বাংলাদেশকে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে ইউএসটিআর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১১ ০৮:৪১:৩৩
বাংলাদেশকে লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে ইউএসটিআর

সত্য নিউজ:যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর উদ্ভূত বাণিজ্য সংকট নিরসনে এবার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে চায় ওয়াশিংটন। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে একটি লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর (USTR)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি ও পাল্টা শুল্ক নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষাপট

গত এপ্রিল মাসে শেখ বশিরউদ্দীন এক চিঠিতে ইউএসটিআরের শীর্ষ কর্মকর্তা জেমিসন গ্রিয়ার-কে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন এবং বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে আলোচনার আগ্রহের কথা জানান। তারই জবাবে, ৭ মে তারিখে পাঠানো চিঠিতে গ্রিয়ার বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একটি লিখিত প্রস্তাব পাওয়া গেলে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দর-কষাকষির ভিত্তি স্থাপন করা যাবে।

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা হ্রাস, অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা, শ্রম অধিকার রক্ষা, এবং ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করা—এই চারটি বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আলোচনার অগ্রাধিকার।

বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “চিঠি পাওয়ার আগেই আমরা একটি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছি। এটি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, এরই মধ্যে একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে ইউএসটিআরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বর্তমানে ১৯০টি পণ্য শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করে, এবং আরও ১০০টি পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রপ্তানিপণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৫% শুল্ক বসে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা পণ্যে গড়ে ৬.১০% শুল্ক আরোপিত হয়।

উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগ

পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস একটি চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন, অন্তত তিন মাসের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখতে। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর ও চিকিৎসা সামগ্রীর ওপর ৫০% শুল্ক হ্রাস দেওয়া হতে পারে।

পাল্টা শুল্কের তাৎক্ষণিক প্রভাব

চলতি বছরের ২ এপ্রিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়। এতে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭% পর্যন্ত শুল্ক বসার আশঙ্কা তৈরি হয়। যদিও ৯ এপ্রিল ঘোষণাটি তিন মাসের জন্য আংশিকভাবে স্থগিত করা হয়, তবুও ন্যূনতম ১০% শুল্ক কার্যকর রয়েছে।

এরই মধ্যে মার্কিন ক্রেতারা রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে এই বাড়তি শুল্ক আদায় করতে শুরু করেছে। কিছু ক্ষেত্রে পুরো শুল্ক রপ্তানিকারককে বহন করতে হচ্ছে, যা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল করে তুলছে।

বিশ্লেষকদের পরামর্শ ও ভবিষ্যৎ করণীয়

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, আলোচনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে কৌশলী হতে হবে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইউএসটিআরের মাধ্যমে যেসব দেশকে আলোচনায় প্রাধান্য দিচ্ছে, তাদের অবস্থান ও চাহিদা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশকে নিজের প্রস্তাব তৈরি করতে হবে।”

তার পরামর্শ অনুযায়ী, বাংলাদেশকে অবশ্যই নির্দিষ্টভাবে ঠিক করতে হবে:

  • যুক্তরাষ্ট্রকে কী কী শুল্ক ও অশুল্ক সুবিধা দেওয়া হবে

  • বাংলাদেশ কী কী সুবিধা প্রত্যাশা করছে

  • যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবহার করে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কছাড় আদায়ের কৌশল

  • মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে সম্ভাব্য আলোচনা

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। পাল্টা শুল্কের প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক ও নীতিগতভাবে সুনির্দিষ্ট ও সাহসী অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কখনো এত প্রবল ছিল না। ইউএসটিআরের কাছে একটি পরিপূর্ণ ও কৌশলগত প্রস্তাব পেশ করে বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জকে একটি সুযোগে রূপান্তর করতে পারে।

ট্যাগ: শুল্ক USTR

টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে সোমবারের বাজার দর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৩৯:০৯
টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে সোমবারের বাজার দর
ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেনদেনের সুবিধার্থে সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার সর্বশেষ বিনিময় হার নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।

প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার দর

ইউএস ডলার আজকের বাজারে ১ ইউএস ডলারের মান ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা।

ব্রিটিশ পাউন্ড ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ১৬৩ টাকা ৪৮ পয়সা।

ইউরোপীয় ইউরো ১ ইউরোর বিনিময় হার ১৪১ টাকা ০৭ পয়সা।

মধ্যপ্রাচ্যের ও এশীয় মুদ্রার দর

সৌদি রিয়াল প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১ সৌদি রিয়ালের দর ৩২ টাকা ৫১ পয়সা।

কুয়েতি দিনার বিশ্বের অন্যতম দামী মুদ্রা ১ কুয়েতি দিনারের মান ৩৯৭ টাকা ২৩ পয়সা।

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ১ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের দর ২৮ টাকা ৮৭ পয়সা।

সিঙ্গাপুর ডলার ১ সিঙ্গাপুর ডলারের মান ৯৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

ভারতীয় রুপি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১ রুপির বিনিময় হার ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

অন্যান্য দেশের মুদ্রার দর

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর ৭৮ টাকা ৯৪ পয়সা।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন যা দেশের জিডিপি এবং মাথাপিছু আয়ের হিসাবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে যেকোনো সময় মুদ্রার এই বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।


সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:৩০:১৪
সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে আজ সোমবার ৮ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম কিছুটা কমতির দিকেই থাকছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল যা আজও কার্যকর রয়েছে। ফলে ক্রেতারা আজ ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা দরে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে পারবেন।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের বা পিওর গোল্ডের দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে যে এই দামের সঙ্গে আরও কিছু খরচ যুক্ত হবে। বাজুস জানিয়েছে স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর ২ ডিসেম্বর তা কমিয়ে নতুন দাম ঠিক করা হয় যা আজ সোমবারও বলবৎ থাকছে।

স্বর্ণের দামে কিছুটা পরিবর্তন এলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।


মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে বড় চাপে বাংলাদেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:১১:৪৪
মেগা প্রকল্পের ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে বড় চাপে বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ আর দ্রুত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া বিদেশি ঋণ শোধের পরিমাণ এই সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫ এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই উদ্বেগজনক তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ওপর বিদেশি ঋণের চাপ বাড়ছে। সরকার বিদেশি ঋণ নিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মেট্রোরেল এবং বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্প করেছে। সেগুলোর কয়েকটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই আরও কয়েকটির শুরু হবে যা অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৪ সাল শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। ৫ বছরের ব্যবধানে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। এই হিসাব সরকারি ও বেসরকারি দুই ধরনের ঋণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে অতীতে নেওয়া সরকারি ও বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সালে এই ধরনের বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে সুদ ও আসল হিসেবে ৩৭৩ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩৫ কোটি ডলারে। তবে গত পাঁচ বছরে ঋণ ছাড় খুব একটা বাড়েনি। বিশ্বব্যাংক বলছে ২০২৪ সালে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার যা পাঁচ বছর আগে ছিল ১ হাজার ২২ কোটি ডলার।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ ছিল ১৯২ শতাংশ। ঐ বছরে মোট ঋণ পরিষেবা রপ্তানির ১৬ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে এমন দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ এমন মন্তব্য করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশ কত নম্বরে আছে তা প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যদিও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

ঋণের উৎস সম্পর্কে জানা গেছে বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বা আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর ঋণের ৩০ শতাংশই পায় বাংলাদেশ নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান। মোট ঋণের প্রায় ২৬ শতাংশই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর তালিকায় আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবি ও জাপান।


একযোগে গতি হারাল কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনীতির প্রধান চার খাত

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৮:৪০:৫৯
একযোগে গতি হারাল কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনীতির প্রধান চার খাত
ছবি : সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতির গতি এখন উত্থান পতনের মধ্যে রয়েছে। এক মাস বাড়লে পরের মাসে আবার কমতে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স বা পিএমআই অনুসারে বাংলাদেশের সামগ্রিক পিএমআই স্কোর নভেম্বর মাসে অক্টোবরের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ তে। অক্টোবরের পিএমআই স্কোর ছিল ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ছাড়া অর্থনীতির প্রধান চার খাত কৃষি উৎপাদন নির্মাণ ও সেবা খাতের গতি কমেছে বলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এমসিসিআই ঢাকা ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ পিইবি প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায় কৃষি খাতে পিএমআই স্কোর নভেম্বর মাসে অক্টোবরের তুলনায় ২ দশমিক ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭ দশমিক ৪ এ। নতুন ব্যবসা কর্মসংস্থান এবং ইনপুট খরচ সূচকে ধীরগতির সম্প্রসারণ দেখা গেছে। উৎপাদন খাতে পিএমআই স্কোর নভেম্বর মাসে অক্টোবরের তুলনায় ৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ৩ এ। নতুন অর্ডার রপ্তানি অর্ডার উৎপাদন ও ইনপুট ক্রয়ের মতো সূচকগুলো সম্প্রসারণ দেখালেও অর্ডার ব্যাকলগের দ্রুততর সংকোচন রেকর্ড হয়েছে।

নির্মাণ ও সেবা খাতের অবস্থাও নিম্নমুখী। নির্মাণ খাতে পিএমআই স্কোর নভেম্বর মাসে ৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ২ এ। এখানে নতুন ব্যবসা সূচকটি সংকোচনে ফিরে গেছে। সবচেয়ে বড় পতন দেখা গেছে সেবা খাতে। এই খাতে পিএমআই স্কোর নভেম্বর মাসে ৯ দশমিক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৬ এ। নতুন ব্যবসা ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং অর্ডার ব্যাকলগ সবগুলো সূচকই এখানে সংকোচনে ফিরে গেছে।

পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ডক্টর এম মাসরুর রিয়াজ বলেন নভেম্বরে পিএমআই স্কোরে দেখা যায় অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি দুর্বল হয়ে এসেছে। এটি বৈশ্বিক চাহিদা কমে যাওয়া ও রপ্তানি প্রতিযোগিতা হ্রাসের কারণে হয়েছে। এ ছাড়া রপ্তানি খাতে চাপ এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার পতন ও জাতীয় নির্বাচনের আগে ব্যবসাগুলোর বিনিয়োগ স্থগিত রাখার প্রবণতার ফল এটি। তবে ভবিষ্যৎ ব্যবসা সূচকে কৃষি নির্মাণ ও সেবা খাতে দ্রুততর সম্প্রসারণের প্রত্যাশা দেখা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


 সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১১:২৯:৪৩
 সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল
ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য উপদেষ্টার কঠোর হুঁশিয়ারি কোনো কাজেই আসেনি ভোজ্যতেলের বাজারে। পরিশোধন ও বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো নিজেদের বাড়ানো দরেই তেল বিক্রি করছে। তারা সরকারকে এক প্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে বেশি দামে সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে বাজারে। ফলে ভোক্তাদের বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্নার তেল।

কোনো ঘোষণা ছাড়াই বাড়তি দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে এমন খবর প্রকাশের পর গত বুধবার বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছিলেন সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তিনি জানিয়েছিলেন এভাবে ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই এবং এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। এরপর বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় লিটারে ৯ টাকা থেকে কমিয়ে দাম নির্ধারণ করতে হবে। আজ রবিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও কোম্পানিগুলো সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি।

শনিবার রাজধানীর কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রূপচাঁদা তীর পুষ্টি ও ফ্রেশসহ প্রায় সব ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাড়তি নতুন দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে বাজারে আসা পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা দরে। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা ও দুই লিটারের দর ৩৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও বোতলজাত প্রতি লিটার ১৮৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯২২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ লিটারে ক্রেতার পকেট থেকে অতিরিক্ত ৯ টাকা চলে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের কাছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা এবং পাম অয়েল ১৫২ থেকে ১৫৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. রায়হান জানান তেলের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই এবং সব কোম্পানির ডিলার তেল দিচ্ছে তবে সবাই বাড়তি দরের তেলই সরবরাহ করছে।

ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের দাবি বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে তাই স্থানীয় বাজারে দাম বাড়াতে হয়েছে। তাদের দাবি সরকারকে অবহিত করেই আইন অনুযায়ী স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখনও দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। আজ রবিবারের বৈঠকে দাম কমানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে জেনে নেওয়া জরুরি আজকের টাকার রেট

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১১:২৩:৩৯
প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর আগে জেনে নেওয়া জরুরি আজকের টাকার রেট
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের টাকার রেট কত তা জানা অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করে। সাধারণ মানুষ প্রবাসী ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।

প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার দর

ইউএস ডলার আজকের বাজারে ১ ইউএস ডলারের মান ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা।

ব্রিটিশ পাউন্ড ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ১৬৩ টাকা ৪৮ পয়সা।

ইউরোপীয় ইউরো ১ ইউরোর বিনিময় হার ১৪১ টাকা ০৭ পয়সা।

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রার দর

সৌদি রিয়াল প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১ সৌদি রিয়ালের দর ৩২ টাকা ৫১ পয়সা।

কুয়েতি দিনার বিশ্বের অন্যতম দামী মুদ্রা ১ কুয়েতি দিনারের মান ৩৯৭ টাকা ২৩ পয়সা।

দুবাই দেরহাম ১ দুবাই দেরহামের দর ৩৩ টাকা ২০ পয়সা।

ওমানি রিয়াল ১ ওমানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য ৩১৬ টাকা ৬৯ পয়সা।

বাহরাইন দিনার ১ বাহরাইন দিনারের দর ৩২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

কাতারি রিয়াল ১ কাতারি রিয়ালের মান ৩৩ টাকা ৪৯ পয়সা।

এশীয় ও প্রতিবেশী দেশের মুদ্রার দর

মালয়েশিয়ান রিংগিত ১ মালয়েশিয়ান রিংগিতের দর ২৮ টাকা ৮৭ পয়সা।

সিঙ্গাপুর ডলার ১ সিঙ্গাপুর ডলারের মান ৯৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

ভারতীয় রুপি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১ রুপির বিনিময় হার ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

চাইনিজ রেন্মিন্বি ১ চীনা ইউয়ানের দর ১৭ টাকা ০৯ পয়সা।

জাপানি ইয়েন ১ জাপানি ইয়েনের মান ০ টাকা ৮২ পয়সা।

অন্যান্য দেশের মুদ্রার দর

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর ৭৮ টাকা ৯৪ পয়সা।

কানাডিয়ান ডলার ১ কানাডিয়ান ডলারের মান ৮৭ টাকা ০১ পয়সা।

তুরস্ক ও অন্যান্য

১ তুর্কি লিরা ২ টাকা ৯২ পয়সা এবং দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড ৬ টাকা ৬৯ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া মালদ্বীপীয় রুপি ৭ টাকা ৯৪ পয়সা ইরাকি দিনার ০ টাকা ০৯ পয়সা এবং লিবিয়ান দিনার ২২ টাকা ৪৮ পয়সা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

এই হারের ভিত্তিতেই মূলত আমদানিকারকরা মূল্য নির্ধারণ করেন এবং প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় এই রেট বিবেচনা করেন। প্রতিদিনের মুদ্রা বিনিময় হার পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলার বা অন্যান্য মুদ্রার চাহিদা ও জোগান। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং আমদানি রপ্তানি ভারসাম্যও এর ওপর প্রভাব ফেলে।


আজ ৭ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১১:১৪:৪৫
আজ ৭ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
ছবি : সংগৃহীত

দেশের বাজারে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল এবং সেই ধারাবাহিকতায় রোববার ৭ ডিসেম্বরও অপরিবর্তিত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বা বাজুসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০ টাকা কমানো হয়েছে। এই হিসাবে আজ রোববার ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নতুন দাম অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায় গত মঙ্গলবার দাম কমানোর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে।

বাজুস জানিয়েছে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই নতুন দাম দেশের সব জুয়েলারি দোকানে কার্যকর থাকবে। তবে ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে যে এই দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত পাঁচ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ছয় শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। অর্থাৎ গহনা কিনতে গেলে ভরিপ্রতি খরচ তালিকাভুক্ত মূল্যের চেয়ে বেশি পড়বে।


আজ স্বর্ণ কিনতে হলে ভরিপ্রতি খরচ কত হবে জানাল বাজুস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:৫৩:৪০
আজ স্বর্ণ কিনতে হলে ভরিপ্রতি খরচ কত হবে জানাল বাজুস
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফাইল ছবি

দেশের বাজারে আজ শনিবার ৬ ডিসেম্বর স্বর্ণের দাম কিছুটা কমতির দিকেই থাকছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল যা আজও কার্যকর রয়েছে। ফলে ক্রেতারা আজ ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা দরে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ কিনতে পারবেন।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের বা পিওর গোল্ডের দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের এই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে ক্রেতাদের মনে রাখতে হবে যে এই দামের সঙ্গে আরও কিছু খরচ যুক্ত হবে। বাজুস জানিয়েছে স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর ২ ডিসেম্বর তা কমিয়ে নতুন দাম ঠিক করা হয় যা আজ শনিবারও বলবৎ থাকছে।

স্বর্ণের দামে কিছুটা পরিবর্তন এলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।


টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে শুক্রবারের বাজার দর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:৪০:৫৫
টাকার মান ও ভিনদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে শুক্রবারের বাজার দর
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজকের টাকার রেট কত তা জানা অত্যন্ত জরুরি। বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে টাকার মান নিয়মিত ওঠানামা করে। সাধারণ মানুষ প্রবাসী ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।

প্রধান বৈদেশিক মুদ্রার দর

ইউএস ডলার আজকের বাজারে ১ ইউএস ডলারের মান ১২২ টাকা ৩৮ পয়সা।

ব্রিটিশ পাউন্ড ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ১৬৩ টাকা ৪৮ পয়সা।

ইউরোপীয় ইউরো ১ ইউরোর বিনিময় হার ১৪১ টাকা ০৭ পয়সা।

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রার দর

সৌদি রিয়াল প্রবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ১ সৌদি রিয়ালের দর ৩২ টাকা ৫১ পয়সা।

কুয়েতি দিনার বিশ্বের অন্যতম দামী মুদ্রা ১ কুয়েতি দিনারের মান ৩৯৭ টাকা ২৩ পয়সা।

দুবাই দেরহাম ১ দুবাই দেরহামের দর ৩৩ টাকা ২০ পয়সা।

ওমানি রিয়াল ১ ওমানি রিয়ালের বিনিময় মূল্য ৩১৬ টাকা ৬৯ পয়সা।

বাহরাইন দিনার ১ বাহরাইন দিনারের দর ৩২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

কাতারি রিয়াল ১ কাতারি রিয়ালের মান ৩৩ টাকা ৪৯ পয়সা।

এশীয় ও প্রতিবেশী দেশের মুদ্রার দর

মালয়েশিয়ান রিংগিত ১ মালয়েশিয়ান রিংগিতের দর ২৮ টাকা ৮৭ পয়সা।

সিঙ্গাপুর ডলার ১ সিঙ্গাপুর ডলারের মান ৯৪ টাকা ৯৮ পয়সা।

ভারতীয় রুপি প্রতিবেশী দেশ ভারতের ১ রুপির বিনিময় হার ১ টাকা ৩৭ পয়সা।

চাইনিজ রেন্মিন্বি ১ চীনা ইউয়ানের দর ১৭ টাকা ০৯ পয়সা।

জাপানি ইয়েন ১ জাপানি ইয়েনের মান ০ টাকা ৮২ পয়সা।

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন ১ দক্ষিণ কোরিয়ান ওনের দর ০ টাকা ০৮ পয়সা।

অন্যান্য দেশের মুদ্রার দর

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের দর ৭৮ টাকা ৯৪ পয়সা।

কানাডিয়ান ডলার ১ কানাডিয়ান ডলারের মান ৮৭ টাকা ০১ পয়সা।

তুরস্ক ও অন্যান্য ১ তুর্কি লিরা ২ টাকা ৯২ পয়সা এবং দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড ৬ টাকা ৬৯ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। এছাড়া মালদ্বীপীয় রুপি ৭ টাকা ৯৪ পয়সা ইরাকি দিনার ০ টাকা ০৯ পয়সা এবং লিবিয়ান দিনার ২২ টাকা ৪৮ পয়সা দরে পাওয়া যাচ্ছে।

এই হারের ভিত্তিতেই মূলত আমদানিকারকরা মূল্য নির্ধারণ করেন এবং প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় এই রেট বিবেচনা করেন। তবে যেকোনো সময় মুদ্রার এই বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত