সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

২০২৫ জুন ১৭ ১৪:২৪:২২
সাবেক মেয়র তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. খোরশেদ আলম (৪৮)–কে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আন্দোলন দমন অভিযানের পেছনে থাকা রাজনৈতিক যোগসূত্র আরও স্পষ্টভাবে সামনে এলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা খোরশেদ আলমকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেছেন।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডি জিগাতলা এলাকায় এক শান্তিপূর্ণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সহিংসতায় আব্দুল্লাহ সিদ্দিক নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ বিভাগ।

এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৫ মে মামলার আরেক আসামি ও তাপসের আরেক ঘনিষ্ঠ প্রতিনিধি এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এই দুই গ্রেপ্তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আন্দোলন দমনে একটি সুপরিকল্পিত ও সংগঠিত গোষ্ঠী কাজ করেছে—যার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে খোরশেদ আলম শুধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না, বরং হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং হামলাকারীদের সমন্বয় করছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় খোরশেদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সংশ্লিষ্টতা ঘিরে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে।

খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং মেয়র তাপসের অন্যতম বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত। এ কারণে তার গ্রেপ্তার শুধু আইনি তদন্ত নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মামলার তদন্তের ফলাফল ঢাকার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারে, বিশেষ করে যদি উচ্চ পর্যায়ের কারও সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়।

সিআইডি জানিয়েছে, খোরশেদ আলমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। এছাড়া, হামলার পেছনে থাকা আর্থিক ও রাজনৈতিক প্ররোচনার বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত