ইরানি প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এবার ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে একযোগে এই আক্রমণ পরিচালিত হয়েছে। সমন্বিত হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোকে।

বড় ধরণের প্রতিশোধমূলক অভিযানইরানের এই অভিযানে সামরিক পরিভাষায় যাকে ‘মাল্টি-পয়েন্ট অ্যাসল্ট’ বলা হয়, তা প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ, একই সময়ে বিভিন্ন দিক থেকে হামলা চালানো হয়েছে যাতে প্রতিরক্ষার কৌশল ব্যাহত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এ হামলার অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনাকে সরাসরি ধ্বংসের মাধ্যমে যুদ্ধ সক্ষমতা দুর্বল করে দেওয়া।

ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আড়াল করতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরের স্থাপনা ও সামরিক অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলের প্রকৃত চিত্র যাতে আন্তর্জাতিক মহলে না ছড়িয়ে পড়ে, সে লক্ষ্যে ইসরায়েল সরকার স্থানীয় গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। লাইভ সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং সংবাদ প্রকাশে সেন্সর আরোপেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।

২৮টি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবিএর আগে, এক বিবৃতিতে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় তারা শত্রুপক্ষের ২৮টি সামরিক বিমান শনাক্ত করে সফলভাবে গুলি করে নামিয়েছে। এই বিমানগুলোর বেশিরভাগই ড্রোন ও মনুষ্যচালিত যুদ্ধবিমান ছিল বলে জানানো হয়।

ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ছায়ামধ্যপ্রাচ্যের এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এখন একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা—তা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ইরানের ধারাবাহিক আক্রমণ এবং ইসরায়েলের সীমিত জবাব—দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে এই সংঘাত যে কোনও সময় আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত