যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন, ট্রাম্প যা বললেন 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ১০:৫৭:০৯
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন, ট্রাম্প যা বললেন 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তিটি এখন কেবল দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ খবর নিশ্চিত করে।

ট্রাম্প নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, “চুক্তি হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র পাবে মোট ৫৫ শতাংশ শুল্ক সুবিধা, আর চীন পাবে ১০ শতাংশ।” এই পরিসংখ্যান উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনঃস্থাপনের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, “চীন আগাম ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণমাত্রায় ম্যাগনেট এবং প্রয়োজনীয় বিরল খনিজ সরবরাহ করবে।” প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন এই খনিজ উপাদানগুলোর সরবরাহ নিশ্চয়তা যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প খাতের জন্য একটি বড় ইতিবাচক বার্তা বলেই ধরা হচ্ছে।

চুক্তির অংশ হিসেবে চীনকে কিছু প্রতিশ্রুত সুবিধা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে চীনা শিক্ষার্থীদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ। ট্রাম্প লেখেন, “আমি সবসময়ই শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিষয়টি পছন্দ করেছি।”

এই চুক্তিকে ঘিরে ট্রাম্পের আশাবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক এখন দারুণ।” তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরিকল্পনার কথাও জানান, যার লক্ষ্য চীনের বাজারকে আরও বেশি পরিমাণে মার্কিন পণ্যের জন্য উন্মুক্ত করা। ট্রাম্পের ভাষায়, “এটি উভয় দেশের জন্যই একটি বড় জয় হবে।”

চুক্তিটির পটভূমি হিসেবে বলা যায়, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা লন্ডনে বৈঠকে বসেন। মূলত উভয় দেশের মধ্যে শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

এর আগে, ২০২৫ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে উচ্চমাত্রার শুল্ক আরোপ করেছিল, যা চীনা প্রযুক্তি ও নির্মাণ খাতে বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে। তবে পরে, উভয় দেশের আলোচনার ভিত্তিতে মে মাসে ৯০ দিনের জন্য ওই দণ্ডমূলক শুল্ক আংশিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই চুক্তি শুধু দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পথ সুগমই করবে না, বরং বৈশ্বিক বাজারেও স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়ক হবে। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত