ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:৪৪:৪৯
ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
ছবিঃ বি এস এস

যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের প্রধান শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রিয়াদে ৮২ বছর বয়সে গ্র্যান্ড মুফতি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই দিন স্থানীয় সময়ে এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু ইসলামী বিশ্বে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল। তিনি ছিলেন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক আলোকবর্তিকা, যিনি ইসলামী চিন্তায় দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন সারা জীবন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বার্তায় বলেন, “ইসলামের সেবায় শেখ আবদুলআজিজের আজীবন নিষ্ঠা এবং তাঁর অনন্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইসলামী বিশ্ব তাঁর অভাব গভীরভাবে অনুভব করবে।”

শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী আইনশাস্ত্র ও ধর্মতত্ত্বে তাঁর প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ছিল।

তিনি ১৯৬১ সালে রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ কলেজে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামী শরিয়াহ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি অসংখ্য ফতোয়া, গবেষণা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা প্রদান করে মুসলিম বিশ্বে নৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু শুধু সৌদি আরবের জন্য নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই এক বড় ক্ষতি। তাঁর রচনা ও মতামত ইসলামী আইনের আধুনিক ব্যাখ্যা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘকাল প্রভাব ফেলবে।

-সুত্রঃ বি এস এস


“উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:৩২:৩৮
“উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা
ছবিঃ বি এস এস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো সামাজিক উদ্ভাবন নিয়ে এক বিশেষ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) আয়োজিত এ বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

এই গোলটেবিল বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে মূলত সামাজিক উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি এবং বহুমাত্রিক সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা মত দেন, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমাজে উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া ছাড়া ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।

অধ্যাপক ইউনূস আলোচনায় তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, সামাজিক ব্যবসা (Social Business) ও মাইক্রোক্রেডিট ধারণা ইতিমধ্যেই বিশ্বের নানা দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। তিনি সামাজিক উদ্ভাবনকে কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার নয়, বরং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের কার্যকর মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, উদ্ভাবনের সুযোগ শুধু প্রযুক্তিখাতেই সীমাবদ্ধ নয়—স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো ক্ষেত্রেও সৃজনশীল সমাধান বের করতে হবে। তাঁর মতে, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়িক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো মূলধারার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তার সুফল পায়।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বক্তারাও সামাজিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম জানায়, এ ধরনের সংলাপ নীতি প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

-নাজমুল হোসেন


দেয়ারওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি: বৈশ্বিক উন্নয়নে ইউনূসের অবদানের প্রশংসা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:২২:৫৩
দেয়ারওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি: বৈশ্বিক উন্নয়নে ইউনূসের অবদানের প্রশংসা
ছবিঃ বি এস এস

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সপ্তাহে নিউইয়র্কের এক অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ‘দেয়ারওয়ার্ল্ড হাই-লেভেল গ্লোবাল এডুকেশন ডিনার’। বৈশ্বিক শিক্ষার প্রসারে নিবেদিত এ আয়োজনে সমবেত হন বিশ্বের শীর্ষ নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, মানবকল্যাণমূলক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সামাজিক পরিবর্তনের কর্মীরা।

অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বাংলাদেশের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর পথিকৃৎ অবদান এবং শিক্ষাকে কেন্দ্র করে টেকসই উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি জানিয়ে তাঁকে প্রদান করা হয় ‘দেয়ারওয়ার্ল্ড আনলক বিগ চেঞ্জ’ পুরস্কার।

‘দেয়ারওয়ার্ল্ড’ একটি আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণমূলক সংগঠন, যার লক্ষ্য বৈশ্বিক শিক্ষা সংকটের অবসান ঘটানো এবং আগামী প্রজন্মের সম্ভাবনাকে উন্মোচন করা। এ আয়োজনটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জাতিসংঘের বৈশ্বিক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষ দূত ও যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এবং সংস্থাটির চেয়ার ও গ্লোবাল বিজনেস কোয়ালিশন ফর এডুকেশনের নির্বাহী চেয়ার সারা ব্রাউন।

অনুষ্ঠানে গর্ডন ব্রাউন অধ্যাপক ইউনূসকে ‘বিশ্বব্যাপী পথপ্রদর্শক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “গত পঞ্চাশ বছরে কোনো বেসরকারি উদ্যোগ দারিদ্র্য দূরীকরণে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো প্রভাব রাখতে পারেনি।”

পুরস্কার গ্রহণকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “ঋণ পাওয়ার অধিকার খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতোই মৌলিক মানবাধিকার। দরিদ্রদের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার দরজা খুলে দিলে কেউ আর দরিদ্র থাকবে না।” তিনি জানান, মাইক্রোক্রেডিটের সঙ্গে শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করে গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়িত করেছে এবং তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সহায়তা করেছে।

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর বক্তৃতায় আর্থিক স্বাধীনতা ও শিক্ষার পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সফল গ্রাহকদের গল্প শোনান, যাঁরা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে পরিবারকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছেন এবং সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্যানধারণা বদলের আহ্বান জানান। তাঁর মতে, “শিশুদের ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশল শেখানো উচিত।” বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যবসাকে কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের শিক্ষা দিতে হবে বলেও মত দেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “মানবজাতির প্রতিটি সমস্যার সমাধান ব্যবসার মাধ্যমে করা সম্ভব—এটা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এমন জায়গা হওয়া উচিত যেখানে মানবসমস্যার সমাধান খোঁজা শুধু উৎসাহিত নয়, বরং প্রত্যাশিত।”

-সুত্রঃ বি এস এস


কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত! 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ০৮:৫৪:৫১
কোথায় হচ্ছে আগামী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন? সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত! 
প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী থাকবেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার ভেতরেই। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্ধারিত পাশাপাশি অবস্থিত দুটি আবাসিক ভবন একীভূত করে সেখানে গড়ে তোলা হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন। ভবন দুটির মাঝে সরাসরি যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হবে দুই স্তরবিশিষ্ট একটি আধুনিক করিডর। সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই এ–সংক্রান্ত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।

গণভবন, যা দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, এখন আর সেই ভূমিকায় নেই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে এবং বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এক মাসের মাথায় অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে ঐতিহাসিক গণভবনকে রূপান্তর করা হয় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ, যেখানে এক দশকের বেশি সময়ের গুম-খুন, ভোট ডাকাতি, শাপলা চত্বর হত্যাযজ্ঞ, পিলখানা ট্র্যাজেডি ও দমননীতির দলিল সংরক্ষণ করা হবে। আগামী নভেম্বরে এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বসবাস করছেন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। তবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রীর নতুন সরকারি বাসভবন প্রয়োজন হবে—এই বিষয়টি মাথায় রেখে গত জুলাইয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে সরকার। প্রথমে যমুনা ভবন এবং হেয়ার রোডের বাংলোগুলো বিবেচনায় আনা হলেও শেষ পর্যন্ত সংসদ ভবন চত্বরে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য নির্মিত আবাসিক ভবনকে একীভূত করার প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়।

গত সপ্তাহে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব নজরুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুব উস সামাদ, প্রধান উপদেষ্টার সামরিক সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল বাসভবন দুটি পরিদর্শন করেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও এলাকায় কয়েক দফা পরিদর্শন চালান।

দুটি বাসভবনই লাল ইটের দোতলা স্থাপনা, দক্ষিণমুখী এবং চারদিকে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সামনে বাগান ও খোলা জায়গা থাকায় নিরাপত্তা ও প্রটোকল মেনে এগুলোকে আধুনিক প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রূপান্তর করতে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে না। শুধু করিডর, নিরাপত্তা অবকাঠামো ও কিছু সংস্কারকাজ করলেই ব্যবহারের উপযোগী হবে বলে কর্মকর্তাদের মত।

তবে এই পরিকল্পনাকে ঘিরে নতুন বিতর্কও রয়েছে। বিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশায় জাতীয় সংসদ কমপ্লেক্সে এ ধরনের আবাসিক ভবনের স্থান ছিল না। ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এগুলো নির্মাণ শুরু হয়, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও স্থপতিদের সংগঠন আদালতে রিটও করে। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট নির্মাণকে অবৈধ ঘোষণা করলেও ২০২২ সালে আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে। ফলে বর্তমানে ভবন দুটি আইনি বৈধতা পেয়েছে।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, “জাতীয় সংসদ ভবন বিশ্বে আধুনিক স্থাপত্যশৈলির সেরা নিদর্শনগুলোর একটি। এর মূল নকশা ভঙ্গ করে কিছু করা হলে স্থাপত্যের ঐতিহ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই এই স্থাপত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক, তাহলে ব্যত্যয়গুলো ঠেকানো সহজ হবে।”

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গণভবন নির্মিত হলেও তিনি সেখানে থাকেননি। এরশাদের আমলে গণভবনকে ‘করতোয়া’ নামে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে সেটিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার করে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কখনো গণভবনে ওঠেননি। শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন।

গণভবন আজ ইতিহাস হয়ে উঠলেও নতুন বাসভবন নিয়ে প্রস্তুতি জোরদার। সংসদ ভবন এলাকার ভেতরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন স্থাপন শুধু নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধার জন্যই নয়, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংস্কারের কাজ শেষ হলে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও সেখানে বসবাস করতে পারবেন।


নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:৩০:৩৮
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দফতরে অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ ও আলোচনা

সেশনের আগে, প্রধান উপদেষ্টা উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন এবং চিলির সাবেক রাষ্ট্রপতি মিশেল ব্যাচেলেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মিশেল ব্যাচেলেট ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।


নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:১৭:০৩
নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গীদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকার দুঃখ প্রকাশ করে।

‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের সহযোগী’দের হামলা

বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আখতার হোসেন ও তাসনিম জারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার শিকার হয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সহযোগী ও সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকার বিবৃতিতে বলেছে, “এই নিন্দনীয় ঘটনা হাসিনার আমলে বিকশিত সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতির উদাহরণ। সরকার শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়তে এ অশুভ শক্তি শেষ করার অঙ্গীকার করেছে।”

নিরাপত্তা ত্রুটি ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতাদের সফরকালে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছিল। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিনিধিদলকে প্রথমে ভিভিআইপি গেট দিয়ে নিয়ে বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থায় তোলা হয়।”

“তবে শেষ মুহূর্তের ভিসা জটিলতার কারণে তাদের বিকল্প পথে যেতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ভিভিআইপি সুবিধা ও সুরক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঝুঁকির মুখে পড়েন।”

গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা জোরদার

বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘটনার পরপরই নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এ ঘটনার পর প্রধান উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদলের জন্য নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তারা অটল। রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়ভীতি—দেশে বা দেশের বাইরে সহ্য করা হবে না; বরং যথাযথ আইনগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই হামলার জবাব দেওয়া হবে।”


‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৯:৪৫:৫৭
‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধি দলের ওপর লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক ডিম নিক্ষেপ করে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে টিএসসিতে শেখ হাসিনার ছবির ওপর ডিম নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে ‘দ্য রেড জুলাই’।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এখন ডিম লীগ’

‘দ্য রেড জুলাই’-এর সদস্যসচিব মো. সজিব হোসেন বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত অনেক লীগ দেখেছি, পুলিশ লীগ, আনসার লীগ। আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা যখন অন্যান্য দিক থেকে পেরে উঠছে না, যখন তারা ডিম লীগ হয়ে আগমন করেছে। এখন থেকে যখন‌ই এই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দেখবেন, তাদের প্রথমে হালকা করে মেরে ডিম দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেবেন।”

নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

তিনি আরও বলেন, “আজকে আমরা দেখলাম প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীদের ডিম মেরে লাঞ্ছিত করা হলো। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফর সঙ্গী হয়েও যদি তারা নিরাপত্তার অভাবে থাকেন, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কিভাবে নিশ্চিত করবেন‌। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”


দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৯:২৯:৩৬
দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি
ছবি: সংগৃহীত

সরকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধরা হয়েছে ৫.২০ মার্কিন ডলার।

অকটেন আমদানির অনুমোদন

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অকটেন আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানির লক্ষ্যে প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুযায়ী ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আমদানির উৎস ও অর্থায়ন

জানা গেছে, ২০২৫ সালে আপৎকালীন মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন)-এর চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়। এ চাহিদার মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার টন জিটুজি ভিত্তিতে, ১ লাখ ২৫ হাজার টন আন্তর্জাতিক কোটেশন পদ্ধতিতে এবং অবশিষ্ট ৪ লাখ টন স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার পিটি বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিন থেকে ৫০ হাজার টন গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড (অকটেন) আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪১৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ প্রতি ব্যারেল গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেডের (অকটেন) মূল্য ধরা হয়েছে ৫.২০ ডলার। বিপিসির নিজস্ব বাজেট বরাদ্দ, জ্বালানি তেল বিক্রয়লব্ধ অর্থ এবং অন্য উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানির অর্থায়ন করা হবে।


পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৪:৪৩:৩৬
পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ইউএনডিপির মাধ্যমে এসব আনা হবে।

বডি ক্যামেরা সংগ্রহ ও গুরুত্ব

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা সরবরাহ করা হবে। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব এসেছে, যা আমরা অনুমোদন দিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর জন্য এই বডি ক্যামেরাগুলো অত্যন্ত জরুরি। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো সংগ্রহ করতে হবে।”

এই উদ্যোগে কত টাকা খরচ হবে—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ব্যয় কয়েকশ কোটি টাকা হতে পারে, তবে নির্দিষ্ট করে এখনই বলা সম্ভব নয়। ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) মাধ্যমে এসব ক্যামেরা সংগ্রহ করা হবে।

ইউএনডিপির মাধ্যমে সংগ্রহের কারণ ও অর্থায়ন

কেন ইউএনডিপির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “আমরা যেমন টিকা ইউনিসেফের মাধ্যমে আনি, ঠিক তেমনি এখানে ইউএনডিপি আমাদের জন্য মান ও দামের নিশ্চয়তা দেবে। এতে আমাদের টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতায় যেতে হবে না, কারও সঙ্গে দরকষাকষিও লাগবে না।”

বডি ক্যামেরা কেনার অর্থের উৎস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের ব্যয় বাংলাদেশ সরকারই বহন করবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং নির্বাচন সংক্রান্ত খাত থেকেই খরচ মেটানো হবে। তবে এই ক্যামেরাগুলো নির্বাচন কমিশনের জন্য নয়, সরাসরি পুলিশের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।”


শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ১৪:৩৮:০৭
শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ‘আমরা শাপলা প্রতীক থেকে সরছি না’ এমন বক্তব্য দিলেও, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না।

ইসি সচিবের স্পষ্ট বার্তা

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ইসি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রতীকের তালিকায় শাপলা প্রতীক নেই।”

তিনি আরও বলেন, “তাদের (এনসিপি) বিকল্প একটা প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না কারণ সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা নেই। তালিকায় না থাকলে তো প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই।”

পাঠকের মতামত: