তারেক-ইউনূস বৈঠকের ছায়ায় লন্ডনে আমীর খসরু, নেপথ্যে কি?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশেষ ‘ওয়ান-টু-ওয়ান’ বৈঠক। আগামী ১৩ জুন, শুক্রবার লন্ডনে স্থানীয় সময় সকালে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাজ্যে সফররত নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, এ বৈঠকটি হবে ব্যক্তিগত এবং একান্ত। আলোচনায় উপস্থিত থাকবেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লন্ডনভিত্তিক নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের মধ্যে এই বৈঠক আগামী দিনের রাজনীতিতে সম্ভাব্য সংলাপ, সমঝোতা বা রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করতে পারে।
এর আগে, চার দিনের সরকারি সফরে গত মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফর ও বৈঠক ঘিরে শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেই নয়, বরং দেশের রাজনীতিতেও ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সাংবিধানিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যেকোনো সম্ভাব্য উদ্যোগে এ বৈঠক একটি তাৎপর্যপূর্ণ মোড় নিতে পারে।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনগণের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের, আস্থা পুনর্গঠন করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
দলীয় শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা
তারেক রহমান তার পোস্টে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে যাচ্ছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায় দল। তিনি জানান, এরই মধ্যে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৭ হাজার দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে অনেকে বহিষ্কৃত ও পদচ্যুত হয়েছেন। তারেক রহমান বলেন, "শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।"
আধুনিকায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তারেক রহমান আরও জানান, সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি সবসময় নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে। দলটি জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৩১ দফা কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে। তার মতে, বিএনপি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং সে কারণে দলটিতে নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।"
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শ
পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপি তার ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। একইভাবে, বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপসহীনভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। তিনি জানান, তাদের সেই আদর্শকে সামনে রেখেই বিএনপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যৎমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান
পোস্টের শেষে তারেক রহমান তার সহকর্মী ও নেতাদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, "আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ আরও উজ্জ্বল হবে।" তিনি বিশ্বাস করেন যে, একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
“অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের মামলাগুলো সাধারণ আদালতে বিচারাধীন থাকলেও সেগুলো নিয়ে এখনো আশাব্যঞ্জক কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ রাষ্ট্রপক্ষের ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, “শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে যখন কথা বলি, সাধারণ আদালতে থাকা মামলাগুলো নিয়ে তাদের হতাশা প্রকাশ পায়। অনেক আসামি জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে, অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো পরিকল্পনার কথা আমরা জানতে পারছি না। তাই আমাদের দাবি, এসব মামলাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক।”
ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এ আন্দোলনে অসংখ্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন, আহত হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও যেসব ব্যক্তি সরাসরি জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে, শাস্তি হবে এটাই আমরা দেখতে চাই। এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্যও এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, যে স্বৈরশাসন কায়েমকারীদের পরিণতি কী হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ আমাদের সন্তুষ্ট করছে। তবে মামলার সংখ্যা অনেক। ট্রাইব্যুনালে রয়েছে, সাধারণ কোর্টেও রয়েছে, আবার গুম সংক্রান্ত অভিযোগও আছে। তাই বিচার প্রক্রিয়াকে সার্বিকভাবে দেখতে হবে।”
এনসিপি আহ্বায়ক স্পষ্ট করে জানান, শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ড ও গুমে জড়িত পুলিশ, সেনা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদেরও বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক। তিনি বলেন, “কোনো বাহিনীর কেউ যাতে দায়মুক্তি না পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। গুমের ঘটনায় অনেক অভিযোগ এসেছে। আমি নিজেও অভিযোগ দিয়েছি ডিজিএফআইয়ের যেসব কর্মকর্তা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এবং হেনস্তা করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও।”
রামপুরা–বাড্ডার ঘটনায় বিজিবির একজন সেনা কর্মকর্তার নাম উঠে এলেও এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “আমাদের আবেদন হলো, অপরাধী যারাই হোক না কেন, কোন বাহিনীর তা বিবেচনা না করে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, গুম ও নির্যাতন করেছে এবং ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছে, তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
-রাফসান
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ একাধিক রাজনৈতিক দাবি সামনে রেখে রাজধানীতে আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। একই লক্ষ্য সামনে রেখে তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও দলগুলো পৃথকভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করছে। কর্মসূচি সফল করতে প্রতিটি দলই ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
জামায়াত ছাড়া অন্য ছয়টি দল হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। প্রথম দিনের সূচি অনুযায়ী আজ রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিনিধিত্বমূলক অনুপাত (PR) পদ্ধতি নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।
দাবিগুলোর মধ্যে প্রধান্য পেয়েছে— জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, পিআর পদ্ধতি চালু করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী দল জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। এর আগে দলগুলো বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং ২৬ সেপ্টেম্বর—এই তিন দিনের অভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।
জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাঁচ দফা দাবির অংশ হিসেবে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
একইভাবে বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করবে। একই দাবিতে খেলাফত মজলিসও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে, জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তুলে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। কর্মসূচি অনুযায়ী দলটি আজ ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবে। একই দিনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও রাজধানীতে পৃথক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
-রফিক
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের জামায়াতে ইসলামী আমীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় জামায়াতে ইসলামী আমীর ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ড. শফিকুর রহমানের শারীরিক ও কর্মজীবনের প্রতি খোঁজ নেন এবং সৌজন্যমূলক আলাপচারিতার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই সময় দুইপক্ষ দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের সিনিয়র নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন। এতে অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মিয়া গোলাম পারওয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।
সৌজন্য সাক্ষাৎটি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও রাজনৈতিক সংলাপকে আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
-নাজমুল হোসেন
৯০৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ১১টি প্যানেল নিয়ে উত্তেজনায় রাকসু নির্বাচন
৩৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আরইউ) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল কাউন্সিল ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটযুদ্ধ ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনগুলোতে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক সেতাউর রহমান জানান, এবারের নির্বাচনে মোট ৯০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে রাকসুতে ২৪৮ জন, ১৭টি হল কাউন্সিলে ৫৯৭ জন এবং সিনেট প্রতিনিধি পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়বেন।
রাকসুর ২৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ১৮ জন, জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে ১৩ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হল কাউন্সিল নির্বাচনে ৬১ জন ভিপি, ৫৮ জন জিএস এবং ৫৭ জন এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নারী শিক্ষার্থীদের ছয়টি হলে ভিপি পদে ১৬ জন, জিএস পদে ১৬ জন এবং এজিএস পদে ১৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর রবিবার লটারির মাধ্যমে সবার ব্যালট নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮,৯০৫ জন, যার মধ্যে ১১টি পুরুষ হলে ১৭,৬০০ এবং ছয়টি নারী হলে ১১,৩০৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি প্যানেল রাজনৈতিক দল-সমর্থিত, একটি গঠিত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সাবেক সমন্বয়ককে নিয়ে এবং বাকি চারটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অংশগ্রহণকারী প্যানেলগুলো হলো—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জসদ), সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, আধিপত্যবিরোধী ঐক্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পরিষদ, রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, অপরতিরোধ্য-২৪, স্বাধীন শিক্ষার্থী জোট, ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স এবং ইউনাইটেড ফর রাইটস।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২৩ সদস্যের প্যানেল থেকে শেখ নূর উদ্দিন আবির (ভিপি), নাফিউল জিবন (জিএস) ও জাহিন বিশ্বাস ঈশা (এজিএস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট থেকে ভিপি পদে মুস্তাকুর রহমান জাহিদি, জিএস পদে ফজলে রাব্বি মোহাম্মদ ফাহিম রেজা এবং এজিএস পদে এস এম সালমান রাব্বি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাছাড়া সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ, আধিপত্যবিরোধী ঐক্য, গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পরিষদ, র্যাডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেল, সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ, অপরতিরোধ্য-২৪ এবং স্বাধীন শিক্ষার্থী জোট থেকেও ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় রয়েছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ও ইউনাইটেড ফর রাইটস প্যানেলের প্রার্থীদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পোস্টার, লিফলেট, মিছিল-মিটিংয়ে মুখর হয়ে উঠেছে প্রতিটি হল ও একাডেমিক ভবন। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নিতে প্রস্তুত।
৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন শুধু নতুন নেতৃত্ব গড়ার সুযোগ নয়, বরং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-সুত্রঃ বি এস এস
বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করবে: লুৎফুজ্জামান বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জানিয়েছেন, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, তবে কিছু বিষয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। এসব ইস্যু নিয়ে সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রবিবার রাজধানীর সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাবর। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয় উঠে আসে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এ বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
কোন বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে জানতে চাইলে লুৎফুজ্জামান বাবর অভিযোগ করেন, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম সম্প্রতি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দেশে অবৈধ অস্ত্র প্রবাহ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে একই সঙ্গে স্বীকার করেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। বিএনপি–জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার বিকেল ৪টা ২২ মিনিটে তিনি মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তার সঙ্গে বিএনপির অন্য কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি, যা রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
-রাফসান
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান তারেক রহমানের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট ভয়াবহ এক স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, জনগণের শক্তির কাছে কোনো স্বৈরশাসনই টিকতে পারে না। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের ভিত্তি হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, মুক্ত গণমাধ্যম এবং গণতন্ত্রের সব মৌলিক নীতির প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তারেক রহমান এ কথা বলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন সেই রাষ্ট্রনায়ক যিনি একদলীয় বাকশালের আগ্রাসী শাসনব্যবস্থার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারেকের ভাষায়, শহীদ জিয়ার কালজয়ী দর্শনের মূলেই ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, যার প্রাণকেন্দ্রে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সংরক্ষণ ও সুদৃঢ় করার অঙ্গীকার নিহিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের আদর্শ। শহীদ জিয়ার এই আদর্শকে সামনে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পথকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। অথচ এজন্য তাঁকে বিভিন্ন সময়ের স্বৈরশাসনের হিংস্র আক্রমণ, ষড়যন্ত্র ও দমননীতির শিকার হতে হয়েছে।
তারেক রহমানের মতে, আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্গঠন কেবল রাজনৈতিক দাবি নয়, বরং রাষ্ট্র মেরামতের এক মৌলিক অঙ্গীকার। জনগণের প্রতি আস্থা, মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।
-শরিফুল
উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ায় উত্তেজনা
উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাধর নেতা কিম জং উনের বোন কিম জো ইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়াকে "অপরিণামদর্শী শক্তি প্রদর্শনী" বলে অভিহিত করেছেন, যা "অপ্রীতিকর ফলাফল" ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম KCNA এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপের আশেপাশে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে। এই মহড়ায় নৌ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কার্যক্রম একত্রিত হবে, যা পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি বাড়াবে।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ২৮,৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে এবং যৌথ সামরিক মহড়ার পাশাপাশি একটি টেবিলটপ এক্সারসাইজও অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশের সামরিক সম্পদকে সমন্বিত করার চেষ্টা করা হবে।
কিম জো ইয়ং এই মহড়াকে “বিপজ্জনক ধারণা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তার বক্তব্যে বলা হয়েছে, “যারা (মিত্র দেশগুলি) এ অঞ্চলে বাস্তব ক্রিয়ায় শক্তি প্রদর্শন করছে, তারা ভুল জায়গায় এটি করছে। এর ফলে তাদের নিজেকেই অপ্রীতিকর ফলাফল ভোগ করতে হবে।”
উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে এমন যৌথ সামরিক মহড়ার বিরোধিতা করে আসছে এবং এগুলোকে আক্রমণের মহড়া হিসেবে অভিহিত করেছে। কিম জো ইয়ং-এর এই সতর্কবার্তা তার ভাই কিম জং উনের সাম্প্রতিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনের পর এসেছে। সেখানে কিম জং উন বলেছেন, উত্তর কোরিয়া "পারমাণবিক ও প্রচলিত সামরিক শক্তি একযোগে এগিয়ে নেওয়ার নীতি অব্যাহত রাখবে"।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ব্যর্থ শীর্ষ সম্মেলনের পর, উত্তর কোরিয়া বারবার ঘোষণা করেছে যে তারা কখনও পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়বে না এবং নিজেকে "অপ্রত্যাহারযোগ্য" পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে।
কিম জং উন ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে আরও সাহসী হয়েছেন, এবং রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমর্থন স্থাপন করেছেন। গত বছর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়ার সফরের সময় রাশিয়া ও পিয়ংইয়াং পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
-হাসানুজ্জামান
বোলসোনারোর ২৭ বছরের কারাদণ্ড: ব্রাজিলের রাজনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণপন্থী নেতা জাইর বোলসোনারোকে অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এ রায়ের পর দেশটির রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নতুন অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
৭০ বছর বয়সী সাবেক সেনা কর্মকর্তা বোলসোনারো আপাতত সরাসরি কারাগারে যাচ্ছেন না। আইন অনুযায়ী তিনি আপিল প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে বন্দি থাকবেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায় সারসংক্ষেপ ২৩ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে এবং এরপর ৬০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করবে আদালত। এরপরই বোলসোনারোর আইনজীবীরা আপিল করতে পারবেন। তিনি চাইলে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় সাজা ভোগের আবেদনও করতে পারেন। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় এক ছুরিকাঘাতের ঘটনায় তার গুরুতর পেটের আঘাত লেগেছিল, যার চিকিৎসাজনিত জটিলতা এখনও রয়েছে।
বোলসোনারোর আইনপ্রণেতা পুত্র ফ্লাভিও জানিয়েছেন, তারা সংসদে একটি সাধারণ ক্ষমা আইন পাসের চেষ্টা করবেন যাতে শুধু বোলসোনারো নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্রাসিলিয়ায় সরকারি ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার দায়ে দণ্ডিত শত শত সমর্থকও মুক্তি পান। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা চাইলে এই আইন ভেটো করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের অন্তত দুই বিচারপতি ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বোলসোনারোর অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে ডানপন্থীদের নেতৃত্ব কে দেবেন, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। বোলসোনারো ইতিমধ্যে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা হয়েছেন, যদিও তিনি এই সিদ্ধান্ত পাল্টানোর চেষ্টা করছিলেন। তবুও তার সমর্থকরা বলছেন, বোলসোনারোই তাদের প্রার্থী। তবে আড়ালে আড়ালে নতুন নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর ও সাবেক অবকাঠামুমন্ত্রী তারসিসিও দে ফ্রেইতাস এখন সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের মধ্যে শীর্ষে আছেন। তিনি নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হিসেবে বোলসোনারোকে ক্ষমা করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, এই রায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলার জন্য রাজনৈতিক সুবিধা তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে তার জনপ্রিয়তা এক মাসে চার শতাংশ বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। লুলা এখনও ঘোষণা দেননি যে তিনি চতুর্থবারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হবেন কি না, তবে সাম্প্রতিক কার্যকলাপে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বোলসোনারোর শাস্তি ব্রাজিলের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এটি শুধু ডানপন্থীদের জন্য নয়, বরং পুরো দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্যও একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত হতে পারে।
-সুত্রঃ এ এফ পি
পাঠকের মতামত:
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- যানজটে অচল ঢাকা: সাত দলের সমাবেশ ও বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ভিড়
- বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর
- ইসলামী ব্যাংক শেয়ার লেনদেন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- জনগণের আস্থা পুনর্গঠনে কাজ করছে বিএনপি: তারেক রহমান
- জাতিসংঘে আজ গাজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভোট, ভেটো ইস্যুতে নজর যুক্তরাষ্ট্রের দিকে
- বিএনপি নেতাকে খুঁজতে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্য
- ভারতীয় সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্র, ট্রেলারে ফুটলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
- পাকিস্তান ও সৌদি আরবের নতুন সামরিক জোট: কী আছে এই চুক্তিতে?
- বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
- ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের সবচেয়ে ধনী দেশ
- ধর্ষণ মামলায় জামিনের পর নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা
- রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির পর কমলো স্বর্ণের দাম, নতুন দর ঘোষণা করলো বাজুস
- পদ্মার রুপালি ইলিশের প্রথম চালান ভারতে
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- গাজায় মানবিক সংকট চরমে, ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি ও অপুষ্টিতে মৃত্যু বাড়ছে
- জামায়াতের পাঁচ দফা দাবিতে আজ ঢাকায় বড় সমাবেশ
- এনবিআরের সিআইসি নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার দুটি লকার, শুরু হয়েছে আয়কর তদন্ত
- ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন: ইইউ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
- শেখ হাসিনাসহ ৩৯ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- একনেক বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৮,৩৩৩ কোটি টাকা
- রাশিয়া নেতৃত্বাধীন “Zapad-2025” সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ঋণপত্র বোর্ডে সীমিত লেনদেন, শীর্ষে যে শেয়ার
- ব্লক মার্কেটে শীর্ষ তিন শেয়ারে ৭০% লেনদেনের দখল
- ১৭ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- মোদির ৭৫তম জন্মদিনে বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার তারকাদের শুভেচ্ছা
- ১৭ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ