নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল এই তথ্য জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রপাতের কারণে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও পুরোনো দালান ধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি ধসে পড়ায় এবং অনিরাপদ স্থানে অবস্থান করার কারণে। পাঞ্জাব প্রদেশে একটি স্থানীয় কারখানার ছাদ ঝড়ে ভেঙে পড়লে একজন শ্রমিক নিহত হন এবং আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হন বলে নিশ্চিত করেছে সরকারি টেলিভিশন পাকিস্তান টেলিভিশন (PTV)।
এছাড়া বজ্রপাতে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ঝড়-বৃষ্টিতে অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পুরনো অবকাঠামো ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল পাঞ্জাবের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (PDMA)। গত শুক্রবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানায়, পাঞ্জাবের বিভিন্ন এলাকায় ধুলিঝড়, বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। একইসঙ্গে তারা জনগণকে খোলা জায়গা এড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় এমন চরম আবহাওয়ার ঘটনা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে দুর্বল অবকাঠামো ও প্রস্তুতির ঘাটতির কারণে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।