সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয় সব সংস্কার এখনই করা সম্ভব না আসিফ নজরুল

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত সব রাজনৈতিক দল মেনে নেবে।
মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীতে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।
সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের অবস্থান
দেশের সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্ক এবং কিছু দলের দ্রুত সংস্কারের দাবির জবাবে আইন উপদেষ্টা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
তিনি বলেন, "রাতারাতি সব সংস্কার শেষ করা সম্ভব নয়। বাস্তবে এত বড় ধরনের সংস্কার করা সহজসাধ্য নয়। ক্রমান্বয়ে সংস্কার করলে ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারব।"
তিনি স্বীকার করেন, "সবাই মনে করেন সব সংস্কার এখনই করে ফেলতে হবে। বিষয়টা এত সহজ নয়। আমরা যখন অ্যাকটিভিজম করেছি তখন ভেবেছি কত সহজ, কিন্তু এখন বুঝতে পারছি কত কঠিন।"
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "সব সংস্কার যেন সংবিধানে আটকে গেছে। অন্য কোনো সংস্কার কারো চোখেই পড়ে না।"
সংবিধান ম্যাজিক নয়
আসিফ নজরুল মনে করেন, সংবিধান বা আইনি পরিবর্তন সমস্যার একমাত্র সমাধান নয়। জনগণের অভ্যাস ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে কোনো কিছু পরিবর্তন হবে না।
"সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয়, যে লিখে দিলেই সমাধান হয়ে গেল। রাজনৈতিক সংস্কৃতি, জনগণের অভ্যাস বাদ না দিলে কোনো কিছু পরিবর্তন হবে না।"
সাংবিধানিক ব্যর্থতার একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, "সংবিধানে তো লেখা আছে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। কখনো কি হয়েছে?"
বিচার বিভাগ সংস্কারের অগ্রগতি
বিচার বিভাগ সংস্কার প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা জানান, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দেওয়া বেশির ভাগ প্রস্তাবই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি দাবি করেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দেওয়া ৭০-৮০ ভাগ সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। অথচ অপপ্রচার করে বলা হয় কোথায় সংস্কার, কোথায় সংস্কার?
ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে অনুরোধ
আইন উপদেষ্টা ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের কাছে সংস্কারগুলো ধরে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমাদের একটা ভীতি কাজ করে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা এটা ধরে রাখবে কি না।"
তিনি নতুন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যারা আসবেন, তারা যেন সংস্কারগুলো ধরে রাখেন এবং আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান।
নির্বাচন সামনে বিশেষ ক্ষমতা পেলেন সামরিক কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তার চেয়ে ঊর্ধ্বতন সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই বর্ধিত সময়সীমা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
আজ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা ও সময়সীমা
এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তারাও এই ক্ষমতার অধিকারী হবেন।
কার্যকর সময়সীমা: ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কোন কোন ধারায় ক্ষমতা প্রয়োগ
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির নিম্নলিখিত ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিতে পারবেন:
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২।
ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। দেশে উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এর পর থেকে এই ক্ষমতার মেয়াদ সরকার প্রতিবার দুই মাস করে বাড়িয়ে আসছিল। এবার একবারে দীর্ঘ সময়ের জন্য, অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা বাড়ানো হলো।
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অভিযোগ করেছেন যে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে প্রমাণ করছে তাদের নেশাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশি-বিদেশি কোনো শক্তিই এই নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর সকাল ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও প্রমাণ
শফিকুল আলম আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের কার্যক্রমের প্রমাণ হিসেবে সাম্প্রতিক সহিংসতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন:
"১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ এক ধরনের বিশৃঙ্খলা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার চেষ্টা করছে।"
"এখন পর্যন্ত সারা দেশে সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে। আমাদের ধারণা, এটা আওয়ামী লীগের লোকজন করেছে।"
"একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে ডেমরা এলাকা। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে।"
"এছাড়াও ময়মনসিংহে একজন বাস চালককে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। সব নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের কাজ।"
তিনি মন্তব্য করেন, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে কেন তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ একটি টেরোরিস্ট দল। পুলিশ এই বিষয়ে খুবই সতর্ক অবস্থানে আছে বলেও তিনি জানান।
নির্বাচনের সময় ও প্রস্তুতি
প্রেস সচিব নিশ্চিত করেন যে সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত।
"নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। তিন মাসের মধ্যেই কিংবা কমের মধ্যেও নির্বাচন হতে পারে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন।"
"প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস প্রমিজ করেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসের বেস্ট ইলেকশন হবে।"
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। "এরই মধ্যে বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, জামায়াতে ইসলামীও তাদের মতো করে প্রার্থী দিচ্ছে। বড় দলগুলো নির্বাচনমুখী।"
উৎসবমুখর নির্বাচনের প্রত্যাশা
শফিকুল আলম বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও সবাই একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাইছে।
"খুব সুন্দর একটা ইলেকশন দেখতে পাবেন। যেটা ফ্রি, ফেয়ার ও এক্সক্লুসিভ হবে। সমস্ত জনগণ যেখানে অংশগ্রহণ করবে। খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ইলেকশন হবে।"
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যখন খুবই ভালো নির্বাচন হয়েছে বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের কয়েকটি নির্বাচন, তখন ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা সবাই একসঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছে।
রাজনৈতিক মতবিরোধ গুরুত্বহীন
রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দল থাকলে মতভেদ থাকবেই। এটাকে সরকার সিরিয়াস কিছু হিসেবে নিচ্ছে না। তিনি মনে করেন:
"তারা পলিটিক্যাল পার্টি, তারা ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন। নয় মাস ধরে খুব সুন্দরভাবে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহত্তম আলোচনা করেছে।"
তিনি আশা করেন, কিছু কিছু বিষয়ে যে মতবিরোধ সেটা কিছু সময়ের মধ্যে ঐক্যে পরিণত হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কুলিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল হোসেন, ওসি মো. হিলাল উদ্দিন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা।
জুলাই সনদ জট রাজনৈতিক দলগুলো অটল অবস্থানে অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের শেষ চেষ্টা
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে দলগুলোকে সাত দিনের যে সময় দেওয়া হয়েছিল, গতকাল সোমবার সে সময় শেষ হলেও বড় দুই দলই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের সময় নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অটল। এ বিষয়ে সৃষ্ট জট খুলতে সরকারের শেষ চেষ্টা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংশয় রয়ে গেছে।
সরকারের পদক্ষেপ ও সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সাত দিনের সময় দিয়েছিল। এখন ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ভিত্তি ধরে একটি সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। দলগুলোও সরকারের এই সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
উপদেষ্টাদের বৈঠক: সরকারের সংশ্লিষ্ট একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে উপদেষ্টারা নিজেরা নিয়মিত আলোচনা করছেন। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করতে পারেন।
খসড়া চূড়ান্তের চেষ্টা: সূত্রমতে, সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে একটি খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার কথা। সরকার ১৫ নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে চায়।
সমন্বয়ের উদ্যোগ: রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিদাওয়ার মধ্যে কিছুটা সমন্বয় করে সমাধান বের করার চেষ্টা চলছে। এ ক্ষেত্রে সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট একই দিনে করা এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে চায় সরকার।
ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ৬টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। এর মধ্যে ৪৮টি প্রস্তাব সংবিধান-সম্পর্কিত। সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর অন্তত ৩৬টিতে কোনো না কোনো দলের ভিন্নমত রয়েছে।
ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দুটি বিকল্প সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয়। সুপারিশে বলা হয়েছে:
প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারি করা হবে।
এরপর ওই আদেশ ও ৪৮টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে হবে গণভোট।
গণভোটে 'হ্যাঁ' জয়ী হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
বিকল্প সুপারিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে সংসদ সংবিধান সংস্কারে ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে।
বিএনপির অনমনীয় অবস্থান
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের এই উদ্যোগকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না বিএনপি। পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনসহ যেসব সংস্কার প্রস্তাবে বিএনপির ভিন্নমত আছে, সেগুলো নিয়ে নতুন করে আর আলোচনার সুযোগ আছে বলেও মনে করে না দলটি। বিএনপির সূত্র জানায়, তারা মনে করে, সংস্কার বা সনদ নিয়ে আলোচনার ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড’।
গণভোট ও নির্বাচন: বিএনপির পূর্ণ মনোযোগ এখন ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে। তারা জাতীয় নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের দাবিতে অনড়। তারা মনে করে, এটি হলে আগামী সংসদকে আলাদা কোনো ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না এবং সনদ বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হবে।
ভিন্নমত: সনদে ভিন্নমতের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বিএনপি মনে করে, কোনো দল বা জোট নির্বাচনী ইশতেহারে ভিন্নমত উল্লেখ করে ম্যান্ডেট পেলে তারা সেইমতো ব্যবস্থা নিতে পারবে। এই অবস্থান থেকে তারা সরছে না।
আদেশ জারি নিয়ে আপত্তি: সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আদেশ জারি নিয়ে বিএনপির আপত্তি আছে। তারা ক্ষমতায় গেলে নিজেদের ভিন্নমত অনুসারে সংবিধান সংস্কার করতে চায়।
জামায়াতের রাজপথের কর্মসূচি
ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে, তার সঙ্গে একমত জামায়াতে ইসলামী। তবে দলটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট করার দাবিতে অটল।
রাজপথে আন্দোলন: আদেশ জারি, আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছে জামায়াতসহ আট দল। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে বড় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীসহ এই আট দল।
মৌলিক পরিবর্তন: জামায়াতে ইসলামী চায়, ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে দলগুলোর ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না। তারা পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠন ও সাংবিধানিক পদগুলোয় নিয়োগের বিধান সংবিধানে যুক্ত করার মতো মৌলিক পরিবর্তনে ছাড় দেওয়ার পক্ষে নয়।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জুলাই সনদে হাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে সনদের বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংকট উত্তরণের রাস্তা বের করে আনা উচিত।
এনসিপি-এর আহ্বান
জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি সহ আরও কিছু দল মনে করে, সনদ বাস্তবায়নে সরকারকে সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সাহসী সিদ্ধান্ত: এনসিপি-এর সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, সরকার সংস্কারের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা তাদের কর্তব্য। তিনি মনে করেন, সরকার যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে রাজনৈতিক সংকট এবং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাবে।
কমিশনের সুপারিশ: এনসিপি কমিশনের সুপারিশ ইতিবাচকভাবে নিলেও দলগুলোকে আলোচনার আহ্বানে সরকারের গা বাঁচানোর মনোভাব দেখছে তারা। তারা গণভোটের সময় নিয়ে কঠোর অবস্থানে নেই।
সূত্র: প্রথম আলো
আসন পুনর্বিন্যাস বাতিল: বাগেরহাটে ৪টি আসনই বহাল রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনকে কমিয়ে তিনটি করার এবং গাজীপুরের আসন পুনর্বিন্যাস করে গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে বাগেরহাটে চারটি এবং গাজীপুরে পাঁচটি সংসদীয় আসনই বহাল থাকবে।
সোমবার বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।
আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। যদিও বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, জেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে।
গণমানুষের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে বাগেরহাটকে তিন আসনে ভাগ করা হয়। এরপরই সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে আসছিল।
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনাম, অ্যাডভোকেট আমিনুজ্জামান সোহাগ, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান এবং অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
পুরনো আসন বহাল
হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে বাগেরহাটে ১৯৬৯ সাল থেকে চলে আসা চারটি সংসদীয় আসনই বহাল রইল। গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট-১; ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ গঠিত হয়েছিল। কিন্তু এই রায় বাতিল হওয়ায় আগের মতোই বাগেরহাট-১ চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট, বাগেরহাট-২ বাগেরহাট সদর-কচুয়া, বাগেরহাট-৩ রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসন বহাল থাকবে।
ডিএমপি'তে রদবদল: পাঁচ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে বদলি
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পাঁচজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে এডিসি বদলি করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সোমবার ১০ নভেম্বর তাঁদের এই বদলি করা হয়।
বদলি হওয়া কর্মকর্তারা
কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে রদবদল আনা হয়েছে। বদলি হওয়া কর্মকর্তারা হলেন:
ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস বিভাগের মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদকে লালবাগ বিভাগে।
মোহাম্মদ আবু তাহেরকে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে।
এস্টেট বিভাগের মো. শওকত আলীকে রমনা বিভাগে।
ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের মো. জাহিদ হোসেনকে মতিঝিল বিভাগে।
প্রটেকশন বিভাগের কে এইচ এম এরশাদকে উত্তরা বিভাগে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জিহাদ ঘোষণা করেছে ইসি
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার মন্তব্য করেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনের ওপর এবং একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন 'জিহাদ ঘোষণা করেছে'। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে কাউকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
সোমবার (১০ নভেম্বর) কুমিল্লা বার্ডের একটি অডিটোরিয়ামে 'নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরুপণ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, "অতীতে আমরা বহুবার কলঙ্কিত হয়েছি, এবার সেই কলঙ্ক মুছে দিতে হবে।" তিনি ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার জন্য কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন বাকি। এরপরও কারও মনে যদি সন্দেহ থাকে যে নির্বাচন হবে না, তাহলে সেটি ভুল ধারণা। তিনি নিশ্চিত করেন, নির্বাচন হবেই এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান।
ভ্যাট রিফান্ড এখন এক ক্লিকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে, জানুন বিস্তারিত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনলাইনে ভ্যাট রিফান্ড আবেদন গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং সরাসরি করদাতার ব্যাংক হিসাবেই রিফান্ড স্থানান্তরের জন্য চালু করেছে ‘অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল’। সোমবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করদাতারা এখন অনলাইনে মূসক (ভ্যাট) রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় প্রাপ্য ভ্যাট রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট তা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিলে, অর্থ বিভাগ পরিচালিত আইব্যাস++ সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) ব্যবহার করে রিফান্ডের অর্থ সরাসরি করদাতার নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হবে।
এনবিআর জানায়, এই পদ্ধতি চালুর ফলে করদাতাদের আর রিফান্ড আবেদন জমা দেওয়া বা চেক সংগ্রহের জন্য ভ্যাট অফিসে যেতে হবে না। এতে সময় ও খরচ দুই-ই সাশ্রয় হবে এবং রিফান্ড প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এটি বিদ্যমান ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম (আইভ্যাস)-এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত থাকবে, যা দেশের কর ব্যবস্থাপনায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যারা ইতোমধ্যে অনলাইনে বা ম্যানুয়ালভাবে (হার্ডকপি আকারে) রিফান্ডের আবেদন করেছেন, তাদেরকে এখন নতুন করে আইভ্যাস সিস্টেমে অনলাইনে মূসক-৯.১ ফরমের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে। এর মাধ্যমেই তাদের অনিষ্পন্ন রিফান্ড আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
এনবিআর জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতির কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী সব ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি করদাতারা সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহযোগিতা নিতে পারবেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অনলাইন ভ্যাট রিফান্ড মডিউল চালুর মাধ্যমে দেশের কর প্রশাসনের ডিজিটাল রূপান্তর কার্যক্রম আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এনবিআর ভবিষ্যতে সব ধরনের কার্যক্রমকে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশন এবং স্বচ্ছ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
-রফিক
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে আসছে যেসব বড় পরিবর্তন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশেষ করে বয়স সংশোধনের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা সীমিত করে এই প্রক্রিয়া এখন থেকে প্রধান কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত ও সুরক্ষিত করতে নতুনভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এস এম হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, বয়স সংশোধনের বিষয়টি এখন থেকে জেলা বা উপজেলা নির্বাচন অফিসের পরিবর্তে সরাসরি ইসি সচিবালয়ে সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, “বয়স সংশোধন একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আমরা দেখেছি, কিছু ক্ষেত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে বয়স পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়। ডাটাবেজের নিরাপত্তা বজায় রাখতে এখন এসব বিষয় কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”
তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ে কেবল কম সংবেদনশীল ফিল্ড সংশোধন যেমন নামের বানান, ঠিকানা বা পারিবারিক তথ্যের পরিবর্তন সংক্রান্ত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে। কিন্তু বয়স, জাতীয়তা বা জন্মতারিখ সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের জন্য আবেদন এখন থেকে ইসি কার্যালয়ের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যাবে।
ডিজি হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরা দেখেছি, এনআইডি সংশোধনের আবেদন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। অনেকেই দালালের মাধ্যমে বা অপরাধী উদ্দেশ্যে বয়স বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এটি ডাটাবেজের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই প্রক্রিয়াটি কঠোর ও নিয়ন্ত্রিত করা ছাড়া উপায় নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন, এসওপি পুনর্গঠনের সময় শুধু বয়স নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও নতুন নীতিমালা যুক্ত করা হবে। যেমন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ, প্রমাণপত্র দাখিলের প্রক্রিয়া সহজ করা, এবং দীর্ঘদিন আবেদন ঝুলে থাকা রোধে নিয়মিত মনিটরিং।
গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ভোটার তালিকা ও নির্বাচন ব্যবস্থাপনা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির সভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সভায় এনআইডি সংশোধন প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কার্যপরিধি ও দায়বদ্ধতা নির্ধারণে এসওপি সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
সভায় আরও আলোচনা হয় বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া, দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা উন্নত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো এখন কমিশন পর্যায়ে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত হবে। অনুমোদন পেলে নতুন এসওপি ২০২৬ সালের শুরু থেকেই কার্যকর হতে পারে।
-শরিফুল
আগেভাগে জানুন আগামী বছরের ছুটির দিন
উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে আগামী বছরের সাধারণ, নির্বাহী আদেশ ও ঐচ্ছিক ছুটির বিস্তারিত সময়সূচি ঘোষণা করে। নতুন তালিকা অনুযায়ী ২০২৬ সালে মোট ২৮ দিন সরকারি ছুটি থাকবে, যার মধ্যে ১১ দিন সাপ্তাহিক ছুটি (শুক্র ও শনিবার) হিসেবে পড়বে। ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবের ছুটি আগের বছরের মতোই প্রায় অপরিবর্তিত থাকছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগামী বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে ৫ দিন, ঈদুল আজহায় ৬ দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ২ দিন ছুটি থাকবে। মোট ১৪ দিন সাধারণ ছুটি ও ১৪ দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে সাধারণ ছুটির ৭ দিন এবং নির্বাহী আদেশের ৪ দিন সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে যাবে।
সাধারণ ছুটির দিনগুলো হলো ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২০ মার্চ জুমাতুল বিদা, ২১ মার্চ ঈদুল ফিতর, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস ও বুদ্ধপূর্ণিমা (একই দিনে), ২৮ মে ঈদুল আজহা, ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস, ২৬ আগস্ট ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ৪ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমী, ২১ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন।
নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটির মধ্যে রয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ১৭ মার্চ শবে কদর, ঈদুল ফিতরের আগে ১৯ ও ২০ মার্চ এবং পরে ২২ ও ২৩ মার্চ, মোট চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ২৬ ও ২৭ মে এবং পরে ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন, ২৬ জুন আশুরা এবং ২০ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমী।
এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য ১৭ জানুয়ারি শবে মিরাজ, ২৪ মার্চ ঈদের পরের তৃতীয় দিন, ১ জুন ঈদুল আজহার পরের চতুর্থ দিন, ১২ আগস্ট আখেরি চাহার সোম্বা এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা, ১৫ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি ব্রত, ৩ মার্চ দোলযাত্রা, ১৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব, ১০ অক্টোবর মহালয়া, ১৮ ও ১৯ অক্টোবর দুর্গাপূজার সপ্তমী ও অষ্টমী, ২৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ৮ নভেম্বর শ্যামাপূজা।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভস্ম বুধবার, ২ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পূণ্য সপ্তাহ, ৫ এপ্রিল ইস্টার সানডে, এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর বড়দিনের আগে ও পরের দিন ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি, ৩০ এপ্রিল ও ২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ২৯ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ২৬ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ২৫ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জন্য ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি উৎসব উপলক্ষে ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা বছরে তাদের নিজ ধর্ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ তিন দিন ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। বছরের শুরুতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে, এবং প্রয়োজনে সাধারণ বা নির্বাহী ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে এই ছুটি নেওয়া যাবে। তবে ব্যাংক, হাসপাতাল, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মতো বিশেষ দপ্তরগুলো জনস্বার্থ বিবেচনায় নিজস্ব আইন অনুযায়ী ছুটি নির্ধারণ করবে।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- রাজধানীতে ফের বাসে আগুন মালঞ্চ পরিবহনের বাস পুড়ল সূত্রাপুরে
- সংবিধান কোনো ম্যাজিক নয় সব সংস্কার এখনই করা সম্ভব না আসিফ নজরুল
- থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ৫টি ঘরোয়া পানীয় ক্লান্তি দূর করে ওজন রাখবে স্বাভাবিক
- গণভোট নিয়ে টালবাহানা যারা করছেন তারা পালাবেন কোথায়: চরমোনাই পীর
- ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিপক্ষে জোট এনসিপি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
- ইসলামাবাদে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে
- ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেব মির্জা ফখরুল
- শীতের বাতের ব্যথা কমাতে ৫ খাবার রাখুন পাতে
- আগে গণভোট চাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব জামায়াত আমির
- শীতকালে কেন স্ট্রবেরি খাবেন জানেন কি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এটি জরুরি
- নির্বাচন সামনে বিশেষ ক্ষমতা পেলেন সামরিক কর্মকর্তারা
- মুশফিক-তামিমদের ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় লিটন দাস আজই কি গড়বেন রেকর্ড
- হাসিনার সাক্ষাৎকারগুলো ‘সাজিয়ে রাখা’, আরো নতুন পর্ব আসবে
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১১ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ঢাকা কাঁপল ১১ বিস্ফোরণে গ্রামীণ ব্যাংক এবং এনসিপি কার্যালয়েও হামলা
- জুলাই সনদের বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত মানা হবে না দায় বর্তাবে সরকারের ওপর হুঁশিয়ারি বিএনপির
- আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে: প্রেস সচিব
- ভয় পাচ্ছে জামায়াত ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না সাফ জানালেন ফখরুল
- দুই দিন ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে এশা দেওলের স্পষ্ট বার্তা
- "জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসীরা চাঁদাবাজ হতে পারে না"
- স্টার্লিং-ক্যাডের জুটিতে দাপট আয়ারল্যান্ডের
- জুট স্পিনার্সের প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন
- জিবিবি পাওয়ারের Q1 ফলাফল প্রকাশ
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছালো স্বর্ণ
- ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- দিনের শুরুতেই পুঁজিবাজারে প্রাণচাঞ্চল্য, বেড়েছে তিন সূচকই
- চীন–যুক্তরাষ্ট্র প্রতিযোগিতার ভেতরে লুকানো নতুন ভারসাম্য
- খালি পেটে খেজুর খাওয়ার ৭টি অসাধারণ উপকারিতা
- দুই পারমাণবিক কেন্দ্রে রুশ ড্রোন হামলা
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজায় ত্রাণে ইসরাইলের বাধা
- বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি
- আওয়ামী লীগারদের উদ্দেশ্যে নুরের বিস্ফোরক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তোলপাড়
- রাজধানীর তিন এলাকায় আরও বাসে আগুন এক দিনে ছয় বাসে অগ্নিসংযোগ
- জুলাই সনদ জট রাজনৈতিক দলগুলো অটল অবস্থানে অনিশ্চয়তা কাটাতে সরকারের শেষ চেষ্টা
- ট্রাম্পের ঘোষণার পরই সরে দাঁড়াল স্থিতিশীলতা বাহিনী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
- দিল্লিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণ আতঙ্ক লালকেল্লা এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি
- স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা চলতি বছরই ৭৪ বার দাম সমন্বয় করল বাজুস
- সাবেক মিত্র জামায়াত ও বিএনপি এবার পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী কুড়িগ্রামের ৪ আসনে মুখোমুখি দুই ভাই
- আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিকে বাইরে রাখলে আমি নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী
- ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে চলন্ত বাসে আগুন
- শীতের পোশাক: অ্যালার্জি এড়াতে জ্যাকেট, সোয়েটার পরিষ্কারের সঠিক পদ্ধতি
- তারেক রহমানের নেতৃত্বেই শহীদদের স্বপ্নের দেশ গড়া সম্ভব: মীর স্নিগ্ধের
- নব্য ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে বসে থাকব না: বিএনপিকে জুলাই সনদ নিয়ে হুঁশিয়ারি এনসিপি নেতার
- জেনে নিন বৃহস্পতিবারের সদাকাহর গোপন রহমত
- গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- দেউলিয়া পাঁচটি ইসলামি ব্যাংক একীভূত
- রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
- বুক ধড়ফড়ের নেপথ্যে পানিশূন্যতা: হৃদস্পন্দন দ্রুত হলে যা করবেন, জানালেন বিশেষজ্ঞরা
- কালো মুরগি কেন এত দামি: জেনেটিক বিস্ময়, ঐতিহ্য ও বিলাসিতার এক অনন্য সংমিশ্রণ
- ঘরে বসেই বানান ডিজিটাল NID: সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জানুন ধাপে ধাপে
- ০৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- পপুলার ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- চেঙ্গিস খানের অজানা গল্প: এক গরীব বালক যেভাবে পৃথিবীর ৪০% মানুষের যমদূত হয়ে উঠেছিল!
- কারা পাবেন বিনা হিসাবে জান্নাত? হাদিসের আলোকে জানুন সৌভাগ্যবানদের বিশেষ গুণাবলী
- জয়–হাসিনা সাক্ষাৎ: দিল্লির নীলনকশার প্রথম ধাপ?
- যুদ্ধ ও মহানুভবতা: সুলতান সালাউদ্দিন যেভাবে জেরুজালেম জয় ও শত্রুর মন জিতেছিলেন
- ইতিহাস সৃষ্টিকারী কে এই জোহরান মামদানি? যিনি প্রথম মুসলিম ও সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হতে চলেছেন








