ভারতের মাটিতে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান! জরুরি অবস্থা নাকি গুপ্ত মিশন?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৫ ১৯:৪৬:৫৯
ভারতের মাটিতে ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান! জরুরি অবস্থা নাকি গুপ্ত মিশন?

ভারতের কেরালার তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো শনিবার রাত। ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর একটি আধুনিক যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫বি’ সেখানে জরুরি অবতরণ করে। হঠাৎ এ অবতরণে চাঞ্চল্য ছড়ালেও ভারতীয় বিমানবাহিনীর দ্রুত তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারত মহাসাগরে ভারত ও যুক্তরাজ্যের যৌথ নৌ-মহড়া চলছিল, যেখানে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক রণতরী ‘এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস’ অংশগ্রহণ করছিল। সেই যুদ্ধজাহাজ থেকেই উড্ডয়ন করেছিল ব্রিটিশ স্টেলথ প্রযুক্তিসম্পন্ন যুদ্ধবিমান এফ-৩৫বি, যার নির্মাতা মার্কিন সামরিক প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন।

যুদ্ধবিমানটি মহড়ার অংশ হিসেবে আকাশে থাকলেও এক পর্যায়ে জ্বালানির ঘাটতি এবং খারাপ আবহাওয়ার সম্মিলিত চাপে যুদ্ধজাহাজে ফিরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে তা বিকল্প পথ হিসেবে তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

‘এফ-৩৫বি’ যুদ্ধবিমানটি স্টেলথ প্রযুক্তি, অতি-নিম্ন রাডার সংকেত এবং সংক্ষিপ্ত রানওয়ে থেকে উড্ডয়ন ও অবতরণের ক্ষমতাসম্পন্ন। এমনকি খাড়াভাবে নামা বা ওঠার সক্ষমতাও রয়েছে এতে, যা একে যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত মোতায়েনের জন্য অত্যন্ত কার্যকর করে তোলে। বর্তমানে এফ-৩৫বি বিমান শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কয়েকটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহৃত।

ঘটনার পর ভারতীয় বিমানবাহিনী দ্রুত সাড়া দেয় এবং যুদ্ধবিমানটি নিরাপদে নামতে ও অবস্থান নিতে সর্বোচ্চ সহায়তা করে। বিমানবন্দর এবং নিকটবর্তী প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোও উচ্চ সতর্কতায় ছিল।

যদিও এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দপ্তর কিংবা লকহিড মার্টিনের পক্ষ থেকে এই অবতরণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু প্রতিরক্ষা জোটের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নিদর্শন নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত অবস্থানের দিক থেকেও তা গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভারতের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব এবং যৌথ অপারেশন পরিচালনায় দেশটির সক্ষমতা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত