ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে ইন্দোনেশিয়া: শর্ত কি?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৮ ১৮:১২:৩৪
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে ইন্দোনেশিয়া: শর্ত কি?

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত—তবে এক শর্তে: ইসরায়েলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।

বুধবার (২৮ মে) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই ঐতিহাসিক অবস্থানের কথা। ইন্দোনেশিয়ার সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, “দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে সম্মান করি, তবে শান্তি আনতে হলে প্রথমে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।”

এই ঘোষণা তিনি দেন জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়া সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর পাশে দাঁড়িয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় তিনি ফ্রান্সের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি উদ্যোগের ভূমিকাকেও স্বাগত জানান।

ইন্দোনেশিয়ার ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং দেশটি বরাবরই ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থান নিয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট প্রাবোওর এই শর্তযুক্ত ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা কূটনৈতিকভাবে একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন।

বিশ্বে বর্তমানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে এক ধরনের ঢেউ তৈরি হয়েছে। ফ্রান্স, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং মাল্টা সম্প্রতি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০১৪ সালে সুইডেন প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁও গত মাসে বলেছেন, “ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এসেছে। জুন মাসেই ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই স্বীকৃতি কার্যকর হতে পারে।” সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা শান্তির পথ রচনা করতে চায়।

বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষ এবং নাগরিক সমাজ থেকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে জোরালো চাপ দেখা যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান সেই বিশ্ব জনমতের প্রতিফলনই তুলে ধরেছে। এর মাধ্যমে, মুসলিম বিশ্বের বৃহৎ রাষ্ট্র হিসেবে ইন্দোনেশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, “শান্তির বিনিময়ে সম্পর্ক—শর্তহীন নয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, প্রাবোওর এই ঘোষণা ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়াবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হতে পারে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ: বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে, এবং এই পরিবর্তনটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।... বিস্তারিত