ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিস্ফোরন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৪ ০৯:৩৭:১১
ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিস্ফোরন

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে। সিরীয় সরকার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম BBC ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা Syrian Observatory for Human Rights (SOHR) জানায়, কুনেইত্রা ও দারা প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর একাধিক বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ওই অঞ্চলে অবস্থানরত কয়েকটি সামরিক স্থাপনা এবং অস্ত্র গুদাম ছিল হামলার মূল লক্ষ্য।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েলের এই একতরফা হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও আমাদের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। এটি একটি সুপরিকল্পিত উসকানি, যার মাধ্যমে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে।”

সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা হামলা চালায় তেলআভিভ। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে জানান, “যেকোনো হামলার দায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে নিতে হবে। আমরা আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করি এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে সিরিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তনের পর থেকে দেশটির ভেতরে ইসরায়েলি অভিযান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্রোহী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ইরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্ভর করায় ইসরায়েল তাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিপক্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ায় সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলোকে গভীর উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের হামলা শুধু একটি দেশের সার্বভৌমত্ব হানিকর নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।”

গোলান মালভূমি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে অঞ্চলটি দখল করে এবং ১৯৮১ সালে তা সংযুক্ত করে, যদিও তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি। ইসরায়েলের দাবি, ওই সীমান্তবর্তী এলাকা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘সংবেদনশীল অঞ্চল’, এবং সেখানে কোনো ‘শত্রু বাহিনীর’ উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।

সাম্প্রতিক এই হামলার পর সিরিয়ায় মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু মানবিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও, চলমান সংঘর্ষ ও অনিশ্চয়তা দেশটিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।


রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ২১:২৬:০১
রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য
ছবি: সংগৃহীত

গত একদিনে বিশেষ সামরিক অভিযান চলাকালে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী প্রায় ১ হাজার ৫১৫ জন সৈন্যকে হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। একই সময়ে রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৬৫টি ইউক্রেনীয় ফিক্সড-উইং ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং কৃষ্ণ সাগরের নৌবহর ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দুটি চালকবিহীন নৌকা ধ্বংস করেছে।

অঞ্চলভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিভিন্ন ব্যাটলগ্রুপ অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে:

ব্যাটলগ্রুপ নর্থ: ১৮৫ জনেরও বেশি সেনা, একটি ট্যাঙ্ক এবং সাতটি গাড়ি হারিয়েছে ইউক্রেন।

ব্যাটলগ্রুপ পশ্চিম: ২২৫ জনেরও বেশি সেনা এবং একটি সিনেটর সাঁজোয়া যুদ্ধযান ধ্বংস করা হয়েছে।

ব্যাটলগ্রুপ দক্ষিণে: ২২০ জন সেনা, একটি সাঁজোয়া কর্মী বাহক এবং দুটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান হারিয়েছে কিয়েভের বাহিনী।

ব্যাটলগ্রুপ সেন্টার: ইউক্রেন ৫০০ জনেরও বেশি সৈন্য এবং একটি সাঁজোয়া কর্মী বাহক হারিয়েছে।

ব্যাটলগ্রুপ পূর্বে: ৩৪০ জন পর্যন্ত সেনা ও একটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান।

ব্যাটলগ্রুপ ডিনেপারে: ৪৫ জন সেনা এবং নয়টি অটোমোবাইল ধ্বংস করা হয়েছে।

রুশ অভিযানের অন্যান্য সাফল্য

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে যে, রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের দূরপাল্লার ড্রোন উৎক্ষেপণ কেন্দ্রগুলোও ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ১৩৮টি এলাকায় ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং বিদেশি ভাড়াটেদের জন্য অস্থায়ী স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।


ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ৩ পরাশক্তি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৯:৩৫:০১
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ৩ পরাশক্তি
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) পৃথক বিবৃতির মাধ্যমে তিন দেশের পক্ষ থেকে এই স্বীকৃতির কথা জানানো হয়েছে। এই স্বীকৃতিকে ‘শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা পুনরুজ্জীবিত করার’ একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা

এক ভিডিওবার্তায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, “শান্তি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আশা পুনরুজ্জীবিত করতে, আজ আমি স্পষ্টভাবে বলছি—এই মহান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে—যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।”

কানাডার কঠোর বার্তা

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, “বর্তমান ইসরায়েলি সরকার সুসংগঠিতভাবে কাজ করছে যাতে কোনোদিনো একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।” তিনি ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ নীতিকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে উল্লেখ করেন এবং গাজায় তাদের ধারাবাহিক হামলাকে ‘ভয়াবহ ও প্রতিরোধযোগ্য দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির’ কারণ হিসেবে বর্ণনা করেন।

কার্নি আরও যোগ করেন, “বর্তমান ইসরায়েলি সরকারের ঘোষিত নীতি হলো—কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থাকবে না। এই প্রেক্ষাপটে কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও ইসরায়েল রাষ্ট্র উভয়ের জন্য শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি গড়ে তুলতে আমাদের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব দিচ্ছে।”

অস্ট্রেলিয়ার সমন্বিত উদ্যোগ

এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং এক বিবৃতিতে বলেন, রোববারের এই স্বীকৃতি “কানাডা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য নতুন গতি সৃষ্টির লক্ষ্যে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি অংশ।”


ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৮:৫২:২৫
ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে অন্তত দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলের এই অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে। অপরটি দক্ষিণ ইসরায়েলের একটি জনবসতিহীন এলাকায় পড়েছে। স্থানীয় লাখিশ ও আশদোদ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কবার্তা হিসেবে সাইরেন বাজানো হয়। হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে হামলার পেছনে কোন ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা

একই সময়ে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, রোববার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শনিবার গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন অংশ বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে কেঁপে উঠেছে। বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলের স্থল অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।

প্রায় দুই বছর ধরে চলা সংঘাতে ইসরায়েল গাজা দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সামরিক বাহিনী টানা বিমান হামলা ও ট্যাংকের গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে। এই নির্বিচার হামলায় পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শনিবার ইসরায়েলি হামলায় গাজা শহরের প্রায় ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ নাগরিক।


‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:৩৫:৪৮
‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও নোবেল শান্তি পুরস্কার দাবি করেছেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আমেরিকান কর্নারস্টোন ইনস্টিটিউট ফাউন্ডার্স ডিনারে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরে তিনি বাণিজ্যের মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত থামিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার দাবি—তিনি মোট সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধের জন্য তার একটি করে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

‘বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে যুদ্ধ থামিয়েছি’

ট্রাম্প বলেন, “বিশ্বমঞ্চে আমরা এমন কিছু করছি, যা আগে কখনো হয়নি। আমরা শান্তি চুক্তি করছি, যুদ্ধ থামাচ্ছি।” তিনি উদাহরণ হিসেবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত বন্ধ করার কথা উল্লেখ করেন। ট্রাম্প বলেন, “ভাবুন তো ভারত আর পাকিস্তান—ওদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে। আমি বলেছিলাম, যদি যুদ্ধ করো তবে কোনো বাণিজ্য হবে না। তারা যুদ্ধ থামাল।” তিনি দুই দেশের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেও মূল ব্যাপার হিসেবে বাণিজ্যের মাধ্যমে সংঘাত থামানোর কৃতিত্ব দাবি করেন।

সাতটি সংঘাত থামানোর দাবি

শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, আরও একাধিক সংঘাত বন্ধ করার কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। তার ভাষায়, “আমরা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কসোভো-সার্বিয়া, ইসরায়েল-ইরান, মিসর-ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা-কঙ্গো—সব জায়গায় যুদ্ধ বন্ধ করেছি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই বাণিজ্যের কারণে থেমেছে।”

নিজের সাফল্যের দাবি করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, অনেকে তাকে বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে পারলে তিনি নোবেল পুরস্কার পাবেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি তো ইতোমধ্যে সাতটি যুদ্ধ থামিয়েছি। প্রতিটি যুদ্ধের জন্য আমার একটি করে নোবেল পাওয়া উচিত।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভেবেছিলেন এটি সহজেই সমাধান করা যাবে, কারণ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে পরে তিনি হতাশ হয়েছেন। তবুও তার দাবি, এই সংঘাতও শেষ পর্যন্ত সমাধান হবে।


ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৭:২৩:২৬
ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা থেকে শুরু করে লেবানন, ইরান এবং ইয়েমেন—প্রায় সবখানেই সামরিক হামলা চালিয়ে ইসরায়েল এখন কার্যত আঞ্চলিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় বিমান হামলা চালানোর পর এবার তুরস্কেও উদ্বেগ বেড়েছে। আঙ্কারার কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তবে তুরস্ক?

কাতার থেকে তুরস্ক: বিশ্লেষকদের সতর্কবার্তা

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র কাতারে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্লেষকদের নজর এখন তুরস্কের দিকে। আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন স্পষ্টভাবে বলেন, তুরস্ক ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেটে পরিণত হতে পারে এবং ন্যাটো সদস্যপদও হয়তো এই আক্রমণ থেকে তুরস্ককে রক্ষা করতে পারবে না। ইসরায়েলি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেইর মাসরিও একই সুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “আজ কাতার, কাল তুরস্ক।”

এর প্রতিক্রিয়ায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা তীব্র সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, যদি ইসরায়েল তুরস্কের ওপর হামলার চিন্তাও করে, তবে দেশটির জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।

‘সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে দেখছে ইসরায়েল

গত কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো তুরস্ককে ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। বিশেষ করে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের সক্রিয় উপস্থিতি এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়ার পুনর্গঠনে দেশটির ভূমিকাকে ইসরায়েল নতুন হুমকি হিসেবে দেখছে।

এই প্রেক্ষাপটেই তুরস্ক গত আগস্টে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে শক্ত প্রতিক্রিয়া জানায়। আঙ্কারার মতে, এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং একটি রাজনৈতিক বার্তাও।

যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা ও ন্যাটোর ভূমিকা

কাতারে বিমান হামলার পর তুরস্কের ভেতরে আরেকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে—ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর? কারণ, কাতারকে যুক্তরাষ্ট্র ‘মেজর নন-ন্যাটো অ্যালাই’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবু ইসরায়েলের হামলার পর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোনো সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওমর ওজকিজিলসিক আল জাজিরাকে বলেন, “তুরস্ক বুঝে গেছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর ওপর নির্ভর করে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।” তার মতে, ইসরায়েল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং এর পেছনে ওয়াশিংটনের নীরব সমর্থন রয়েছে।

নেতানিয়াহুর ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ পরিকল্পনা

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন করেছেন। আগস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “অবশ্যই, আমি এই ধারণায় বিশ্বাস করি।” আঙ্কারার কাছে এই মন্তব্য নিছক প্রতীকী কোনো বক্তব্য নয়; বরং এটিকে তুরস্কের আঞ্চলিক কৌশল ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থের সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “গ্রেটার ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হলো—এ অঞ্চলের দেশগুলোকে দুর্বল, অকার্যকর ও বিভক্ত করে রাখা।”

ইসরায়েলের আগ্রাসী উপস্থিতি ও আঞ্চলিক আধিপত্যের নকশা

ইসরায়েল শুধু গাজা কিংবা পশ্চিম তীরেই সীমাবদ্ধ নেই। সম্প্রতি তারা সিরিয়ায় একাধিক হামলা চালিয়েছে, ইয়েমেনেও বিমান হামলা করেছে। এমনকি গাজায় সাহায্যবাহী বহর বহনকারী জাহাজের ওপর তিউনিসিয়ার উপকূলে আক্রমণ চালায়। ইরানের সঙ্গেও সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল। সব মিলিয়ে তেলআবিবের সামরিক তৎপরতা এখন প্রায় গোটা অঞ্চলের প্রতিটি সংঘাতময় এলাকায় বিস্তৃত হয়ে পড়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম বারাক স্বীকার করেছিলেন—ইসরায়েল কখনোই একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সিরিয়া চায় না। সিরিয়ার ওপর হামলা, লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে আঘাত, ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধ—সবকিছুই ইঙ্গিত দেয়, ইসরায়েল ধাপে ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুর্বল করছে।

সংঘর্ষের পরবর্তী ক্ষেত্র: সিরিয়া?

তুরস্কের সাবেক নৌ-অ্যাডমিরাল ও ‘ব্লু হোমল্যান্ড’ কৌশলের স্থপতি সেম গুরদেনিজ মনে করেন, তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্ভাব্য প্রথম সরাসরি সংঘর্ষের ক্ষেত্র হতে পারে সিরিয়ার ভূমি ও আকাশসীমা। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গ্রিস, গ্রিক সাইপ্রাস ও ইসরায়েল মিলে সাইপ্রাসে যে সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটি গড়ে তুলছে, তা তুরস্কের ব্লু হোমল্যান্ড কৌশলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।

সূত্র : আল জাজিরা


ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১৬:৪৫:৪৩
ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার দেশের আসল শত্রু অন্য কোনো জাতি নয়, বরং বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা। গুজরাটে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামুদ্রিক প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভারত ‘বিশ্বব্যাপী বন্ধু হওয়ার অনুভূতি নিয়ে এগিয়ে চলছে’ এবং দেশের কোনো বড় প্রতিপক্ষ নেই।

‘স্বনির্ভর হতে হবে ভারতকে’

নরেন্দ্র মোদি বলেন, “প্রকৃত অর্থে যদি আমাদের কোনো শত্রু থাকে, তা হলো অন্যান্য দেশের ওপর নির্ভরতা।” সমৃদ্ধি অর্জন এবং ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিত করার জন্য ভারতকে অবশ্যই স্বনির্ভর হতে হবে বলে তিনি জোর দেন। তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ‘বহিরাগতদের’ ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার আহ্বান জানান।

মোদি বলেন, “আমরা যদি অন্যের করুণার ওপর নির্ভরশীল থাকি, তাহলে আমাদের আত্মসম্মানও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যদের ওপর (নির্ভরশীল করে) ঝুঁকি নিতে পারি না।”

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য উত্তেজনা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদির এসব মন্তব্য এলো। গত মাসে ওয়াশিংটন রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করে।

হোয়াইট হাউস এইচ-১বি ভিসা আবেদনের ওপর নতুন করে ১০০০০০ ডলার বার্ষিক ফি ঘোষণা করেছে। আইটি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন ন্যাসকম জানিয়েছে, এটি দক্ষ ভারতীয় কর্মীদের ক্ষতি করবে।


লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১২:২০:৩৪
লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি
পেরুতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ/ ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে জেন-জি (Generation Z) বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাজধানী লিমায় শত শত সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভের কারণ

পেরুতে বেড়ে চলা সামাজিক অস্থিরতা, সংগঠিত অপরাধ, ব্যাপক সরকারি দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা লিমায় প্রেসিডেন্ট ভবন এবং কংগ্রেস ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারী গ্লাডিস বলেন, “আজকের দিনে আগের তুলনায় গণতন্ত্র কমে গেছে। ভয় আর চাঁদাবাজির কারণে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।” সেলেন আমাসিফুয়েন নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, “কংগ্রেসের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, তাদের প্রতি জনগণের কোনো বিশ্বাসও নেই… তারা দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।”

হতাহতের খবর

স্থানীয় রেডিও স্টেশন এক্সিতোসা জানিয়েছে, তাদের একজন প্রতিবেদক এবং একজন ক্যামেরাম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্যালেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা কমেছে

দেশটির প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। আগামী বছর তার মেয়াদ শেষ হবে। এরই মধ্যে দেশে চাঁদাবাজি ও সংগঠিত অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে, সরকার ও রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস উভয়কেই অনেক নাগরিক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখে। সম্প্রতি আইনসভা একটি আইন পাস করেছে, যেখানে তরুণদের বেসরকারি পেনশন ফান্ডে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ অনেক তরুণ এখনো অনিশ্চিত কর্মপরিবেশের মধ্যে রয়েছে।

ট্যাগ: পেরু জেন-জি

ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১২:০৬:১৮
ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা
ছবিঃ সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার জন্য নতুন করে ১ লাখ ডলারের এককালীন ফি কার্যকর হচ্ছে রবিবার থেকে। হোয়াইট হাউস শনিবার জানিয়েছে, এই ফি প্রতি পিটিশনের (আবেদনের) জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে যাদের ইতিমধ্যেই বৈধ ভিসা রয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসার সময় এই ফি দিতে হবে না।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এক্সে (পূর্বতন টুইটার) লিখেছেন, “এটি বার্ষিক ফি নয়। কেবলমাত্র নতুন আবেদন জমা দেওয়ার সময় এটি একবার দিতে হবে।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত এইচ-১বি ভিসাধারীরা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে কোনো অতিরিক্ত অর্থ পরিশোধ করবেন না।

এই ঘোষণার আগে শুক্রবার বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছিলেন, এই ফি প্রতিবছর দিতে হবে, যদিও তখন তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তার মন্তব্যের পর মাইক্রোসফট, জেপি মরগান এবং অ্যামাজনের মতো শীর্ষ কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ ইমেইলে কর্মীদের সতর্ক করে বলেছিল, আপাতত দেশ ছেড়ে না যাওয়াই ভালো। গোল্ডম্যান স্যাকসও এক মেমোতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে সতর্ক থাকতে কর্মীদের পরামর্শ দেয়।

লেভিট শনিবার স্পষ্ট করে বলেন, ভিসাধারীরা স্বাভাবিক নিয়মে দেশ ছেড়ে যেতে এবং ফেরত আসতে পারবেন। নতুন ফি কেবল আগামী লটারির রাউন্ডে প্রযোজ্য হবে এবং বর্তমান ভিসাধারীদের নবায়ন বা পুনঃপ্রবেশে এটি নেওয়া হবে না।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমেরিকান শ্রমিকদের জন্য সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, কম বেতনের বিদেশি শ্রমিকদের কারণে আমেরিকান শ্রমিকদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়ছে।

শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নির্বাহী আদেশে এই নতুন ফি কার্যকর করেন, তা নিয়ে ভারতীয় আইটি খাতের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ভারতীয় আইটি শিল্পের সংগঠন ন্যাসকম বলেছে, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত হাজার হাজার ভারতীয় পেশাদারের কর্মপরিকল্পনা ও গ্লোবাল অপারেশন ব্যাহত করতে পারে।

হোয়াইট হাউসের শনিবার প্রকাশিত তথ্যপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কিছু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এই ফি মওকুফ করা হতে পারে। এছাড়াও, শ্রম দফতর ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি যৌথভাবে যাচাই, তদারকি, অডিট এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করবে। শ্রম সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তিনি এইচ-১বি কর্মীদের মজুরি কাঠামো পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং উচ্চ দক্ষতা ও উচ্চ বেতনের কর্মীদের অগ্রাধিকার দেন।

শুক্রবারের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কর্পোরেট কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জনপ্রিয় চীনা সামাজিক মাধ্যম রেডনোটে অনেক এইচ-১বি ভিসাধারী তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন—কেউ কেউ বিদেশে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে দেশে ফিরে আসছেন এই আশঙ্কায় যে নতুন ফি তাদেরও দিতে হতে পারে।

-নাজমুল হাসান


ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১১:৪১:৩৯
ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রিটেন আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও প্রেস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার রোববার এই ঘোষণা দেবেন।

এতদিন যুক্তরাজ্য সবসময় ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের ব্যাপক অভিযান, হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এবং দুর্ভিক্ষের মতো মানবিক সংকট দেশটির অবস্থান পাল্টে দিয়েছে।

স্টার্মার জুলাইয়ে বলেছিলেন, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতিতে গুরুতর পদক্ষেপ না নেয়, তবে ব্রিটেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। তাঁর মতে, এই স্বীকৃতি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, এতে সন্ত্রাসবাদ পুরস্কৃত হবে এবং উগ্রবাদকে উৎসাহ দেওয়া হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় বার্তা দেবে। আশা করা হচ্ছে, ফ্রান্সসহ আরও অন্তত ১০টি দেশ শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২১৯ জন নিহত হন। প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক।

-সুত্রঃ এ এফ পি

পাঠকের মতামত: