প্রবাসী কল্যাণে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ০৯:৪৩:২৩
প্রবাসী কল্যাণে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশিদের বিদেশে কর্মসংস্থান সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবসহ মোট ১৭ জন সিনিয়র সচিব কমিটির কার্যক্রমে প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

এই উপদেষ্টা পরিষদকে প্রধানত বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত নীতিমালা ও কর্মসূচি সমন্বয় করা, বিদেশি শ্রমবাজার সম্প্রসারণের জন্য নির্দেশিকা তৈরি এবং নতুন নতুন শ্রমবাজার আবিষ্কারের ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া, বৈদেশিক কর্মসংস্থানে থাকা কর্মীদের সম্মুখীন সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবেলার জন্য কৌশল প্রণয়নের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কর্মীদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থাও তৈরি করতে হবে বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কমিটি বৈধ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও অর্থনীতিতে প্রবাসী আয় অংশ বাড়ানোর উপায় সম্পর্কে গবেষণা ও নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দেবে। পাশাপাশি দেশে ফিরে আসা অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্যও উপযুক্ত নীতিমালা গঠনের প্রস্তাব দেবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা, প্রশাসনিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করবে।

সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, এবং দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের কল্যাণ এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত