ইসরায়েলের গুলিতে আবারও প্রাণ গেল বহু ফিলিস্তিনির!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৬ ১০:২১:৫৪
ইসরায়েলের গুলিতে আবারও প্রাণ গেল বহু ফিলিস্তিনির!

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সর্বশেষ হামলায় ৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই ত্রাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিলেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। হতাহতের এই বেদনাদায়ক চিত্র শুধু একটি সংঘাতের খবর নয় এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি জনগোষ্ঠীর বেঁচে থাকার মরিয়া চেষ্টার ট্র্যাজেডি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোর এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই ক্ষুধার্ত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সেনারা।এই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত 'গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)' নামের একটি বিতর্কিত সংস্থা ত্রাণ বিতরণ করে আসছিল। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন ওই কেন্দ্রের বাইরে খাদ্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

মধ্য গাজার আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, এ ঘটনায় আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দক্ষিণ গাজার রাফা রেড ক্রস হাসপাতালেও আহতদের ভিড় লেগে আছে। আহতদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী রয়েছেন।

ইসরায়েলের এই সামরিক অভিযানে শুধু একটি এলাকা নয়, একাধিক জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে একযোগে হামলা হয়েছে:

দক্ষিণ গাজা: এখানে কমপক্ষে ১০ জন ত্রাণপ্রার্থী নিহত, আহত ৫০ জনের বেশি।

বেইত লাহিয়া (উত্তর গাজা): জনাকীর্ণ স্থানে চালানো হামলায় ৭ জন নিহত।

নুসাইরাত শরণার্থী শিবির: আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলায় ৮ জন নিহত, আহত অনেক।

দেইর এল-বালাহ: এখানেও উল্লেখযোগ্য হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৪ জুন) দিনে ৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন, যাদের অনেকেই ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারান।মধ্য গাজার হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওই দিন নেটজারিম করিডোরের কাছেই জিএইচএফ পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ১৫ জন নিহত হন।

জিএইচএফ-এর বিতর্কিত ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, এটি গাজায় মানবিক সংকটকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে। ইসরায়েলি অনুমোদিত ও সেনা নিয়ন্ত্রিত এসব ত্রাণপথকে অনেকেই "মৃত্যুর ফাঁদ" বলে অভিহিত করছেন, কারণ সেখানে ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া লোকদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে।

যদিও ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আসছে, এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো শক্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি পশ্চিমা দেশগুলো। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত