রোজকার শেয়ারবাজার

২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৫:০৭:৩১
২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

বুধবার (২২ অক্টোবর, ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে তীব্র দরপতন দেখা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে তৈরি শীর্ষ দশ লোকসানি কোম্পানির তালিকায় রয়েছে আর্থিক খাতের FASFIN এবং বস্ত্র খাতের ZAHEENSPIN। এই দরপতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, বিশেষ করে আর্থিক খাতের শেয়ারগুলোর দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

গতকালের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লোকসানি

এই তালিকাটি দেখায়, যাদের শেয়ারের দাম গতকালের বাজার বন্ধের দামের (YCP) তুলনায় আজ সবচেয়ে বেশি কমেছে:

FASFIN: এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আর্থিক খাতের এই কোম্পানিটি, যার শেয়ারের দাম কমেছে ৯.০৯ শতাংশ।

ZAHEENSPIN: বস্ত্র খাতের এই শেয়ারটি ৮.৮৯ শতাংশ লোকসান নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

FIRSTSBANK: আর্থিক খাতের এই শেয়ারের দর কমেছে ৭.৬৯ শতাংশ।

SKTRIMS (৭.৫৯ শতাংশ) এবং RSRMSTEEL (৭.০৪ শতাংশ) এই তালিকার প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে।

অন্যান্য লোকসানি: এই তালিকায় উল্লেখযোগ্য লোকসান দেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ATLASBANG (৬.৩৩ শতাংশ), METROSPIN (৬.৩২ শতাংশ), BDWELDING (৫.৭৫ শতাংশ), PDL (৫.৩৬ শতাংশ) এবং MAKSONSPIN (৫.১৭ শতাংশ)।

আজকের ওপেনিং প্রাইসের তুলনায় শীর্ষ লোকসানি

দিনের লেনদেনের শুরুতে এবং শেষে শেয়ারের মূল্যের পরিবর্তনের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে:

STANCERAM: দিনের লেনদেনে এই শেয়ারটি সবচেয়ে বড় লোকসান দিয়েছে, যা ১৫.১৫ শতাংশ।

ZAHEENSPIN: ১০.৮৭ শতাংশ লোকসান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

FASFIN: ৯.০৯ শতাংশ লোকসান নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

TAKAFULINS (৮.২৪ শতাংশ) এবং BDWELDING (৭.৮৭ শতাংশ) এই তালিকার প্রথম পাঁচে রয়েছে।

অন্যান্য লোকসানি: এই তালিকায় রয়েছে FIRSTSBANK (৭.৬৯ শতাংশ), MAKSONSPIN (৬.৭৮ শতাংশ), ATLASBANG (৬.৩৩ শতাংশ), ASIAINS (৬.২৫ শতাংশ) এবং FAMILYTEX (৫.৮৮ শতাংশ)।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৫:০৯:১৯
৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের লেনদেন দিনে বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেল। দিনের সার্বিক সূচকে পতন থাকলেও অগ্রগামী বা গেইনার সংখ্যায় আগের দিনের তুলনায় বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। বাজারের সব ক্যাটাগরি মিলিয়ে ৩৮৭টি কোম্পানি ও সেক্টরভিত্তিক ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ১১০টি ইস্যুর দর বাড়ে, ২০৯টি কমে এবং ৬৮টি অপরিবর্তিত থাকে।

A ক্যাটাগরিতে মৃদু ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট

A ক্যাটাগরিতে মোট ২১৩টি ইস্যু লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫২টি শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে ১২৩টি কমেছে, এবং ৩৮টি অপরিবর্তিত থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের মিশ্র সেন্টিমেন্ট ও স্বল্পমেয়াদি তারল্য অনিশ্চয়তা A ক্যাটাগরির পতনে ভূমিকা রেখেছে।

B ও Z ক্যাটাগরিতে লেনদেন তুলনামূলক চাঙা

B ক্যাটাগরিতে ৭৭টি ইস্যুর মধ্যে ২৪টি দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পূর্বদিনের তুলনায় একটি ইতিবাচক মোড় নির্দেশ করছে। যদিও ৪৪টি শেয়ার দরপতনের মুখে পড়ে।Z ক্যাটাগরিতে লেনদেন আরও প্রাণবন্ত ছিল, যেখানে ৩৪টি ইস্যু দরবৃদ্ধি পায় এবং মাত্র ৪২টি কমে, অপরদিকে ২১টি অপরিবর্তিত থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই Z ক্যাটাগরি জুড়ে অস্থিরতা স্বাভাবিক হলেও আজ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়চাপ লক্ষ্য করা গেছে।

মিউচুয়াল ফান্ডে সীমিত পুনরুদ্ধার

মিউচুয়াল ফান্ড (MF) সেগমেন্টে মোট ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ৯টি অগ্রগতি দেখিয়েছে, ১১টি পতন হয়েছে এবং ১৫টি স্থিতিশীল ছিল। মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বাজারের সামগ্রিক চাপ ফান্ডগুলোর নেট অ্যাসেট ভ্যালুতে অভিঘাত ফেলছে।

লেনদেনের পরিমাণ কমেছে

দিনজুড়ে ডিএসইতে মোট ১,১৪,৭৬৪টি ট্রেড সম্পন্ন হয়, যা পূর্বদিনের তুলনায় কম। মোট লেনদেনকৃত শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৯০১টি। সামগ্রিক লেনদেনমূল্য কমে দাঁড়ায় ২৬৭৬.৪৫ কোটি টাকা, যা বাজারে তারল্য সংকট বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ব্লক মার্কেটে বৈচিত্র্যময় লেনদেন

ব্লক মার্কেটে মোট ২৯টি স্ক্রিপে ৫২টি লেনদেন সম্পন্ন হয়, যেখানে মোট লেনদেনের পরিমাণ ১৭,৭৩,৩৯৪টি সিকিউরিটি এবং বাজারমূল্য ১৩০.১৮৮ মিলিয়ন টাকা। প্রধান ব্লক ট্রেডগুলোর মধ্যে ACI, FINEFOODS, SHYAMPSUG, CITYBANK এবং ORIONINFU উল্লেখযোগ্য।

যেখানে FINEFOODS এককভাবে ১৪টি ট্রেডে সর্বোচ্চ ৬৬.৯৫৮ মিলিয়ন টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেছে যা ব্লক মার্কেটের দিনের লেনদেনকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙা করেছে।

বাজার মূলধন সামান্য সংকুচিত

দিন শেষে ডিএসইর মোট মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়ায় ৬,৮৩৯,৮৩১.৪৮ কোটি টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় সামান্য হ্রাস নির্দেশ করে। এর মধ্যে-

  • ইকুইটি মার্কেট ক্যাপ: ৩,২৩,৭২৩১.৫০ কোটি টাকা
  • মিউচুয়াল ফান্ড মার্কেট ক্যাপ: ২৩,১০১.৪৬ কোটি টাকা
  • ডেট সিকিউরিটিজ ক্যাপ: ৩,৫৭,৯৪৯৫.০০ কোটি টাকা

বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, করপোরেট আর্নিংস শ্লথগতি এবং বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের অস্থিরতা বাজার বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে সতর্ক করে তুলছে।


৭ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৫:০৬:০২
৭ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫-এর লেনদেন দিনে বাজারজুড়ে বিক্রির চাপ তীব্র ছিল। দিনের শেষে ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত (লুজার) তালিকার শীর্ষে রয়েছে FASFIN, যার শেয়ারমূল্য ০.৯ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ০.৮১ টাকায়। ঠিক ১০ শতাংশ পতন এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা KPPL পুরো দিন জুড়ে অস্থির লেনদেনের মধ্যে পড়ে। সর্বোচ্চ ১৮.৮ টাকা পর্যন্ত উঠলেও দিনের শেষে শেয়ারটি ১৬.৮ টাকায় নেমে আসে, যা পূর্বদিনের তুলনায় ৯.৬৭ শতাংশ কম। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, চলমান খাত–সংকট ও দুর্বল আর্থিক পূর্বাভাস এমন পতনের কারণ হতে পারে।

তৃতীয় স্থানে থাকা BDTHAI–ও উল্লেখযোগ্য ধস নেমেছে। ১২.৯ টাকা থেকে কমে ১১.৭ টাকায় বন্ধ হয়ে শেয়ারটি দিনের শেষে ৯.৩০ শতাংশ হ্রাস পায়। কোম্পানির সাম্প্রতিক আর্থিক ফলাফল এবং আমদানিনির্ভর খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা বিনিয়োগকারীদের মানসিকতায় প্রভাব ফেলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে PRIMEFIN, GHCL, ANWARGALV, INTECH, OIMEX, GSPFINANCE ও BIFC উল্লেখযোগ্য। PRIMEFIN এর ৭.৬৯ শতাংশ পতন বাজারে মাইক্রোফিন্যান্স খাতের অনিশ্চয়তাকে সামনে তুলে ধরেছে। GHCL–এর ৭.২৭ শতাংশ কমে যাওয়া চাহিদা সংকোচন ও কাঁচামালের মূল্য–অস্থিরতাকে প্রতিফলিত করছে।

ইস্পাত ও গ্যালভানাইজিং সেক্টরের প্রতিষ্ঠান ANWARGALV–এর শেয়ারও চাপে পড়ে ৮৭.১ টাকা থেকে নেমে ৮১.২ টাকায় আসে, যা ৬.৭৭ শতাংশ ক্ষতি নির্দেশ করে। প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের প্রতিষ্ঠান INTECH–এর পতন ৬.৫৪ শতাংশ, আর OIMEX–ও দিনের শেষে ৬.৪৯ শতাংশ কমে রয়েছে।

তালিকার শেষদিকে থাকা BIFC যার মূল্যে ৫.৫৫ শতাংশ হ্রাস হয়েছে, আর্থিক অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘমেয়াদি রিটার্ন সংকটের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতাকে প্রতিফলিত করছে।

বিশ্লেষকেরা জানান, বাজারের সার্বিক দুর্বল সেন্টিমেন্ট, তারল্য সংকট, এবং খাতভিত্তিক আর্থিক চাপ মিলিয়ে দিনজুড়ে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হয়েছে। তারা মনে করেন, স্বল্পমেয়াদে বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের শেয়ার–নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।

-রফিক


৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৪:৫৯:৩৬
৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৭ ডিসেম্বর ২০২৫-এর লেনদেনে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে বেশ কিছু সেক্টরের নির্বাচিত শেয়ারে। ক্লোজিং প্রাইসের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ গেইনার তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে SAPORTL, যা আগের দিনের ৩৮.২ টাকা থেকে বেড়ে ৪১.১ টাকায় বন্ধ হয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ ছিল ৪১.৯ টাকা। মোট ৭.৫৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ব্যবসায়িক অগ্রগতি ও প্রত্যাশা বৃদ্ধিই এমন ইতিবাচক গতির অন্যতম কারণ।

গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড GREENDELMF, যার শেয়ারমূল্য ২.৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩ টাকা হয়েছে। প্রায় ৭.১৪ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ফান্ডটি দিনের শীর্ষ পারফর্মারদের মধ্যে জায়গা করে নেয়। তুলনামূলক কম দামের হলেও সক্রিয় লেনদেন ও স্বল্পমেয়াদি রিটার্ন প্রত্যাশীদের আগ্রহ বৃদ্ধির ফলেই এই উত্থান হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

তৃতীয় স্থানে থাকা SHEPHERD এর শেয়ারের মূল্য ১২.৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৩.৮ টাকায় পৌঁছায়, যা ৬.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। টেক্সটাইল খাত সম্প্রতি নতুন রপ্তানি অর্ডার ও কাঁচামালের মূল্য-স্থিতিশীলতার কারণে আবারও লেনদেনের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে, যার প্রভাব এই শেয়ারের উত্থানেও প্রতিফলিত হয়েছে।

দিনের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি ছিল বহুজাতিক কোম্পানি UNILEVERCL। উচ্চ পুঁজির এই প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ২,১১৯.৩ টাকা থেকে বেড়ে ২,২২২.৪ টাকায় বন্ধ হয়, যা প্রায় ৪.৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। বিশ্লেষকদের মতে, শক্তিশালী ব্র্যান্ড অবস্থান, টানা মুনাফা ও স্থিতিশীল ডিভিডেন্ড নীতির কারণে ইউনিলিভারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।

তালিকার অন্যান্য শীর্ষ গেইনারের মধ্যে TOSRIFA (৬.০৬%), GOLDENSON (৫.৭৬%), DBH (৪.৯৫%), APEXSPINN (৪.১৩%), SHARPIND (৩.৯০%) এবং ABB1STMF (৩.৮৪%) উল্লেখযোগ্য। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে সাম্প্রতিক কৌশলগত পরিবর্তন, খাতভিত্তিক চাহিদা বৃদ্ধি ও বাজারে রিবাউন্ড প্রবণতার কারণে বিনিয়োগকারীদের নতুন করে আগ্রহ দেখা গেছে।

বাজার–বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের শুরুতে কিছু শেয়ারের অতিরিক্ত বিক্রি ও দামের পতনের পর এখন বাজারে হালকা রিবাউন্ড দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী ও কনজ্যুমার গুডস খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ বাড়ায় বাজারে ইতিবাচক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়েছে। তবে তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সামগ্রিক বাজার–ঝুঁকি এখনো পুরোপুরি কাটেনি, তাই শেয়ার নির্বাচন ও বিনিয়োগ কৌশলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

-রফিক


৮ ডিসেম্বর চার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ফের চালু

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১৩:১৮:৩৫
৮ ডিসেম্বর চার কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ফের চালু
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, রেকর্ড ডেট সম্পন্ন হওয়ার পর চারটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেন আগামী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার থেকে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় চালু হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো হলো আরডি ফুড (RDFOOD), ফার্মেইড (PHARMAID), আইবিপি (IBP) এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (BSC)।

প্রতিটি কোম্পানি তাদের নির্ধারিত রেকর্ড ডেট সম্পন্ন করায় ওই দিন এক্স-রেকর্ড স্ট্যাটাসে লেনদেন বন্ধ ছিল। পরবর্তী কার্যদিবস থেকে শেয়ারগুলো পুনরায় ট্রেডিংয়ে ফিরবে এবং বিনিয়োগকারীরা আগের মতোই এসব সিকিউরিটিজ কেনাবেচা করতে পারবেন।

ডিএসই সূত্র জানিয়েছে, রেকর্ড ডেট সাধারণত লভ্যাংশ, অধিগ্রহণ, রাইট শেয়ার বা অন্যান্য করপোরেট ঘোষণার সুবিধাভোগী নির্ধারণের আনুষ্ঠানিক দিন। রেকর্ড ডেট শেষে ট্রেডিং পুনরায় চালু হলে বাজারে শেয়ারের দাম স্বাভাবিক চাহিদা–যোগানের ভিত্তিতে নতুন ভারসাম্যে পৌঁছায়।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, রেকর্ড ডেট পরবর্তী প্রথম লেনদেনের দিন সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলোতে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কারণ নতুন ও পুরোনো বিনিয়োগকারীরা লেনদেন পুনরায় শুরু হওয়াকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে সামগ্রিকভাবে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা বাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখে।

-রফিক


১০ ও ৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে কুপন পেতে যা লাগবে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ১২:৫৭:২৪
১০ ও ৫ বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে কুপন পেতে যা লাগবে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি বন্ড বাজারে লেনদেন হওয়া দুইটি সরকারি সিকিউরিটিজের কুপন পেমেন্টের রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত তারিখে যেসব বিনিয়োগকারী বন্ডধারী থাকবেন, তারাই সংশ্লিষ্ট কুপন পেমেন্ট পাওয়ার অধিকারী হবেন।

প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ড (10Y BGTB 17/06/2030)–এর কুপন পেমেন্টের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। এ তারিখ পর্যন্ত যাদের কাছে বন্ডটি থাকবে, তারা কুপন প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। সিকিউরিটিজটির ট্রেডিং কোড TB10Y0630।

একই দিনে ঘোষিত অন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ড (05Y BGTB 16/06/2026)–এর কুপন পেমেন্টের রেকর্ড ডেটও নির্ধারিত হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। ট্রেডিং কোড TB5Y0626।

রেকর্ড ডেট হলো এমন একটি নির্দিষ্ট দিন, যেদিন পর্যন্ত নিবন্ধিত বন্ডধারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই তারিখে যার নামে বন্ড থাকে, তিনিই পরবর্তী সুদ বা কুপন সুবিধা পান। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকারের সিকিউরিটিজ বাজারকে আরও সক্রিয় এবং স্বচ্ছ রাখতে নিয়মিতভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করে ডিএসই।

-রফিক


মূল বোর্ডে জমজমাট লেনদেন, বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বৃদ্ধি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১২:১০:২৭
মূল বোর্ডে জমজমাট লেনদেন, বিনিয়োগকারীর আগ্রহ বৃদ্ধি
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫—মূল বাজারে লেনদেন ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে সক্রিয়। দিনের শেষে ডিএসইর সমন্বিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট লেনদেনের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮২১টি, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর তুলনায় দৃশ্যমান বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

দিনজুড়ে প্রধান বোর্ডে ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বাজারের সামগ্রিক গতি ও ক্রয়–বিক্রয়ের চাপের প্রভাবে টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৪৩.৭৪ মিলিয়ন টাকা (৩৬৪.৩৭ কোটি টাকা)।

বিশ্লেষকদের মতে, সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে আসায় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হয়েছেন। সেই সঙ্গে সেক্টরভেদে মিশ্র পারফরম্যান্স থাকলেও কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল শক্তিশালী কোম্পানির প্রতি আগ্রহ বাড়তে দেখা গেছে।

ডিএসইর দৈনিক টার্নওভার ও লেনদেনের তথ্য মূল বোর্ডের সামগ্রিক ট্রেডিং সেন্টিমেন্ট পরিমাপের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই বৃহস্পতিবারের লেনদেন বৃদ্ধির বড় কারণ।

-রাফসান


৪ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১৫:১৫:১৩
৪ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ছিল ব্যাপক দরপতনের দিন। সার্বিক বাজারে বিক্রির চাপ তীব্র হওয়ায় প্রায় সব ক্যাটাগরিতেই শেয়ারদর কমেছে। মোট ৩৮৫টি ট্রেড হওয়া স্ক্রিপের মধ্যে মাত্র ৩৪টি বেড়েছে, ৩০৭টি কমেছে এবং ৪৪টি অপরিবর্তিত ছিল। বাজার বিশ্লেষকদের মতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, সুদের হারের চাপ এবং স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা বাজারে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করেছে।

A ক্যাটাগরি: বড় কোম্পানিগুলোর ওপরও চাপ

এ ক্যাটাগরির ২১৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৮টি বাড়ে, বিপরীতে ১৬৮টি কমে যায়, যা একটি শক্তিশালী বিক্রিচাপ নির্দেশ করে। বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে যেসব কোম্পানি সাধারণত নেতৃত্ব দেয়, তারাও বড় পতনের মুখে পড়েছে।

B ও Z ক্যাটাগরিতে বড় দরপতন

বি ক্যাটাগরির ৭৬টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৬টির দাম বাড়লেও ৬৭টির দাম কমেছে।জেড ক্যাটাগরিতে ৯৫টি স্ক্রিপের মধ্যে ৭২টি কমেছে, যা প্রায় অর্ধদশকের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় স্থান পেতে পারে।

মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরেও দুর্দশা

৩৫টি ট্রেড হওয়া মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ২টি বেড়েছে এবং ১৮টি কমেছে। দীর্ঘদিন ধরে কম NAV এবং বাজারে তারল্যের সংকট এই সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

লেনদেন বেড়েছে, কিন্তু বিনিয়োগকারীদের মনোভাব দুর্বল

ডিএসইতে আজ মোট ট্রেড হয়েছে ১,৩৭,৮২১টি। লেনদেনের পরিমাণ ৩৬৪.৩৭ কোটি টাকা এবং ভলিউম ১৪.৫২ কোটি শেয়ার। লেনদেন বাড়লেও এটি আস্থার সংকট নয়, বরং আতঙ্কজনিত সেল-অফের ফল—এমনটি বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

বাজারমূলধনেও বড় ধস

আজকের দরপতনে বাজারমূলধন কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৮৪,৭৬২০ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্দেশ করে।

ব্লক মার্কেটে ২৩ কোম্পানিতে ১৩৫.৬৭ কোটি টাকার লেনদেন

ব্লক মার্কেট ছিল তুলনামূলক সক্রিয়; প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বড় আকারের লেনদেন করেছেন।

দিনের শীর্ষ লেনদেনকারীরা

DOMINAGE – ২৫.১৫৭ কোটি টাকা

BDTHAIFOOD – ২২.২১ কোটি টাকা

FINEFOODS – ২১.৭৬ কোটি টাকা

ORIONINFU – ১৮.৮৭ কোটি টাকা

CITYGENINS – ৯.৫৩ কোটি টাকা

EASTRNLUB – ৭.৪৭ কোটি টাকা

মোট লেনদেন হয়েছে ৪১,৭১,১০০ শেয়ার, যা নির্দেশ করে যে বাজারের বড় খেলোয়াড়রা এখনো সক্রিয় আছেন।

ACI, IDLC, LOVELLO, SONALILIFE, UNITEDFIN–সহ আরও ১৭টি কোম্পানি ব্লক মার্কেটে বড় অঙ্কের লেনদেন করে।

-রাফসান


ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যেসব শেয়ারের

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১৫:০৮:৫২
ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে যেসব শেয়ারের
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেট বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫-এ তুলনামূলক সক্রিয় দিন পার করেছে। মোট ২৩টি স্ক্রিপে ৫০টি বড় লেনদেনে টার্নওভার দাঁড়ায় ১৩৫.৬৭১ কোটি টাকা, যা গত কয়েক দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এদিন বেশ কয়েকটি সেক্টরে বড় আকারের ব্লক ট্রেড বাজারে তারল্য ও আস্থার একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।

ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে DOMINAGE-এ, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ২৫.১৫৭ কোটি টাকা। ৬টি লেনদেনে ১০,২৭,৯৭৮ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টার্নওভার ছিল BDTHAIFOOD-এ, যেখানে ৮টি লেনদেনে ২২.২১ কোটি টাকার লেনদেন হয়। সর্বনিম্ন দাম ১৪.২০ এবং সর্বোচ্চ ১৬.৭০ টাকায় শেয়ারগুলো লেনদেন হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে EASTRNLUB-এও। মাত্র ২টি লেনদেনেই টার্নওভার দাঁড়ায় ৭.৪৭ কোটি টাকা, যা প্রিমিয়াম রেঞ্জে থাকা শেয়ারের প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে FINEFOODS ব্লক মার্কেটে স্থিতিশীল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, ৫টি লেনদেনে ২১.৭৬ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

ORIONINFU-তে ছিল উল্লেখযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ। একক লেনদেনেই ১৮.৮৭৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা দিনটির অন্যতম বড় ট্রেড হিসেবে চিহ্নিত।

সুদেরহার–সংবেদনশীল সেক্টর থেকে CITYGENINS তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী লেনদেন ধরে রাখে। ৫টি লেনদেনে প্রায় ৯.৫৩ কোটি টাকার ট্রেড হয়েছে, যা ইনস্যুরেন্স সেক্টরের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।

ACI, DOMINAGE, FINEFOODS, EASTRNLUB, ORIONINFU, UNITEDFIN–সহ শীর্ষ কোম্পানিগুলোতে বিস্তর লেনদেন বাজারে তারল্য বাড়িয়েছে। মোট ট্রেড হওয়া ২৩ স্ক্রিপের মধ্যে বস্ত্র, ফার্মাসিউটিক্যালস, ফুড, ইনস্যুরেন্স, ফিন্যান্স এবং মিউচুয়াল ফান্ডসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্লক লেনদেনের বহুমুখী অংশগ্রহণ দেখা গেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রাতিষ্ঠানিক ক্রয়চাপ ব্লক মার্কেটকে সক্রিয় করেছে। বিশেষ করে বছরের শেষ প্রান্তিকে ফান্ড ম্যানেজারদের পোর্টফোলিও রিব্যালান্সের কারণে ব্লক মার্কেটে লেনদেন আরও বাড়তে পারে।

সর্বমোট ৫০টি লেনদেনে ৪১,৭১,১০০ শেয়ারের হাতবদল বাজারে বড় বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা স্পষ্ট করে তুলেছে।

-রাফসান


ডিএসই ডেট মার্কেটে নীরব দিন, দাম বাড়ল একটি বন্ডে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ১৫:০৬:৪১
ডিএসই ডেট মার্কেটে নীরব দিন, দাম বাড়ল একটি বন্ডে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডেট বোর্ডে বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৩টা ৫ মিনিট পর্যন্ত লেনদেন ছিল প্রায় স্থবির। অধিকাংশ বন্ডে কোনো লেনদেন হয়নি, ফলে লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস (LTP) শূন্য দেখায়। তবে কয়েকটি বন্ডে সীমিত লেনদেন বাজারে সামান্য হলেও গতি আনে। বিশ্লেষকদের মতে, ডেট মার্কেটে তারল্য সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থান এবং সুদের হারের অস্থিরতা এ ধরনের নীরব লেনদেনের মূল কারণ।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায় AIBLPBOND-এ, যেখানে একমাত্র একটি লেনদেনে LTP দাঁড়ায় ৩,৬১০ টাকা, যা আগের দিনের YCP ৩,৮০০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা কম। প্রায় -৫ শতাংশের মতো পতন এই বন্ডের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে নিম্নমুখী প্রবণতার নির্দেশ করে। লেনদেনের পরিমাণ মাত্র ১ ইউনিট এবং ভ্যালু ছিল ০.০০৪ মিলিয়ন টাকা।

অন্যদিকে, সক্রিয়তার দিক থেকে IBBLPBOND ছিল তুলনামূলক এগিয়ে। ৩টি লেনদেনে ১০০ ইউনিটের মোট ভলিউমে LTP দাঁড়ায় ৬৭০ টাকা। আগের দিনের YCP ৬৪০.৫ টাকা থেকে দাম বেড়ে ২৯.৫ টাকা বৃদ্ধি পায়। এ বন্ডের মূল্যবৃদ্ধি ব্যাংকিং সেক্টরের সুকুক ও ইস্যুগুলোর প্রতি নির্দিষ্ট একটি আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তবে ডেট মার্কেটের সার্বিক চিত্র রয়ে গেছে নিষ্ক্রিয়। ABBLPBOND, APSCLBOND, BANKASI1PB, CBLPBOND, DEBARACEM, DEBBXKNI, PREBPBOND, SJIBLPBOND সহ অধিকাংশ বন্ডে কোনো লেনদেন হয়নি, ফলে LTP শূন্য দেখায় এবং CLOSEP অপরিবর্তিত থাকে। এসব বন্ডের পূর্বনির্ধারিত ক্লোজিং প্রাইসই তালিকায় প্রদর্শিত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুদহার কাঠামো পরিবর্তন, আর্থিক খাতে অনিশ্চয়তা এবং বন্ড মার্কেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অজ্ঞতা তারল্য সংকটকে আরও তীব্র করেছে। তারা মনে করেন, ডেট বোর্ডে নতুন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত না হলে স্বল্পমেয়াদে লেনদেন বাড়ার সম্ভাবনা কম।

মোট মিলিয়ে, দিনের শেষে ডেট মার্কেটের কার্যক্রম সীমিত থাকলেও IBBLPBOND-এর লেনদেন বাজারে সামান্য প্রাণ ফিরিয়েছে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত