ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ১০:৪৪:৪৯
ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
ছবিঃ বি এস এস

যুক্তরাষ্ট্র সফররত বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের প্রধান শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

রিয়াদে ৮২ বছর বয়সে গ্র্যান্ড মুফতি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই দিন স্থানীয় সময়ে এক শোকবার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু ইসলামী বিশ্বে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল। তিনি ছিলেন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক আলোকবর্তিকা, যিনি ইসলামী চিন্তায় দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন সারা জীবন।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বার্তায় বলেন, “ইসলামের সেবায় শেখ আবদুলআজিজের আজীবন নিষ্ঠা এবং তাঁর অনন্য অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইসলামী বিশ্ব তাঁর অভাব গভীরভাবে অনুভব করবে।”

শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের জেনারেল প্রেসিডেন্সি অব স্কলারলি রিসার্চ অ্যান্ড ইফতা এবং মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামী আইনশাস্ত্র ও ধর্মতত্ত্বে তাঁর প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ছিল।

তিনি ১৯৬১ সালে রিয়াদের ইমাম মোহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ কলেজে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন এবং ১৯৬৫ সালে আরবি ও ইসলামী শরিয়াহ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তী জীবনে তিনি অসংখ্য ফতোয়া, গবেষণা ও ইসলামী দিকনির্দেশনা প্রদান করে মুসলিম বিশ্বে নৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ আবদুলআজিজ আল-শেখের মৃত্যু শুধু সৌদি আরবের জন্য নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্যই এক বড় ক্ষতি। তাঁর রচনা ও মতামত ইসলামী আইনের আধুনিক ব্যাখ্যা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘকাল প্রভাব ফেলবে।

-সুত্রঃ বি এস এস


সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে: প্রেস সচিব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:০৮:৫৩
সারা দেশে নির্বাচনের জোয়ার বইছে: প্রেস সচিব
ছবিঃ সংগৃহীত

সারা দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি নিশ্চিত করেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই লক্ষ্যেই প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারসংশ্লিষ্ট সবাই দিনরাত কাজ করছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘নির্বাচনী ইশতেহারে প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের আমেজ ও সংস্কার প্রক্রিয়া

প্রেস সচিব বলেন, "দেশজুড়ে এখন নির্বাচনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে।" তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, "আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছি।"

তিনি আরও বলেন, মানুষ সুশাসন চায়, কিন্তু এটি একদিনে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কার কার্যক্রমে ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লেগেছে (যেমন নেপালে ৯ বছর লেগেছে)। তাই নির্বাচনের পর সংলাপের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।

নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকে বলেন জুলাই সনদে নারী বা শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নেই, কিন্তু বাস্তবে সব শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিত্বই সেখানে রয়েছে।

কর্মসংস্থান ও রাজনৈতিক অবস্থান

প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে পরবর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁর মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইতোমধ্যে শ্রমবাজারে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

রেল খাতে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব জানান, দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোকে আরও আধুনিক করতে রেল প্রকল্পে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালাতে চায়। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।


১.৫৫ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি: বিশ্বব্যাংকের ঋণের প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১২:১২:৫৮
১.৫৫ লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি: বিশ্বব্যাংকের ঋণের প্রকল্পে লুটপাটের মহোৎসব
প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ৮০ ভাগ পাবলিক টয়লেট ইতোমধ্যেই অব্যবহৃত, পরিত্যক্ত।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নেওয়া 'গরিবের ল্যাট্রিন, গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ' নামের একটি প্রকল্পে নজিরবিহীন দুর্নীতির মহোৎসব চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হতে চললেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৭ শতাংশ। আর যে কাজগুলো হয়েছে, সেগুলোতেও স্পেসিফিকেশন মানা হয়নি, ফলে দুর্নীতির কারণে নির্মিত অবকাঠামো এখন ব্যবহারের অনুপযোগী।

সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন এবং যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে প্রকল্পটিতে পুকুরচুরির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রকল্প পরিচালক ও দুর্নীতির অভিযোগ

অভিযোগ উঠেছে যে, ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে প্রকল্পের অর্থ লোপাট করে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন প্রকল্পটির একচ্ছত্র অধিপতি প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. তবিবুর রহমান তালুকদার। যুগান্তরের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিল ও ঠিকাদারকে দেওয়া চেক তাঁর একক সইতেই পাশ হয়ে যেত। এতে নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীদের কোনো করণীয় ছিল না। এই সুযোগে তিনি পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে নজিরবিহীন লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

তবিবুর রহমান অবৈধ টাকায় সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে মায়ের নামে ছয়তলা আলিশান বাড়ি করেছেন। এছাড়াও ধানমন্ডি ২৭-এ ৫ হাজার স্কয়ার ফুটের বাণিজ্যিক ফ্লোর, ধানমন্ডিতে দুটি ও ব্যাংককে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। দেশে রয়েছে একাধিক গাড়ি।

'বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য' তবিবুর রহমান ব্যক্তি জীবনে নারী কেলেঙ্কারি এবং একাধিক বিয়ে করে একাধিক স্ত্রীকে আলাদা বাড়িও করে দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন তার এসব দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান করছে বলেও জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. তবিবুর রহমান তালুকদার মোবাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি এবং পরে সাক্ষাতের সময়ও দেননি।

কাজের মান ও অব্যবহৃত টয়লেট

পরিদর্শনকৃত ৪৭টি পাবলিক টয়লেটের মধ্যে ৩৮টি (৮০ দশমিক ৮৫ শতাংশ) বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে না। কোনো কোনো টয়লেট বছরে মাত্র ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার হলেও অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। নির্মাণকাজের ত্রুটির কারণে ল্যান্ডিং স্টেশন ভেঙে গেছে এবং কলাম বাঁকা হয়েছে। র‌্যাম্পের গাইড ওয়াল নির্মাণ না করায় পাবলিক টয়লেটগুলো বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীবান্ধব হয়নি।

পরিদর্শনকৃত ১৯টি টয়লেটের মধ্যে ১৭টি (৮৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ) ব্যবহারের অনুপযোগী অবস্থায় পাওয়া গেছে। এর কারণ হিসেবে পরিচ্ছন্নতার জন্য অর্থের জোগান না থাকা, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব এবং ফিটিংস চুরির ভয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পরিদর্শনকৃত ১২২টি ল্যাট্রিনই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী স্থাপন করা হয়নি। একইভাবে পানির ছোট ৪৭টি স্কিমের মধ্যে ৪৩টির কাজ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী হয়নি।

পরিবেশের ক্ষতি ও নতুন প্রকল্পে নিয়োগ

সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পানির বড় স্কিমগুলো জলাশয়, পুকুর ও ডোবা ভরাট করে করা হয়েছে, কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি, যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

এই নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, মো. তবিবুর রহমান তালুকদারকেই নতুন করে শুরু হতে যাওয়া ১ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকার স্যানিটেশন প্রকল্পের পিডি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটিও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নের কথা।


জন্মভূমিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন: সরকারের পট পরিবর্তনের পর প্রথম সফর

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১১:৪৯:২৬
জন্মভূমিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন: সরকারের পট পরিবর্তনের পর প্রথম সফর
ছবিঃ সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পঞ্চমবারের মতো দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জন্মভূমি পাবনায় পৌঁছেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এটি রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর প্রথম পাবনা সফর।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে তাঁর হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান। এর আগে সকাল ৯টায় তিনি ঢাকার তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে পাবনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।

সফরসূচি ও কর্মসূচি

সফরসূচি অনুযায়ী, হেলিপ্যাডে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি পাবনা সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। এরপর বেলা ১১টায় আরিফপুর কবরস্থানে তিনি তাঁর মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন। কবর জিয়ারতের পর রাষ্ট্রপতি তাঁর নিজ বাসভবনে অবস্থান করবেন এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। রাতে তিনি সার্কিট হাউজে রাত্রীযাপন করবেন।

সফরের শেষ দিন রবিবার সকালে গার্ড অব অনার গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।

এর আগের সফরগুলো

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই নিয়ে পাঁচবার পাবনা সফর করলেন। এর আগে তিনি ১৫ মে প্রথম, ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়, ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি তৃতীয় এবং ৯ জুন চতুর্থবারের মতো পাবনায় সফর করেন।


পাকিস্তান-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা:'চিকেনস নেক' সুরক্ষিত করতে সীমান্তে ভারতের নতুন সেনাঘাঁটি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ০৯:২৬:১৫
পাকিস্তান-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠতা:'চিকেনস নেক' সুরক্ষিত করতে সীমান্তে ভারতের নতুন সেনাঘাঁটি
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে, তখন এই কূটনৈতিক সমীকরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। নয়াদিল্লি আশঙ্কা করছে, এই নতুন সম্পর্ক ভারতের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ভারত সীমান্তে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যা শুধু নিজের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করবে না, বরং ঢাকা সরকারের ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি নতুন গ্যারিসন বা সেনাঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। এগুলো হলো আসামের বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গের চোপড়ায়। এই ঘাঁটিগুলো স্থাপনের মাধ্যমে নয়াদিল্লি সুরক্ষিত করতে চায় তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা ‘সিলিগুড়ি করিডর’—ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের একমাত্র স্থলসংযোগ।

চিকেনস নেক কী?

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিলিগুড়ি শহরকেন্দ্রিক এই সরু ভূখণ্ডটির প্রস্থ সবচেয়ে সংকীর্ণ স্থানে মাত্র ২০ থেকে ২২ কিলোমিটার। ভৌগোলিকভাবে এটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে মূল ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে। এই করিডরটির পশ্চিমে নেপাল ও পূর্বে বাংলাদেশ, আর উত্তরে ভুটান অবস্থিত। অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব বিবেচনায় ভারত এখন বিহারের জোগবানি হয়ে নেপালের বিরাটনগর পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের নিউ মল জংশন পর্যন্ত নতুন রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনাও করছে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতা নিয়ে উদ্বেগ

ভারতের আশঙ্কা আরও বেড়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মিরজার ঢাকা সফরের পর। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এর আগেও বাংলাদেশের কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার বক্তব্যে ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের সাবেক বর্ডার গার্ড (তৎকালীন বিডিআর) প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, "যদি ভারত পাকিস্তানের ওপর আক্রমণ চালায়, তবে বাংলাদেশ সাতটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য দখল করে নেবে। এজন্য চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।"

ড. ইউনূসের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরও নয়াদিল্লিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চের সফরে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্য, যেগুলোকে 'সেভেন সিস্টার্স' বলা হয়, সেগুলো স্থলবেষ্টিত অঞ্চল—সমুদ্রপথে তাদের কোনো সরাসরি প্রবেশাধিকার নেই। আমরা এই অঞ্চলের একমাত্র 'সমুদ্র অভিভাবক'।"

তিনি আরও বলেন, "এই অবস্থান আমাদের জন্য বিরাট সম্ভাবনা তৈরি করছে। এটি চীনের অর্থনীতির সম্প্রসারণ হিসেবেও কাজ করতে পারে—উৎপাদন, বিপণন, পণ্য পরিবহন ও রপ্তানিতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।"

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের বক্তব্যে নয়াদিল্লি মনে করছে, বাংলাদেশ-চীন ঘনিষ্ঠতা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক সম্পর্ক ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক প্রভাবের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সীমান্তে নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে ভারত এই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধমূলক অবস্থান নিচ্ছে।

সূত্র: ডিএনএইন্ডিয়া


জানা গেল জাতীয় নির্বাচনের সময়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১৩:৪০:০৩
জানা গেল জাতীয় নির্বাচনের সময়
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা জল্পনা–কল্পনার মধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) নেত্রকোনায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচিবের ভাষায়, “পতিত সরকারের সময়কার কিছু সুবিধাভোগী এখনো নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের নয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের পেইড এজেন্ট। এদের উদ্দেশ্যই হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই নির্বাচন নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।”

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।”

তিনি আরও জানান, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে প্রয়োগ করতে পারে।

প্রেস সচিবের বক্তব্যের পর সভায় উপস্থিত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনকে ঘিরে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। দেশের মানুষ এবার পরিবর্তন চায়, স্থিতিশীলতা চায়— সরকার সে দায়বদ্ধতা নিয়েই কাজ করছে।”

-রফিক


নির্বাচন নিয়ে ইসি'র চূড়ান্ত বার্তা: প্রস্তুত শতভাগ, ভোট ফেব্রুয়ারিতে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৭ ১০:৫৯:০৬
নির্বাচন নিয়ে ইসি'র চূড়ান্ত বার্তা: প্রস্তুত শতভাগ, ভোট ফেব্রুয়ারিতে
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি।

কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে ইসির এখন কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই। তিনি বলেন, "আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ সম্পন্ন। ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন হলে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।"

ইসি সচিবালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, নির্বাচনি সামগ্রী সংগ্রহ, আইন সংশোধন, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ মৌলিক প্রস্তুতির সবকিছুই নভেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে এবং ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে।

নির্বাচন সুষ্ঠু করার চ্যালেঞ্জ ও প্রতিশ্রুতি

জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, নির্বাচিত সরকার ও গণতান্ত্রিক ধারার প্রবর্তন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন আসবে না। তাই এবারের নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়মের কারণে জনগণের মধ্যে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি কাটিয়ে ওঠাই এবারের কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, "ভালো নির্বাচন করা ছাড়া বিকল্প নেই। জাতির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের অবশ্যই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। এবারের ভোটকে জনগণের জন্য উৎসবে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।"

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ শুধু নির্বাচনের জন্য নয়, বরং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোটের মাঠে সবাই নেমে গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।

আইন সংস্কার ও নতুন বিধান

জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনি আইন সংশোধনের কাজও সম্পন্ন করেছে ইসি। গত ৩ নভেম্বর সরকার 'গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫' এর গেজেট প্রকাশ করেছে। এই সংশোধনে বেশ কিছু যুগান্তকারী বিধান যুক্ত হয়েছে

আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামি প্রার্থী হতে পারবেন না।

একক প্রার্থীর আসনে ‘না ভোট’ পুনরায় চালু করা হয়েছে।

জোটগত নির্বাচনে নিজ দলের প্রতীকে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ড) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অনিয়ম প্রমাণিত হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সর্বোচ্চ শাস্তি দেড় লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের কারাদণ্ড। নির্বাচনি জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে অনিয়ম হলে সেটি নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। হলফনামায় অসত্য তথ্য দিলে নির্বাচনের পরও ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।

ভোটার তালিকা ও অন্যান্য প্রস্তুতি

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এর আগে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ থাকবে।

ইসির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন ১ হাজার ২৩০ জন। গত দুই মাসে ভোটার বেড়েছে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন।

ইসি চূড়ান্তভাবে দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নতুন তিনটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। এগুলো হলো—জাতীয় নাগরিক পার্টি (‘শাপলা কলি’ প্রতীক), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) (‘কাঁচি’ প্রতীক) ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি (‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক)।

প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিংয়ের’ সুযোগ থাকছে। এ লক্ষ্যে 'পোস্টাল ভোট রেজিস্ট্রেশন অ্যাপ' চালু করা হচ্ছে, যা ১৬ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনি সংলাপ শুরু হতে পারে।


শুক্রবার থেকে শনিবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ২১:৩৪:৩৯
শুক্রবার থেকে শনিবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
ছবিঃ সংগৃহীত

তিতাস গ্যাসের পাইপলাইনের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ঢাকা ও গাজীপুরের কয়েকটি এলাকায় টানা ২২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হয়ে এই সরবরাহ বন্ধ থাকবে শনিবার সকাল পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বার্তায় বলা হয়, তিতাস গ্যাসের পাইপলাইনের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত মোট ২২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

যেসব এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে, সেগুলো হলো:

গাজীপুর অঞ্চল: কড্ডা, কোনাবাড়ি, জরুন, সুরাবাড়ি, কাশিমপুর, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর।

ঢাকা সংলগ্ন অঞ্চল: নবীনগর, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, আশুলিয়া, জিরাবো এবং এর কাছাকাছি অন্যান্য এলাকা।

জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য এই গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


মবের ভয় কেন? যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ভয় তাদেরই: প্রেস সচিব

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ২০:৫১:১২
মবের ভয় কেন? যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ভয় তাদেরই: প্রেস সচিব
বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : কালবেলা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন, যেসকল সাংবাদিক বর্তমানে 'মবের ভয়ে' আছেন, তারা মূলত পূর্ববর্তী 'ফ্যাসিবাদের দোসর' ছিলেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কাউকে ডিজিএফআই বা এনএসআই দিয়ে হয়রানি করেনি, বরং এই সরকারের অধীনে সাংবাদিকরা তুলনামূলক নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত 'গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: ইশতেহারে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি' শীর্ষক সংলাপে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ভয় নিয়ে প্রেস সচিবের কড়া মন্তব্য

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, "অনেকে বলেন মবের ভয়ে আছেন। আমি তো কোথাও সেই ভয় দেখি না।" তিনি যুক্তি দেন, "যিনি মবের ভয় করছেন, তিনি হয়তো তখন দোসর ছিলেন। এখন আপনি যদি দোসর হন, আমি তো আপনার পাপ ক্লিন আপ করব না।"

তিনি দাবি করেন, যারা এখন মবের ভয় পাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই আগের সরকারের দোসর ছিলেন এবং "ভয়টা নিজে নিজে থেকেই আসছে।" তিনি নিশ্চিত করেন, "আমরা বলেছি কোনো গণমাধ্যমে কোনো ধরনের আক্রমণ আমরা সহ্য করব না। সে কথা আমরা রেখেছি।" তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে সরকার কাজ করেছে, কিন্তু রাজনৈতিক সরকার এলে সেটি টিকে থাকবে কি না, সেই প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে।

গণমাধ্যমের ইকোসিস্টেম নিয়ে অন্যান্যদের বক্তব্য

সংলাপে অংশ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞরা গণমাধ্যম খাতের সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর বলেন, বর্তমানে মিডিয়া হাউস নিয়ে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মিডিয়া হাউসগুলো শুধু সংবাদ পরিবেশন করে না, তারা ভেটো ক্ষমতার মতো আচরণ করতে চায়। তিনি বড় ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন মিডিয়া খোলার প্রবণতা এবং সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার ওপর জোর দেন।

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, গণমাধ্যমের পুরো ইকোসিস্টেম এখন সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতিকর। তিনি জানান, পোশাকশ্রমিকের মতো বেতনে সাংবাদিক নিয়োগ হয়। তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর বহু গণমাধ্যমের মালিকানা ও শীর্ষপদে পরিবর্তন এসেছে এবং দলীয় মদতপুষ্ট লোকেরা সেখানে গিয়ে আগে এক দলের ন্যারেটিভ প্রচার করতেন, এখন অন্য দলেরটা করছেন। তিনি 'ক্রস ওনারশিপ' বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এক মালিকের অধীনে একাধিক গণমাধ্যম থাকা উচিত নয়, 'এক মালিক, এক গণমাধ্যম' নীতি থাকা দরকার।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, গণমাধ্যমে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার চোখে পড়েনি এবং শেখ হাসিনা আমলের সিস্টেমই এখনো চলছে। তিনি সাবেক উপদেষ্টাদের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, যারা অন্তর্বর্তী সরকারের অংশ ছিলেন, তারা যদি তাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার করে দেখাতে পারতেন, তাহলে তারা রোল মডেল হতে পারতেন।

ভুয়া খবর ও ফটোকার্ড বিতর্ক

শফিকুল আলম মিসইনফরমেশন বা ভুয়া খবর ছড়ানোকে বর্তমান সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দখল নিয়ে ১ হাজার ভুয়া নিউজ ছড়িয়েছে এবং মাইলস্টোন নিয়েও গুজব ছড়িয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের সক্ষমতা খুবই সীমিত; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ধরার বা প্রতিহত করার প্রয়োজনীয় টুল ও ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ় রাখতে হলে এসব ফেক নিউজকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

অন্যদিকে, রাশেদ খাঁন 'ফটোকার্ড' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষ পুরো খবর না পড়ে দুই লাইনের ফটোকার্ডই শেয়ার করে। এতে বিকৃত বার্তা ছড়ায় এবং নেতাদের চরিত্রহনন হয়। তিনি বলেন, ফটোকার্ড বাদ দিতে বলছেন না, কিন্তু এর অপব্যবহার বন্ধ করতে নীতিমালা তৈরি করা জরুরি।


শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৮:৩২:৫০
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কি সম্ভব? যা আছে আইআরআইর আট দফার সুপারিশে

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য করতে আটটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)। গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রকাশিত তাদের প্রাক্‌-নির্বাচনী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এ সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ গতি-প্রকৃতি, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, এবং নাগরিক অংশগ্রহণের মাত্রা বিশ্লেষণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই আসন্ন নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচনকালীন আচরণবিধি প্রণয়ন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা, এবং ভোটকেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ। তবে এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও আইআরআই মনে করছে, বর্তমান প্রাক্‌-নির্বাচনী পরিবেশ এখনো ভঙ্গুর ও আস্থাহীনতার মধ্যে রয়েছে। রাজনৈতিক সহিংসতার বিচ্ছিন্ন ঘটনা, স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থার ঘাটতি সব মিলিয়ে নির্বাচনী আস্থা পুনর্গঠনে প্রয়োজন আরও স্বচ্ছতা ও সংলাপ।

আইআরআইয়ের প্রাক্‌-নির্বাচনী মূল্যায়ন মিশনের কার্যক্রম

প্রাক্‌-নির্বাচনী এই মূল্যায়ন মিশনে অংশ নেন একদল আন্তর্জাতিক নীতি, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও গণতান্ত্রিক প্রশাসন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন এবং রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক জেলায় মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। সফরের সময় তাঁরা নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সদস্যদের সঙ্গে মোট ২১টি আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ৫৯ জন অংশগ্রহণকারীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।মিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিছু ইতিবাচক রূপান্তর দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, তরুণ নেতৃত্বের উত্থান, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর আবির্ভাব, এবং বিদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সক্রিয় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। পাশাপাশি, প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটারের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রজন্মগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের একটি নতুন অধ্যায় সূচিত করতে পারে।

তবে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার ঘাটতি, নারীর সীমিত অংশগ্রহণ, উগ্রপন্থী রাজনীতির পুনরুত্থান এবং অসহিষ্ণু রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রসার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে দুর্বল করতে পারে। আইআরআই মনে করছে, এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে আন্তরিক ও দায়বদ্ধ হতে হবে।

জুলাই সনদ: গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের নীলনকশা

আইআরআই প্রতিবেদনে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের একটি “রূপরেখা দলিল” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এই সনদ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দলীয় সংস্কারে অগ্রগতি, এবং সংসদীয় জবাবদিহি আরও জোরদার হবে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও সংসদের কার্যকর ভূমিকার ওপর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদের সময়মতো বাস্তবায়ন, দলীয় নীতিতে অন্তর্ভুক্তি, এবং সংলাপ-ভিত্তিক সংস্কার প্রক্রিয়াই নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনর্গঠনের পথ খুলে দিতে পারে। আইআরআই উল্লেখ করে, গণতন্ত্র তখনই কার্যকর হয়, যখন প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের প্রতি সহিষ্ণু থাকে এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখে।

নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: এখনো সীমিত পরিসরে

আইআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ এখনো কাঠামোগতভাবে সীমিত। সংরক্ষিত আসনের বাইরে নারীরা খুব কমই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান বা সিদ্ধান্তগ্রহণের পর্যায়ে আসতে পারেন। আইআরআই পরামর্শ দিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীর নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচি চালু, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় সমঅধিকার নিশ্চিত, এবং প্রচারণার সময় নিরাপত্তা সুরক্ষা জোরদার করতে হবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারী প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনা গণতন্ত্রের অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রকে ব্যাহত করে। তাই নারী রাজনীতিবিদদের জন্য নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে আইআরআই।

শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইআরআইয়ের আট দফা সুপারিশ

১. জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন:

রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ ও প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কার ও বিতর্কিত বিষয়গুলোর সমাধানে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে।২. গণভোটের কাঠামো নির্ধারণ:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে যৌথভাবে গণভোটের জন্য আইনি ও প্রশাসনিক কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে। গণভোটের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া এবং জনগণের অংশগ্রহণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।

৩. নাগরিক সচেতনতা ও শিক্ষা কর্মসূচি:

জুলাই সনদ ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বোঝাপড়া বাড়াতে দেশব্যাপী নাগরিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৪. নারীর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করা:

রাজনৈতিক দলগুলোকে নারীদের নেতৃত্বে আনতে, মনোনয়নে অগ্রাধিকার দিতে এবং নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিতে হবে।

৫. প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা:

দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়া যেন গণতান্ত্রিক ও জবরদস্তিমুক্ত থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রার্থী ও প্রচারকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. নিরাপত্তা সমন্বয় ও সহিংসতা প্রতিরোধ:

নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় বজায় রাখতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় নজরদারি চালাতে হবে।

৭. নাগরিক পর্যবেক্ষণে স্বচ্ছতা:

নির্বাচন কমিশনকে নাগরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ এবং প্রত্যাখ্যানের কারণ লিখিতভাবে জানানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনুমোদিত সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত তথ্য বিনিময় করতে হবে।

৮. রাজনৈতিক অর্থায়নে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা:

রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিল সংগ্রহ, ব্যয় ও দাতাদের তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। আর্থিক অনিয়ম বা ভুল তথ্য প্রদানে কঠোর শাস্তির বিধান রাখতে হবে এবং স্বাধীন নিরীক্ষা উৎসাহিত করতে হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের স্বচ্ছতা

প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আইআরআই বলেছে, সাংবাদিকদের এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, ভয়ভীতি বা অর্থনৈতিক প্রভাব ছাড়াই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাহত হলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এছাড়া নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজের যৌথ প্রচেষ্টায় ভোটারদের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা শনাক্ত করার সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। আইআরআই সতর্ক করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য বা সংগঠিত অপপ্রচার নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করতে পারে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বড় হুমকি।

সর্বশেষে, আইআরআই বলেছে, বাংলাদেশ এখন এক সংবেদনশীল গণতান্ত্রিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। নির্বাচনের সাফল্য নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সহনশীলতা, সংলাপ, স্বচ্ছতা এবং জনগণের অংশগ্রহণের ওপর। যদি এসব শর্ত পূরণ হয়, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারে।

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

বোহেমিয়ার অরণ্যমালায় একটি দুর্গ, হাউসকা ক্যাসেল, আর তার কয়েক মাইল দূরে এক সন্ন্যাসীর লেখা বিশাল এক পুঁথি, কোডেক্স গিগাস। শতাব্দীজুড়ে... বিস্তারিত

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি... বিস্তারিত