আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:৪৪:৩৪
আজ ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট মহানগরীতে বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণকাজের জন্য আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ থেকে জানানো হয়েছে, এই কাজ চলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

বিউবোর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেটের বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩৩/১১ কেভি শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণকাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই

শেখঘাট উপকেন্দ্রের অধীন পুলিশ লাইনস, ভাতালিয়া, লালাদিঘীর পাড় ও নবাব রোড ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলো:

পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আবাসিক এলাকা, ভাঙ্গাটিকর, লালাদিঘীর পাড়, ইগুলাল রোড, কুয়ারপাড়, লামাবাজার, বিলপাড়।

লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইনস, মধুশহীদ, রিকাবী বাজার।

দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, উদ্দ্যম আবাসিক এলাকা, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আবাসিক এলাকা, নবাব রোড, বর্ণমালা পয়েন্ট।

মনিপুরী বস্তি, সাগরদিঘীর পাড়, সুরাম আবাসিক এলাকা, প্রেসক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়া পাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও তৎসংলগ্ন এলাকা।

বিউবো জানিয়েছে, নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হতে পারে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:৩৫:০৬
‘স্মার্টফোন মারণাস্ত্র’: মেধাহীনতা ও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে শিশু-কিশোররা
ছবি: সংগৃহীত

দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে স্মার্টফোন আসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর ফলে একদিকে যেমন পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমছে, তেমনি কমছে মেধাচর্চার প্রবণতাও। ছোটখাটো প্রশ্নেই তারা ‘দেখি গুগল কী বলে’ বলে মা-বাবার ফোন হাতড়ে বেড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে এই প্রজন্মের জন্য এক বড় ধরনের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।

সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী, ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষাবহির্ভূত কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। মা-বাবার যথেষ্ট সময় না দেওয়া এবং খেলার মাঠের অভাবে ৮৫ ভাগ শিশু মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে।

ভয়ংকর পরিসংখ্যান ও বাস্তব উদাহরণ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ নাজমুল হকের তত্ত্বাবধানে করা এক গবেষণায় উঠে আসে যে, বাংলাদেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ প্রি-স্কুল শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত, যার মধ্যে ২৯ শতাংশের মারাত্মক আসক্তি রয়েছে। এই শিশুরা প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, যা ইউনিসেফ কর্তৃক সুপারিশ করা সর্বোচ্চ সময়ের প্রায় তিন গুণ।

আসক্তির ধরন: গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৯ শতাংশ শিশু কার্টুন দেখার জন্য, ৪৯ শতাংশ গেম খেলার জন্য এবং ৪৫ শতাংশ ভিডিও বা গান শোনার জন্য ফোন ব্যবহার করে। অথচ পড়াশোনার কাজে ফোন ব্যবহার করে মাত্র ১৪ শতাংশ শিশু।

বিপজ্জনক পরিণতি: গত বছর শেরপুরের ১০ বছরের এক শিশু নতুন মডেলের মোবাইল কেনার লোভে বাবার ট্রাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে একা ঢাকায় চলে আসে। অন্যদিকে, মোবাইল ফোন না পাওয়ায় যশোর ও কুষ্টিয়ায় নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গোপালগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্র ৫৫ হাজার টাকার মোবাইল না পেয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

পারিবারে অশান্তি ও বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

অভিভাবকরা বলছেন, ফোন ছাড়া তাদের সন্তানরা খায় না, ঘুমায় না বা পড়ালেখায় মনোযোগ দেয় না। ফোন থেকে বিরত থাকতে বললে তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করে। ইন্টারনেট না থাকলে বা চার্জ শেষ হলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বলেন, “গুগল-ইউটিউব নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বইমুখী পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্মার্টফোন এখন শিশুদের জন্য ‘মারণাস্ত্রের’ মতো দাঁড়িয়েছে, যা তাদের মানসিক বিকাশ ও সামাজিক আচরণ নষ্ট করছে।”

শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনের প্রথম পাঁচ বছরে মস্তিষ্কের ৯৫ শতাংশ বিকাশ ঘটে। এই সময়ে মোবাইল ব্যবহার করলে সেই বিকাশ ব্যাহত হয়। এর ফলে চোখের সমস্যা, মাথাব্যথা, মনোযোগের ঘাটতি ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার বিষয়েও গবেষকরা সতর্ক করেছেন।

গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে, সন্তানকে সময় দিতে হবে, খেলাধুলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং পড়াশোনার জন্য সীমিত ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।


ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৭ ০৮:০৩:৫৮
ড. ইউনূসের আহ্বান: পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হোক মধ্যপ্রাচ্য-দক্ষিণ এশিয়ায়
ছবি: সংগৃহীত

সময়ের সঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়া বৈশ্বিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর বাসস।

পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চলের গুরুত্ব

ড. ইউনূস বলেন, “শুধু মিয়ানমার নয়, এ বছর আমরা পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছি—ইউরোপ, দক্ষিণ এশিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে।” তিনি বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আমরা বাস করি। বিশ্বের আর কোনো অঞ্চলেই এত সংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র এত অল্প দূরত্বে অবস্থান করছে না।” তাই নিরস্ত্রীকরণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধের গুরুত্ব আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে আমরা পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের যে অধিকার প্রতিটি দেশের রয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানাই।

নিরাপত্তায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

ড. ইউনূস বলেন, “একটি দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে, আমাদের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার আগেই, এই বছর, আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) আওতাধীন পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যৌথ কনভেনশনে যোগদান করেছি।”

তিনি যোগ করেন, “এই যোগদানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার প্রতি আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।” অধ্যাপক ইউনূস পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার প্রতিরোধ ও নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।


ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৬ ২৩:৪৩:১৬
ডঃ ইউনূসের জাতিসংঘ ভাষণ: নির্বাচন, সংস্কার ও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের বার্তা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।

রূপান্তরের যাত্রা

ভাষণের শুরুতে ইউনূস উল্লেখ করেন, এক বছর আগে তিনি যখন সাধারণ পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন বাংলাদেশ সদ্য গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরিবর্তনের পথে পা বাড়িয়েছিল। আজ তিনি বিশ্বকে জানালেন, কীভাবে ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠন করে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই সংস্কারের পথে অগ্রসর হচ্ছে দেশ। তার ভাষায়, “সহজ পথ ছিল নির্বাহী আদেশে পরিবর্তন আনা, কিন্তু আমরা বেছে নিয়েছি কঠিন পথ—জনগণের অংশগ্রহণমূলক পথ।”

সংস্কার কমিশন ও গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি

ইউনূস জানান, ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে কাজ চলছে। লক্ষ্য একটাই—কোনো স্বৈরশাসকের প্রত্যাবর্তন রোধ করা এবং জনগণের রক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণতান্ত্রিক জবাবদিহির আওতায় রাখা। তিনি মনে করেন, জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঘোষিত “জুলাই ঘোষণা” নিশ্চিত করেছে যে ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।

অর্থনৈতিক সংস্কার ও পাচার হওয়া সম্পদ ফেরত আনা

অন্তর্বর্তী সরকারের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে সুশাসন ও টেকসই উন্নয়ন। বিগত দেড় দশকে জবাবদিহিহীন অবকাঠামো প্রকল্প কীভাবে অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করেছে, তা উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে পাচার হওয়া শত শত কোটি ডলার ফেরত আনার প্রক্রিয়ায় কাজ করছে। তবে আন্তর্জাতিক আইনি জটিলতা এবং গচ্ছিত দেশগুলোর সদিচ্ছা ব্যতীত এ প্রচেষ্টা সফল হবে না। তিনি উন্নয়নশীল দেশ থেকে অর্থপাচার রোধে কঠোর আন্তর্জাতিক বিধিবিধান প্রণয়নের আহ্বান জানান।

বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ও ডিপফেকের হুমকি

বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা সংবাদ, অপপ্রচার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ডিপফেককে তিনি গুরুতর হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার মতে, এ ধরনের কার্যক্রম সামাজিক আস্থা ও সম্প্রীতি দুর্বল করছে। এজন্য বৈশ্বিক সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।

রোহিঙ্গা সংকট ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন আরও অনিশ্চিত হয়েছে। রাখাইনে বৈষম্যমূলক নীতি ও অধিকারবঞ্চনা অব্যাহত থাকায় রোহিঙ্গারা আরও প্রান্তিক হচ্ছে। ইউনূস স্পষ্ট করে বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কোনোভাবেই বাংলাদেশ-মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নয়; এটি বৈশ্বিক মানবিক সংকট। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, তহবিলের ঘাটতি পূরণে অবিলম্বে এগিয়ে আসতে। নইলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সুরক্ষা ও নিরাপত্তাঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

গাজা ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচার

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউনূস। শিশুদের মৃত্যু, নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ এবং হাসপাতাল-স্কুল ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এটি সবার চোখের সামনেই একটি গণহত্যা।” বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি জানান।

তরুণদের জন্য নিরাপদ বিশ্ব গড়ার আহ্বান

ভাষণের শেষ অংশে ইউনূস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা বলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ, ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বিশ্ব গড়া শুধু রাষ্ট্রের নয়, সমগ্র মানবজাতির দায়িত্ব।


‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ২১:১০:২৪
‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন

গত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এরপর ইন্টারনেট পুনরায় চালু করে আন্দোলন-বিরোধী প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেন তৎকালীন মন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। কিন্তু ক্ষোভে শেখ হাসিনা তখন বলেছিলেন যে, তিনি আর জীবনে ইন্টারনেট সংযোগ দেবেন না।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর ফোনালাপের অডিও রেকর্ডের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

কথোপকথনের কিছু অংশ

ট্রাইব্যুনালে শোনানো অডিও রেকর্ডে শেখ হাসিনা ও ইনুর কথোপকথনের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হলো:

শেখ হাসিনা: “...আমি বলছি ক্যাজুয়াল্টির দরকার নাই। ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে, আকাশ থেকে নামবে, তখন দুপাশ দিয়ে ধরবে... মেসেজটা দিয়ে দিতে পারেন যে... সেনা পাঠানো হচ্ছে... আর হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে... র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।”

হাসানুল হক ইনু: “... আমি একটা পয়েন্ট আপনাকে একটু নজরে আনার জন্য রিকোয়েস্ট করতেছি যে, কারফিউ ধরেন দুই-পাঁচ দিন যা চলল, চলল; কিন্তু কারফিউয়ের পর যেন আর মিছিল না নামতে পারে সেজন্য একটা হোমওয়ার্ক করতে, করা দরকার যেরকম আমি উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, যাত্রাবাড়ীতে যারা মিছিল লিড করছে সেইগুলা চিহ্নিত আরকি... ছাত্রদল, বিএনপির ছেলে-মেয়ে...।”

হাসানুল হক ইনু: “...আমি একাত্তরে রাত আটটার সময় যাব একা কথা বলব। আমি বলব যে, সরকারের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীর কোনো বিরোধ নাই। সরকারের সঙ্গে বিরোধ হচ্ছে নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াতের।”

হাসানুল হক ইনু: “... এই জিনিসটা প্রোপাগান্ডায় আনতে হবে যদি ইন্টারনেট থাকে, গণমাধ্যম দিয়ে আমরা পুরা নিউজে ফ্লাড করে দিলাম...।”

শেখ হাসিনা: “ইন্টারনেট পাবো কোথায়? ইন্টারনেট পোড়ায় দিছে। জীবনে... আমি তো আর আনবো না, যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে... আমি দিছি ইন্টারনেট, ওরা পোড়াইতে থাকুক, ওইটা চলতে হবে...।”

হাসানুল হক ইনু: “... আপনি এই... জামায়াত শিবিরের মেরুদণ্ডটা আবার ভেঙে দেন ঢাকা শহরে।”

শেখ হাসিনা: “একেবারে...।”

আন্দোলন দমনে ফোনালাপ ও মামলা

আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। জবানবন্দিতে তিনি জানান, শেখ হাসিনার কথোপকথনের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং তিনটি মোবাইল নম্বরের কল রেকর্ড জব্দ করা হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৭:৪৬:০৪
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন ড. ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এক বৈঠকে ভারতের তীব্র সমালোচনা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানকে ভারত ভালোভাবে নেয়নি, এ কারণেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে বৈঠকে তিনি ভারত সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন। এক মাস আগে সার্জিও গোরকে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

‘ভুয়া খবরে পরিস্থিতি খারাপ করেছে ভারতীয় মিডিয়া’

ড. ইউনূস মার্কিন দূতকে বলেন, “ছাত্ররা গত বছর যা করেছে সেটি ভারত পছন্দ করেনি। এ কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোর ভুয়া খবর পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ভারত থেকে অনেক ভুয়া খবর আসছে। তারা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে যে, গত বছরের গণবিপ্লব ছিল একটি ইসলামি আন্দোলন।”

এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও ড. ইউনূস আলোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, যিনি সমস্যার সৃষ্টি করছেন। এগুলো ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছে।”

ড. ইউনূস আরও অভিযোগ করেন যে, ভারতের কারণেই সার্ক জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “সার্ক কাজ করছে না কারণ একটি দেশের রাজনীতির সঙ্গে এটি ফিট হচ্ছে না।”

আঞ্চলিক জোট ও কূটনীতি

সার্ক নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় ড. ইউনূস এশিয়ার আরেক জোট আসিয়ান-এ যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ভারত যদিও এখন সার্কের সদস্য, কিন্তু তারা পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে তৈরি বিমসটেককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারত তাদের বিভিন্ন বিষয় বিমসটেকের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে জানিয়ে থাকে। সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বৈঠক করেছিলেন।


ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-সার পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৭:২০:৩০
ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-সার পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

আরকান আর্মির কাছ থেকে আসা ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ ও চাল পাচার হয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এই পাচার রোধে তিনি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের অর্জন ও সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আগামী অর্থবছরে সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় সার আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, সারের সরবরাহ ব্যবস্থায় পূর্বে যে সিন্ডিকেট ছিল, তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সারের দাম কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। অন্তত আমি যে কয়দিন আছি সারের দাম কোনভাবেই বাড়বে না।”

কৃষি জমি সুরক্ষা ও প্রকল্প

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, কোনো অবস্থাতেই ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কৃষি জমি সংরক্ষণে কঠোর বিধান রেখে ‘ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ প্রণয়নের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফিন্যান্স করপোরেশন বিএডিসিকে সার কেনার জন্য ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি ইতোমধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রায় ২,৬৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নয়টি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।


চার বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন ড. ইউনূস, সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রেস সচিব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৪:০৮:৪৫
চার বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন ড. ইউনূস, সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রেস সচিব
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চার বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে বাংলাদেশ ও চার দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বৈঠক

শফিকুল আলম জানান, নিউইয়র্ক সফরের তৃতীয় দিনে ড. ইউনূস চার বিশ্বনেতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন।

ইতালি: দিনের শুরুতে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। ড. ইউনূসের অনুরোধে মেলোনি ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন এবং ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের আশা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তান: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সাম্প্রতিক বন্যার ঘটনায় ড. ইউনূস শোক প্রকাশ করেন এবং বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়।

ফিনল্যান্ড: প্রধান উপদেষ্টা ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গেও বৈঠক করেন। ফিনল্যান্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

কসোভো: কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভজোস্যা ওসমানির সঙ্গেও বৈঠক করেন ড. ইউনূস। প্রেস সচিব জানান, কসোভোর অর্থনীতি ইউরোপে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এই সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা

শফিকুল আলম জানান, প্রতিটি বৈঠকেই বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা বিষয়ক সম্মেলনে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠাবে। বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়ন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টা ‘অ্যাডভান্সিং রিফর্ম, রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড গ্রোথ’ শীর্ষক একটি ব্যবসায়িক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন এবং সেখানে তিনি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠকে তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ছয়জন রাজনৈতিক নেতাকে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।


পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১১:৩৮:৩৬
পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস
ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো শিগগিরই সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের মূল বিষয়গুলো নিয়ে একটি ‘জুলাই সনদ’ সই করবে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এই খবর নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠকে যা আলোচনা হলো

বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। ড. ইউনূস পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বন্যায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এমন দুর্যোগ এখন আরও ঘন ঘন ও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পথে রয়েছে। তিনি আশা করেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ ১১টি জাতীয় কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো বাংলাদেশে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের পথ সুগম করবে।

বৈঠকের এক পর্যায়ে শাহবাজ শরিফ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ

ড. ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এই সফরে তিনি স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে-সহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় মার্কিন বিশেষ দূত সার্জিও গরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।


নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ ১০:৩৫:৩২
নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবিঃ বি এস এস

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বক্তৃতা দেন। “Advancing Reform, Resilience and Growth” শিরোনামের এই আয়োজনটি করেছে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল (ইউএসবিবিসি)।

নিউইয়র্কের এক হোটেলে আয়োজিত এ উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়িক বৈঠকে প্রফেসর ইউনুস মার্কিন কোম্পানি মেটলাইফ, শেভরন এবং এক্সেলারেট এনার্জির মতো শীর্ষ কর্পোরেট নেতাদের বাংলাদেশে নতুন ও সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান ও উদীয়মান, যেখানে জ্বালানি, আর্থিক খাত, অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবনী শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের জানান, প্রফেসর ইউনুসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে সঙ্গী ছয়জন রাজনৈতিক নেতাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তারা মার্কিন শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বৈঠক বাংলাদেশের জন্য নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণ বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ বৃদ্ধি করবে। প্রফেসর ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে পারে বলে তারা মনে করেন।

-নাজমুল হোসেন

পাঠকের মতামত:

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি আজ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ইউএস-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ... বিস্তারিত