চাঁদের পথে প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে, রুথবা ইয়াসমিনের সাহসী অভিযান

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১১ ১১:৪০:৫৬
চাঁদের পথে প্রথম বাংলাদেশি মেয়ে, রুথবা ইয়াসমিনের সাহসী অভিযান

বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্তের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী রুথবা ইয়াসমিন। বিশ্বের প্রথম নারীকেন্দ্রিক চন্দ্রাভিযান ‘মুন পাইওনিয়র মিশন’-এ অংশগ্রহণ করে তিনি প্রস্তুত হচ্ছেন ইতিহাস গড়ার জন্য। সফল প্রশিক্ষণ শেষে এখন তার লক্ষ্য চাঁদের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম পদচিহ্ন এঁকে দেওয়া।

একজন নারীর স্বপ্নযাত্রা- ঢাকা থেকে মহাকাশ পর্যন্ত

রুথবার যাত্রা শুরু ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে। ছোটবেলা থেকেই অজানাকে জানার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তাকে পৌঁছে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে, মাউন্ট হোলিওক কলেজে, যেখানে তিনি পদার্থবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে ডেটা সায়েন্সে পড়াশোনা ও মহাকাশ আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা তাকে পরিণত করে একজন সম্ভাবনাময় মহাকাশচারীতে।

‘মুন পাইওনিয়র মিশন’-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

স্পেস নেশনের ‘মুন পাইওনিয়র মিশন’-এ EVA (Extra Vehicular Activity) স্পেশালিস্ট হিসেবে রুথবার দায়িত্ব ছিল চাঁদের পৃষ্ঠে চলাফেরা, রেডিয়েশন প্রতিরোধ, এবং চন্দ্রমাটির নমুনা সংগ্রহ। পরবর্তীতে তিনি মিশন কন্ট্রোল টিমের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন, যা তার বহুমুখী দক্ষতার প্রমাণ।

প্রশিক্ষণে কঠিন বাস্তবতা ও সাহসী সিদ্ধান্ত

মহাকাশ অভিযানে বাস্তব অভিজ্ঞতা অনুশীলনে এক লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ত্রুটির সময় রুথবা ও তার দল মাত্র ৬০ সেকেন্ড হাতে নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে মিশন সফল করেন। প্রশিক্ষণ শুধু শারীরিক নয়, ছিল মানসিকভাবে দৃঢ় হওয়ার চূড়ান্ত অনুশীলন।

মহাকাশে নারীর অংশগ্রহণ: একটি নতুন অধ্যায়

আজও বিশ্বে মাত্র ১১% মহাকাশচারী নারী। এই বাস্তবতা বদলে দিতে চান রুথবা। তার বিশ্বাস, ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণায় নারীদের দৃঢ় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, এবং তিনি সেই পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠতে চান।

জীবনধারার প্রস্তুতি- পৃথিবীর বাইরের বাস্তবতা

মহাকাশে স্বাস্থ্য ও মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে ঘুম, ফিটনেস ট্রেনিং, হালকা পুষ্টিকর খাবার, এবং ব্যক্তিগত অনুভব জাগানো সামগ্রী নিয়ে থাকার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন রুথবা। ব্যক্তিগত সংযোগ ও দলগত বন্ধন এখানে হয়ে ওঠে জীবনরক্ষার উপাদান।

ভবিষ্যৎ স্বপ্ন- বাংলাদেশের গর্ব

রুথবা বলেন, “আমি চাই বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখতে। এটা কেবল ব্যক্তিগত স্বপ্ন নয়, বরং দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক অধ্যায় রচনার প্রতিশ্রুতি।”

রুথবার এই অভিযান কেবল একটি সাফল্যের গল্প নয়, এটি বাংলাদেশি নারীদের সামনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার প্রতিটি পদক্ষেপে রয়েছে একটিই বার্তা কৌতূহল, অধ্যবসায় ও সাহস থাকলে আকাশ নয়, মহাকাশও সীমাবদ্ধতা হতে পারে না।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত