ইরান বলছে: "যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই হামলা সম্ভব নয়"

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ১৩:০৫:৩৭
ইরান বলছে: "যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এই হামলা সম্ভব নয়"

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেল। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। পাঁচ ধাপে পরিচালিত এই হামলায় এখন পর্যন্ত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর প্রধান হোসেইন সালামি, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি এবং একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

হামলার পরপরই তেহরান, ইসফাহান, কেরমানশাহসহ বেশ কয়েকটি শহরে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের রাজধানীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সব ধরনের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে, নিরাপত্তা আশঙ্কায় ইসরায়েল সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ইসরাইলি সামরিক সূত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছে, বিভিন্ন সময় ও স্থানে অন্তত শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। আটটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।

এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক কঠোর বিবৃতিতে বলেছে, "ইসরাইলি এই আগ্রাসনের জন্য শুধু ইসরাইল নয়, এর প্রধান সমর্থক যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী থাকবে।" তারা আরও উল্লেখ করে, "এই আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন ছাড়া সম্ভব নয় এবং জাতিসংঘ সনদের আওতায় ইরানের প্রতিক্রিয়া জানানোর বৈধ অধিকার রয়েছে।"

তেহরানের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে বলা হয়, “ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই আগ্রাসনের সুদূরপ্রসারী পরিণতি তাদের ও তাদের মিত্রদের ওপরই বর্তাবে।”

এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, “যতদিন প্রয়োজন, ততদিন সামরিক অভিযান চলবে।” তার এই বক্তব্য ইসরাইলের অবস্থানকে আরও কঠোর ও সংঘাতমুখী করে তুলেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে একইসঙ্গে তিনি ইরানকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান ঘাঁটিগুলোর নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে, তার জবাব কঠিন হবে।”

এই হামলা এমন সময় হলো যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এক অভূতপূর্ব মোড় হিসেবে দেখছেন, যা গোটা অঞ্চলে একটি বড় যুদ্ধের ইঙ্গিত বহন করছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত