গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি

শরীরের গঠন ও গায়ের রং নিয়ে স্কুলজীবন থেকে সহপাঠীদের অস্বাভাবিক আচরণ সইতে হয়েছে ডি এম মুশফিকুজ্জামানকে। কখনো কখনো শিক্ষকরাও তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। স্কুল কলেজ পেরিয়ে মুশফিক পা রাখেন উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে কিন্তু সেখানেও একই রকম আচরণ সইতে হয়েছে তাঁকে। সহপাঠীদের অব্যাহত হাসি ঠাট্টা তরুণ মনে দাগ কাটে যা ক্রমে রূপ নেয় বিষাদে। শেষ পর্যন্ত সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান।
মুশফিকের কয়েকজন সহপাঠী দুজন শিক্ষক স্কুলজীবনের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারণা সহপাঠীদের ঠাট্টা বিদ্রূপে অভিমান করে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন মুশফিক। যদিও পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজে তারা মুশফিককে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখলেও ময়নাতদন্তের আগে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে মুশফিকের পরিবার দাবি জানিয়েছে তাদের সন্তান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না তা খতিয়ে দেখতে।
জানা যায় মুশফিকুজ্জামান ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে। পুলিশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের ডক্টর ফরাসউদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গায় একটি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরকে জানালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুশফিকের সহপাঠী আল শাহরিয়ার ইমন জানান মুশফিক যখনই স্যারের কাছে পড়া নিয়ে জিজ্ঞেস করত তখন অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ওর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাত এবং হাসত। কারণ মুশফিকের কথা বলার ধরন একটু ভিন্নরকম ছিল এবং সে দেখতে কালো ও একটু স্বাস্থ্যবান ছিল।
মৃত্যুর আগে ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে মুশফিকের বাগবিতণ্ডা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক সহপাঠী জানান সবাই ম্যামের জন্য অপেক্ষা করার সময় মুশফিককে কেউ একজন কিছু বলে। তখন মুশফিকও এক বান্ধবীকে নিয়ে মজা করে একটি কথা বলে উচ্চস্বরে হেসে ওঠে। এ সময় অন্যরা তাকে থামিয়ে দিলে মুশফিক মন খারাপ করে বসে থাকে। একপর্যায়ে মুশফিক বলতে শুরু করে তোমরাও আমাকে নিয়ে অনেক মজা করো হাসাহাসি করো কিন্তু তখন তো কেউ বলে না যে ক্লাসে ডিস্টার্ব হচ্ছে। আসলে তোমরা আমাকে সহ্য করতে পারো না। সে আরও বলে আমার সঙ্গে মিশতেও চাও না কারণ আমি মোটা ও কালো বলে এমন করো। এটা বলার পরপরই মুশফিক ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়।
মুশফিকের বাবা বি এম মুখলেছুজ্জামান অভিযোগ করেন তিন চার দিন আগে পড়াশোনা নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে মুশফিকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছেন। ছেলে বলেছিল তারা তাকে ছাদে নিয়ে যেতে চাইত। এজন্য পরিবারের সন্দেহ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। মুশফিকের মা কমলা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন আমার ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন অনেকে যেন কালো হয়ে জন্ম নেওয়াটাই অপরাধ।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর তারা ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান সেখানে দেখা যায় মুশফিকুজ্জামান ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন এবং পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে ওঠেন। তিনি ছাদে ওঠার এক ঘণ্টা আগে ও পরে অন্য কাউকে ওই ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন বডি শেমিং ও বুলিং ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন। একজন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা খুবই কাছের মানুষ হয়। কিন্তু তারাই যখন প্রতিনিয়ত কারও শারীরিক গঠন গায়ের রং বা স্মার্টনেস নিয়ে বাজে কথা বলে তখন মানসিকভাবে বিপর্যয় ঘটে। যত শক্ত মানুষই হোক না কেন অব্যাহত শেমিং ও বুলিংয়ের ক্ষত সইতে পারে না।
সূত্র: jagonews24
ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ও স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন, যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই বড় উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কলেজগুলোর বর্তমান অধিভুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করা হবে। পরিবর্তে, এই সাতটি কলেজকে নিয়েই গঠিত হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিল, সেই যৌক্তিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই পথে হেঁটেছে।
এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই সব মতামত এবং আইনি দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংশোধনের কাজ চলছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন বা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে সরকার সজাগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন—সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরি বা পদ ঠিক রাখা, প্রতিটি কলেজের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কলেজগুলোতে চলমান উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) স্তরের পড়াশোনা কীভাবে চলবে—সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে একটি সঠিক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ব্যক্তিগত ধারণা বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার প্রথম এই সাতটি কলেজকে আলাদা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।
নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, সরকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি জানান, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও বাস্তবসম্মত এমপিও ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে শিক্ষক নেতা, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবরার আরও বলেন, শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নয়নের মেরুদণ্ড। তার মতে, একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।
মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি।
এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রকৌশল অনুষদের অধীনে নতুন বিভাগ হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আরএমই) চালু করেছে। প্রযুক্তি–চালিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে রোবোটিক্স, অটোমেশন এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে এই ধরনের একটি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হাবিব কাজল এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেন।
স্প্রিং–২০২৬ সেমিস্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই কোর্সটিকে ডিজাইন করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভাবনী মনোভাব, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ইনোভেশন–নির্ভর অর্থনীতি গঠনে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চার বছর মেয়াদী এই স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং এমবেডেড কম্পিউটিং–এর ওপর সমন্বিত ও গভীরতর শিক্ষা গ্রহণ করবে। মোট ১৫৪ ক্রেডিট বিশিষ্ট এই কোর্স কাঠামো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিমুখী গবেষণা এবং বাস্তব জীবন–সম্মত প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
ভর্তি যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম ২.৫ জিপিএ পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিতে অন্তত ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া সমমানের অন্য শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও আবেদন করা যাবে, তবে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে ন্যূনতম গ্রেড বজায় রাখতে হবে।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যোগ্যতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি O-Level এবং অন্তত দুটি A-Level বিষয় সম্পন্ন থাকা আবশ্যক। সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে ‘বি’ গ্রেড এবং তিনটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীদের O-Level ও A-Level উভয় ক্ষেত্রেই পদার্থবিদ্যা এবং গণিত থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর একাডেমিক মান বজায় রেখেছে।
শিক্ষার্থীদের বিশ্বমুখী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বিশ্বের ৬০০–টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ক্রেডিট ট্রান্সফার ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুবিধা থাকবে। এতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিবেশে গবেষণা ও শিক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশা করছে, রোবোটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, অটোমেশন, রোবট নির্মাণ, AI-চালিত সিস্টেম এবং উদ্ভাবনী গবেষণাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে বিভাগটি অন্যতম যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়টি সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়, তাদের দাবির যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে অর্থ বিভাগেও একই প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে সরকারি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের, তাই তাদের বেতন কাঠামোও উন্নীত করা প্রয়োজন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা, এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও চলছে। গত শনিবার শাহবাগে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারে শতাধিক শিক্ষক আহত হন, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করেছে।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, আর প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। সম্প্রতি রিট মামলার রায়ের পর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১০মে উন্নীত করা হয়েছে, যার ফলে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেডও ১০মে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের। তাই তাদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা যৌক্তিক। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের কাজের গুণগত ও পরিমাণগত দিক এখন আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তারা শুধু ক্লাস পরিচালনা নয়, প্রশাসনিক কাজ, উপস্থিতি তদারকি, পরীক্ষার দায়িত্ব, অভিভাবক সমন্বয় ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করলে বছরে অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে শূন্য ১৭ হাজার ৮টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে আরও ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। বর্তমানে ১০ম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, এবং ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা। এই পার্থক্যের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ বিষয়ে বলেন, “সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি যৌক্তিক। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং নতুন বেতন কমিশনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য। দাবি পূরণ না হলে তারা বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
-রফিক
নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক এবং শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এই দুটি পদ বাদ দিয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ আনা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন। গত আগস্টে জারি করা মূল বিধিমালাটি সংশোধন করে এসব পরিবর্তন সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রবিবার সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বিধিমালায় শিক্ষক পদ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হলেও সংশোধিত সংস্করণে তা দুটি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে, সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন বিধিমালায় আর থাকছে না।
এই দুটি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের ফল কি না—এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বরং গণমাধ্যমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দেন।
এদিকে, পদ বাতিলের পাশাপাশি বিধিমালায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন আনা হয়েছে বলেও অতিরিক্ত সচিব নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবং বাকি ৮০ শতাংশ পদ 'অন্যান্য বিষয়ে' স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, 'অন্যান্য বিষয়ে' শব্দবন্ধটি বিভ্রান্তিকর ছিল বলে মনে করা হয়। এই বিভ্রান্তি দূর করে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। এই অংশটি সংশোধন করে এখন বলা হয়েছে, "বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী" প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই সংশোধনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অংশ আরও স্পষ্ট হলো বলে তিনি জানান।
৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিতরণ শুরু হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে বলে বোর্ডের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার পরিদর্শক ড. মো. মাসুদ রানা খানের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা দিনে কার্ড বিতরণ করা হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হয়।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ নভেম্বর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা হবে। ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ, ৬ নভেম্বর নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ, ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা ও মাদারীপুর, ৯ নভেম্বর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী, ১০ নভেম্বর গাজীপুর ও ফরিদপুর এবং ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হবে। সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বাকি জেলার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিতরণকৃত কার্ডে কোনো ভুল, যেমন শিক্ষার্থীর নাম, জন্মতারিখ, প্রতিষ্ঠান কোড বা অন্যান্য তথ্যগত ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধনের আবেদন ২০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হলে সংশোধনের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।
আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্বীকৃতি বা সর্বশেষ স্বীকৃতি নবায়নের কপি ও কমিটি অনুমোদনপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সংশোধন আবেদনের প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাগজপত্রসহ সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা এখনো নবায়ন করা হয়নি, তাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি নবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বীকৃতি নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না।
একই সঙ্গে বোর্ড সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ না করলে বা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একাডেমিক রেকর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কার্ড সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (EWU) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (NUS)-এর অধ্যাপক প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস। “Global Sociology and Decolonization – Reimagining Knowledge for Our Times” শীর্ষক এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে (রুম নং ১২৬)।
এই সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক এবং সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অনুরাগীরা। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের কাঠামো ও জ্ঞানচর্চার উপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে মুক্তি এবং একাডেমিক জ্ঞানের বিকেন্দ্রীকরণ।
সেমিনারের প্রধান বক্তা প্রফেসর সাইয়েদ ফরিদ আলাতাস এশিয়ার সমাজবিজ্ঞান চর্চায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক নাম। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত একজন বুদ্ধিজীবী। তিনি প্রয়াত সমাজবিজ্ঞানী ও মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত চিন্তাবিদ সাইয়েদ হুসেইন আলাতাসের পুত্র, যিনি “The Myth of the Lazy Native” গ্রন্থের মাধ্যমে উপনিবেশিক বুদ্ধিবৃত্তির সমালোচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
তার বক্তব্যে প্রফেসর আলাতাস বলেন, “ডিকলোনাইজেশন বা উপনিবেশমুক্তকরণ কেবল তত্ত্বের আলোচনা নয়, এটি হতে হবে বাস্তব প্রয়োগের একটি প্রক্রিয়া।” তিনি বলেন, পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলো সম্পূর্ণ বাতিল করার প্রয়োজন নেই, বরং সেগুলোর সীমাবদ্ধতা বুঝে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে পুনর্মূল্যায়ন করা দরকার। তাঁর মতে, “আমাদের উচিত পশ্চিমা চিন্তাধারার মূল্যবান দিকগুলো স্বীকার করা, কিন্তু একই সঙ্গে ইউরোসেন্ট্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বিপজ্জনক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক থাকা।”
তিনি জোর দেন এই বলে যে, উপনিবেশোত্তর সমাজে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণা তখনই অর্থবহ হবে, যখন স্থানীয় জ্ঞান, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সাহিত্য ও দর্শনকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে চিন্তা, তত্ত্ব ও গবেষণার বড় অংশই আমদানিকৃত। এই নির্ভরশীলতা ভাঙতে হলে স্থানীয় জ্ঞানের ভান্ডারকে নতুন করে মূল্যায়ন করতে হবে।”
প্রফেসর আলাতাস শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, সমাজবিজ্ঞানের পাঠদানে পশ্চিমা সমাজতাত্ত্বিকদের পাশাপাশি আঞ্চলিক চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিকদের অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি উদাহরণ দেন, “বাংলা, মালয়, বা তামিল সমাজের সাহিত্য ও লোকজ সংস্কৃতিতে যে সামাজিক বোধ ও মূল্যবোধ নিহিত, সেগুলোকেও সমাজবিজ্ঞানের আলোচনায় আনা উচিত।”
তিনি জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে যা স্থানীয় চিন্তা ও ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গঠিত, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারে নিজেদের চোখ দিয়ে, ধার করা চশমা দিয়ে নয়।”
প্রফেসর আলাতাস আরও উল্লেখ করেন যে, ডিকলোনাইজেশন শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটি সামাজিক ন্যায়বিচারেরও এক প্রক্রিয়া। কারণ, জ্ঞানই ক্ষমতা, আর যদি জ্ঞান উৎপাদনের প্রক্রিয়া নির্ভরশীল হয়, তবে সমাজও নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারাশউদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি একাডেমিক বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় অগ্রগতির কৌশলও। কারণ, যে জাতি জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বাধীন, সেই জাতিই প্রকৃত অর্থে মুক্ত।”
তিনি সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, “একটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ন্যায়বিচার, এবং সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় রক্ষায় সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম। একাডেমিক জ্ঞানকে উপনিবেশমুক্ত করা মানে হলো চিন্তার মুক্তি, যা উন্নয়নের প্রথম ধাপ।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মি. ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, যিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জ্ঞানকে মুক্ত করা মানে কেবল পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা নয়, বরং নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে বিশ্বচিন্তার সংলাপ সৃষ্টি করা।” তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান, “বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তৈরি করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে আমরা কারা, কোথা থেকে এসেছি, আর আমাদের নিজস্ব চিন্তাচর্চার ঐতিহ্য কী।”
সেমিনারের শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব, যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় উঠে আসে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানে উপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গি অতিক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, কীভাবে পশ্চিমা তত্ত্বকেন্দ্রিক পাঠ্যসূচি কখনও কখনও স্থানীয় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে।
অংশগ্রহণকারীরা একমত হন যে, সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে স্থানীয় চিন্তাবিদ, ঐতিহ্য, এবং সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানো সময়ের দাবি। তারা এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি ছিল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সেই অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ, যার লক্ষ্য একাডেমিক জ্ঞানচর্চাকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমালোচনামূলক এবং বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিক করে তোলা। আলোচনায় স্পষ্টভাবে উঠে আসে যে, ডিকলোনাইজেশন কেবল একটি ধারণা নয়, এটি চিন্তার মুক্তির আন্দোলন, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বৌদ্ধিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে।
কঠিন ব্যাকরণ নয় শিশুদের মতো করে ইংরেজি শেখার সহজ কৌশল শিখে নিন
যেকোনো নতুন ভাষা শেখার প্রথম শর্ত হলো—বলতে ও শুনতে শেখা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা ইংরেজি শেখার শুরু করি ব্যাকরণের জটিল নিয়মকানুন দিয়ে। এই ভুল পদ্ধতির কারণেই দীর্ঘদিন পড়ার পরও অধিকাংশ মানুষ ভালো করে ইংরেজি বলতে বা বুঝতে পারেন না। ফলস্বরূপ, বলা, শোনা বা লেখায় কমবেশি জড়তা থেকেই যায়।
শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা অভিভাবক—আপনি যে-ই হোন না কেন, ইংরেজিতে নিজেকে দুর্বল মনে করলে এবং শেখার ইচ্ছা থাকলে কঠিন ব্যাকরণ ও ভোকাবুলারির মারপ্যাঁচ ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে অনায়াসে ইংরেজি বলা শেখার এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
পুরাতন পদ্ধতিকে বিদায়
বাজারের ১০ দিনে, ৩০ দিনে বা ৩ মাসে ইংরেজি শেখার যত বই আছে, সেগুলো দূরে সরিয়ে রাখুন। কারণ, এই ধরনের বই কেনা হলেও নিয়মিত খোলা হয় না।
স্পোকেন ইংলিশের কোচিংয়ে ভর্তি হওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ, দেখা যায় অনেকে ভর্তি হলেও নিয়মিত কোচিংয়ে যান না, আর গেলেও খুব বেশি কার্যকর ফল পান না।
শিশুদের মতো করে শিখুন
মানুষ যেকোনো ভাষায় প্রথমে বলতে ও শুনতে শেখে, লিখতে ও পড়তে শেখে পরে। শিশুরা ভাষা শেখে অনুকরণের মাধ্যমে—দেখা, শোনা ও বলার মাধ্যমে। একটি শিশুকে যে ভাষার পরিবেশে রাখা হবে, সে সেই ভাষাই দ্রুত শিখে যায়। ঠিক এই পদ্ধতিতেই ইংরেজি শেখা শুরু করুন।
আপনার হাতে থাকা মুঠোফোন, আইপ্যাড বা ইন্টারনেট সংযোগকে কাজে লাগান। প্রতিদিন ইউটিউব বা ফেসবুকে অন্যান্য ভিডিও দেখে যে সময় ব্যয় করেন, আজ থেকে টানা ৩০ দিন সেই সময়টা শুধু ইংরেজি শেখায় দিন।
কার্যকর কৌশল ইউটিউব শো
ইংরেজি শেখার জন্য ইউটিউবে শিশুদের উপযোগী শিক্ষামূলক শো দেখা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে। এই শো গুলো শিশুদের জন্য তৈরি হলেও, এটি ইংরেজি শেখা শুরুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
ইউটিউবে ‘Blippi’ লিখে সার্চ দিন। ইংরেজি একদম না বুঝলেও এই চ্যানেল দেখে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। আপনার বাসায় শিশু-কিশোর থাকলে, তাকে নিয়ে একসঙ্গে দেখুন।
Blippi ছাড়াও Dora the Explorer, Daniel Tiger’s Neighborhood, Sesame Street, Peppa Pig -এর মতো শিক্ষামূলক শো দেখতে পারেন।
এই শিশুদের শো-গুলো গল্পভিত্তিক হওয়ায় এগুলোতে আনন্দ, আবেগ ও চমৎকার গ্রাফিক্যাল ভিডিও থাকে। এগুলো দেখলে আপনি ছবি, রং এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গেই শব্দের মিল তৈরি করে দ্রুত ভাষা শিখতে পারবেন।
প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট করে টানা ৩০ দিন এই শো গুলো দেখলে আপনি সহজেই অনেক ইংরেজি শিখে ফেলবেন। আপনার শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দেখলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। অবাক হয়ে দেখবেন, আপনার শিশু আপনার চেয়েও দ্রুত ইংরেজি শিখে ফেলছে।
এই কাজটি শুরু করুন। এবং আজই!
সূত্র : প্রথম আলো
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়ন এখন সময়ের অন্যতম জরুরি দাবী। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সতর্কবার্তা দেন, যদি এটি বাস্তবায়ন না হয়, তবে দেশ ফের ফিরে যাবে ‘শেখ হাসিনার আমলের পুরনো রাজনৈতিক ব্যবস্থায়’, যা আবারও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিঘ্নিত করবে।
ড. গালিব বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আমাদের জন্য অপরিহার্য। যদি আমরা এটিকে স্থগিত রাখি, তাহলে হাসিনার আমলের সিস্টেম আবার কার্যকর হবে। এই সিস্টেমে তিনি দাবি করতে পারবেন যে, তিনি নিজে কোনোভাবে অবৈধ ছিলেন না; বরং তার বিপক্ষে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেটিই অবৈধ ছিল।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এটি হতে হবে জনগণের সামষ্টিক ইচ্ছার প্রতিফলন, যা অর্জনের একমাত্র কার্যকর উপায় হলো গণভোট।
ড. গালিব আরও বলেন, গণভোটের ফলাফলের রায় পরবর্তী সংসদকে বাধ্যবাধক বা বাইন্ডিং করতে হবে। নতুন সংসদকে অবশ্যই জনগণের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি গণভোটের সময়সূচি নিয়ে বলেন, “এটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে হবে, নাকি জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসাথে হবে—এটি মূল বিষয় নয়। প্রধান বিষয় হলো, গণভোটের মাধ্যমে সনদকে আইনি বাধ্যবাধকতায় আনা।”
তিনি আরও প্রস্তাব করেন, সনদের যেসব বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত, সেগুলো একক প্যাকেজে গণভোটের মধ্যে আনা হোক। এবং যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে, সেগুলো আলাদা প্যাকেজে গণভোটের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। দুইটি পৃথক প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে পারবে, এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ড. মির্জা গালিব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি মনে করান, দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার স্থায়িত্বের জন্য সনদের বাস্তবায়ন অপরিহার্য এবং এটি জনগণের ঐকান্তিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হতে হবে।
পাঠকের মতামত:
- টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় আবারও কেঁপে উঠল এশিয়ার দুই দেশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- শিক্ষক হয়ে গালিগালাজ করায় হাদির কড়া সমালোচনা করলেন নীলা
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
- শুক্রবার ও শনিবার মিলে ঘন ঘন ভূমিকম্প নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বড় দুঃসংবাদ
- বড় ভূমিকম্প হলে তা মোকাবিলা নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৩০০ আসনের জন্য ১৪৮৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে এনসিপি শুরু করল বিশেষ কার্যক্রম
- ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৫৬টি দেশের পক্ষ থেকে যে বড় বার্তা পেল নির্বাচন কমিশন
- দাদা-দাদী-নানা-নানীর অতিরিক্ত আদরে বাড়ছে 'সিক্স পকেট সিনড্রোম', জানুন বিস্তারিত
- ফোবিয়া: সহজে চেনা, সময়মতো চিকিৎসা জরুরি
- বিশ্বের ১০ দামী খাবার, চোখ কপালে তোলার মতো মূল্য
- কোরআনের আলোকে আল্লাহর রহমত পাওয়ার ১০ উপায়
- আজ থেকেই যেসব গ্রাহকসেবা বন্ধ বাংলাদেশ ব্যাংকের
- শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
- সিএসই তে মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ধাক্কা
- ইস্টার্ন পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ব্যতিক্রমী ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ফু-ওয়াং সিরামিকের Q1 ফলাফলে চাপের প্রতিফলন
- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের EPS তিনগুণ বৃদ্ধি
- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির Q1 ফলাফলে চমক
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৩ মিউচুয়াল ফান্ডের NAV হালনাগাদ
- যতবার গাজা যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভয়ংকর রেকর্ড
- "প্রশাসন আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, মামলা করবে।"
- গ্যাসের দাম বাড়ছে আজ!
- বহুমুখী যেসব কর্মসূচিতে রাজধানী সরগরম
- রবিবারের নামাজের ওয়াক্তনামা এক নজরে
- বায়ুদূষণে আবারও বিপজ্জনক ঢাকার বাতাস
- টিভিতে ক্রিকেট–ফুটবলসহ একঝাঁক বড় ম্যাচ
- বহিষ্কৃত ১০ নেতা ফের বিএনপির দলে
- ভারতের চিকেন নেকে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সতর্কতার নির্দেশ
- শ্যাম্পু ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে খুশকি কমানোর সহজ ও ঘরোয়া উপায়
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে সুদান
- স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাবে যা জানালেন রুমিন ফারহানা
- কম্পন থামলেও কাটছে না আতঙ্ক বরং প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই নতুন বিপদে শিক্ষার্থীরা
- কাগজে কলমে যুদ্ধবিরতি থাকলেও গাজার বাস্তব চিত্র দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব
- বাংলাদেশিদের নিয়ে যে আবেগঘন গল্প শোনালেন সাদিও মানে
- আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই মৌসুমে দ্বিতীয়বার দলভুক্ত হলেন বাংলাদেশি পেসার
- ভূমিকম্পের সময় মহানবী সা. যে বিশেষ আমল ও দোয়া পড়ার শিক্ষা দিয়েছেন
- সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা ও উপকূল অতিক্রমের সম্ভাব্য সময় নিয়ে নতুন তথ্য
- ছেলের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বাবার
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- ঢাকায় আবারও ভূমিকম্প
- "৫ আগস্টেই শেষ আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি"
- "সরকার গাফিলতি করছে"
- অস্ট্রিচ কেন পাথর খায় কারণ জানলে চমকে যাবেন
- আগ্নিবলয় বনাম খনিজভাণ্ডার: দুই রিং অফ ফায়ারের রহস্য
- শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার আইনি উপায় জানালেন শিশির মনির
- বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- যে যে মামলায় ফাঁসির রায় হলো হাসিনা-কামালের
- রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী?
- তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- সোমবার রাজধানীর বাজার বন্ধের পূর্ণ তালিকা
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?








