চরমোনাই পীর ‘ভণ্ড’ ও জামায়াত ‘জাতীয় বেইমান’: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি চরমোনাই পীরকে ‘ভণ্ড’ এবং জামায়াতে ইসলামীকে ‘জাতীয় বেইমান’ বলে মন্তব্য করেছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। জেলা আউটার স্টেডিয়ামে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘চরমোনাই পীর হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল’
এ্যানি চৌধুরী বলেন, “১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। এমন কোনো দালালি পাখা মার্কার ছিল না যে, তারা এ বাংলাদেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেনি। ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪-র নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল দেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত। চরমোনাই পীর বলে, পীর নয় ভণ্ড।”
জামায়াতকে ‘আত্মস্বীকৃত বেইমান’ আখ্যা
জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, “পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াত ইসলামের ভূমিকা এবং তারা ’৮৬ ও ’৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদেরকে অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে। হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে তাদের সঙ্গে থেকে জাতীয় বেইমান হিসেবে, আত্মস্বীকৃত বেইমান হিসেবে তারা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্যাহ।
বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।
কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন—তবে শর্ত থাকছে নিজের পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার অক্ষুণ্ন রাখার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্মরণ করে কিম বলেন, “আমি এখনো তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের মধুর স্মৃতি ধারণ করে আছি।”
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে তিন দফা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে হ্যানয়ের আলোচনায় চুক্তি ভেস্তে যায়। মূল বিতর্ক ছিল—উত্তর কোরিয়া কতটুকু ছাড় দেবে তার পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
কিম জং উন তাঁর দেশের rubber-stamp সংসদে দেওয়া ভাষণে বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রান্ত ‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ’ আসক্তি ত্যাগ করে বাস্তবতা মেনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে আমাদের আবার বসতে কোনো বাধা নেই।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্ব জানে, যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার পর কী করে থাকে। তাই আমরা কখনো পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেব না।”
উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালে নিজেদের “অপরিবর্তনীয় পারমাণবিক রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করে। কিমের মতে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়াকে দুর্বল না করে বরং আরও শক্তিশালী করেছে, “যা কোনো চাপেই ভাঙবে না।”
দক্ষিণ কোরিয়া প্রসঙ্গে কিম সোজাসাপ্টা বলেন, “তাদের সঙ্গে বসার কোনো কারণ নেই। আমরা স্পষ্ট করছি—কোনো ধরনের আলোচনায় যাব না।” গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণকে প্রধান শত্রু ঘোষণা করেছে, রেলপথ ও সড়ক সংযোগ ধ্বংস করেছে।
রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া ঘনিষ্ঠতা
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ কিমকে আরও সাহসী করে তুলেছে। রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা ক্রমশ বাড়ছে। মস্কোকে সমর্থন জানাতে উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার সৈন্য ও অস্ত্র পাঠিয়েছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়।
সিউল বারবার সতর্ক করেছে—রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তরের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, যা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
ট্রাম্পের সফরের আগে কৌশলগত বার্তা
ট্রাম্প আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন, যখন দেশটি এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (APEC) সম্মেলনের আয়োজন করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যুংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লিম উল-চুল বলেন, “ট্রাম্পের সফরের আগে কিমের এই মন্তব্য সময়োপযোগী। এটি একদিকে আকস্মিক শীর্ষ বৈঠকের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা—যেমন নোবেল শান্তি পুরস্কারের বাসনা—কেও স্পর্শ করে।”
বিশ্লেষক ইয়াং মুজিনের মতে, কিমের ভাষণ ছিল একই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী ও সতর্কতামূলক—যা যেমন আন্তর্জাতিক মহলকে বার্তা দিয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।
-এ এফ পি
সরকারি খরচে সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। তার সঙ্গে যাচ্ছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল। নুর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিবেন এবং তার চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে।
হামলার পর উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ
গণঅধিকার পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন নুরুল হক নুর। দীর্ঘ ১৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পরবর্তীতে বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ জানিয়েছে, নুরের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিকিৎসক, পরিবার ও দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। দল তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সরকারের পদক্ষেপ ও উদ্বেগ
গণঅধিকার পরিষদের নেতারা দেরিতে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বর্বরোচিত এই হামলার ২৪ দিন অতিক্রম হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং সরকারের গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি নেই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের সুপরিচিত একজন রাজনৈতিক নেতা ও দলীয় প্রধানের ওপর আক্রমণ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তথা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। তাই অনতিবিলম্বে এ বর্বরোচিত হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। অন্যথায় দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দিবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
নুর ও নাহিদ: তরুণ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ, একীভূত হচ্ছে গণঅধিকার ও এনসিপি?
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে একীভূত হয়ে নতুন দল গঠনের আলোচনা নতুন গতি পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা আরেকটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইউনাইটেড পিপল অব বাংলাদেশ’ (আপ বাংলাদেশ)-ও যুক্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণদের এই একীভূত প্রক্রিয়া সফল হলে তা দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
একীভূতকরণের কারণ ও জটিলতা
গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি মূলত একই প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা দুটি শক্তি। উভয় দলই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে জন্ম নিয়েছে, যেখানে সমান অধিকার, বৈষম্যহীন সমাজ এবং রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন সামনে আসে। তাদের আদর্শিক ভিত্তি ও লক্ষ্য প্রায় একই হওয়ায় যৌথভাবে কাজ করলে রাজনৈতিক পরিসরে তাদের প্রভাব আরও বাড়তে পারে।
তবে গণঅধিকার-এনসিপি সংশ্লিষ্টদের মতে, এ একীভূত প্রক্রিয়া জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। উল্লেখযোগ্য ছাড় ও সমঝোতা ছাড়া একত্র হওয়া কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের অবস্থান কী হবে, দলের নাম কী হবে, নেতৃত্বের কাঠামো কীভাবে সাজানো হবে—এসব প্রশ্ন ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ইতিবাচক মনোভাব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বব্যাপী তরুণ নেতৃত্ব গড়ে ওঠার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। তরুণদের শক্তিগুলো একীভূত হলে এটি তাদের জন্য ভালো। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে গুছিয়ে উঠতে পারে, আদর্শ ঠিক করতে পারে, তাহলে দেশের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারবে। আমি তাদের ভবিষ্যৎ ভালো দেখছি।” তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতিতে তারুণ্যের জয়ের সম্ভাবনা ব্যাপক।
নেতৃত্বের কাঠামো ও দলের নাম
এনসিপি এবং গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নুরুল হক নুর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একীভূত হওয়ার আলোচনা নতুনভাবে গতি পায়। দুদলের নির্বাহী কমিটি পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, যদিও এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
দল দুটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, একীভূত হলে দলের নতুন নাম গঠনের সম্ভাবনা আপাতত কম। বরং ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’ নামেই থাকার আলোচনা বেশ এগিয়েছে। নেতৃত্বের প্রশ্নে এনসিপির প্রস্তাব—নাহিদ ইসলামকে প্রধান রেখে নুরুল হক নুরকে সম্মানজনক পদে রাখা। তবে গণঅধিকার পরিষদ চাইছে, নতুন কমিটি গঠন করে নাহিদ ইসলাম ও নুরুল হক নুর উভয়কেই দলের প্রধান হিসেবে রাখা। সে লক্ষ্যে সভাপতি ও নির্বাহী সভাপতির—দুটি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও উঠেছে।
নেতারা আরও জানান, আগামী নির্বাচন একীভূত হওয়ার চিন্তার অন্যতম কারণ। একসঙ্গে থাকলে নির্বাচনের মাঠে শক্তিশালী বার্তা দেওয়া যাবে। এনসিপির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ না হলে গণঅধিকারের ব্যানারেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হতে পারে।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গণঅধিকার পরিষদের তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে নুরকে প্রধান করার শর্তে বিষয়টি ইতিবাচক দেখছেন, আবার কেউ কেউ নুরকে সভাপতি ও নাহিদ ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠনের পক্ষে। এনসিপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও একীভূত হওয়ার পক্ষে, তবে তারা নাহিদ ইসলামকেই শীর্ষ নেতা হিসেবে দেখতে চান।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ভূমিকা রাখা তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের মানুষ আস্থা অর্জনের মতো একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম পাবে।” গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান জানান, আলাপ-আলোচনা চলছে এবং চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছানো আন্তরিকতা ও উদারতার ওপর নির্ভর করছে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব এবং মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমও একীভূত হওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, এনসিপি বিলুপ্ত বা নাম পরিবর্তন হচ্ছে না, তবে তরুণদের শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হলে রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে।
আপ বাংলাদেশ-এর সংযুক্তি
এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের বাইরে আপ বাংলাদেশও একীভূত হওয়ার আলোচনায় রয়েছে। এনসিপির সঙ্গে তাদের প্রাথমিক আলাপ আলোচনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালের আন্দোলন থেকে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে গণঅধিকার পরিষদ, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা তরুণরা গঠন করেন এনসিপি, যা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে।
ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল সংসদের নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) এক দোকানিকে জরিমানা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী দাবি করেছেন, এই জরিমানার অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর প্রজন্ম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এই দাবি করেন।
‘ছাত্রনেতার জরিমানা করার ক্ষমতা নেই’
রিজভী বলেন, “ছাত্ররাজনীতিতে যা ঘটছে, আপনারা সব দেখছেন। একজন ভিপি হয়েছেন, কিন্তু তাকে কি ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকান করছে কে মার্কেট করছে, এটা তো ইউনিভার্সিটির প্রশাসন আছে, তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। সেখানে ছাত্রনেতা শুধু অভিযোগ করতে পারেন। কিন্তু আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বায়তুল মালে।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় দলের পক্ষ থেকে লোহার খাট দেওয়াকেও অদ্ভুত ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ বলে মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, “এটা তো এতিমখানা নাকি, যে আপনি সেখানে লোহার খাট দেবেন, খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিল দেবেন? এই জিনিসগুলো খুব খারাপ লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে।”
গণমাধ্যমে পক্ষপাতমূলক প্রচারণার অভিযোগ
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “আজকের এই বাস্তবতায় বলা হচ্ছে, অমুক খারাপ, আমরা ভালো। যখন ভালো-মন্দ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বালুমহলের সঙ্গে বিএনপির লোক জড়িত, তখন জামায়াতের লোকও জড়িত আছে। সেটাও গণমাধ্যমে আসছে, তবে ফলাও করে প্রচার হচ্ছে না।” তিনি অভিযোগ করেন, সিলেটের পাথর উত্তোলনে জামায়াত নেতার নাম পাওয়া গেলেও, নারীঘটিত বিভিন্ন ঘটনায় নাম পাওয়া গেলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু বিএনপি বলে প্রচার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে তাদের পদ স্থগিত করছি, বহিষ্কার করছি সেটা তো বলছেন না।” রিজভী সোমারসেট মমের বিখ্যাত উক্তি ‘এভরি ফ্যামিলি হ্যাজ অ্যা ব্ল্যাক শিপ’ উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে কিছু কুলাঙ্গার থাকতে পারে, কিন্তু সেই দল যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তবে সেই পরিবারই সবচেয়ে ভদ্র ও যথার্থ।
ভিপির জরিমানা ও প্রক্টরের আপত্তি
উল্লেখ্য, গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ভিপি আজিজুল হক একটি দোকান থেকে টেস্টিং সল্ট (এমএসজি) পাওয়ায় দোকানিকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও দোকানদার প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে খাবারে টেস্টিং সল্ট মেশানোর কথা স্বীকার করেন। এ সময় ভিপির পক্ষ থেকে দোকানদারের সঙ্গে একটি লিখিত চুক্তিনামা স্বাক্ষরিত হয়, যাতে তিন দিনের মধ্যে জরিমানা না দিলে দোকানের চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করার কথা উল্লেখ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ এ ঘটনায় আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, জরিমানা করার এখতিয়ার ছাত্রনেতাদের নেই। এ ধরনের সিদ্ধান্ত হলে অবশ্যই হল প্রশাসনের মাধ্যমে করতে হবে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুরুল হক নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান এক ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। সোমবার সকালে তার দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে এবং তার সঙ্গে ডা. সাজ্জাদ হোসেনও যাচ্ছেন।
সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন নুর
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। ঘটনার দিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু হয়। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এরপর আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা চলতে থাকে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে অন্য শক্তি জায়গা নেবে : ফজলুর রহমান
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে স্থগিত হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, দেশের আজকের প্রেক্ষাপটে যদি বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান না নেয়, তাহলে অন্য রাজনৈতিক শক্তি এই জায়গা দখল করবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আওয়ামী লীগ
মুক্তিযুদ্ধকে ‘আওয়ামী লীগ কুক্ষিগত করে রেখেছে’—এই অভিযোগের জবাবে ফজলুর রহমান বলেন, “খুব সোজা হিসাব। ৭০ সালে শেখ মুজিবের দল জিতলো… ৭১% ভোট পেলো আওয়ামী লীগ একা।” তিনি বলেন, একটি দল যখন ১৬০টি আসন পায়, তখন সেই দলই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, এরপরও শেখ মুজিব মওলানা ভাসানীর কাছে গিয়ে তার সহযোগিতা চেয়েছেন, যিনি প্রথম বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছিলেন।
জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
ফজলুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, জামায়াত মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের দালালদের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। তিনি বলেন, “২৫ মার্চ রাতে টিক্কা খান যখন পাঁচ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলল, তখন তার সঙ্গে প্রথম যে দেখা করে পায়ে ধরে সালাম করল, তার নাম গোলাম আজম।” তিনি বলেন, ইতিহাসে এর প্রমাণ আছে, যেখানে গোলাম আজম টিক্কা খানকে বলেছিলেন, “হুজুর, আপনার সঙ্গে আমি আছি।”
দলের প্রতি আহ্বান
ফজলুর রহমান বলেন, তার দলের রাজনৈতিক শিষ্টাচার অনুযায়ী তাকে দলে নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, “আমি তো মানুষ, আমার তো ভুল হতে পারে।” তিনি দাবি করেন, তার দল তাকে জানায়নি যে তিনি কী ভুল করেছেন, যার জন্য তার উপদেষ্টা পদ স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি নাকি কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা দিয়েছি। আমি কুরুচিপূর্ণ বক্তৃতা দিলে আপনার চ্যানেলে আমাকে ডাকতেন না।”
নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবার আলাদা পথেই হাঁটছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। উভয় দলই নিজেদের জন্য পৃথক জোট গঠনের পাশাপাশি আসন সমঝোতার জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বামপন্থি দলগুলোরও জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপির জোট গঠনের কৌশল
আগামী নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়েই একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। যুগান্তরের খবর অনুযায়ী, বিএনপি ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চায়। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং ১২ দলীয় জোটসহ প্রায় বিশটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি দলেরও বিএনপির সঙ্গে জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল যখন ঘোষণা হবে, তখন আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব। জোটের প্রয়োজন হলে জোট হবে। এখন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।”
জামায়াত ও অন্যান্য দলের তৎপরতা
অন্যদিকে, জামায়াতও জোট ও আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপাসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করছে, তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামপন্থি দলগুলো যাতে এক জায়গায় থাকতে পারে, সেই চেষ্টা করছি। আলাপ-আলোচনা চলছে।”
নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা
এনসিপিও জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। দলটি উদারপন্থি বলে পরিচিত কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এছাড়া, বাম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি পৃথক জোট গঠনের তৎপরতা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার নির্বাচনকে ঘিরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে রয়েছে। তবে জোট গঠন বা সমঝোতার কৌশল সঠিকভাবে নিতে না পারলে নেতৃত্বে থাকা দল প্রত্যাশিত ফল নাও পেতে পারে।
বিএনপির নাম ব্যবহার করে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না করে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ দলের নাম ব্যবহার করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।
‘ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে।” তিনি আরও বলেন, দলের নাম ব্যবহার করে যেন কেউ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেই ব্যাপারেও প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ধানের শীষের যত নেতাকর্মী আছে, যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের সামনে একটিই লক্ষ্য থাকতে হবে—যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকা। তিনি বলেন, এর কোনো বিকল্প নেই।
মানুষের আস্থা জামায়াতের প্রতি, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনেই তার প্রমাণ: মুজিবুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সৎ নেতৃত্বের কারণে আগামীতে দেশের মানুষ জামায়াতকেই ভোট দেবে। তিনি বলেন, মানুষের এই আস্থা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রমাণিত হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। ‘বিশ্ব নবীর জীবন ও কর্মনীতি’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগ।
‘সৎ নেতৃত্বই কল্যাণ রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত’
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, একটি আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের পূর্বশর্ত হলো সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। তার মতে, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আধুনিক ও কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপকার। তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও আদর্শই আমাদের পথনির্দেশক এবং তা অনুসরণ করা উচিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জামায়াতের রাজশাহী মহানগরের মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। গোদাগাড়ী পৌর ওলামা বিভাগের সভাপতি শায়খ আবু মুহাম্মদ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল খালেক, রাজশাহী আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি ড. ওবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা।
পাঠকের মতামত:
- চরমোনাই পীর ‘ভণ্ড’ ও জামায়াত ‘জাতীয় বেইমান’: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি
- জুলাই আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া কণ্ঠে হাসিনার পরিচয় নিশ্চিত
- আপনার ফোন কি হ্যাক হয়েছে? ক্যামেরা-মাইক্রোফোন থেকে নজরদারির লক্ষণ ও সুরক্ষার উপায়
- মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজা উপহার: ভারতে গেল সুগন্ধি চাল
- যুক্তরাজ্য সরকারের মানচিত্রে যুক্ত হলো ‘স্টেট অব প্যালেস্টাইন’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা মুখোমুখি অবস্থানে
- বিসিবি নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ: তামিম-আসিফ মাহমুদের পাল্টাপাল্টি মন্তব্য
- ‘ট্যাক্স দেয়, সেবা পায় না, লোকজন তো গোস্সা করবেই’: অর্থ উপদেষ্টা
- সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
- এবারের পূজা হবে উৎসবমুখর: সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- অ্যান্টিট্রাস্ট চাপে আবারও আদালতে গুগল
- ৬ নতুন রাজনৈতিক দল পাচ্ছে ইসি’র নিবন্ধন
- লা লিগায় বার্সার দাপট, আতলেতিকোর জয়হীন দুর্দশা চলছেই
- তাহসান খানের আবেগঘন ঘোষণা: সংগীত ও অভিনয় থেকে অবসর
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি: অ্যাঞ্জেলিনা জোলির খোলামেলা মন্তব্য
- হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর শেষ: মুগ্ধতা নিয়ে বিদায় নিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী
- আইফোন ১৭ এখন বাংলাদেশে: কিনতে গেলে যে ঝুঁকিগুলো জেনে রাখা জরুরি
- মার্কিন নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলা
- কিম জং উনের হুঁশিয়ারি: ‘নিরস্ত্রীকরণ নয়, চাই সহাবস্থান’
- সরকারি খরচে সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর
- রাজধানীতে ৯ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি: জলমগ্ন পথঘাট, দুর্ভোগে নগরবাসী
- ড. ইউনূসকে কেন্দ্র করে উত্তাল নিউইয়র্ক: বিএনপি-আওয়ামী লীগের হাতাহাতি
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের নতুন হামলা: গাজায় মানবিক বিপর্যয়
- ‘৬-০’ ও বিমানের ইশারা: ভারতকে কী বোঝাতে চাইলেন হারিস রউফ?
- নুর ও নাহিদ: তরুণ নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ, একীভূত হচ্ছে গণঅধিকার ও এনসিপি?
- ভারত-পাকিস্তান লড়াই আর রইল না! সূর্যকুমারের স্পষ্ট ঘোষণা, একতরফা ম্যাচে বিধ্বস্ত পাকিস্তান
- শাহিবজাদা ফারহানের ঝলকে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের উড়ন্ত সূচনা
- অল্প হাঁটতেই ঘেমে যান? ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন
- রাশিয়া দাবি: একদিনে ইউক্রেন হারিয়েছে ১৫১৫ সৈন্য
- গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয়ে প্রতারণা, এনায়েতের জালে বেনজীরসহ হেভিওয়েটরা!
- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে উত্তাপ রাবি: পোষ্য কোটা নিয়ে জটিলতা
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার
- জাবি নিয়ে আমির হামজার বিতর্কিত মন্তব্য, প্রশাসনের কঠোর প্রতিবাদ
- মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি
- ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল ৩ পরাশক্তি
- বিসিবি ঘেরাও করা হবে: নির্বাচন ঘিরে ইশরাক হোসেনের কড়া বার্তা
- জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
- ‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
- আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার
- ১৫ সেপ্টেম্বর শীর্ষ দশ কোম্পানি দর হারাল
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি