ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান নিহত, যুদ্ধের সূচনায় কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ১১:২৮:০৭
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান নিহত, যুদ্ধের সূচনায় কাঁপছে মধ্যপ্রাচ্য!

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছেছে ইসরায়েল ও ইরানের সামরিক সংঘাতে। ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন বলে ইরানি একাধিক সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। প্রথমে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাঘেরির মৃত্যুর খবর অস্বীকার করলেও পরে বিভিন্ন সূত্রে তার মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করা হয়।

এই হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি এবং দেশটির দুই শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানীও। এই ঘটনাকে ইরান ‘সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন’ ও ‘যুদ্ধের উস্কানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

ইসরায়েলি দৈনিক টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত পাঁচটি ধাপে ইরানের ভেতরে অন্তত আটটি লক্ষ্যবস্তুতে শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা ছাড়াও কৌশলগত স্থাপনাগুলোও ধ্বংস হয়েছে। তেহরানে একাধিক বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

হামলার পরপরই ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ইসরায়েল নিজেদের আকাশসীমা স্থগিত রাখে যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নির্দেশ করে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলার পেছনে কৌশলগত উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে বলেন, “এই সামরিক অভিযান যতদিন প্রয়োজন চলবে, যতক্ষণ না ইরান আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে থাকছে।”

ইসরায়েল দাবি করছে, ইরানের মাটিতে সাম্প্রতিক হামলার লক্ষ্য ছিল ‘সন্ত্রাসী ও অস্ত্র নির্মাণের ঘাঁটি’ ধ্বংস করা।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক তীব্র বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের জন্য তাদের এবং তাদের প্রধান সমর্থক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়কেই দায় নিতে হবে। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী, আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার প্রয়োগে ইরান পিছপা হবে না।”

সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। যারা আমাদের নেতাদের হত্যার পেছনে রয়েছে, তারা কোথাও নিরাপদ নয়।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে জড়িত নয় এবং আমরা সংঘাতের প্রসার চাচ্ছি না।” তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমেরিকার ঘাঁটিতে হামলা হলে, তার জবাব কঠোর হবে।”

এই পরিস্থিতি এমন এক সময় তৈরি হলো, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত