ইসফাহানে ইরানি প্রতিরক্ষা স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৫ ১৫:১৩:৩৬
ইসফাহানে ইরানি প্রতিরক্ষা স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার রাতের দিকে ইরানের কেন্দ্রীয় শহর ইসফাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হয় বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইরানের ইসনা (ISNA) সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসফাহান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি বলেন “ইসফাহানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্থাপনায় কিছুক্ষণ আগে হামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই।”

তিনি আরও জানান, বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে কিংবা সেখানে কী ধরনের সামগ্রী সংরক্ষিত ছিল, সে বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ইসফাহান শুধু ইরানের ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নয়, বরং এটি দেশটির সামরিক ও পরমাণু কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এই অঞ্চলে রয়েছে মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র, গবেষণাগার ও পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। এমন একটি এলাকায় হামলা ইসরায়েলি কৌশলগত অভিযানের ব্যাপকতা ও উদ্দেশ্যকে স্পষ্ট করে তোলে।

ইসফাহানের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিরাজে একটি ইলেকট্রনিকস কারখানায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এটি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করেনি ইরানি কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি ড্রোন বা সামরিক প্রযুক্তির সহায়ক সরঞ্জাম উৎপাদনের কেন্দ্র হতে পারে।

এই টানা হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইসরায়েল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অভিযানের দায় স্বীকার করেনি, তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটি প্রকাশ্যেই ইরানের সামরিক তৎপরতা ও আঞ্চলিক হুমকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তেহরান ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আবার হামলা হলে কঠোর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে এবং যারা ইসরায়েলকে সহায়তা দেবে, তাদেরও লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে।

বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমানে এ ধরনের হামলায় তেল পরিবহন ও বাণিজ্যপথে বিঘ্ন, সন্ত্রাসবাদের বিস্তার এবং মানবিক সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেও, মাটির নিচে তপ্ত হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত