ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৮:২১:৪১
ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ
হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত। ছবি : সংগৃহীত।

রাজধানীর বিজয়নগরে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ বা ডিএমপি। এরইমধ্যে হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে পুলিশ এবং যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

কমিশনার জানান ওসমান হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং যেকোনো সময় তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের কাজ পুরোদমে চলছে। এর আগে হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানা অথবা ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী কয়েকজন দুর্বৃত্ত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। ডিএমপি এই ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও স্থানগুলোতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করা হয় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ঘটনার মতো এই হামলার ঘটনায় জড়িতদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

এ ঘটনায় নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা এবং নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বা আইসিইউতে তাঁর চিকিৎসা চলছে।


২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ২২:১১:০২
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখবেন। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আবেগ কাজ করছে। বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে বরণ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ আন্দোলনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থেকেও তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এবার সরাসরি দেশে ফিরে তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে কারামুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি লন্ডনেই অবস্থান করেন। প্রায় দুই দশক পর তার এই প্রত্যাবর্তনকে বিএনপির রাজনীতিতে বড় একটি ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রফিক


শরিফ ওসমান হাদী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামছে বিএনপি 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:৩০:২৪
শরিফ ওসমান হাদী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামছে বিএনপি 
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ওপর পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক সহিংসতা চালানো হচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ ভেঙে দেওয়া।

রিজভী জানান, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীকে গুলি করে গুরুতর আহত করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বলে দলীয়ভাবে জানানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং একটি সুপরিকল্পিত নীলনকশার অংশ। একই ধরনের সহিংসতার উদাহরণ হিসেবে তিনি দেড় মাস আগে চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা এরশাদুল্লাহর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাও উল্লেখ করেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের আক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এসব হামলার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য নয়, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্যও মারাত্মক হুমকি। তাই বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ জানাবে।

দলীয় ঘোষণায় জানানো হয়, শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করবে। শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

-শরিফুল


শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:২৪:৩৬
শরিফ হাদীর ওপর হামলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তারেক রহমানের
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক আলোচনার ষষ্ঠ দিনের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতেই তিনি এই নিন্দা জানান। বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, রাজধানীর পল্টন এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে তিনি নৃশংস ও গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশ ও গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তির ওপর এমন সহিংস হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্রদলসহ বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান, যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

তারেক রহমান আরও বলেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এতে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক বার্তা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদী। ঘটনার পর তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন।

-রফিক


চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৮:১৬:৫৮
চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান বিন হাদীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে এবং বর্তমানে তিনি গভীর অচেতন অবস্থায় রয়েছেন, যা চিকিৎসা পরিভাষায় কোমা হিসেবে বিবেচিত হয়।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে আহত অবস্থায় শরিফ ওসমান বিন হাদীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট এলাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদীর ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয়ের অস্ত্রধারীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা এবং তাঁর সমর্থকেরা হাসপাতালে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।

ঢামেক হাসপাতালের সামনে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা জানান, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেওয়া একজন প্রার্থীর ওপর এমন হামলা শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং এটি পুরো আন্দোলন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

-রাফসান


ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১৬:০৪:০৭
ইনকিলাব মঞ্চের ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসন থেকে প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে তিনি আহত হন। পরে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনাটি নিশ্চিতভাবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা এবং প্রার্থীর শারীরিক অবস্থা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করতে থাকেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে চড়ে আসা দুর্বৃত্তরা হাদির অবস্থান শনাক্ত করে। তাদের একটি মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। হামলার পর তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।

পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখনো কোনো গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা যায়নি। কর্তৃপক্ষ হামলার যথাযথ তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে।


যে আসনের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১২:৩২:৩১
যে আসনের প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, দলীয় পরিচয়ের বাইরে থেকে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন।

ভিডিও বার্তায় আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনীতিতে যে নতুন প্রত্যাশা ও গণআকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, সেটির প্রতিনিধিত্ব করতেই তিনি সরাসরি জনগণের রায়ে নিজেদের অবস্থান যাচাই করতে চান। তাঁর ভাষায়, এই নির্বাচন কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং একটি প্রজন্মের রাজনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিফলন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের শুরুতেই তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা তরুণ নেতৃত্বকে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার একটি ব্যতিক্রমী নজির হিসেবে বিবেচিত হয়।

দায়িত্বকালে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বও তাঁর ওপর ন্যস্ত ছিল।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত হয়।

-শরিফুল


বিএনপি ধর্মের নামে বিভাজন চায় না: সালাহউদ্দিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ১১:৪৩:৫৫
বিএনপি ধর্মের নামে বিভাজন চায় না: সালাহউদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বা ধর্মের নামে সমাজে বিভাজন তৈরি করা বিএনপির অবস্থান নয়। তার মতে, দেশের কিছু রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে বিএনপিবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে, যা রাজনৈতিকভাবে অসৎ ও বিভাজনমূলক। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘বিএনপির দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক ধারাবাহিক কর্মসূচির ষষ্ঠ দিনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, একাত্তরের চেতনা নিয়ে যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ব্যবসা করতে চেয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত জনসমর্থন হারিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় সম্পদে পরিণত করা সঠিক ছিল না এবং এর ফলে জাতীয় ইতিহাসের একটি মহান অধ্যায় দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ঘটে যাওয়া ‘হত্যাযজ্ঞ, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও গণতন্ত্রহীনতা’ দেশবাসীর স্মৃতি থেকে মুছে ফেলার সুযোগ নেই, কারণ এগুলো দেশের রাজনৈতিক সংকটের গভীর মূল তুলে ধরে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির কৌশল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, দলটি আবেগের জায়গা থেকে নয়, বরং সুস্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোতে চায়। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান কোনো স্বল্পমেয়াদি আন্দোলনের ফল নয়; বরং এটি দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের সংগ্রামের সংকুচিত প্রতিফলন, যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষোভের সঞ্চিত শক্তি একীভূত হয়েছিল।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতরে যে মানসিক দ্বিধা দেখা গেছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে ভারাক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নানা পক্ষকে শেষ পর্যন্ত এটি স্বাগত জানাতে হয়েছে। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নির্বাচনই একমাত্র কার্যকর পথ, এবং বিএনপিও সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করে দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকতে চায়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশ বিভাজনমুখী রাজনীতি নয়, বরং সমন্বিত পরিকল্পনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এগোলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব।

-রফিক


কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২০:২০:৫৩
কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে নাটকীয় মোড় নিয়েছে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতি। মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাফনের কাপড় পরিধান করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন উপজেলা ও পৌর বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী। বাউফল পৌর শহরের পাবলিক মাঠ সংলগ্ন উপজেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া এই মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর ঘোষিত বিএনপির ৩৬ আসনের প্রার্থী তালিকায় পটুয়াখালী-২ আসনে সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মনোনয়নবঞ্চিত নেতা মুনির হোসেন ও একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদারের অনুসারীরা। প্রথমে সড়ক অবরোধ, পরে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল—এবার তারা কাফনের কাপড় পরে রাজপথে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, মনোনীত প্রার্থী দীর্ঘ ১৬ বছর স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং অতীতে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থীর জন্য কাজ করেছিলেন। তাদের দাবি, এমন প্রার্থীকে তৃণমূল কোনওভাবেই মেনে নেবে না।

মিছশেষ সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দিতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মৃধা বলেন, “যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরও প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন দলের আন্দোলন-সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি। তৃণমূল তাকে গ্রহণ করবে না। আমরা মনোনয়ন অবিলম্বে বাতিল চাই।”

ফারুক আহমেদের অনুসারী পৌর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ পলাশ বলেন, “যার সঙ্গে দলের কোনো আদর্শগত বা সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই, তাকে আমরা মানতে পারি না। শারীরিকভাবেও তিনি সুস্থ নন। তাকে মনোনয়ন দিলে এ আসনে বিজয় প্রায় অসম্ভব।”

-শরিফুল


কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১৫:২০:৩৩
কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা ৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর একটি বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি গোপালনগর ভূইয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন, যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় যে, গত ১৭ বছর স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে হয়েছে কেবলমাত্র এলাকা ও নেতাকর্মীদের নিরাপদ রাখতে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যদি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে এমন সমঝোতায় না যেতেন, তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানান মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো এবং অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হতেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফেসবুকে বহু ব্যবহারকারী তার বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন যে এ ধরনের স্বীকারোক্তি অতীত রাজনীতির চরিত্রকে উন্মোচিত করে দেয় এবং দলীয় অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।

ভিডিওতে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে আরও বলতে শোনা যায় যে ১/১১ সময়ে তাকে দেবিদ্বার থানায় হাতকড়া পরিয়ে এক টুকরো গেঞ্জি পরে ঘোরানো হয়েছিল, তবুও তিনি এখানকার মানুষদের ছেড়ে যাননি। তিনি বলেন, বয়স বাড়লেও এলাকার প্রতি দায়িত্ববোধ কমেনি, তবে সময় ও পরিস্থিতির কারণে বহু প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আফফান বিন আব্দুস সালাম নামে একজন লিখেছেন যে এমন মনোভাব ভবিষ্যতেও ‘তাল মিলিয়ে চলার’ ইঙ্গিত দেয় এবং দেবিদ্বারের মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্যদিকে গোলাম রাসুল মন্তব্য করেছেন যে এলাকায় বালু টেক সরানো না যাওয়ার ব্যাখ্যাও এই স্বীকারোক্তিতে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন যে সত্য কখনো চাপা থাকে না; নিজের আচারকে স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রার্থী এখন আরও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন।

গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কুমিল্লা ৪ (দেবিদ্বার) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর নাম ঘোষণা করেন। তিনি দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত