ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিস্ফোরন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৪ ০৯:৩৭:১১
ইসরায়েলের বিমান হামলায় সিরিয়ায় অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিস্ফোরন

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক অস্ত্রভাণ্ডারে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে। সিরীয় সরকার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম BBC ও পর্যবেক্ষণ সংস্থা Syrian Observatory for Human Rights (SOHR) জানায়, কুনেইত্রা ও দারা প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর একাধিক বিস্ফোরণে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ওই অঞ্চলে অবস্থানরত কয়েকটি সামরিক স্থাপনা এবং অস্ত্র গুদাম ছিল হামলার মূল লক্ষ্য।

সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “ইসরায়েলের এই একতরফা হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও আমাদের সার্বভৌমত্বের সরাসরি লঙ্ঘন। এটি একটি সুপরিকল্পিত উসকানি, যার মাধ্যমে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে।”

সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা হামলা চালায় তেলআভিভ। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে জানান, “যেকোনো হামলার দায় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রকে নিতে হবে। আমরা আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করি এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের শেষের দিকে সিরিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিবর্তনের পর থেকে দেশটির ভেতরে ইসরায়েলি অভিযান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্রোহী বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ইরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর ওপর নির্ভর করায় ইসরায়েল তাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিপক্ষ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ায় সাম্প্রতিক বিমান হামলাগুলোকে গভীর উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের হামলা শুধু একটি দেশের সার্বভৌমত্ব হানিকর নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার পথ উন্মুক্ত করে দেয়।”

গোলান মালভূমি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে অঞ্চলটি দখল করে এবং ১৯৮১ সালে তা সংযুক্ত করে, যদিও তা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি। ইসরায়েলের দাবি, ওই সীমান্তবর্তী এলাকা তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘সংবেদনশীল অঞ্চল’, এবং সেখানে কোনো ‘শত্রু বাহিনীর’ উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।

সাম্প্রতিক এই হামলার পর সিরিয়ায় মানবিক পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিছু মানবিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও, চলমান সংঘর্ষ ও অনিশ্চয়তা দেশটিকে আরও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত