আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:৩১:২০
আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার
ছবি: সংগৃহীত

দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন কোম্পানির স্বতন্ত্র নিরীক্ষক। প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিরীক্ষক প্রতিবেদনটিতে Qualified Opinion, Emphasis of Matter এবং Other Matter—এই তিন ধরনের বিশেষ মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা ইঙ্গিত করে যে আর্থিক বিবরণীর কিছু অংশে স্পষ্টীকরণ প্রয়োজন এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিরীক্ষকের উদ্বেগ রয়েছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রদত্ত Qualified Opinion সাধারণত তখনই আসে যখন নিরীক্ষক মনে করেন আর্থিক বিবরণী সামগ্রিকভাবে সঠিক হলেও, নির্দিষ্ট কিছু তথ্য বা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয় অথবা যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দেশবন্ধুর হিসাব ও আর্থিক বিবরণীতে এমন কিছু দিক পাওয়া গেছে যার ভিত্তিতে নিরীক্ষক পূর্ণাঙ্গ ‘unqualified’ মতামত দিতে পারেননি।

এ ছাড়া Emphasis of Matter অংশে নিরীক্ষক এমন কিছু বিশেষ ঝুঁকি বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, যা কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই অংশটি সাধারণত বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অগ্রাধিকারযোগ্য তথ্য তুলে ধরে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের Other Matter অনুচ্ছেদে আর্থিক বিবরণীর বাইরে থাকা অতিরিক্ত ব্যাখ্যা বা নিরীক্ষা প্রক্রিয়ার বিশেষ দিক নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। এসব মন্তব্য আর্থিক বিবরণী মূল্যায়নের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বুঝতে সহায়তা করে।

দেশবন্ধু পলিমার জানিয়েছে, পূর্ণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও উপস্থাপিত মন্তব্যগুলো দেখতে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিঙ্কটি পরিদর্শন করতে পারবেন। নিরীক্ষকের এমন পর্যবেক্ষণ বাজারে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ঝুঁকি অবস্থান নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

-রাফসান


লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:২৯:১২
লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড (LRBDL) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে একাধিক সূচকে উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। কোম্পানির জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ মেয়াদে শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) ছিল ঋণাত্মক ০.৮২ টাকা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকে ছিল ঋণাত্মক ০.৪৮ টাকা। অর্থাৎ লোকসানের মাত্রা আরও বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার (NOCFPS) ২০২৫–এর প্রথম প্রান্তিকে নেমে এসেছে ঋণাত্মক ০.২১ টাকায়, যেখানে ২০২৪ সালে এই সূচক ছিল ১.০৫ টাকা। সংগ্রহের ধীর গতি এবং অপারেশনাল চাপ ক্যাশ ফ্লো কমিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নেট অ্যাসেট ভ্যালু (NAV) per share–এও পতন দেখা গেছে। পুনর্মূল্যায়নসহ প্রতি শেয়ারের NAV দাঁড়িয়েছে ৩১.৮৯ টাকা, যা জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৩২.৭২ টাকা। পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত NAV কমে হয়েছে ২৭.৯৩ টাকা, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ২৮.৭৫ টাকা। অর্থাৎ সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়নেও পতন পরিলক্ষিত।

কোম্পানির আর্থিক ফলাফলে এই পতনের পেছনে চারটি মূল কারণ তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, সুদ ব্যয় প্রায় ১০.৩৪ কোটি টাকা হওয়ায় নিট ক্ষতি আরও গভীর হয়েছে। দ্বিতীয়ত, উচ্চ উৎপাদন ব্যয়ের কারণে স্থূল মুনাফার হার (গ্রস মার্জিন) কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.২ শতাংশ, যা লাভজনকতা সংকুচিত করেছে। তৃতীয়ত, সংগ্রহ কম হওয়ায় অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এবং -৩.০৪ কোটি টাকায় নেমে গেছে। চতুর্থত, প্রতিষ্ঠানের মোট দায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৪.৩৮ কোটি টাকায়, যা শেয়ারপ্রতি NAV কমিয়ে এবং নগদ প্রবাহে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।

সমন্বিতভাবে, LRBDL–এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক অবস্থান দেখাচ্ছে যে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ ব্যয়, দায়ের চাপ এবং দুর্বল ক্যাশফ্লো এই তিন দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ব্যবস্থাপনা স্তরে কার্যকর ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও সংগ্রহ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া আগামী প্রান্তিকে অবস্থার উন্নতি কঠিন হতে পারে।

-রফিক


পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ১২:২৪:৪৩
পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের পাঁচটি উল্লেখযোগ্য কোম্পানির সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং ঘোষণা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় রেটিং সংস্থাগুলো। অডিটেড আর্থিক বিবরণী, ঋণ সক্ষমতা, দায়-দায়িত্ব এবং গুণগত ও পরিমাণগত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রকাশিত এসব রেটিং কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্থিতি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়।

এপেক্স স্পিনিং

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (CRAB) জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘমেয়াদে ‘AA3’ রেটিং পেয়েছে, যা শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। স্বল্পমেয়াদে কোম্পানির রেটিং নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ST-2’। ধারাবাহিক চারটি অর্থবছরের অডিটেড রিপোর্ট এবং সাম্প্রতিক গুণগত নির্দেশকের ভিত্তিতে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ভাবমূর্তির ওপর ‘Stable’ আউটলুক দেওয়া হয়েছে।

এপেক্স ফুডস

এপেক্স ফুডসের জন্য CRAB তাদের মূল্যায়নে দীর্ঘমেয়াদে ‘A1’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘ST-1’ ও ‘ST-3’ রেটিং নির্ধারণ করেছে। আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ, উৎপাদন দক্ষতা, বাজার ঝুঁকি মোকাবিলা এবং চার বছরের আর্থিক তথ্য পর্যালোচনা করে তাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা হয়েছে স্থিতিশীল।

অ্যাকমে ল্যাবরেটরিজ

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস (CRISL) জানিয়েছে, অ্যাকমে ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড দীর্ঘমেয়াদে ‘AA’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘ST-2’ রেটিং পেয়েছে। ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত অডিটেড হিসাব, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত বিবরণী এবং প্রমাণযোগ্য অন্যান্য সূচকের ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিকে ‘Stable Outlook’ দেওয়া হয়েছে।

বেঙ্গল উইন্ডো টেকনোলজিস লিমিটেড

বেঙ্গল উইন্ডো টেকনোলজিস লিমিটেডের সাসপেনশন রেটিং ঘোষণায় CRAB তাদের দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা ‘AA2’ এবং স্বল্পমেয়াদি রেটিং ‘ST-2’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আর্থিক বিবরণী এবং ব্যাংকিং দায়-দায়িত্ব বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটির সার্বিক অবস্থানকে সন্তোষজনক বিবেচনা করা হয়েছে।

পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স

ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস (NCR) পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের জন্য তাদের সর্বোচ্চ স্তর ‘AAA’ দীর্ঘমেয়াদি রেটিং দিয়েছে, যা অসাধারণ আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতীক। স্বল্পমেয়াদে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ‘ST-1’। ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত অডিটেড আর্থিক কাঠামো বিবেচনায় তাদের ভবিষ্যৎ আউটলুক রাখা হয়েছে স্থিতিশীল।


ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৫৫:৩৪
ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য লেনদেন দেখা গেছে, যেখানে মোট ৪২টি স্ক্রিপে ৯৭টি ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে ৭৬ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। ব্লক মার্কেট থেকে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১৯.০৩৬ মিলিয়ন টাকা। বড় বিনিয়োগকারীদের কৌশলগত অংশগ্রহণে বেশ কয়েকটি উচ্চমূল্যের স্ক্রিপ সক্রিয় ছিল, যা সার্বিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।

দিনের সবচেয়ে বড় লেনদেনটি হয়েছে পিটিএল PTL–এ, যেখানে তিনটি ব্লক ট্রেডের মাধ্যমে ৪০ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৯ টাকা। এ স্ক্রিপ একাই ব্লক মার্কেট লেনদেনের ২০৮ মিলিয়ন টাকার বেশি বহন করেছে, যা দিনের মোট ব্লক মার্কেট টার্নওভারের প্রায় ৪০ শতাংশ। বিপুল পরিমাণ ভলিউম এই স্টকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উচ্চ আগ্রহ নির্দেশ করে।

টেলিকম জায়ান্ট গ্রামীণফোন GP–ও দিনের ব্লক মার্কেটে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। ১৪টি ট্রেডে ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭০.৭ মিলিয়ন টাকা। প্রতিটি ট্রেড ২৪৯.৭ থেকে ২৭৪ টাকার মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। শেয়ারটির উপর বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত আস্থা ব্লক মার্কেটে স্থিতিশীল চাহিদা তৈরি করেছে।

বার্জার পেইন্টস BERGERPBL–এর মাত্র একটি ব্লক ট্রেড হলেও উচ্চমূল্যের কারণে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৩ মিলিয়ন টাকার বেশি। ২৫ হাজার শেয়ার ১৩২০.৭০ টাকায় লেনদেন হয়, যা ব্লক মার্কেটে উচ্চমূল্যের স্ক্রিপে বিনিয়োগ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।

ফাইন ফুডস FINEFOODS ও স্কয়ার ফার্মা SQURPHARMA–তেও উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। ফাইন ফুডস তিনটি ট্রেডে ১৫.২৩ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। স্কয়ার ফার্মা পাঁচটি ট্রেডে প্রায় ২৯.৩ মিলিয়ন টাকার লেনদেন রেকর্ড করে, যেখানে দাম ছিল ২০১ থেকে ২১৯.৫ টাকার মধ্যে।

বিএসসি প্লিসি BSCPLC–তে পাঁচটি ব্লক ট্রেডে ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ মিলিয়নেরও বেশি। সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স CITYGENINS এবং অরিয়ন ইনফিউশন ORIONINFU–তেও উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম দেখা গেছে, যেগুলোর লেনদেন মূল্য যথাক্রমে ১৮.২৯ মিলিয়ন ও ১১.১৯ মিলিয়ন টাকা।

এছাড়াও, ইউনিলিভার কনজিউমার UNILEVERCL ১১ মিলিয়ন টাকা, জিকিউ বলপেন GQBALLPEN ১৫.৫ মিলিয়ন টাকা, এসিপিএল SPCL ১১.১২ মিলিয়ন টাকা এবং সিপিএল SIPLC ২.৪৭ মিলিয়ন টাকার লেনদেন করেছে। সামগ্রিকভাবে ব্লক মার্কেটে উচ্চমূল্যের স্টক ও ব্যাংকিং, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং টেক্সটাইল খাতের স্ক্রিপগুলো বেশি সক্রিয় ছিল।

দিনের মোট লেনদেন ঘিরে ডিএসইর ব্যাখ্যায় বলা হয়, ইস্যু অ্যাডভান্সড, ডিক্লাইন্ড এবং আনচেঞ্জড হিসাব CP (ক্লোজিং প্রাইস) অনুযায়ী করা হয়েছে। ক্লোজিং প্রাইস নির্ধারিত হয় শেষ ৩০ মিনিটের ওজনযুক্ত গড় দামে। এই কাঠামো বাজারের প্রকৃত প্রতিফলন নিশ্চিত করে, যদিও অনেক ক্ষেত্রে LTP ভিত্তিক দামে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়।

-রাফসান


১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৪২:০৭
১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ দিনের লেনদেনে সার্বিকভাবে বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও পতনশীল ইস্যুর সংখ্যা উর্ধ্বমুখী ইস্যুর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। দিনের শেষে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়, যার মধ্যে ১১৪টি ইস্যুর দর বেড়েছে, ২৭৭টি কমেছে এবং ৫৩টি অপরিবর্তিত ছিল। বাজারের সামগ্রিক মনোভাব ছিল চাপের মধ্যে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ কৌশলে অবস্থান নিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

এ ক্যাটাগরির লেনদেনেও একই চাপ প্রতিফলিত হয়েছে। ২১৭টি ইস্যুর মধ্যে মাত্র ৬২টিতে মূল্য বৃদ্ধি পায়, বিপরীতে ১২৩টি ইস্যুর দর কমে যায়। ৩২টি ইস্যু স্থিতিশীল থাকলেও এ ক্যাটাগরির সামগ্রিক পারফরম্যান্স পতনের দিকেই ঝুঁকেছে। বড় মূলধনী কোম্পানি এবং স্থিতিশীল ইস্যুগুলোর এই দুর্বল অবস্থান বাজারে সতর্কতা বাড়িয়েছে।

বি ক্যাটাগরি আরও নেতিবাচক প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। মোট ৮০টি ইস্যুর মধ্যে মাত্র ১৩টি অগ্রগতি দেখাতে পেরেছে, অন্যদিকে প্রায় পাঁচগুণ ইস্যু তথা ৫৯টি শেয়ারের দাম কমে গেছে। মাত্র ৮টি ইস্যুর দর অপরিবর্তিত ছিল। উৎপাদন, পাট ও খাদ্য খাতভিত্তিক শেয়ারে তুলনামূলকভাবে বেশি বিক্রিচাপ দেখা গেছে।

এন ক্যাটাগরিতে কোনো লেনদেন হয়নি, ফলে এই সেগমেন্টে অগ্রগতি বা দরপতনের কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। তবে জেড ক্যাটাগরি, অর্থাৎ সমস্যাগ্রস্ত ও দীর্ঘদিন ধরে নন–কমপ্লায়েন্ট ইস্যুগুলোর তালিকায় মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। ৯৭টি ইস্যুর মধ্যে ৩৯টি শেয়ারমূল্য বাড়িয়েছে এবং ৪৫টি কমেছে। ১৩টি শেয়ার অপরিবর্তিত ছিল, যা নির্দেশ করে যে এই ক্যাটাগরিতে ক্রেতা ও বিক্রেতার অবস্থান প্রায় সমানভাবে বিভক্ত ছিল।

মিউচুয়াল ফান্ড MF সেগমেন্টে মোট ৩৫টি ফান্ড লেনদেন হয়েছে। ১০টি ফান্ডের দর বেড়েছে, ১০টি কমেছে এবং ১৫টি অপরিবর্তিত ছিল। বাজারের স্বল্পমেয়াদি ওঠানামায় এই ফান্ডগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। করপোরেট বন্ড CB সেগমেন্টে ২টি ইস্যুর দর বেড়েছে এবং কোনো পতন ঘটেনি, যা এই খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।

সরকারি সিকিউরিটিজ G-Sec সেগমেন্টে মোট ৬টি ইস্যুর লেনদেন হয়, কিন্তু এর মধ্যে ৪টির দাম কমেছে এবং ২টির বেড়েছে। সুদের হার প্রত্যাশা ও ম্যাক্রো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবে সরকারি সিকিউরিটিজ বাজারে চাপ দেখা যাচ্ছে।

দিনের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ১১৫টি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৩৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৩০টি এবং মোট লেনদেনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি। বাজার মূলধন Market Capitalisation এ দিনও উর্ধ্বগামী চিত্র দেখা গেছে। ইক্যুইটি মার্কেট মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩২৬৮০ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডের মূলধন ২৩৬৪ কোটি টাকা এবং ডেট সিকিউরিটিজের মূলধন ৩৫৪৩৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বাজারের মোট মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৮৩৫০ কোটি টাকার ওপরে।

-রাফসান


১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৩৯:১৫
১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ১৪টা ৫৩ মিনিটের বাজার তথ্য অনুযায়ী, দিনের লেনদেনে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার উল্লেখযোগ্য হারে দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে। ক্লোজিং প্রাইস ও আগের দিনের মূল্য YCP তুলনায় সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ফ্যামিলিটেক্স FAMILYTEX। আগের দিনের ১.২ টাকার পরিবর্তে শেয়ারটি নেমে এসেছে ১.১ টাকায়, যা ৮.৩৩ শতাংশ নেতিবাচক পরিবর্তন নির্দেশ করে। অত্যন্ত নিম্নমূল্যের শেয়ার হওয়ায় সামান্য মূল্য পরিবর্তনেও বড় শতাংশ ড্রপ দেখা গেছে।

দ্বিতীয় বৃহৎ দরপতন হয়েছে শ্যামপুর সুগার মিলস SHYAMPSUG–এ। ২২৪.২ টাকা থেকে নেমে ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ২০৯.৭ টাকায়, যা ৬.৪৬ শতাংশ পতন। দিনের উচ্চতম ২২৪.৬ টাকা ছুঁলেও শেষ ঘণ্টায় ব্যাপক বিক্রিচাপের কারণে শেয়ারের দাম দ্রুত নিচে নেমে যায়।

তৃতীয় স্থানে থাকা আইসিবি অ্যামসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড ICBAMCL2ND ৫.৯ টাকা থেকে কমে ৫.৬ টাকায় ক্লোজ হয়, মূল্যহ্রাস দাঁড়ায় ৫.০৮ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটে সাম্প্রতিক সময়ের দুর্বল বাজার আস্থার প্রতিফলন এ প্রবণতা।

চতুর্থ স্থানে থাকা আনলিমা ইয়ার্ন ANLIMAYARN শেয়ারটি ২০.৮ টাকা থেকে নেমে ১৯.৯ টাকায় ক্লোজ হয়েছে, যা ৪.৩২ শতাংশ পতনের ইঙ্গিত দেয়। সুতা উৎপাদন খাত সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে থাকায় বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিকের তুলনায় সতর্ক আচরণ করেছে।

দেশবন্ধু DESHBANDHU ও কেটিএল KTL দুটি শেয়ারের দর যথাক্রমে ৪.১৪ ও ৪.১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। দেশবন্ধুর শেয়ারটি ১৬.৯ টাকা থেকে কমে এসেছে ১৬.২ টাকায় আর কেটিএল ১২.১ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ টাকায়। উৎপাদন খাতভিত্তিক এসব কোম্পানির শেয়ারে বিক্রির চাপ দৃশ্যমান ছিল পুরোদিনজুড়ে।

কেপিবি পাবলিক KBPPWBIL শেয়ারটিও দিন শেষে ৫৮.২ টাকা থেকে পড়ে ৫৫.৮ টাকায় অবস্থান নেয়, যা প্রায় ৪.১২ শতাংশ দরপতন নির্দেশ করে। বড় বিনিয়োগকারীদের লাভ সংরক্ষণমূলক আচরণের কারণে শেয়ারে ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ড দেখা গেছে।

এছাড়া এসিএমই প্লাস্টিক ACMEPL ও বারাকা পাওয়ার BARKAPOWER উভয় শেয়ারই ক্লোজিং প্রাইসে ঠিক ৪ শতাংশ দরপতন রেকর্ড করেছে। শিল্প ও বিদ্যুৎ খাতে চাহিদার ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে দুর্বল করেছে। দশম স্থানে থাকা এনটিসি NTC শেয়ারটি ১৮৩.৮ টাকা থেকে নেমে ১৭৬.৬ টাকায় অবস্থান নেয়, প্রায় ৩.৯১ শতাংশ পতনসহ। টেলিকম খাতে সাম্প্রতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব শেয়ারদরে প্রতিফলিত হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, টেক্সটাইল, খাদ্যপ্রসেসিং, পাওয়ার এবং উৎপাদন খাতের বেশ কয়েকটি শেয়ার দিনের লুজার তালিকায় স্থান পেয়েছে, যা বাজারের সামগ্রিক চাপ ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।

-রাফসান


১০ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১৬:৩৪:৪৪
১০ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর ১৪টা ৫৩ মিনিটের বাজার তথ্য অনুযায়ী, দিনের লেনদেনে বেশ কিছু শেয়ার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দামে বৃদ্ধি পেয়ে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ক্লোজ প্রাইস ও ইয়েসটারডে ক্লোজ প্রাইসের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধিকারী শেয়ারের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে টিআই লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড TILIL। কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ৪২.১ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬.২ টাকায়, যা প্রায় ৯.৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। দিনের লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে এই শেয়ারটিতেই।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্থান দেখা যায় বিডি থাই ফুড BDTHAIFOOD–এর শেয়ারে। আগের দিনের ১৫.৪ টাকা মূল্যের বিপরীতে ক্লোজিং প্রাইস দাঁড়িয়েছে ১৬.৫ টাকায়, যা ৭.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিফলন। খাদ্য খাতের এই কোম্পানির শেয়ারে হঠাৎ চাঙাভাব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইল SONARGAON শেয়ারটি ২৮.৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০.২ টাকায় ক্লোজ হয়। প্রায় ৪.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে টেক্সটাইল সেক্টরে এটি দিনের অন্যতম শক্তিশালী পারফর্মার হিসেবে চিহ্নিত হয়।

বীমা খাতের রূপালী লাইফ RUPALILIFE তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। শেয়ারের দাম ৭৯.১ টাকা থেকে বেড়ে ৮২.৪ টাকায় পৌঁছায়, যা ৪.১৭ শতাংশ বৃদ্ধি। একই খাতের আরেক প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ SONALILIFE নবম স্থানে রয়েছে ২.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধিসহ।

মিউচুয়াল ফান্ড সেগমেন্টে কয়েকটি ফান্ডও উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড EBLNRBMF এর শেয়ারমূল্য ২.৫ টাকা থেকে বেড়ে ২.৬ টাকায়, এবং আইএফআইসি ওয়ানস্ট এমএফ IFIC1STMF ২.৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২.৮ টাকায় ক্লোজ হয়। এলআর গ্লোবাল এমএফ১ LRGLOBMF1 এবং গ্রীন ডেল্টা এমএফ GREENDELMF যথাক্রমে ৩.৫৭ এবং ৩.৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে তালিকার ৭ ও ৮ নম্বরে অবস্থান করে।

তালিকার দশম স্থানে থাকা প্রগতি লাইফ PRAGATILIF শেয়ারটি ১৬৩.৮ টাকা থেকে বেড়ে ১৬৮.৪ টাকায় পৌঁছায়, যা ২.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। সামগ্রিকভাবে বীমা, টেক্সটাইল এবং মিউচুয়াল ফান্ড সেগমেন্ট দিনের বাজারে সবচেয়ে স্থিতিশীল ও ইতিবাচক প্রবণতা প্রদর্শন করেছে।

-রফিক


ডিএসইতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর এনএভি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১২:৫৬:৩৪
ডিএসইতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর এনএভি বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ক্লোজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের শেষে দৈনিক নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা এনএভি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট ফান্ড ম্যানেজাররা। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ ফান্ডই বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক ইউনিটপ্রতি এনএভি হিসেবে ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর নিচে লেনদেন হলেও, কস্ট প্রাইস বা ক্রয়মূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো ১০ টাকার উপরে অবস্থান করছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বাজারদরের তুলনায় ফান্ডগুলোর অন্তর্নিহিত সম্পদমূল্য বেশি থাকলেও ডিসকাউন্টে লেনদেন অব্যাহত আছে।

সব ফান্ডের ক্ষেত্রেই এনএভি হিসাব করতে ফান্ডের সব ধরনের সম্পদ ও দায় পর্যালোচনা করে মোট নেট অ্যাসেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর সেই নেট অ্যাসেটকে মোট ইউনিটসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে ইউনিটপ্রতি এনএভি বের করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিকনির্দেশক সূচক।

বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি: বেশির ভাগ ফান্ডই ডিসকাউন্টে

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী TRUSTB1MF এর ইউনিটপ্রতি এনএভি বর্তমান বাজারমূল্যে ৬.৪৪ টাকা, POPULAR1MF এ ৬.৯৫ টাকা এবং PHPMF1 এ ৬.৭৮ টাকা হিসেবে দেখানো হয়েছে, যেখানে প্রতিটি ফান্ডের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে IFIC1STMF (৭.৩৯ টাকা), FBFIF (৭.০৯ টাকা), EXIM1STMF (৭.১৬ টাকা), EBLNRBMF (৬.৪১ টাকা), EBL1STMF (৬.৩১ টাকা) এবং ABB1STMF (৭.০৭ টাকা) ফান্ডের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ বাজারদর বিবেচনায় ইউনিটপ্রতি সম্পদমূল্য এখনো ফেস ভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে।

১ম জনতা মিউচুয়াল ফান্ড (1JANATAMF) এর বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ৫.৯৯ টাকা, যা তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে নিচের দিকের। অন্যদিকে NCCBLMF1 ফান্ডের বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক ইউনিট এনএভি ৯.০৯ টাকা এবং LRGLOBMF1 ফান্ডে ৮.৪৬ টাকা, যা এই তালিকায় তুলনামূলকভাবে উচ্চ অবস্থানকে নির্দেশ করে।

কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি: ফান্ডগুলোর অন্তর্নিহিত শক্তি এখনো টিকে আছে

সব ফান্ডের ক্ষেত্রেই কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১০ টাকার বেশি, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কৌশল অনুযায়ী ফান্ডগুলোর প্রকৃত সম্পদভিত্তিক মূল্য এখনো শক্ত অবস্থানে আছে তা ইঙ্গিত করে। উদাহরণ হিসেবে TRUSTB1MF এর কস্ট প্রাইসভিত্তিক ইউনিটপ্রতি এনএভি ১১.৪৩ টাকা এবং মোট নেট অ্যাসেট প্রায় ১৯৫.৪ কোটি টাকা। POPULAR1MF এর কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১১.৪০ টাকা এবং মোট নেট অ্যাসেট দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৪১.১ কোটি টাকায়।

PHPMF1 ফান্ডের কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১১.৩৪ টাকা, IFIC1STMF এ ১১.৬৭ টাকা, FBFIF এ ১১.৩৭ টাকা এবং EXIM1STMF এ ১১.৫৪ টাকায় অবস্থান করছে। EBLNRBMF ফান্ডে এই মান ১১.৩৩ টাকা, আর EBL1STMF এ ১১.৪৯ টাকা। একইভাবে ABB1STMF এ ১১.৬০ টাকা, 1JANATAMF এ ১১.৪৩ টাকা এবং NCCBLMF1 এ ১১.০৯ টাকা কস্ট প্রাইসভিত্তিক ইউনিট এনএভি হিসেব করা হয়েছে।

কিছু ফান্ড কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভিতে অন্যদের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী অবস্থানে আছে। যেমন: 1STPRIMFMF এর কস্ট প্রাইসভিত্তিক ইউনিটপ্রতি এনএভি ১৬.৭২ টাকা, PRIME1ICBA তে ১২.৯৬ টাকা, PF1STMF এ ১২.৪৬ টাকা, ICB3RDNRB এ ১২.৫৭ টাকা, ICBAMCL2ND এ ১৩.৬০ টাকা এবং ICBAGRANI1 ফান্ডের ক্ষেত্রে এই মান ১২.২০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

কোন ফান্ডে নেট অ্যাসেট কত

মোট নেট অ্যাসেটের দিক থেকে বড় আকারের কিছু ফান্ডও স্পষ্টভাবে সামনে এসেছে। FBFIF ফান্ডের বর্তমান বাজারমূল্যভিত্তিক মোট নেট অ্যাসেট দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৫০.৫৪ কোটি টাকায় এবং কস্ট প্রাইস হিসেবে প্রায় ৮৮২.৭৫ কোটি টাকায়। LRGLOBMF1 ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক নেট অ্যাসেট ২৬৩.১৮ কোটি টাকা এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক ৩৪২.২৮ কোটি টাকা।

GRAMEENS2 ফান্ডটি বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ১৫.৫৫ টাকা নিয়ে এই তালিকায় ব্যতিক্রম, যেখানে কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভি ১০.৪৩ টাকা। এই ফান্ডের মোট নেট অ্যাসেট বাজারদরে প্রায় ২৮৩৬.৮৮ কোটি টাকা এবং কস্ট প্রাইসে ১৯০২.৬৯ কোটি টাকায় নির্ধারিত হয়েছে, যা বোঝায় বাজারে এই ফান্ডটি প্রিমিয়ামে মূল্যায়িত হচ্ছে।

TRUSTB1MF, POPULAR1MF, PHPMF1, ABB1STMF, 1JANATAMF, NCCBLMF1, LRGLOBMF1, GREENDELMF, DBH1STMF, GLDNJMF, বিভিন্ন ICB ও SEML পরিচালিত ফান্ড, CAPM ও VAML এর ফান্ডসহ সব কটি মিউচুয়াল ফান্ডের এনএভি হিসাবেই ফান্ডের সম্পদ ও দায় উভয় দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণায় জানানো হয়েছে।

বিনিয়োগকারীর জন্য এর অর্থ কী

বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এবং কস্ট প্রাইসভিত্তিক এনএভির মধ্যে ব্যবধান মূলত বাজারদর ও বাস্তব সম্পদমূল্যের পার্থক্যকে তুলে ধরে। অধিকাংশ ফান্ড বর্তমানে ডিসকাউন্টে লেনদেন হওয়া মানে হলো, ইউনিটপ্রতি নেট অ্যাসেটের তুলনায় বাজারদর তুলনামূলক কম। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে এটি অনেকে ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন, যদিও বিনিয়োগের আগে প্রতিটি ফান্ডের পোর্টফোলিও, ব্যবস্থাপনা মান এবং ডিভিডেন্ড ইতিহাস আলাদা করে যাচাই করা জরুরি।


সিলকো ফার্মা দিল বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর!

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১২:৫০:৪৩
সিলকো ফার্মা দিল বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্কুলার অনুযায়ী, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (SILCOPHL) শেয়ার আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় স্পট মার্কেটে লেনদেনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এই সময়কাল চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই চার দিন স্পট মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার পাশাপাশি ব্লক বাজারেও লেনদেন কার্যকর থাকবে এবং উভয় ক্ষেত্রেই স্পট সেটেলমেন্ট সাইকেল অনুযায়ী নিষ্পত্তি সম্পন্ন হবে।

উল্লেখিত সময়ে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার কাম বেনিফিট অবস্থায় লেনদেন হবে, অর্থাৎ এই সময় শেয়ার ক্রয় করলে বিনিয়োগকারীরা ঘোষিত সুবিধার উপযোগী বলে বিবেচিত হবেন। সাধারণত রেকর্ড ডেটের আগে কোম্পানিগুলো স্পট মার্কেট চালু রাখে যাতে শেয়ারহস্তান্তর দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং বিনিয়োগকারীরা তাদের মালিকানা নিশ্চিত করতে পারেন।

ডিএসই আরও জানায়, ১৫ ডিসেম্বর কোম্পানিটির নির্ধারিত রেকর্ড ডেট থাকায় ওই দিন শেয়ার লেনদেন সম্পূর্ণভাবে স্থগিত থাকবে। রেকর্ড ডেটে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখার নিয়ম বাজারের মালিকানা যাচাই এবং সংশ্লিষ্ট সুবিধা প্রদানের প্রস্তুতি হিসেবে অনুসৃত হয়। এর ফলে শেয়ারহোল্ডারদের তালিকা চূড়ান্ত করতে বিনিয়োগকারীরা পূর্ববর্তী চারদিনে স্পট মার্কেটে সক্রিয় থাকতে পারবেন।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্পট মার্কেটে অংশগ্রহণ সাধারণত তারল্য বৃদ্ধি করে এবং রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা দূর করে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি স্বচ্ছ লেনদেন পরিবেশ নিশ্চিত করে।

-রাফসান


রেকর্ড ডেট শেষে তিন সিকিউরিটির লেনদেন পুনরায় শুরু

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১০ ১২:৪৮:২২
রেকর্ড ডেট শেষে তিন সিকিউরিটির লেনদেন পুনরায় শুরু
ছবি: সংগৃহীত

রেকর্ড ডেট সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে তিনটি সিকিউরিটির লেনদেন পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানায়, ৫ বছর মেয়াদি সরকারি ট্রেজারি বন্ড BGTB 11/12/2029, সোনালি আংশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এই তিন সিকিউরিটির শেয়ার ও বন্ড লেনদেন নির্ধারিত দিন থেকে স্বাভাবিক নিয়মে বাজারে ফিরবে।

সরকারি সিকিউরিটি TB5Y1229 (BGTB 11/12/2029) রেকর্ড ডেট শেষ হওয়ায় ১১ ডিসেম্বর থেকে লেনদেনযোগ্য হবে। সরকারি বন্ডের রেকর্ড ডেট সাধারণত সুদ কিংবা মূলধন সম্পর্কিত বিনিয়োগকারীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত হয়। রেকর্ড ডেট পরবর্তী লেনদেন পুনরারম্ভের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা আগের নিয়মেই কেনাবেচায় অংশ নিতে পারবেন।

একইসঙ্গে সোনালি আংশ ইন্ডাস্ট্রিজের (SONALIANSH) শেয়ারের লেনদেনও একই দিনে পুনরায় চালু হবে। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় শেয়ার লেনদেন স্বাভাবিক হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের অধিকার হালনাগাদ নিশ্চিত করার পর সাধারণত এ ধরনের রেজাম্পশন ঘোষণা দেওয়া হয়।

অন্যদিকে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের (MPETROLEUM) শেয়ারের লেনদেনও ১১ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় বাজারে চালু হবে। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেট সম্পন্ন হওয়ায় নির্ধারিত সময় অনুযায়ী লেনদেন ফিরে আসছে। রেকর্ড ডেটের সময়সীমায় শেয়ার হস্তান্তর অস্থায়ীভাবে স্থগিত থাকে, যা শেষ হওয়ার পর আবার লেনদেন শুরু করা হয়।

ডিএসইর নিয়ম অনুযায়ী, রেকর্ড ডেট শেষে সব ধরনের সিকিউরিটি পুনরায় বাজারে ফেরার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বাভাবিক লেনদেন প্রক্রিয়া নিশ্চিত হয়। তিনটি সিকিউরিটির একসঙ্গে লেনদেন পুনরারম্ভ বাজারে তারল্য ও সক্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত