জাতীয় ঐকমত্য কমিশন-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০২ ১৭:৩২:৩০
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু

রাজনৈতিক ঐক্য ও সমঝোতার উদ্দেশ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক আজ (সোমবার, ২ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শুরু হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করছেন, যার মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে অংশ নিতে দুপুরের পর থেকে একে একে বৈঠকস্থলে প্রবেশ করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্তত ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা। উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, গণসংহতির জোনায়েদ সাকী, জেএসডির শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের নুরুল ইসলাম নুর।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা এবং আগামী সরকারের কাঠামো ও দায়িত্ব নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা। বৈঠকের শুরুতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক চুক্তি দেখতে চাই, যাতে দেশের মানুষ তাদের মত প্রকাশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগে স্বাধীনতা পায়।”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই উদ্যোগ রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংলাপ শেষে কমিশন একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে, যা নির্বাচন কমিশন, রাষ্ট্রপতি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হবে।


এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১১:৪১:৪১
এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন ঝালকাঠি ১ আসন থেকে এনসিপির সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মাহমুদা মিতু। দিনকয়েক আগেই বেইলি রোডে ওসমান হাদির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল এবং সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে ডা. মিতু জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত হাদি অ্যাসিস্টেড ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তার মানে সে নিজে থেকে শ্বাস নিচ্ছে ব্যাপারটা এমন না বরং সে নিজে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে আর মেশিন সেই শ্বাসকে সাপোর্ট দিচ্ছে। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে ২টা ৪৪ মিনিটে বাসা থেকে বের হয়ে মালিবাগ থেকে ঢাকা মেডিকেল পর্যন্ত ছুটে যাওয়ার বর্ণনা দেন তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন হাদির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে এবং সিপিআর দিয়েও রেগুলার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না।

চিকিৎসকদের তৎপরতার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন জাহিদ স্যার ও আহাদসহ নিউরোলজি ইএনটি এবং থোরাসিক সব টিম এসে ওটি করান। হাদির স্কালের এক সাইডের হাড় খুলে ডিকম্প্রেশন করার সঙ্গে সঙ্গেই স্পন্টেনিয়াস শ্বাস নেওয়া শুরু করে। ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়ে ভেতরের চাপে ব্রেইন টাইট হয়ে ছিল বলে জানান তিনি।

ঢাকা মেডিকেল থেকে এভারকেয়ারে স্থানান্তরের মুহূর্তটি ছিল সবচেয়ে হৃদয়বিদারক। মিতু লেখেন হাদিকে প্রোটোকলসহ এভারকেয়ারে নেওয়া হচ্ছিল। তখন বারবার মনে বলছিলাম কিরে ভাই এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল? এভাবে সবাইকে হারিয়ে দিলি? হাদি দেখ তোর জন্য বাংলাদেশের রাস্তা খালি করে রাখা হয়েছে যাতে এক সেকেন্ড জ্যাম না লাগে। হাসপাতালের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্স বের হওয়ার সময় যেভাবে আল্লাহু আকবর ধ্বনি আসছিল তাতে মনে হচ্ছিল দুনিয়া অন্ধকার হয়ে গেছে।

গত ২৪ নভেম্বরের স্মৃতিচারণ করে মিতু আক্ষেপের সুরে লেখেন আমি সেদিন নান্নু ভাইয়ের জন্য খাবার কিনছিলাম কিন্তু ওরে দুইটা মোমো কেন খাওয়ালাম না। আমাদের এত তাড়া থাকে কেন? হাদির কানে কানে একটা কথাও বলেছিলাম। আমার বর হাদিকে টাকা পাঠাতে চাইল আর পাঠানো হলো না কেন? মানুষ মরণাপন্ন হলেই আমাদের এত মায়া জেগে ওঠে।

সবশেষে ডা. মিতু তাঁর পোস্টে লিখেছেন বাংলাদেশের লাল পতাকাটার মাঝে একটা গুলি করে গেল। আমি বোধহয় আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারব না। পাশে তো অনেকগুলো খাওয়ার স্টল ছিল আমার এখন কেন মনে পড়ল? তোরে আমি কিছু খাইতে সাধি নাই কেন? বাসায় গিয়েই আবার ছবিটা আপলোড দিলি কিন্তু আমার মাথা আর কাজ করছে না।


পদ হারানোর তিন বছর পর মনোনয়ন পেলেন মঞ্জু কিন্তু থামছে না বিরোধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ১১:১৩:৩৩
পদ হারানোর তিন বছর পর মনোনয়ন পেলেন মঞ্জু কিন্তু থামছে না বিরোধ
নজরুল ইসলাম মঞ্জু/ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি খুলনার অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও খুলনা ২ আসনে দেখা দিয়েছে তীব্র অভ্যন্তরীণ সংকট। গত ৩ নভেম্বর দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর খুলনা ২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু মনোনয়ন পেলেও তাঁকে এখনো মেনে নিতে পারেননি মনোনয়ন দৌড়ে থাকা অন্য নেতারা। বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে মঞ্জুকে নিজ অনুসারীদের নিয়ে একাই নির্বাচনী প্রচার চালাতে দেখা যাচ্ছে। নগর থানা এমনকি ওয়ার্ডের নেতাদেরও কেউ এখন পর্যন্ত মঞ্জুর হয়ে প্রচারে নামেননি।

স্থানীয় নেতাদের অনেকের দাবি খুলনা ২ আসনে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তাঁদের অভিযোগ নজরুল ইসলাম মঞ্জু নিজের কিছু অনুসারী নেতার সঙ্গে ক্লাবে বা হোটেলে বৈঠক করলেও এখন পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে যাননি। নির্বাচনী এলাকার দুটি থানা ও ১৬টি ওয়ার্ড কমিটির বর্তমান নেতাকর্মীদেরও তিনি ডাকেননি। এ বিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ বলেন আমরা চেয়েছিলাম তিনি পার্টি অফিসে আসুন এবং আলোচনার মাধ্যমে তাঁর নির্বাচনের দায়িত্ব নেতাকর্মীদের হাতে তুলে দিন কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।

অভ্যন্তরীণ এই বিভেদ কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত খুলনা ২ আসনে বড় ধাক্কার আশঙ্কা করছেন দলের একাংশের নেতারা। তাঁদের ভাষ্য দক্ষিণাঞ্চলের রাজনীতিতে খুলনা ২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই আসন থেকেই ২০০১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া দুবার নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক স্পিকার রাজ্জাক আলী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ছন্দপতন ঘটে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। ওই বছর মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে বাদ পড়েন তিনি এবং পরে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় খুলনার দীর্ঘকালের বিএনপির এই কান্ডারিকে। এরপর থেকে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে রয়েছেন মহানগর বিএনপির দুপক্ষ। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এবং অন্য পক্ষে রয়েছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনা ২ আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মনা ও তুহিনও। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নজরুল ইসলাম মঞ্জুর হাতেই ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলেন দলে কোনো বিভেদ নেই এবং শিগগির সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের প্রার্থীর সঙ্গে মাঠে নামবে। তাঁর বিশ্বাস অতীতের মতো এবারও খুলনার আসনগুলোতে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।

উল্লেখ্য বিএনপি খুলনা ১ ছাড়া বাকি সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন খুলনা ২ আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু খুলনা ৩ এ রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনা ৪ এ আজিজুল বারী হেলাল খুলনা ৫ এ মোহাম্মদ আলী আসগর ও খুলনা ৬ আসনে মনিরুল হাসান বাপ্পী।


অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাঁপছে ভোটের মাঠ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:৩৬:৩৫
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কাঁপছে ভোটের মাঠ
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনের কাঙ্ক্ষিত তপশিল ঘোষণা হলেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। ভোটের মাঠে সন্ত্রাসীদের ছায়ায় নানা স্তরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা অন্যতম শর্ত হলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে সেই গ্রাফটা এখনো নিচের দিকেই রয়েছে। ভয়হীন ভোটের মাঠ তৈরিতে দ্রুতই অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে তাগাদা দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার খোদ রাজধানীতে ফিল্মি স্টাইলে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এর আগে গত মাসেই চট্টগ্রামে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর জনসংযোগে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব সন্ত্রাসী ঘটনায় প্রার্থীদের স্বাভাবিক প্রচার প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটবে এবং সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কে থাকবেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন শুরুতেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক না রাখতে পারলে দিনে দিনে নির্বাচনী মাঠে তা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়তে পারে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের বা বিআইপিএসএস সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ন ম মুনীরুজ্জামান বলেন এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অবশ্যই নির্বাচনের পরিবেশের ওপর বিরূপ ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ের সতর্ক হওয়া উচিত ছিল কিন্তু সেই ধরনের তৎপরতা আমরা দেখতে পাইনি। অস্ত্র উদ্ধারে বড় ধরনের অপারেশন বা দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বা আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকতে হয়। বর্তমানে খুব একটা খারাপ নেই আবার খুব ভালোও নেই। তবে তপশিলের পর একজন প্রার্থীর ওপর এমন ঘটনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি মনে করেন জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দুর্বৃত্তরা আরও উৎসাহিত হবে।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গত কয়েক মাসে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ২৯৭টি খুনের মামলা হলেও অক্টোবরে তা বেড়ে ৩২০টিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ২৩টি খুনের মামলা বেশি হয়েছে। এছাড়া ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঊর্ধ্বমুখী। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খুনের মামলা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোর মধ্যে অক্টোবরে ঢাকায় ২২টি এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় ১১টি হত্যা মামলা হয়।

গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের চিত্রও বেশ ভয়াবহ। গত ৫ নভেম্বর টেকনাফে বিএনপি নেতার লাশ উদ্ধার ৬ নভেম্বর খুলনায় প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকার আদালত চত্বরে ফিল্মি স্টাইলে গুলি করে হত্যা এবং ১১ নভেম্বর গুলশানে ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং ১ ডিসেম্বর জুরাইনে গুলি করে হত্যা করা হয় আরেক ব্যক্তিকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায় গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন থানা ফাঁড়ি ও পুলিশ স্থাপনা থেকে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়ে যায়। অবৈধ এসব অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চললেও পুরোপুরি সফলতা আসেনি। এখনো বিভিন্ন ধরনের ১ হাজার ৩৪০টি অস্ত্র ও ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৮০টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা যায়নি যা নির্বাচনের আগে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ভোটের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং শিগগির বড় ধরনের অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

সূত্র:কালবেলা


নির্বাচন ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের কাছে মির্জা ফখরুলের  জরুরি বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:২৯:৫৬
নির্বাচন ও প্রার্থীর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের কাছে মির্জা ফখরুলের  জরুরি বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন নির্বাচনের প্রার্থী থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জান মাল রক্ষা সরকারের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। এ জন্য দরকার পড়লে অন্তর্বর্তী বিশেষ নিরাপত্তা সেল তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই পরামর্শ দেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল বলেন গতকাল ঢাকা ৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়া একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পরের দিনেই এ ঘটনা জাতিকে অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সরকার অতিদ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করবে এবং সর্বাগ্রে হাদির সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে।

দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব বলেন আমি সব দলের নেতাকর্মীদের অনুরোধ করছি ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। যে কোনো প্রকার মব ভায়োলেন্স অগ্রহণযোগ্য এবং কোনো হঠকারিতাই কাম্য নয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন আগামী দুই মাস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্বাচনের প্রার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের আবশ্যিক দায়িত্ব।

স্ট্যাটাসের শেষের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন আমরা গতকাল একটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছি যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরছেন আগামী ২৫ ডিসেম্বর। বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও জাতির জন্য এটি একটি বিশেষ দিন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন যেন নিরাপদ হয়। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের সামনে সুন্দর সময় অপেক্ষা করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন।


ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৮:২১:৪১
ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ
হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত। ছবি : সংগৃহীত।

রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি। এরইমধ্যে হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ এবং যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

কমিশনার জানান ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং যেকোনো সময় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের কাজ পুরোদমে চলছে। এর আগে হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা অথবা ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। ডিএমপি এই ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও স্থানগুলোতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার মতো এই হামলার ঘটনায় জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

এ ঘটনায় নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বা আইসিইউতে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ২২:১১:০২
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আবেগ কাজ করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে বরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থেকেও তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এবার সরাসরি দেশে ফিরে তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি লন্ডনেই অবস্থান করেন। প্রায় দুই দশক পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিএনপির রাজনীতিতে বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রফিক


শরিফ ওসমান হাদী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামছে বিএনপি 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:৩০:২৪
শরিফ ওসমান হাদী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামছে বিএনপি 
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ওপর পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক সহিংসতা চালানো হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ ভেঙে দেওয়া।

রিজভী জানান, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীকে গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বলে দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশার অংশ। একই ধরনের সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে তিনি দেড় মাস আগে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাও উল্লেখ করেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্যও মারাত্মক হুমকি। তাই বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানাবে।

দলীয় ঘোষণায় জানানো হয়, শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করবে। শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

-শরিফুল


শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:২৪:৩৬
শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার ষষ্ঠ দিনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই তিনি এই নিন্দা জানান। বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, রাজধানীর পল্টন এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে তিনি নৃশংস ও গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তির ওপর এমন সহিংস হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্রদলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

তারেক রহমান আরও বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদী। ঘটনার পর তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।

-রফিক


চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:১৬:৫৮
চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান বিন হাদীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে এবং বর্তমানে তিনি গভীর অচেতন অবস্থায় রয়েছেন, যা চিকিৎসা পরিভাষায় কোমা হিসেবে বিবেচিত হয়।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে আহত অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা এবং তাঁর সমর্থকেরা হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।

ঢামেক হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেওয়া একজন প্রার্থীর ওপর এমন হামলা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি পুরো আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

আজকের টাকার রেট জানুন এক নজরে

আজকের টাকার রেট জানুন এক নজরে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রেফারেন্স অনুযায়ী শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মুদ্রার হালনাগাদ বিনিময় হার... বিস্তারিত

৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির

৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (SALVO)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোম্পানির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক... বিস্তারিত