যে ৬টি উপকারিতা সকালে খালি পেটে বিটরুট জুস খেলে পাবেন

সকালে ঘুম থেকে উঠে কী পান করছেন আপনি? চা? কফি? শুধু এক গ্লাস পানি? যদি এখনো আপনার রুটিনে বিটরুটের রস না থাকে, তাহলে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন এক অসাধারণ সুপারফুডের থেকে- যা শুধু শরীর নয়, মনকেও করে তোলে সতেজ ও কর্মক্ষম।

বিটরুট শুধু একটি সবজি নয়, বরং একেবারে প্রাকৃতিক শক্তির ভাণ্ডার। বিশেষ করে যদি আপনি এটি পান করেন খালি পেটে, তাহলে এর উপকারিতা হয়ে উঠতে পারে চমকে দেওয়ার মতো। দেখে নেওয়া যাক সকালে খালি পেটে বিটরুট জুস খাওয়ার ৬টি বড় উপকারিতা:-

এনার্জির পাওয়ারহাউজ: অলসতা দূর করে চনমনে দিন

সকালের ক্লান্তি বা ঝিমুনি কাটাতে চাইলেই পান করুন এক গ্লাস বিটরুটের রস। এতে থাকা প্রাকৃতিক সুগার খুব দ্রুত হজম হয়ে শরীরকে সরবরাহ করে প্রয়োজনীয় শক্তি। ফলে দিন শুরু হয় চনমনে ভাব আর ফোকাস নিয়ে।

হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে

বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক নাইট্রেট উপাদান রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। নিয়মিত পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায় — বিশেষ করে যারা প্রেশারের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক কার্যকর প্রাকৃতিক সমাধান।

হজমে স্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্যে মুক্তি

ফাইবারে পরিপূর্ণ বিটরুট পরিপাকতন্ত্রকে রাখে কর্মক্ষম ও পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস রস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস-অম্বল বা ফোলাভাবের মতো সমস্যাগুলো কমে যেতে পারে চোখে পড়ার মতো।

লিভার ডিটক্সের প্রাকৃতিক উপায়

রাতে ভারী খাওয়ার পর লিভার ক্লিনজের কথা ভাবছেন? বিটরুটের ‘বেটালেইনস’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে দারুণ কাজ করে। নিয়মিত পান করলে লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ে।

রোগ প্রতিরোধে প্রাকৃতিক ঢাল

ভিটামিন C, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বিটরুট শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করে তোলে। সর্দি-কাশি, জ্বর কিংবা ঋতু পরিবর্তনের অসুখ—সবকিছু থেকে থাকতে পারেন নিরাপদ।

ত্বক ও চুলেও আসে জেল্লা

রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে বিটরুটের রস ত্বকে আনে লালচে আভা, কমায় ব্রণ ও র‍্যাশ। পাশাপাশি চুল হয় আরও বেশি ঘন, চকচকে ও শক্তিশালী। বিউটি-টনিক খুঁজছেন? বিটরুটেই মিলবে সমাধান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বিটরুটের রস খাওয়ার পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাস ও হালকা ব্যায়াম পালন করলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য আরও দৃঢ় হয়। তবে যারা কিডনির সমস্যা বা অক্সালেট স্টোনে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।