চীনের চমকপ্রদ আবিষ্কার: চাঁদের পৃষ্ঠে তৈরি হবে ইট, নির্মাণ হবে সড়ক ও অবকাঠামো

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৯:২২:২৪
চীনের চমকপ্রদ আবিষ্কার: চাঁদের পৃষ্ঠে তৈরি হবে ইট, নির্মাণ হবে সড়ক ও অবকাঠামো

চীনা গবেষকরা এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন, যা চাঁদের মাটি গলিয়ে ইট বানাতে পারবে। আনহুই প্রদেশের হফেই শহরে চলমান ২০২৫ ওয়ার্ল্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কনভেনশনে একটি মহাকাশ প্রযুক্তি গবেষণাগার এই চমকপ্রদ আবিষ্কার নিয়ে এসেছে।

সূর্যালোক ব্যবহার করে ইট তৈরি

যন্ত্রটি চাঁদের পৃষ্ঠে পড়া সূর্যের তাপকে বিশেষভাবে ১ হাজার ৩০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পরিণত করে চাঁদের ঝুরঝুরে মাটি গলিয়ে দিতে পারবে। সেটাকেই পরে রূপ দেওয়া হবে ইটে। এভাবে তৈরি ইট দিয়ে চাঁদে তৈরি হবে সড়ক ও অবকাঠামো, যা ভবিষ্যৎ চন্দ্র গবেষণা স্টেশন নির্মাণের কাজ সম্ভব করবে।

হফেইয়ের ডিপ স্পেস এক্সপ্লোরেশন ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, এ যন্ত্রে প্যারাবলিক রিফ্লেক্টর ও ফাইবার-অপটিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা সূর্যালোকের ঘনত্ব স্বাভাবিকের চেয়ে তিন হাজার গুণ বাড়াতে পারে। চাঁদের বিভিন্ন ধরনের মাটির সঙ্গে যন্ত্রটির কার্যকারিতা যাচাই করতে গবেষকরা একাধিক সিমুলেটেড লুনার সয়েল তৈরি করে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।

চীনের আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন পরিকল্পনা

ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লুনার রিসার্চ স্টেশন নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়েছে চীন। এর প্রথম ধাপের কাজ শেষ হবে ২০৩৫ সালের মধ্যে—চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে। ২০৪০-এর দশকে হবে এর বাকি অংশ।

ওই সম্মেলনে আরও দেখানো হয়েছে, রকেটের জন্য পুনঃব্যবহারযোগ্য হিট শিল্ড, চিপ তৈরির কম্পিউটেশনাল লিথোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম, নন-ইনভেসিভ ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস সিস্টেম এবং বুদ্ধিমান রোবট প্রযুক্তির সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম।

সূত্র : সিএমজি


আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১৬:৩৭:০৭
আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট যুক্ত যেকোনো ডিভাইসের মতো স্মার্টফোনও হ্যাকের শিকার হতে পারে। হ্যাকাররা আপনার ফোনে অনুপ্রবেশ করলে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন ব্যবহার করে গোপনে নজরদারি চালাতে পারে। কীভাবে তারা অনুপ্রবেশ করে এবং কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হওয়া উচিত, তা নিচে সংকলন করা হলো।

হ্যাকাররা যেভাবে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ নেয়

হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায়ে আপনার স্মার্টফোনে প্রবেশ করে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে:

ম্যালওয়্যার/স্পাইওয়্যার: ফিশিং ইমেল, জাল অ্যাপ বা ক্ষতিকারক ওয়েবসাইট থেকে ইনস্টল হওয়া সফটওয়্যার ফোনে গোপনে চলতে পারে।

অনিরাপদ অ্যাপস: অপ্রয়োজনীয় পারমিশন (অনুমতি) চাওয়া কোনো অ্যাপ হ্যাকারের কাজে লাগতে পারে।

ফিশিং স্ক্যাম: মিথ্যা লিংকে ক্লিক করালে স্পাইওয়্যার আপনার ফোনে ঢুকে যেতে পারে।

নেটওয়ার্ক আক্রমণ: নিরাপত্তাহীন পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে ডেটা চুরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

সরাসরি অ্যাকসেস: কেউ আপনার ফোন সরাসরি হাতে নিয়ে সহজে স্পাইওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে।

হ্যাক হওয়ার সম্ভাব্য লক্ষণ

মাইক্রোফোন সম্পর্কিত লক্ষণ:

কলের পেছনে অস্বাভাবিক যান্ত্রিক শব্দ শোনা।

ব্যাটারি দ্রুত খালি হওয়া।

ফোন ব্যবহার না করলেও ঠান্ডা/অস্বাভাবিক গরম হওয়া।

মাইক্রোফোন ইঙ্গিতক (ইন্ডিকেটর) লাইট আকস্মিক জ্বলা।

ডেটা খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যাওয়া।

ক্যামেরা সম্পর্কিত লক্ষণ:

ক্যামেরা ইন্ডিকেটর লাইট আকস্মিক জ্বলা।

গ্যালারিতে অজানা ছবি বা ভিডিও পাওয়া।

ক্যামেরা অ্যাপ ধীর বা ক্র্যাশ করা।

কোনো অ্যাপ আকস্মিকভাবে ক্যামেরা অ্যাক্সেস চাইছে।

কীভাবে নিরাপদ থাকবেন—প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

স্মার্টফোনকে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:

অ্যাপ পারমিশন চেক: নিয়মিত অ্যাপ পারমিশন চেক করুন; প্রয়োজন ছাড়া ক্যামেরা/মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি সরিয়ে দিন।

শক্ত পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক: শক্ত পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক (ফেস আইডি/ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহার করুন।

অফিসিয়াল স্টোর: কেবলমাত্র অফিসিয়াল স্টোর (গুগল প্লে/অ্যাপ স্টোর) থেকে বিশ্বস্ত অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

সিকিউরিটি অ্যাপ: বিশ্বস্ত সিকিউরিটি অ্যাপ ইন্সটল করুন ও স্ক্যান চালান।

ক্যামেরা কভার: ক্যামেরা ব্যবহার না হলে স্টিকার বা কভার লাগিয়ে রাখুন।

২-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA): ২-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সক্রিয় করুন।

নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট: নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।

ফিশিং সতর্কতা: সন্দেহজনক লিংক/মেসেজ এড়িয়ে চলুন।

ভিপিএন ব্যবহার: পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে ভিপিএন ব্যবহার করুন।


অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১২:৩৯:৫৫
অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের শীর্ষ সার্চ ইঞ্জিন গুগল আবারও মার্কিন আদালতে নতুন পরীক্ষার মুখে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) এক বিচারকের কাছে গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি ব্যবসা (Ad Tech Business) ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিতে আবেদন করেছে। এটি চলতি বছরে গুগলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বড় অ্যান্টিট্রাস্ট চ্যালেঞ্জ। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার এক বিচারক গুগলের সাম্রাজ্য ভাগ করার আরেকটি সরকারি দাবিকে খারিজ করে দেন।

নতুন মামলাটি গুগলের বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। এটি এমন এক "স্ট্যাক" বা টুলসেট যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিকরা বিজ্ঞাপন বিক্রি করে এবং বিজ্ঞাপনদাতারা সেগুলো কিনে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেডারেল বিচারক লিওনি ব্রিঙ্কেমা রায় দিয়েছিলেন যে গুগল এই বাজারে বেআইনিভাবে একচেটিয়া দখল বজায় রেখেছে। এখন আদালত ঠিক করবে, গুগলকে কী ধরনের শাস্তি বা কাঠামোগত পরিবর্তন মেনে নিতে হবে তাদের একচেটিয়া অবস্থান ভাঙতে।

সরকারি আইনজীবীরা আদালতে বলবেন, গুগলকে বিজ্ঞাপন প্রকাশক (Ad Publisher) এবং এক্সচেঞ্জ পরিচালনার ব্যবসা থেকে আলাদা করতে হবে। পাশাপাশি, গুগলকে অন্তত ১০ বছর বিজ্ঞাপন এক্সচেঞ্জ পরিচালনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতে হবে। তবে গুগল বলছে, এই দাবিগুলো আদালতের পূর্ববর্তী রায়ের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, প্রযুক্তিগতভাবে জটিল এবং ছোট ব্যবসার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) লি-অ্যান মুলহল্যান্ড বলেন, “শুরু থেকেই আমরা বলছি যে ডিওজে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে এবং উপেক্ষা করছে যে এই বাজারে এখন অনেক প্রতিযোগী এবং নতুন খেলোয়াড় এসেছে।”

এদিকে ইউরোপীয় কমিশন সম্প্রতি গুগলকে ২.৯৫ বিলিয়ন ইউরো (৩.৪৭ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করেছে বিজ্ঞাপন বাজারে একচেটিয়া দখলের অভিযোগে। তবে ব্রাসেলস গুগলের কিছু আচরণগত পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বিভাজনের পথে না হাঁটায় সমালোচনা হয়েছে।

এই মামলার "রেমেডি ফেজ" বা প্রতিকারমূলক ধাপ চলবে প্রায় এক সপ্তাহ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক শুনবে আদালত।

এটি এমন এক সময়ে শুরু হচ্ছে যখন আরেকটি মামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার গুগলের ক্রোম ব্রাউজার বিক্রির দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু আদালত সেটি খারিজ করে দেয়—যা গুগলের জন্য বড় জয় হিসেবে দেখা হয়। ঐ মামলায় গুগলকে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও ব্যবসা বিভাজনের প্রয়োজন হয়নি।

গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের শেয়ার মূল্য ওই রায়ের পর ২০ শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে। বিচারক ব্রিঙ্কেমা জানিয়েছেন, তিনি সার্চ-সংক্রান্ত মামলার ফলাফল খতিয়ে দেখেই এই মামলায় নিজের সিদ্ধান্ত নেবেন।

এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের চলমান ব্যাপক অ্যান্টিট্রাস্ট অভিযানের অংশ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে গুগলসহ শীর্ষ পাঁচ প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে একাধিক অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা চলছে।

-এস এম শাহিদ


আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২২ ১২:১৩:২৬
আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
ছবি: সংগৃহীত

আইফোন ১৭ সিরিজের বাংলাদেশে আগমন: ‘সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ ও গ্রে মার্কেট ঝুঁকিঅ্যাপল ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচন করার পর থেকে নানা পরিবর্তন এনেছে। তবে এবার আইফোন ১৭ সিরিজকে ‘সবচেয়ে বড় অগ্রগতি’ হিসেবে দাবি করেছেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক। নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি ক্যামেরার মান ও পারফরম্যান্সের গতি বাড়িয়ে আইফোন ১৭ সিরিজ এখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় স্মার্টফোন বাজারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।

আইফোন ১৭-এর দাম ও বাজার পরিস্থিতি

বর্তমানে আইফোন ১৭ (২৫৬ জিবি) বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। আইফোন ১৭ প্রো মডেলের দাম রয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আর সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্সের দাম পেরিয়ে গেছে ২ লাখ টাকা।

তবে জানা যায়, আগামী কয়েক সপ্তাহে সরবরাহ বাড়লে দাম কিছুটা কমে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নামতে পারে।

গ্রে মার্কেট থেকে আইফোন কেনার ঝুঁকি

নতুন আইফোন ১৭ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে, বিশেষ করে গ্রে মার্কেট থেকে কেনার সময়। গ্রে মার্কেট থেকে আইফোন কেনার ক্ষেত্রে যেসব ঝুঁকি দেখা দিতে পারে:

অফিসিয়াল ওয়ারেন্টির অভাব: বিদেশ থেকে কেনা আইফোনে বাংলাদেশে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ফোন নষ্ট হলে অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারে মেরামতের সুযোগ পাওয়া যায় না।

ভুয়া বা রিফার্বিশড হওয়ার ঝুঁকি: অনেক সময় আসল মডেলের সঙ্গে নকল বা পুনর্নির্মিত (রিফার্বিশড) সেট মিশে যেতে পারে।

সফটওয়্যার আপডেটের সীমাবদ্ধতা: কিছু মডেলে ভবিষ্যতে সফটওয়্যার বা নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। ৫জি / এলটিই / ৪জি ব্যান্ডগুলো ভালোভাবে কাজ করছে কি না দেখতে হবে। কিছু বিদেশি ইউনিটে স্থানীয় ব্যান্ড সাপোর্ট নাও থাকতে পারে।

অতিরিক্ত খরচ: অফিসিয়াল রিটেইলার/অথরাইজড ডিলার হলে প্রাইস একটু বেশি হতে পারে। এছাড়া অফিসিয়াল সাপোর্ট না থাকায় রিপেয়ারিং বা পার্টস পরিবর্তনে বাড়তি খরচ বহন করতে হয়।

সীমিত বিক্রয়োত্তর সেবা: ট্রাবলশুটিং বা টেক সাপোর্টের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের সম্পূর্ণভাবে রিসেলারদের ওপর নির্ভর করতে হয়।

বিশ্ববাজার ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা

বিশ্ববাজারে আইফোন ১৭ সিরিজ ইতোমধ্যেই দারুণ সাড়া জাগিয়েছে, বিশেষ করে চীন, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতীয় বাজারে। এর মধ্যে প্রো ম্যাক্স মডেল বিক্রির শীর্ষে রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো অফিসিয়াল লঞ্চ না হলেও আইফোন ১৭-এর আগমন প্রমাণ করে দিয়েছে, অ্যাপলের জন্য এ দেশ একটি সম্ভাবনাময় বাজার। গ্রে মার্কেটে ক্রেতাদের উচ্ছ্বাসই পরিষ্কার করে দিচ্ছে—এখানে ব্র্যান্ডটির প্রভাব যথেষ্ট শক্তিশালী।

সূত্র : জুমবাংলা


 বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১১:০১:০৩
 বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবীর কাছাকাছি আরও একটি নতুন মহাজাগতিক বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ছয় দশক ধরে অদৃশ্য থাকার পর সম্প্রতি এটি বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছে। বিজ্ঞানীরা এই নতুন আবিষ্কারকে ‘কোয়াসি-মুন’ বা ‘ছায়া-চাঁদ’ বলে অভিহিত করছেন।

২০২৫পিএন৭: একটি নতুন কোয়াসি-মুন

নতুন আবিষ্কৃত এই মহাজাগতিক পাথরখণ্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৫পিএন৭। এর ব্যাস প্রায় ৬২ ফুট। এটি যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে, তখন দূরত্ব থাকে প্রায় ৪৫ লক্ষ কিলোমিটার। আর সবচেয়ে দূরে গেলে এর দূরত্ব দাঁড়ায় প্রায় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ কিলোমিটার। ২০২৫পিএন৭ চাঁদের মতো সরাসরি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না, বরং পৃথিবীর কক্ষপথ অনুসরণ করে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ কারণেই এটিকে কোয়াসি-মুন বা ‘ছায়া-চাঁদ’ বলা হয়। নতুন এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর জানা কোয়াসি-মুনের সংখ্যা সাত-এ পৌঁছাল।

কীভাবে এটি আবিষ্কৃত হলো?

স্পেনের মাদ্রিদের কমপ্লুটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মারকস জানান, ২০২৫পিএন৭ আকারে খুবই ছোট ও অনুজ্জ্বল হওয়ায় এত দিন এটি চোখে পড়েনি। গত ৩০ আগস্ট প্রথমবার এর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করা হয় এবং ২ সেপ্টেম্বর আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নালে এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই কোয়াসি-মুনটি আরও অন্তত ৬০ বছর পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করবে। তবে এর দ্বারা পৃথিবীর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন, কোয়াসি-মুনগুলো আসলে চাঁদেরই অতীতের ভগ্নাংশ। তাদের ধারণা, বহু বছর আগে চাঁদ থেকে ছোট ছোট অংশ ছিটকে বেরিয়ে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে শুরু করে। ২০২৫পিএন৭-এর ক্ষেত্রেও একই তত্ত্ব প্রযোজ্য হতে পারে।


“গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১০:৪৮:২৫
“গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
ছবিঃ সত্য নিউজ

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্ফোরণ শিশু-কিশোরদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। শিক্ষা, বিনোদন, যোগাযোগ—সবকিছু এখন হাতের মুঠোয়। কিন্তু এই ডিজিটাল জগত সবসময় নিরাপদ নয়। অনলাইন গেম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউবের প্রতি বাড়তি আসক্তি শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলছে। আরও উদ্বেগজনক হলো, অনেকেই এখন সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের বড় অংশ প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটায় অনলাইন গেমে—বিশেষত রোবলক্স, মাইনক্রাফ্ট, ফোর্টনাইট, কোগামা, ফ্রি ফায়ার, পাবজি ও কল অব ডিউটি-এর মতো গেমে। এর বেশিরভাগই খেলে স্মার্টফোনে। গেমের ভেতরেই তারা অনেক সময় অশ্লীল কনটেন্ট, সাইবারবুলিং এমনকি অপরাধী চক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, ২০২৪ সালে গড়ে দৈনিক ৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষ রোবলক্স খেলেছে, যার ৪০ শতাংশই ১৩ বছরের নিচের শিশু। বাংলাদেশেও এসব প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ছে। ফলে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

ঢাকার শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “একবার কোনো শিশু অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়লে তাকে ফিরিয়ে আনা খুব কঠিন হয়ে যায়। এতে তাদের ঘুম, পড়াশোনা, সামাজিক যোগাযোগ এবং মানসিক বিকাশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী গেমারের প্রায় ৮.৫ শতাংশ গেমিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে। বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিশুদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা, হঠাৎ রাগের বিস্ফোরণ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, এমনকি আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে—যার একটি বড় কারণ স্মার্টফোন ও অনলাইন গেমের আসক্তি।

চট্টগ্রামের এক অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব (ছদ্মনাম) রাতভর রোবলক্স খেলত। একদিন গেমের ভেতরেই তাকে এক গ্রুপে নেওয়া হয় যেখানে অশ্লীল দৃশ্য দেখানো হয়। পরে হুমকি দেওয়া হয় এসব দৃশ্য ফাঁস করে দেওয়া হবে। ভয়ে সে পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। পরিবার না জেনেই অনেক কিশোর-কিশোরী এমন মানসিক চাপে পড়ছে।

এটি একক কোনো ঘটনা নয়। গেমিং আসক্তি থেকে শুরু করে ফেসবুক গ্রুপে অপরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ, তারপর ফিশিং, হ্যাকিং বা স্ক্যাম—এই বিপজ্জনক ধারা বহু কিশোরের জীবনে নিত্য বাস্তবতায় পরিণত হচ্ছে। অপরাধী চক্রগুলো গেমিং কমিউনিটির মাধ্যমে শিশুদের পর্নোগ্রাফি, জুয়া, অনলাইন বাজি এমনকি সাইবার অপরাধের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশে সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। কিন্তু নাবালকরা জড়িত হলে পরিস্থিতি জটিল হয়। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের শিশু-কিশোরদের শুধু শাস্তি নয়, পুনর্বাসন ও কাউন্সেলিং-ও জরুরি।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) ফায়েজ আহমেদ তায়েব বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, “পাবজি সহ অনেক গেম সাইট বন্ধের আলোচনা ছিল। আমরা বলেছি, যদি ১৮ বছরের নিচের কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার নিশ্চয়তা তারা না দিতে পারে, তবে খোলার প্রশ্নই আসে না। এটা গুগল বা অ্যাপলের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাবা-মা সচেতন না হলে আইন দিয়ে একে ঠেকানো সম্ভব নয়।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যার মূল সমাধান পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। শিশুদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সঠিক সীমারেখা টানা, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল চালু করা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা এখন জরুরি।


স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ২১:০৯:১৭
স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন রয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেক সময় এই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তখন দোকানে না গিয়েও ঘরে বসে কয়েকটি সহজ উপায়ে ফোনটি আনলক করা সম্ভব।

পদ্ধতি ১: রিকভারি মোড ব্যবহার করে ফ্যাক্টরি রিসেট

এই পদ্ধতিতে ফোনের সকল ডেটা মুছে যাবে, তবে ফোনটি আনলক হবে।

প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।

কয়েক সেকেন্ড পর ফোনের পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ/ডাউন বাটন একসাথে চেপে ধরে রাখুন।

যখন ফোনটি রিকভারি মোডে যাবে, তখন 'Factory Reset' অপশনটি বেছে নিন এবং 'Wipe Cache' নির্বাচন করুন।

কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ফোনটি পুনরায় চালু হবে এবং নতুন করে সেটআপ করতে হবে।

পদ্ধতি ২: গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আনলক

এই পদ্ধতিটি কাজ করার জন্য আপনার ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় থাকতে হবে।

পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন বারবার ভুল দিলে আপনার স্ক্রিনে 'Forgot Pattern/Password' অপশন আসবে।

এই অপশনে ট্যাপ করে আপনার ফোনে ব্যবহৃত গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন।

সফলভাবে লগইন হলে ফোনটি আনলক হয়ে যাবে এবং আপনি একটি নতুন পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন সেট করতে পারবেন।

এছাড়া, আপনি 'Google Device Manager' ব্যবহার করেও অনলাইনে আপনার ফোনটি আনলক করতে পারবেন। তাই পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ভুলে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে এই সহজ উপায়গুলো চেষ্টা করতে পারেন।


চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৯:৪৫:২৮
চাঁদ কি হারিয়ে যাবে? মহাকাশ গবেষণায় নতুন তথ্য
ছবি: সংগৃহীত

পৃথিবী থেকে চাঁদ প্রতি বছর ৩.৮ সেন্টিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে। এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া যা কোটি কোটি বছর ধরে চলছে। এই দূরত্ব স্থির নয়, ফলে এর ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। সম্প্রতি, এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কেন দূরে সরছে চাঁদ?

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন ডিকারবির মতে, জোয়ার-ভাটার শক্তি এবং কৌণিক ভরবেগের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের ফলে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। এই জোয়ারের স্ফীতি পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে চাঁদের আকর্ষণ থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকে। এই স্ফীতি চাঁদকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়, যা চাঁদকে অতিরিক্ত শক্তি যোগায় এবং তার কক্ষপথকে সামান্য প্রসারিত করে।

একই সময়ে, চাঁদও পাল্টা টানে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতিকে ধীর করে দেয়। এর ফলে পৃথিবীর দিনের দৈর্ঘ্য প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ২.৩ মিলিসেকেন্ড করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি পদার্থবিজ্ঞানের কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এই নীতি অনুসারে, যখন পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির কৌণিক ভরবেগ কমে যায়, তখন চাঁদের কক্ষপথের কৌণিক ভরবেগ বেড়ে যায়, যার ফলে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যায়।

চাঁদের দূরত্ব পরিমাপের পদ্ধতি

বিজ্ঞানীরা মহাকাশযান ও নভোচারীদের দ্বারা স্থাপন করা বিশেষ আয়নার মাধ্যমে চাঁদের দূরত্ব পরিমাপ করেন। ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনে এই প্রতিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। পৃথিবী থেকে লেজার রশ্মি পাঠানো হয়, যা এই প্রতিফলকগুলোতে আঘাত করে ফিরে আসে। এই লেজার রশ্মির যাতায়াতের সময় পরিমাপ করে বিজ্ঞানীরা চাঁদের সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই জানা গেছে, চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

ভবিষ্যতের প্রভাব

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ যে গতিতে দূরে সরছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতে কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে কোটি কোটি বছর পর এর ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে এবং জোয়ার-ভাটার তীব্রতা কমে যাবে। চাঁদ দূরে সরে গেলে পৃথিবীর জলবায়ু ও প্রাণ ধারণের পরিবেশ পরিবর্তিত হতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। তবে এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহের মধ্যেও এমন প্রবণতা দেখা যায়।

সূত্র: এনডিটিভি


চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৬:৩৬:৩৫
চাকরির বাজারে এআইয়ের ঝড়: কারা পড়বেন সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে?
ছবিঃ সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির আবিষ্কার নিঃসন্দেহে মানুষের জীবনকে বহুগুণে সহজ করেছে। এখন আর কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেরি হয় না—মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই এআই চ্যাটবট থেকে পাওয়া যায় সমাধান। যেকোনো বিষয়ে কৌতূহল মেটানো থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরামর্শ নেওয়া পর্যন্ত সবকিছুই এখন এআই-এর মাধ্যমে সহজলভ্য।

এআই কেবল জটিল আলোচনা বা বিশ্লেষণেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি কবিতা রচনা করতে পারে, রান্নার রেসিপি সাজিয়ে দিতে পারে, কঠিন গণিত সমাধান করতে পারে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসাইনমেন্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনে সহায়তা করতে পারে। ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে যেমন নির্ভরশীলতা বাড়ছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ প্রযুক্তিকে নিজেদের কাজে অন্তর্ভুক্ত করছে। মাইক্রোসফটের মতো বহুজাতিক করপোরেশন থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই এআই এখন মানুষের বিকল্প হয়ে উঠছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে যাচ্ছেন। যে ক্ষেত্রেই কেউ কর্মরত থাকুন না কেন, মাথার ওপরে অদৃশ্য এক হুমকি ঝুলছে—সেটি হচ্ছে এআই। প্রশ্ন জাগছে, এই প্রযুক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় আদৌ আছে কি না।

অস্ট্রেলিয়ায় সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে এআই শ্রমবাজার ও দক্ষতার চাহিদায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। এতে যেমন উদ্বেগের কারণ রয়েছে, তেমনি কিছু খাতে নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন সৃজনশীল পেশাজীবীরা। কারণ এআই এখন এমন সব লেখা বা কনটেন্ট তৈরি করছে, যেখানে মৌলিকত্ব প্রায় অনুপস্থিত। ফলে যারা সত্যিকারের মৌলিক কাজ করেন, তাদের স্বীকৃতি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে অফিস সহকারী, রিসেপশনিস্ট, বুককিপার, সেলস ও মার্কেটিং কর্মী, বিজনেস অ্যানালিস্ট বা সিস্টেম অ্যানালিস্টদের চাকরি দ্রুত হ্রাস পাবে। এসব কাজের একটি বড় অংশ এআই সহজেই সম্পন্ন করে ফেলতে পারবে।

অন্যদিকে, কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বরং বাড়তে পারে। যেমন—ক্লিনার, লন্ড্রি কর্মী, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও সেফটি, বিজনেস অ্যাডমিন ম্যানেজার, নির্মাণশ্রমিক, খনি শ্রমিক এবং হসপিটালিটি খাতে কর্মসংস্থানের চাহিদা বাড়বে। এসব কাজ মূলত সরাসরি শারীরিক পরিশ্রম বা হাতেকলমে সম্পাদনযোগ্য। তাই এআই কখনোই পুরোপুরি মানুষের বিকল্প হতে পারবে না।

যারা নতুন করে পেশাজীবনে প্রবেশ করতে চান, তাদের জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে বুককিপিং, মার্কেটিং বা প্রোগ্রামিংয়ের পরিবর্তে নার্সিং, নির্মাণশিল্প কিংবা হসপিটালিটি খাতে ক্যারিয়ার গড়লে তুলনামূলকভাবে চাকরির নিরাপত্তা বেশি থাকবে।

সবচেয়ে বড় সংকট তৈরি হচ্ছে ভয়েস আর্টিস্টদের জন্য। কারণ এখন এআই প্রযুক্তির মাধ্যমেই কণ্ঠ রেকর্ড করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ভয়েসওভার শিল্পে অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ কমে গেছে, যা ভবিষ্যতে পুরো খাতের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১১:০৪:৩৬
বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের আরেক গৌরব: নাসার STEM দূত ড. আহসান
ছবিঃ ডেইলি সান

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট একাডেমিক ড. মো. মঞ্জুরুল আহসান আবারও বিশ্বমঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমায় গবেষণা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত এই বিজ্ঞানীকে নাসার মর্যাদাপূর্ণ STEM Education Ambassadors (STEM EA) প্রোগ্রামের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের ঝুলিতে যুক্ত হলো নতুন এক গৌরব।

নাসার এই বছরব্যাপী প্রোগ্রামটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে (STEM) বিশ্বব্যাপী আরও সহজলভ্য ও আকর্ষণীয় করতে। এই প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত শিক্ষাবিদরা নাসার বিস্তৃত STEM শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ও গবেষণা সম্পদ ব্যবহারের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পান। তারা প্রতি মাসে নাসার গডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ ও ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ টিমের কাছ থেকে আপডেট পান, যাতে তারা মহাকাশ গবেষণা ও জলবায়ু বিজ্ঞান সম্পর্কে সর্বশেষ জ্ঞান নিয়ে কাজ করতে পারেন।

ড. আহসান এই উদ্যোগের অংশ হয়ে একটি আন্তর্জাতিক পেশাগত শিক্ষকমণ্ডলীর সাথে যুক্ত হবেন, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাবিদরা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করছেন। এর ফলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের তরুণ শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের পথে আরও উদ্বুদ্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, কম্পিউটার ভিশন ও অ্যাডিটিভ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে ড. আহসানের গবেষণাকর্ম ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি ৬০টিরও বেশি পিয়ার-রিভিউড গবেষণা প্রবন্ধ সহ-লেখক হিসেবে প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ২৫টিরও বেশি প্রবন্ধের প্রথম লেখক তিনি নিজেই। উল্লেখযোগ্যভাবে, তার বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকৌশল বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ এক শতাংশ সর্বাধিক উদ্ধৃত প্রবন্ধের তালিকায় রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং গবেষণায় বিশ্বের শীর্ষ ০.৫ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

ড. আহসানের এই অর্জন শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের গবেষণা, শিক্ষা ও উদ্ভাবন খাতের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার প্রমাণ। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক অনন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখতে চান।

-সুত্রঃ ডেইলি সান

পাঠকের মতামত: