কলেজ-প্রাথমিকে ছুটি শুরু: মাদ্রাসায় সর্বোচ্চ ২৫ দিন ছুটি

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজে ছুটি শুরু হয়েছে। দেশের লাখো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এখন ছুটির আমেজে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে মোট ২১ দিন বন্ধ থাকবে। এই ছুটি চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত, আর ২৪ জুন (সোমবার) থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে।
অন্যদিকে, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে শুধুমাত্র ঈদুল আজহার ছুটি দেওয়া হয়েছে, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ নয়। ১০ দিনের এই ছুটি শুরু হয়েছে আজ থেকে এবং চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে আবার স্বাভাবিক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।
এবারের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভেদে রয়েছে ভিন্নতা। কেউ পাচ্ছে ২১ দিনের বিশ্রাম, কেউ ১০ দিনের বিরতি। সবচেয়ে বেশি ছুটি মিলছে মাদ্রাসায়, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ২৫ দিনের ছুটিতে রয়েছেন। এই ছুটি শুরু হয়েছে ১ জুন (শনিবার) থেকে।
এছাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে ৩ জুন থেকে ছুটি ঘোষণা করলেও শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির কারণে তথ্য অনুযায়ী ২৯ মে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা ক্যালেন্ডার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশ করেছে।
এই দীর্ঘ ছুটিকে কেন্দ্র করে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাওয়া, ঈদের কেনাকাটা ও ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। তবে, শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই ছুটির মধ্যে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক বিশ্রাম ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সুযোগ থাকা উচিত।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতির মধ্যেই এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থা কমনওয়েলথ। রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকা সফররত কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বচওয়ে।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ জানান আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশ ইসিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন আমরা তাঁদের স্বাগত জানাচ্ছি এবং তাঁরা আসবেন। আমরা আশা করি আমাদের এবারের যে ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ও পার্টিসিপেটরি বা অংশগ্রহণমূলক ইলেকশন হচ্ছে সেটার সম্পর্কে আমরা একটা ভালো রেজাল্ট পাব।
ইসি সচিব আরও উল্লেখ করেন যে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সেক্রেটারি জেনারেল স্পেসিফিক বা নির্দিষ্ট করে আমাদের বলেছেন ওনার সদস্য সংখ্যা হচ্ছে ৫৬টি দেশ এবং আমরা যদি কোনো সহযোগিতা চাই সেটা ওনারা করার জন্য প্রস্তুত আছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্য আমাদের সহযোগিতা করছে শুনে তিনি খুশি হয়েছেন বলে জানান সচিব।
নির্বাচনের সময় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইসি সচিব বলেন আমাদের ল অ্যান্ড অর্ডার বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কেও তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে আমরা বলেছি আমরা সারা দেশকে তিনটি ভাগে রেড ইয়েলো এবং গ্রিন এই জোনে ভাগ করছি এবং সেই ভাগে ভাগ করে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিগুলোকে সামাল দেব। তিনি আরও জানান কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে এবং কমিশনের ওপর আস্থা ও আশাবাদ ব্যক্ত করে আজকের আলোচনা শেষ করেছেন তিনি।
গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
দেশের সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ রবিবারই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে কৃষিখাত, সার উৎপাদন ব্যয় এবং সরকারের ভর্তুকি কাঠামোতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
এর আগে পেট্রোবাংলা এবং দেশের বিভিন্ন গ্যাস বিতরণ সংস্থা সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। গত ৬ অক্টোবর বিইআরসির আয়োজিত গণশুনানিতে এই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শুনানি শেষে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, গ্যাসের দাম সমন্বয়ে “সবদিক বিবেচনা করে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।” তার বক্তব্যে বিশেষভাবে উঠে আসে কৃষিকে অগ্রাধিকার ও এলএনজি আমদানির বাস্তব খরচ বিবেচনার বিষয়টি।
? এলএনজি আমদানি বাড়ানোর প্রস্তাব
পেট্রোবাংলার প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী-
- দাম বাড়ানো হলে ৭টি অতিরিক্ত কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে
- অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত সার কারখানায় ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে পূর্ণ মাত্রায় সরবরাহ
- এপ্রিল–মে: ১৬৫ মিলিয়ন ঘনফুট
- জুন: ১৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট
- জুলাই–সেপ্টেম্বর: ১৩০ মিলিয়ন ঘনফুট
এই মাসভিত্তিক সরবরাহ কাঠামো বাস্তবায়নের জন্যই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে প্রতি কেজি ইউরিয়া সার উৎপাদনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩৮ টাকা। কিন্তু বাজারে তা কৃষকদের কাছে বিক্রি হয় ২৭ টাকা, এবং বিসিআইসি ডিলারদের কাছে সরবরাহ করে ২৫ টাকায়। এতে প্রতি কেজিতে ১৩ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে।
সার উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের জন্য সার মূল্য কম রেখেছে সরকার। কিন্তু এলএনজি আমদানির বাড়তি খরচ, বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি দামের অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যয়ের কারণে ভর্তুকির পরিমাণও দ্রুত বাড়ছে।
গণশুনানিতে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কৃষি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সার উৎপাদনে গ্যাসের দাম সরাসরি প্রভাব ফেলে, ফলে কোনো পরিবর্তনই কৃষক, উৎপাদক এবং সরকারের ওপর বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এলএনজি আমদানির খরচ বাড়লেও সার শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। অন্যদিকে, অতিরিক্ত দাম কৃষি উৎপাদন ব্যয় ও খাদ্য নিরাপত্তায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে আজকের গ্যাস মূল্য ঘোষণা একটি নীতি–নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
গতকালের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই আজ শনিবার আরও দুবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এদিন সকালে ৩ দশমিক ৩ মাত্রা এবং সন্ধ্যায় ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। আজকের এই কম্পনগুলোকে আফটার শক হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বা বিএমডির পরিচালক চলতি দায়িত্ব মো. মমিনুল ইসলাম।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান মাটির দুর্বল গঠনের কারণেই গতকালের ভূমিকম্পে কম্পন বা ঝাঁকুনি বেশি সময় ধরে অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মো. মমিনুল ইসলাম বলেন গতকাল যে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্প হলো সেটার পরে আজকের দুটি ঘটনা মূলত আফটার শক। সাধারণত আফটার শকে আগের মাত্রার চেয়ে অন্তত ১ পয়েন্ট কম মাত্রা হয় তাই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এমন আফটার শক ঘটতে পারে। এ সময় আতঙ্কিত না হয়ে শকের সময় নিরাপদে থাকাটা জরুরি বলে তিনি মত দেন।
রিখটার স্কেলে গতকালের ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ এর নিচে থাকলেও এর স্থায়িত্ব ও তীব্রতা বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন গতকাল মাত্রা ৬ এর নিচে হলেও ওয়েভ বা কম্পন বেশি সময় স্থায়ী এবং ঝাঁকি বেশি হওয়ার প্রধান কারণ হলো আমাদের এই অঞ্চলের মাটির গঠন কিছুটা দুর্বল। অপেক্ষাকৃত মাটির গঠন দুর্বল হলে শক বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়।
তিন দফায় এই কম্পনগুলো বাংলাদেশকে পুনরায় ভূমিকম্পের ঝুঁকির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। ভবিষ্যৎ বিপর্যয় এড়াতে তিনি পরামর্শ দেন যে আমাদের এই অঞ্চল ভূমিকম্পের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ তাই ভবন নির্মাণে অধিক সচেতন হতে হবে ও বিল্ডিং কোড মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি তিনি খোলা মাঠ ও পার্ক সংরক্ষণ করার এবং ভবন সংলগ্ন রাস্তাগুলোকে সুপ্রশস্থ করার ওপর জোর দেন।
কম্পন থামলেও কাটছে না আতঙ্ক বরং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই নতুন বিপদে শিক্ষার্থীরা
দেশে গত ৩৬ ঘণ্টায় তৃতীয় দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শনিবার ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের সময় সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে শামসুন্নাহার হলের তিনজন কুয়েত মৈত্রী হলের একজন বেগম রোকেয়া হলের একজন এবং মাস্টারদা সূর্যসেন হলের একজন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনই ছাত্রী।
শামসুন্নাহার হলের ছাত্র সংসদের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইসরাত জাহান সুমনা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাঁর পা ভেঙে যেতে পারে। শামসুন্নাহার হলে আহত অন্য দুইজনকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কুয়েত মৈত্রী হলের একজন শিক্ষার্থীও সিঁড়ি থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। বেগম রোকেয়া হলের একজন শিক্ষার্থী আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন এবং তাঁকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে হাতে ব্যথা পেয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় তবে তা ছিল হালকা মাত্রার। এই ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী থেকে মাত্র ৩ মাইল দূরে এবং রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। এর আগে শনিবার সকালেও ৩ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে যার উৎপত্তি ছিল নরসিংদীতে।
উল্লেখযোগ্য যে এর আগে শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়। গতকালও ঢাবির হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের চারতলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে মোট তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীও লাফ দিয়ে পা ভেঙেছেন। ওই ঘটনায় তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হন কমপক্ষে ছয় শতাধিক মানুষ। এছাড়া ঢাকার কিছু ভবনে ফাটল এবং হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা ও উপকূল অতিক্রমের সম্ভাব্য সময় নিয়ে নতুন তথ্য
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা নিয়ে ব্রেকিং নিউজ দিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। শনিবার ২২ নভেম্বর নিজের ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে তিনি দেশবাসীকে এই আগাম সতর্কবার্তা জানান।
ওই পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন ২২ নভেম্বর পাওয়া সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৫ বা ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বিশেষ করে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের দক্ষিণ পাশে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপ ও সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সর্বশেষ আবহাওয়া মডেল বিশ্লেষণ করে তিনি জানান সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এই আঘাত হানার সম্ভাব্য সময় আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষকদের জন্য বিশেষ পরামর্শ দিয়ে তিনি লিখেছেন ডিসেম্বরের ১ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ফলে জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কাটা ও মাড়াই করা শেষ করার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। এছাড়া শীতকালীন শাকসবজি চাষিরা সম্ভাব্য এই বৃষ্টিপাতের কথা মাথায় রেখে বীজ বোনা ও জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্যও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তবে নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত পুরো দেশে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমুদ্রগামী জেলেদের সতর্ক করে এই আবহাওয়াবিদ লিখেছেন নভেম্বরের ২৮ তারিখের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হওয়া শুরু করার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। তাই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে ২৯ নভেম্বরের পরে নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্যও তিনি জেলেদের সতর্ক করেছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণ প্রসঙ্গে তিনি পর্যটকদের সতর্ক করে লিখেছেন ২৮ নভেম্বরের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে শুরু করবে। বিশেষ করে ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যবর্তী সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল থাকার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ এড়াতে এই সময়ে পর্যটন সম্পর্কিত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প
ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৬টার কিছু পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কম্পন টের পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা উৎস সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।
ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে এবং এতে ঢাকায় চারজনসহ সারা দেশে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় যা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেই কম্পন সৃষ্টি করে। ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পর থেকে চারদিকে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং অনেকের ধারণা এরপর হতে পারে আরও বড় ভূমিকম্প। এই ঝুঁকি বিবেচনায় সমগ্র বাংলাদেশকে মোট ৩টি জোনে ভাগ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে উচ্চ ঝুঁকির আওতাভুক্ত অঞ্চলকে জোন ১ মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা জোন ২ এবং জোন ৩ এর এলাকা নিম্ন ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা যায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা জোন ১ এর আওতায় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। ফল্ট লাইন বা প্লেট বাউন্ডারির কাছাকাছি অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বিশেষ করে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি জেলা ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল গাজীপুর নরসিংদীর কিছু অংশ পুরো কিশোরগঞ্জ কুমিল্লা বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির নানা এলাকা উচ্চঝুঁকিপ্রবণ হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে জোন ৩ এলাকাভুক্ত খুলনা যশোর বরিশাল ও পটুয়াখালীতে ভূমিকম্পের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম।
রাজধানীজুড়ে প্রায় ২১ লাখ ৪৬ হাজার ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নগর সংস্থাগুলো। এসব ভবনের বেশিরভাগই নির্মাণ হয়েছে নিয়মকানুন না মেনে পুরোনো নকশায় বা দুর্বল ভিত্তির ওপর। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে রাজধানীতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে সতর্ক করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুক্রবারের ভূমিকম্প ঢাকা থেকে খুব কাছে ও কয়েক দশকের মধ্যে মাত্রা বেশি হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ কম্পন অনুভব করেছেন এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি ও জাইকার এক যৌথ জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকায় সাত বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হলে শহরের ৭২ হাজার ভবন ভেঙে পড়বে। এছাড়া ১ লাখ ৩৫ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তৈরি হবে সাত কোটি টন কনক্রিটের স্তূপ।
বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান প্লেটে এবং এই প্লেট উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে। সিলেটের উত্তরে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট যেটি দক্ষিণমুখী। এই দুই প্লেট একটি অন্যটিকে চাপ দিচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের পূর্ব দিকে মিয়ানমার সাবপ্লেটেও সাবডাক্ট হয়েছে এবং উত্তরে ডাউকি ফল্ট আছে। পূর্বে মিয়ানমারের সাগাইং ফল্ট ও মধুপুর ফল্ট থাকায় ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম বলেন এবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার একেবারে কাছেই ছিল ফলে অনুভূত হয়েছে অনেক বেশি। চট্টগ্রামের রাঙামাটি বা খাগড়াছড়িতে যদি ৭ মাত্রার ওপরেও ভূমিকম্প হয় তাহলে ঢাকায় এতটা ঝাঁকুনি অনুভূত হয় না। তিনি সতর্ক করে বলেন এই ভূমিকম্পের স্থায়িত্বকাল আর ৫ থেকে ৭ সেকেন্ড বেশি হলেই ঢাকার অনেক ভবনই ধসে পড়ত। এ ধরনের ভূমিকম্পের সম্মুখীন ঢাকা ও আশপাশের এলাকা আগে কখনো হয়নি। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে সাধারণভাবে মনে হতে পারে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প থেকে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প মাত্র এক পয়েন্ট বেশি কিন্তু বিষয়টি মোটেও এমন নয়। ৫ মাত্রার চেয়ে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কম্পনের প্রবণতা ১০ গুণ বেশি। এখানে প্রতিটি ভগ্নাংশ মানে এর তীব্রতা তত গুণ বেশি। ফলে এই ভূমিকম্পের প্রবণতা বা তীব্রতা অন্তত ১০০ কিলোমিটার রেডিয়াসে থাকে।
তিনটি বিশেষ সমঝোতা স্মারক সইয়ের জন্য ঢাকায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার ২২ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং সেই সঙ্গে তাঁকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার।
বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. আসাদ আলম সিয়াম জানান বিমানবন্দরে গার্ড অব অনার গ্রহণ করার পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
তিনি আরও জানান একই দিনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। এরপর দুদেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ যোগাযোগ শিক্ষা কৃষি স্বাস্থ্য জ্বালানি ও বিদ্যুৎ টেলিযোগাযোগ পর্যটন সংস্কৃতি যুব ও ক্রীড়া শিল্পসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করা হবে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন দুদেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ কর্তৃক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপন করার সুযোগ রয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ভুটানকে স্বাস্থ্য শিক্ষা বাণিজ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন কৃষি পর্যটন ও ক্রীড়া বিষয়ক কয়েকটি সহযোগিতার প্রস্তাব দিতে পারে এবং ভুটানে বাণিজ্য সম্প্রসারণ পানি ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশি পেশাদারদের নিয়োগে ভুটান সরকারের সহযোগিতা চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা যায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন বৈঠক শেষে ভুটানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ভুটানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং কৃষি সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়গুলো এখনো আলোচনাধীন। রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর সম্মানে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
সফরের সূচি অনুযায়ী পরদিন ২৩ নভেম্বরে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন।
সেনাকুঞ্জে ড. ইউনূস: “শান্তির দেশ হলেও হুমকি ঠেকাতে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে”
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যেকোনো বহিঃশত্রুর আগ্রাসী আক্রমণ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সকালে ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী অতীতের মতোই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এসেছে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের চলমান উদ্যোগেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপ্রিয় জাতি, তবে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে প্রস্তুত থাকা অপরিহার্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, আনন্দময় ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালাতে হবে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ সুদৃঢ় হবে এবং এ প্রক্রিয়ায় সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরক্ষা উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, ফ্যাসিস্ট শাসনামলে সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি জানান, বর্তমানে ১০টি মিশনে বাংলাদেশি সেনা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষস্থানে রয়েছে এবং কাতার বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষী সদস্য গ্রহণ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বরের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ একত্রে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করেছিলেন। তিনি শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনা, নৌকমান্ডোদের ‘অপারেশন জ্যাকপট’, কিলোফ্লাইটের সফল বায়ু অভিযান—সবই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে।
তরুণদের দেশগঠনে ভূমিকা সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বমানের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত ২০২৪ সালের পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ ও ছাত্র-জনতার প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক দৃষ্টান্তে পরিণত করাই হবে ভবিষ্যতের লক্ষ্য।
পাঠকের মতামত:
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
- ভারতের চিকেন নেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ
- শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে সুদান
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
- কম্পন থামলেও কাটছে না আতঙ্ক বরং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই নতুন বিপদে শিক্ষার্থীরা
- কাগজে কলমে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গাজার বাস্তব চিত্র দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব
- বাংলাদেশিদের নিয়ে যে আবেগঘন গল্প শোনালেন সাদিও মানে
- আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই মৌসুমে দ্বিতীয়বার দলভুক্ত হলেন বাংলাদেশি পেসার
- ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
- সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা ও উপকূল অতিক্রমের সম্ভাব্য সময় নিয়ে নতুন তথ্য
- ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প
- "৫ আগস্টেই শেষ আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি"
- "সরকার গাফিলতি করছে"
- অস্ট্রিচ কেন পাথর খায় কারণ জানলে চমকে যাবেন
- আগ্নিবলয় বনাম খনিজভাণ্ডার: দুই রিং অফ ফায়ারের রহস্য
- শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আইনি উপায় জানালেন শিশির মনির
- আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পের খবর
- প্রচারে গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার বিরল অভিজ্ঞতায় হাদি
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা ও চর্মরোগ এড়াতে যা করা প্রয়োজন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের আগেই নতুন টুর্নামেন্টের ঘোষণা দিল ফিফা
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ছুটির দিনেও ঢাকার রাজপথ ব্যস্ত থাকবে যেসব কর্মসূচিতে
- মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যেতে পারে সালমান খানকে
- অর্থভাগ্য নাকি প্রেম: ২২ নভেম্বর শনিবারের রাশিফল ও নক্ষত্রের অবস্থান
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- সোমবার রাজধানীর বাজার বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?








