১৫০ ঘাঁটিতে ইরানের আঘাত, কাঁপছে ইসরায়েল!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১৭:১৪:৪৩
১৫০ ঘাঁটিতে ইরানের আঘাত, কাঁপছে ইসরায়েল!

মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান "অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩" নামে এক প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ১৫০টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করেছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর অ্যারোস্পেস ডিভিশনের নেতৃত্বে পরিচালিত এই হামলায় ইসরায়েলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ ওয়াহিদি।

শনিবার (১৪ জুন) সকালে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে জেনারেল ওয়াহিদি বলেন, “অভিযানের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে একাধিকবার সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়েছে।”

আঘাতপ্রাপ্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

নেভাতিম ও ওভদা বিমানঘাঁটি, যেখানে ইসরায়েলের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক ইনস্টলেশন ছিল।

তেল নফ বিমানঘাঁটি, যা তেলআবিবের নিকটে অবস্থিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়। ইসরায়েলি সামরিক মন্ত্রণালয় ও সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সগুলো, যা তাদের প্রতিরক্ষা কাঠামোর ভিত্তি।

ইরানের দাবি অনুযায়ী, এই হামলা শুধু প্রতিশোধের অংশ নয়, বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার একটি বার্তা।

ইরানের পাল্টা আঘাতে ইসরাইলে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং ১৭২ জনের বেশি আহত হয়েছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম স্বীকার করেছে। যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা ইরানের অভ্যন্তরে অভিযান অব্যাহত রাখবে।

জবাবে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি বলেন, “গত রাতের পদক্ষেপ ছিল সীমিত। এর মধ্য দিয়ে কিছুই শেষ হয়নি। বরং আমরা প্রতিশোধ চালিয়ে যাব আর তা হবে ইসরাইলের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নিরাপত্তা, জ্বালানি সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য চরম ঝুঁকিতে পড়বে। উভয় পক্ষের কড়া অবস্থান আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা।

-

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত