ইরান- ইসরায়েল সংঘাত

ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৭ ০৯:১৬:১১
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রর

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাব্যভাবে সংঘাত-উদ্দীপক সিদ্ধান্তের মুখোমুখি ইরানের ভূগর্ভস্থ পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র ‘ফোর্ডো’-তে সামরিক হামলা চালানো হবে কিনা, তা নিয়ে হোয়াইট হাউজে চলছে গোপন পর্যালোচনা। এই খবরটি উঠে এসেছে The New York Times-এর একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে, যেটি মার্কিন প্রশাসনের বর্তমান কৌশলগত সংকটকে তুলে ধরে।

প্রতিবেদনে বিশিষ্ট সাংবাদিক ডেভিড ই. স্যাঙ্গার ও জোনাথন সোয়ান উল্লেখ করেছেন, ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি এতটাই সুরক্ষিতভাবে মাটির নিচে অবস্থিত যে, কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ "বাংকার বুস্টার" বোমা Massive Ordnance Penetrator (MOP) ব্যবহার করেই এটি ধ্বংস করা সম্ভব। এই বোমা বহন ও প্রয়োগের একমাত্র সক্ষমতা রয়েছে মার্কিন B-2 স্টিলথ বোমার-এর।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা অনুমোদন করা হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি নতুন মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে এমন একটি যুদ্ধ, যেটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দুই প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণায় এড়িয়ে চলার অঙ্গীকার করেছিলেন। তিনি বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, "শেষহীন যুদ্ধ" থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে মুক্ত করবেন।

তবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। Times-এর প্রতিবেদনটিও কোনো নির্দিষ্ট সূত্রের নাম উল্লেখ না করেই, ‘বিশ্লেষণ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে, যা ইঙ্গিত করে এটি একাধিক সম্ভাব্য অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিকোণ বা অপ্রকাশিত সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি।

ইরানের ফোর্ডো পারমাণবিক স্থাপনাটি ২০০৯ সালে গোপনে আবিষ্কৃত হয় এবং এটি পাহাড়ি অঞ্চলের গভীরে নির্মিত হওয়ায় বাংকার-বুস্টার ছাড়া ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব। ফোর্ডো মূলত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ করে থাকে, যা উচ্চ পর্যায়ের পরমাণু কর্মসূচির জন্য সংকেত হিসেবে দেখা হয়।

সম্প্রতি ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে দ্রুত অগ্রগতি সাধনের ঘোষণা দিলে, পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ে। এ প্রেক্ষাপটে, এই সামরিক বিকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে উচ্চপর্যায়ের আলোচনার খবর গুরুত্ব পাচ্ছে।

যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিই এমন একটি হামলার দিকে এগোয়, তাহলে তা শুধু ইরান নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দেবে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এতে ইরান এবং তার আঞ্চলিক মিত্রদের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসতে পারে যা সরাসরি মার্কিন ঘাঁটি, ইসরায়েল, সৌদি আরব এমনকি আন্তর্জাতিক জ্বালানি সরবরাহ চেইনের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র: আল জাজিরা

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত