ট্রাম্পের হাতে রহস্যময় ধর্মীয় বার্তা: ইসরায়েলি দূতের ‘স্বর্গ থেকে নির্দেশ’!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ২৩:৩০:১৮
ট্রাম্পের হাতে রহস্যময় ধর্মীয় বার্তা: ইসরায়েলি দূতের ‘স্বর্গ থেকে নির্দেশ’!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ধর্মীয় ইঙ্গিতপূর্ণ এক গোপন বার্তা: ইসরায়েলি দূত মাইক হাকাবির পাঠানো টেক্সট ম্যাসেজের রহস্যমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন, যা তার ইসরায়েলি দূত মাইক হাকাবির পাঠানো একটি টেক্সট ম্যাসেজের। বার্তাটি সরাসরি ধর্মীয় আঙ্গিকে লেখা এবং এটি স্পষ্ট করে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ট্রাম্প বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ ও судь্য নির্ধারণী সিদ্ধান্তের মুখোমুখি রয়েছেন। তবে, ওই বার্তায় সেই সিদ্ধান্তের প্রকৃত বিস্তারিত প্রকাশিত হয়নি, যা পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও জল্পনা তৈরি করেছে।

টেক্সট ম্যাসেজে বলা হয়েছে, “অনেক কণ্ঠস্বর আপনার সঙ্গে কথা বলছে, স্যার। কিন্তু মাত্র একটি কণ্ঠস্বরই গুরুত্বপূর্ণ— তাঁর (HIS) কণ্ঠস্বর।” এখানে ‘তাঁর’ শব্দটি ঈশ্বরের প্রতি ইঙ্গিত করে, যা ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতা ও আস্থা প্রতিফলিত করছে। মাইক হাকাবি, যিনি একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান ও ইহুদিবাদী হিসেবে পরিচিত, বার্তাটির বাকি অংশে উল্লেখ করেছেন, “আমার জীবদ্দশায় কোনও প্রেসিডেন্ট এমন অবস্থানে ছিলেন না, যেমন আপনি আছেন। ১৯৪৫ সালের পর থেকে কেউ ট্রুম্যানের পর এই অবস্থানে পৌঁছেনি। আমি আপনাকে কিছু বোঝাতে চাইছি না— শুধু উৎসাহ দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আপনি স্বর্গ থেকে নির্দেশ পাবেন, এবং সেই কণ্ঠস্বর আমার বা অন্য কারও চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

এই বার্তাটি নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ১৯৪৫ সালের প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের স্মৃতি আলোচিত হচ্ছে, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের ওপর পারমাণবিক বোমা ফেলার অনুমোদন দিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, নাকি মাইক হাকাবি ট্রাম্পকে এমনই এক রকম “বড় সিদ্ধান্ত” নেওয়ার জন্য ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক প্রেরণা দিচ্ছেন? যদিও এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই, তবুও বার্তাটি মার্কিন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নীতির দিকে ইঙ্গিত করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির সংকট ও উত্তেজনার মধ্যেও এই ধরনের আধ্যাত্মিক বার্তা অনেকের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বার্তাটি ট্রাম্পের নীতিনির্ধারণের পেছনে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক দিক থেকে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, যা ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে নতুন মোড় দিতে পারে।

অবশ্য, মাইক হাকাবির এই বার্তা নিয়ে সরকার বা রাষ্ট্রীয় সূত্র থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্ম ও রাজনীতির এই মিলনের ঘটনা কখনোই কম গুরুত্বের নয়। এটি একটি সংকেত হতে পারে যে, আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের মঞ্চে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রভাব ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

সুতরাং, মাইক হাকাবির ধর্মীয় উৎসাহের বার্তাটি শুধু ট্রাম্পের কাছে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি বড় ইঙ্গিত হতে পারে। ভবিষ্যতে এই সংকেত থেকে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত