ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় সৌদি যুবরাজের শান্তি কৌশল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ১৬:৫৬:০২
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় সৌদি যুবরাজের শান্তি কৌশল

মধ্যপ্রাচ্যে টগবগে উত্তেজনার মধ্যে সংযম, স্থিতিশীলতা ও কূটনৈতিক সমাধানের বার্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাত যখন বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে, তখন শুক্রবার (১৩ জুন) দিনভর বিশ্বের তিন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর বরাতে আরব নিউজ জানায়, ফোনালাপগুলোতে তিনি ‍বিশ্বকে আরও সংঘাতের দিকে না ঠেলে, কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা প্রশমনের ওপর জোর দেন।

ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে যুবরাজ স্পষ্ট করেন, “এই সংকট শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ও নিরাপত্তায় অভিঘাত ফেলছে। রাজনৈতিক সমাধান এখন সময়ের দাবি।”

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁর সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে ইউরোপের কূটনৈতিক করণীয়। দুই নেতা ‘রাজনৈতিক সংলাপ ও দায়িত্বশীল ভূমিকার’ পক্ষে ঐক্যমত পোষণ করেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে যুবরাজের আলাপে উঠে আসে আরেকটি আশঙ্কা এই সংঘাত যদি বিস্তৃত হয়, তবে গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলসহ ইউরোপও অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

এই কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই শনিবার সকালে ইরান পঞ্চম দফায় ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ডেড সি ও পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়। ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, বেশ কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তেহরান জানায়, এটি ‘রক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া’ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ নয়।

বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য এমন এক ভঙ্গুর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে, যেখানে প্রতিটি কূটনৈতিক তৎপরতা বা তার অভাব নতুন সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে সৌদি যুবরাজের এই উদ্যোগকে শুধু নিছক বার্তা আদান-প্রদান নয়, বরং উত্তেজনা প্রশমনের একটি কৌশলগত প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত