নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: “যতদিন প্রয়োজন, অভিযান চলবে”

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৩ ০৯:৪৫:২৫
নেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি: “যতদিন প্রয়োজন, অভিযান চলবে”

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়েছে ইসরায়েলের এক বড় ধরনের সামরিক হামলা, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল ইরানের সামরিক ও পরমাণু অবকাঠামো। এই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি)-এর প্রধান হোসেইন সালামি এবং দুইজন সিনিয়র পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং কৌশলগতভাবে বিপজ্জনক হামলা।

হামলার পরপরই তেহরানের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ভোররাতের এই হামলায় রাজধানীর আবাসিক ও কৌশলগত এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকল ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।এদিকে আকাশপথে পাল্টা হামলার শঙ্কায় ইসরায়েল তাদের নিজস্ব আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা। যতদিন প্রয়োজন, আমরা এই সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখব।”

এই বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, এটি একক হামলা নয়, বরং একটি ধারাবাহিক সামরিক কৌশলের অংশ।

হামলার পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় কোনোভাবেই জড়িত নয়। তবে তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেন, “আমেরিকান ঘাঁটিতে হামলা হলে তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”

একটি তাৎপর্যপূর্ণ সমাপতন হলো, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের এই আক্রমণ সংঘটিত হয়, যা পর্দার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতিগত ভিন্নমতকে সামনে নিয়ে এসেছে।

হামলায় আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামির মৃত্যু ইরানের নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য এক বিরাট ধাক্কা। এর পাশাপাশি নিহত দুই পরমাণু বিজ্ঞানীর নাম এখনও প্রকাশ করা না হলেও জানা গেছে, তারা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন। ফলে এ ঘটনায় শুধু মানবিক নয়, কৌশলগতভাবে ইরানের জন্য এটি একটি বড় ক্ষতি।

এই হামলার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইরান যদি পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। বিশ্বশক্তিগুলোর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের তাগিদ থাকলেও, বাস্তবতা বলছে — পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত