ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার যুগ শুরু!

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৯ ১২:১০:৪৪
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার যুগ শুরু!

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআবি) অধীনে প্রথমবারের মতো এমফিল (Master of Philosophy) ও পিএইচডি (Doctor of Philosophy) ডিগ্রি চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর ফলে দেশের ফাজিল ও কামিল পর্যায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের জন্য গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে যাচ্ছে।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩নং ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণা পরিচালনা কমিটির প্রথম সভা থেকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ঘোষণা আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘এমফিল ও পিএইচডি প্রবিধান (নীতিমালা) ২০২৩’ অনুসারে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান নিশ্চিত করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই এই দুই উচ্চতর ডিগ্রির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

সভায় উপাচার্য ড. শামছুল আলম বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করবো। দেশের কামিল ও ফাজিল পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও জানান, বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ গবেষকদের পরামর্শ গ্রহণ করে গবেষণার মান ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা হবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু মাদরাসা শিক্ষার্থীরাই নয়, ইসলামি ও আরবি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী যেকোনো স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী গবেষণার সুযোগ পাবেন। একাডেমিক ও গবেষণাধর্মী পরিবেশ তৈরিতে এই পদক্ষেপ ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের পথ দেখাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক আবু জাফর খান, কামিল শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওলী উল্লাহ, ফাজিল গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাযাআত উল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার আইয়ুব হোসেন, ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দেশের মাদরাসাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন মাত্রা দেবে এবং গবেষণাধর্মী জ্ঞানচর্চায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।


৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৭:২৭:৫১
৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিতরণ শুরু হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে বলে বোর্ডের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার পরিদর্শক ড. মো. মাসুদ রানা খানের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা দিনে কার্ড বিতরণ করা হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হয়।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ নভেম্বর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা হবে। ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ, ৬ নভেম্বর নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ, ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা ও মাদারীপুর, ৯ নভেম্বর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী, ১০ নভেম্বর গাজীপুর ও ফরিদপুর এবং ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হবে। সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বাকি জেলার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিতরণকৃত কার্ডে কোনো ভুল, যেমন শিক্ষার্থীর নাম, জন্মতারিখ, প্রতিষ্ঠান কোড বা অন্যান্য তথ্যগত ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধনের আবেদন ২০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হলে সংশোধনের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।

আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্বীকৃতি বা সর্বশেষ স্বীকৃতি নবায়নের কপি ও কমিটি অনুমোদনপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সংশোধন আবেদনের প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাগজপত্রসহ সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা এখনো নবায়ন করা হয়নি, তাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি নবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বীকৃতি নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না।

একই সঙ্গে বোর্ড সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ না করলে বা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একাডেমিক রেকর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কার্ড সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়।


ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৫:৫১:৩০
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। Global Sociology and Decolonization Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।

এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।

সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনিThe Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”

তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”

প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”

তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”

প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”

তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”

সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।

অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।


কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০১ ১৪:১৫:২৯
কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
ছবিঃ সংগৃহীত

যেকোনো নতুন ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো—বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা ইংরেজি শেখার শুরু করি ব্যাকরণের জটিল নিয়মকানুন দিয়ে। এই ভুল পদ্ধতির কারণেই দীর্ঘদিন পড়ার পরও অধিকাংশ মানুষ ভালো করে ইংরেজি বলতে বা বুঝতে পারেন না। ফলস্বরূপ, বলা, শোনা বা লেখায় কমবেশি জড়তা থেকেই যায়।

শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা অভিভাবক—আপনি যে-ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে কঠিন ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারির মারপ্যাঁচ ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে অনায়াসে ইংরেজি বলা শেখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।

পুরাতন পদ্ধতিকে বিদায়

বাজারের ১০ দিনে, ৩০ দিনে বা ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, সেগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ, এই ধরনের বই কেনা হলেও নিয়মিত খোলা হয় না।

স্পোকেন ইংলিশের কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ, দেখা যায় অনেকে ভর্তি হলেও নিয়মিত কোচিংয়ে যান না, আর গেলেও খুব বেশি কার্যকর ফল পান না।

শিশুদের মতো করে শিখুন

মানুষ যেকোনো ভাষায় প্রথমে বলতে ও শুনতে শেখে, লিখতে ও পড়তে শেখে পরে। শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে—দেখা, শোনা ও বলার মাধ্যমে। একটি শিশুকে যে ভাষার পরিবেশে রাখা হবে, সে সেই ভাষাই দ্রুত শিখে যায়। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ইংরেজি শেখা শুরু করুন।

আপনার হাতে থাকা মুঠোফোন, আইপ্যাড বা ইন্টারনেট সংযোগকে কাজে লাগান। প্রতিদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে অন্যান্য ভিডিও দেখে যে সময় ব্যয় করেন, আজ থেকে টানা ৩০ দিন সেই সময়টা শুধু ইংরেজি শেখায় দিন।

কার্যকর কৌশল ইউটিউব শো

ইংরেজি শেখার জন্য ইউটিউবে শিশুদের উপযোগী শিক্ষামূলক শো দেখা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এই শো গুলো শিশুদের জন্য তৈরি হলেও, এটি ইংরেজি শেখা শুরুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।

ইউটিউবে ‘Blippi’ লিখে সার্চ দিন। ইংরেজি একদম না বুঝলেও এই চ্যানেল দেখে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আপনার বাসায় শিশু-কিশোর থাকলে, তাকে নিয়ে একসঙ্গে দেখুন।

Blippi ছাড়াও Dora the Explorer, Daniel Tiger’s Neighborhood, Sesame Street, Peppa Pig -এর মতো শিক্ষামূলক শো দেখতে পারেন।

এই শিশুদের শো-গুলো গল্পভিত্তিক হওয়ায় এগুলোতে আনন্দ, আবেগ ও চমৎকার গ্রাফিক্যাল ভিডিও থাকে। এগুলো দেখলে আপনি ছবি, রং এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই শব্দের মিল তৈরি করে দ্রুত ভাষা শিখতে পারবেন।

প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে টানা ৩০ দিন এই শো গুলো দেখলে আপনি সহজেই অনেক ইংরেজি শিখে ফেলবেন। আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দেখলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। অবাক হয়ে দেখবেন, আপনার শিশু আপনার চেয়েও দ্রুত ইংরেজি শিখে ফেলছে।

এই কাজটি শুরু করুন। এবং আজই!

সূত্র : প্রথম আলো


জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩১ ১১:০২:১০
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম জরুরি দাবী। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সতর্কবার্তা দেন, যদি এটি বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ ফের ফিরে যাবে ‘শেখ হাসিনার আমলের পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায়’, যা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করবে।

ড. গালিব বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। যদি আমরা এটিকে স্থগিত রাখি, তাহলে হাসিনার আমলের সিস্টেম আবার কার্যকর হবে। এই সিস্টেমে তিনি দাবি করতে পারবেন যে, তিনি নিজে কোনোভাবে অবৈধ ছিলেন না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেটিই অবৈধ ছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটি হতে হবে জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন, যা অর্জনের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো গণভোট।

ড. গালিব আরও বলেন, গণভোটের ফলাফলের রায় পরবর্তী সংসদকে বাধ্যবাধক বা বাইন্ডিং করতে হবে। নতুন সংসদকে অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বলেন, “এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসাথে হবে—এটি মূল বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় আনা।”

তিনি আরও প্রস্তাব করেন, সনদের যেসব বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলো একক প্যাকেজে গণভোটের মধ্যে আনা হোক। এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো আলাদা প্যাকেজে গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। দুইটি পৃথক প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে পারবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

ড. মির্জা গালিব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি মনে করান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থায়িত্বের জন্য সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য এবং এটি জনগণের ঐকান্তিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১১:২৪:৪৭
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয়ের জন্য ১৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ বরাদ্দের তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের চিঠিতে বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়। তবে, কোনো অব্যয়িত অর্থ থাকলে তা ২০২৬ সালের ৩১ মে’র মধ্যে ফেরত দিতে হবে।

চিঠিতে আরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট, ফ্যাক্স ও টেলেক্স খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা হারে ইন্টারনেট বিল বহন করতে হবে। একইভাবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে মাসিক ৫০০ টাকা ব্যয় করতে হবে।

যেসব শিক্ষক মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সরকারি কাজে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেন, তাদের সরকারি বিধি মোতাবেক ভ্রমণ ব্যয় প্রদানের সুযোগ থাকবে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিচালন বাজেটের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও বরাবর বরাদ্দ ও মঞ্জুরি প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপিইও/টিপিইও-এর আয়ন-ব্যয়ন কর্তকর্তাকে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ শুধুমাত্র সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে, এবং কোনো প্রকার অনিয়মিত ব্যয়ের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা।

এই বরাদ্দের মাধ্যমে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক কার্যক্রমের ব্যয় পূরণ করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বচ্ছ ও নিয়মমাফিক অর্থ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

-রফিক


সিনিয়র প্রভাষকের কাছে নারী শিক্ষার্থীর গোপন ছবি পাঠানোর অভিযোগে তোলপাড় বাকৃবি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১১:৪৬:৫৬
সিনিয়র প্রভাষকের কাছে নারী শিক্ষার্থীর গোপন ছবি পাঠানোর অভিযোগে তোলপাড় বাকৃবি
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে অসদাচরণের অভিযোগের কারণে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নিয়মিতভাবে সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে তা এক সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠাতেন।

ঘটনার তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর, সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা বিভাগীয় শিক্ষক ও অনুষদের ডিন ড. মো. আবদুল মজিদ-কে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, ডিন তদন্তের দায়িত্ব দেন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষককে।

পরদিন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর), শিক্ষার্থীরা ডিনের সঙ্গে বৈঠক করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সম্প্রতি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের স্নাতক শেষ করেছেন। ছবিগুলো গ্রহণকারী ব্যক্তি একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।

ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ নিশ্চিত করেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ আনার পর অভিযুক্তের মোবাইল পরীক্ষা করা হয় এবং ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিক্ষার্থী স্বীকার করেছেন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলে তা সিনিয়র সহপাঠীর কাছে পাঠিয়েছেন। এই মোবাইল ফোন বর্তমানে সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত, এবং বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত প্রভাষকও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ছবিগুলো সংরক্ষণ করিনি, কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।”

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, ইন্টার্নশিপ চলাকালে তার সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করেছিলেন। পরে তারা নিশ্চিত হন যে, তিনি সহপাঠী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলছেন। প্রমাণ পাওয়ার পর বিষয়টি তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের জানান এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত ও প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটি-র মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে অনুসন্ধান করা হবে।

প্রশাসন আরও সতর্ক করেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। অনুরূপ ঘটনা পুনরাবৃত্তি হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

-রাফসান


ঢাবি ভর্তি যোগ্যতা ও কেন্দ্রসমূহ প্রকাশ

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৯ ১১:৩৩:১৪
ঢাবি ভর্তি যোগ্যতা ও কেন্দ্রসমূহ প্রকাশ
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া আজ (২৯ অক্টোবর) থেকে অনলাইনে শুরু হয়েছে। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ১৬ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত স্থির করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বছরও ভর্তি পরীক্ষা পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে, যা হল—কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, চারুকলা ইউনিট এবং আইবিএ ইউনিট।

ঢাবির সাধারণ ভর্তি কমিটির ১৪ অক্টোবরের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুবিধা ২৪ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হবে। ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৮ নভেম্বর আইবিএ ইউনিট দিয়ে এবং শেষ হবে ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞান ইউনিটের মাধ্যমে।

পরীক্ষার সময়সূচি

ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষার দিন ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে নিম্নরূপ—

  • আইবিএ ইউনিট: ২৮ নভেম্বর
  • চারুকলা ইউনিট: ২৯ নভেম্বর
  • ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: ৬ ডিসেম্বর
  • কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: ১৩ ডিসেম্বর
  • বিজ্ঞান ইউনিট: ২০ ডিসেম্বর

আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২:৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রসমূহ

চারুকলা ইউনিট ও আইবিএ ইউনিট ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় কেন্দ্রগুলো হলো—রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার ধরন ও নম্বর বণ্টন

ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর পরীক্ষা এবং ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রদান করা হবে।

পরীক্ষার ধরন ইউনিট অনুযায়ী আলাদা করা হয়েছে—

চারুকলা ইউনিট: ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা। এমসিকিউতে ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষায় ৬০ মিনিট সময় নির্ধারিত।

অন্যান্য ইউনিট: ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রত্যেকের জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ।

ভর্তিচ্ছুদের যোগ্যতা

ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের অবশ্যই ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং ২০২৫ সালের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ইউনিট অনুযায়ী ন্যূনতম যোগ্যতার মানদণ্ড হলো—

বিজ্ঞান ইউনিট:

  • এসএসসি ও এইচএসসি/সমমানের মোট জিপিএ ন্যূনতম ৮.০০, পৃথকভাবে অন্তত ৩.৫০।
  • কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
  • ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৭.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
  • চারুকলা ইউনিট: মোট জিপিএ ন্যূনতম ৬.৫০, পৃথকভাবে ৩.০০।
  • আইবিএ ইউনিটের জন্য বিশেষ যোগ্যতা ও দক্ষতা যেমন ইংরেজি ভাষা, যৌক্তিক বিশ্লেষণ ও সাধারণ জ্ঞান যাচাই করা হবে।

ভর্তি প্রক্রিয়ার বিশেষ দিক

ঢাবি সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষা এবারও বিভাগীয় শহরে কেন্দ্রীভূতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও খরচ কমাবে। ভর্তি পরীক্ষা আরও স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে নেওয়া হবে। বিশেষভাবে ডিজিটাল স্ক্যানিং ও ফলাফল যাচাই ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করা হয়েছে।


শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা, কিন্তু কবে হবে জানেন কি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১২:৪১:২৪
শিক্ষক নিয়োগে বড় ঘোষণা, কিন্তু কবে হবে জানেন কি
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। সারা দেশে বর্তমানে ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান সোমবার মিরপুরে অধিদপ্তরের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মহাপরিচালক জানান, “শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা হাতে পেলেই আমরা শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। আশা করি, আগামী নভেম্বর মাসে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।” তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষকদের জন্য ইতোমধ্যেই ১০ম গ্রেডের পদ ঘোষণা করা হয়েছে এবং দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, বর্তমানে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে এবং এটি পে কমিশনে আলোচনার বিষয় হয়েছে।

মহাপরিচালক শামসুজ্জামান উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশের ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষক চলতি দায়িত্বে অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। শূন্য পদ থাকলেও একটি চলমান মামলার কারণে তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, মামলার রায় শীঘ্রই আসার ফলে এই প্রধান শিক্ষকদের পদ পূরণ করা সম্ভব হবে এবং এরপর ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদে নতুন নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা মান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও জোর দেওয়া হচ্ছে। মহাপরিচালক জানান, “শিক্ষকদের লিডারশিপ ট্রেনিংসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া আরও ইনক্লুসিভ করার জন্য আমরা কাজ করছি।” এছাড়া প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করাও চলমান উদ্যোগের অংশ। আগে ক্ষুদ্র মেরামত বা স্লিপের জন্য প্রধান শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা খরচ করতে পারতেন, যা সম্প্রতি তিন লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে নির্মাণ ও মেরামতের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেন, “আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে জরাজীর্ণ কোনো স্কুল থাকবে না। আমরা নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”

এভাবে, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, নতুন শিক্ষক নিয়োগ এবং প্রধান শিক্ষকদের ক্ষমতা বৃদ্ধি একসাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

-শরিফুল


বিদেশিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কৌশল: এসওপি কী, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২৬ ২১:০৫:৩২
বিদেশিদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কৌশল: এসওপি কী, কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তির আবেদনের জন্য ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’ (এসওপি) বা অভীষ্ট লক্ষ্যের বিবৃতি লেখা অপরিহার্য। এসওপি-তে আপনি কেন পড়তে চান, কী গবেষণা করবেন এবং কীভাবে সেই গবেষণার সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন—এসবের উত্তর গুছিয়ে লিখতে হয়। এসওপি-র মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীর আগ্রহ, অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন।

কার্যকর এসওপিতে যা যা থাকবে

দারুণ একটি এসওপি উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে অত্যন্ত কার্যকর। তবে এসওপি কখনোই হুবহু অনুকরণ করে লেখা ঠিক নয়, কারণ এতে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়।

পরিষ্কার উদ্দেশ্য: একটি কার্যকর এসওপিতে পরিষ্কারভাবে আপনি কোন বিষয়ে পড়বেন এবং এই শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে আপনার প্রত্যাশা কী, তা লিখতে হবে।

সুনির্দিষ্ট আগ্রহ: আপনাকে অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন বিষয় আপনার আগ্রহ তৈরি করে, তা লিখতে হবে। আপনার আগ্রহের চিত্র অস্পষ্ট হলে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে।

গবেষণার অভিজ্ঞতা: থিসিস গবেষণা, বিভিন্ন প্রকল্প, প্রকাশিত নিবন্ধ, প্রেজেন্টেশন এবং যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত ধারণা গল্পের মতো করে লিখতে হবে।

যোগাযোগের সূত্র: এসওপির গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন গবেষণা বা বিভাগের জন্য উপযুক্ত, তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।

এসওপি তৈরির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও সতর্কতাভুল পরিহার: ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকলে সতর্কতার সঙ্গে লিখতে হবে। অস্পষ্ট শব্দ, মিথ্যা বা বানিয়ে লেখা এবং কঠিন বা অপ্রচলিত ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা পরিহার করতে হবে।

পরিমার্জন: এসওপি লেখা শেষে কয়েকবার রিভিশন দিন। অভিজ্ঞ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেকদের এসওপি দেখে নির্দেশনা নেওয়া যেতে পারে।

এআইয়ের ব্যবহার: চ্যাটজিপিটি বা জেমিনির মতো এআই প্ল্যাটফর্মগুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে, তবে হুবহু কপি–পেস্ট করা ঠিক হবে না।

বাড়ির কাজ (প্রস্তুতি): এসওপি লেখার আগে দুটি পৃষ্ঠায় আপনার যোগ্যতা, আগ্রহ, গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্যতা লিখে ফেলুন। এই দুটি পৃষ্ঠার মধ্যে সংযোগ করে একটি চিত্র তৈরির চেষ্টা করুন, যা আপনার অভিজ্ঞতা ও পথনির্দেশনা তুলে ধরবে।

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত