ঢাকায় ফের করোনা! একদিনে শনাক্ত ১০ জন!

দেশে আবারও ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরীতে নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সবারই অবস্থান রাজধানী ঢাকায়, যা জনবহুল এই মহানগরীর ঝুঁকি ও ঘনবসতির কারণে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
পরীক্ষা ও শনাক্তের হার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মোট ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষাকৃত নমুনার মধ্যে ১০ জনের দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, যা দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৯.৩৫ শতাংশ।এদিকে, মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষার ভিত্তিতে গড় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩.০৫ শতাংশ।
মোট আক্রান্ত ও সুস্থতার সংখ্যা
নতুন সংক্রমণসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০,৫১,৭৭০ জনে।এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন, ফলে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০,১৯,৩৮০ জন।
মৃত্যুহীন দিন, তবে আত্মতুষ্টি নয়
স্বস্তির বিষয় হলো, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। মহামারির ভয়াবহ সময়গুলোতে যেখানে প্রতিদিন শতাধিক মৃত্যু হয়েছে, সেখানে এই শূন্য হার আশার সঞ্চার করে।তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, “শূন্য মৃত্যু মানেই ঝুঁকি নেই এই ধারণা আত্মঘাতী হতে পারে।” সংক্রমণ হালকা হলেও ভবিষ্যৎ তরঙ্গে রূপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তারা।
পূর্বের প্রেক্ষাপট: ভয়াবহতার স্মৃতি
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরই ১৮ মার্চ দেশের প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট যেদিন সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মানুষ প্রাণ হারান। এর পর থেকেই শুরু হয় টিকা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।
ঢাকায় কেন বাড়ছে সংক্রমণ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে:
- জনসংখ্যার ঘনত্ব
- মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্বে অনীহা
- টিকার বুস্টার ডোজ না নেওয়া
- গ্রীষ্মকালীন ভাইরাল সংক্রমণের ঋতু
তারা সতর্ক করে বলেন, “এই সামান্য সংখ্যা হঠাৎ করে ক্লাস্টারে পরিণত হতে পারে, যদি আমরা এখনই সতর্ক না হই।”
সরকারি প্রস্তুতি ও জনসচেতনতা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, কোভিডের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়মিত সমন্বয় সভা হচ্ছে। পুনরায় মাস্ক পরার আহ্বান জানানো হয়েছে জনসাধারণের প্রতি, বিশেষ করে গণপরিবহন, হাসপাতাল ও জনবহুল স্থানে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, বুস্টার ডোজ গ্রহণের হার এখনও ৬০ শতাংশের নিচে রয়েছে, যা একটি বড় উদ্বেগের জায়গা।
-অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস