জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!

ওয়ারেন বাফেটের কোকা-কোলার প্রতি ভালোবাসা কেবল স্বাদের জন্য ছিল না, এর পেছনে লুকিয়ে ছিল তার সাফল্যের পথচলার এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। দ্বারে দ্বারে কোকা-কোলা বোতল বিক্রি করে তার প্রথম চাকরি শুরু হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাই তাকে ৩২ বছর বয়সে এনে দিয়েছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের মালিকানা—যা আজকের বাজারে আরও বহু গুণ বেশি মূল্যমানের।
‘নিজের শক্তি চিনে নিন, ভুল করার ভয় করবেন না’
নিজের সাফল্যের মন্ত্র সম্পর্কে বাফেট বলেন, “আপনার শক্তি চিনে নিন, সঠিক মানুষদের পাশে রাখুন, আর ভুল করার ভয় করবেন না।” তার মতে, এই সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে পারলেই যে কেউ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে পারবে।
সঠিক সঙ্গীর গুরুত্ব
বাফেটের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক থাকা। তার মতে, যেকোনো সম্পর্কে বা ব্যবসায় তিনটি গুণ অপরিহার্য— “বুদ্ধিমত্তা, শক্তি আর সততা।” তিনি একবার বলেছিলেন, “কাউকে বদলানোর জন্য বিয়ে করা পাগলামি। কাউকে বদলানোর জন্য চাকরি দেওয়া তাও পাগলামি। আর ব্যবসায়িক সঙ্গী বেছে নেওয়ার পর তাকে বদলানোর চেষ্টা করা পুরোপুরি পাগলামি।”
তার দীর্ঘদিনের পার্টনার চার্লি মাঙ্গার ছিলেন এই কথার সেরা উদাহরণ। প্রায় চার দশক ধরে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন। বাফেট তাকে ডাকতেন “বড় ভাই আর ভালোবাসার পিতার মিশ্রণ।” তাদের গভীর বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সম্মানই তাদেরকে বিলিয়ন ডলার আয়ের পথে নিয়ে গিয়েছিল। বাফেট বলেন, “প্রতিবার যখন আমি চার্লির সঙ্গে থাকি, আমি নতুন কিছু ভাবতে শিখি।”
তবে বাফেট সবসময় সতর্ক করেছেন যে ভুল ব্যবসায়িক সঙ্গী জীবন ও ক্যারিয়ার দুটোই ডুবিয়ে দিতে পারে। সাম্প্রতিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলিওনেয়ার স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিডের উদাহরণ টেনে তিনি ভুল সঙ্গীর মাশুল বোঝাতে চেয়েছেন।
নিজের পথ বেছে নিন
যদি বাফেটের মতো দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেলসপারসন হওয়া কাউকে না টানে, তবে চিন্তার কিছু নেই। আজকের দুনিয়ায় সাফল্যের পথ অনেক। বিল গেটস তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ট্রাফিক মনিটরিংয়ের সফটওয়্যার বানিয়ে, জেফ বেজোস একসময় ম্যাকডোনাল্ডসে বার্গার বানাতেন, আর ইউটিউবার মিস্টার বিইস্ট ভিডিও আপলোড দিয়ে পৌঁছে গেছেন বিশ্বখ্যাতির শিখরে। সব পথেই মিল আছে একটাই—কঠোর পরিশ্রম আর একাধিকবার ব্যর্থ হওয়ার পরও না থেমে দাঁড়িয়ে ওঠা। এটাই সাফল্যের আসল রেসিপি।
অবশ্য, বাফেট মজা করে প্রায়ই বলেন, “সত্যিকারের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ধনী পরিবারে জন্ম নেওয়া।” তবে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান পরামর্শ একটাই: “সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ, সেটি হলো নিজের মধ্যে।”
ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
ত্বকের যত্নে আমরা অনেকেই বিভিন্ন রাসায়নিক পণ্যের দিকে ছুটি। কিন্তু প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে অনেক সমাধান। নারকেল তেল তেমনই একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা প্রাচীনকাল থেকেই সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি ত্বকের কালো দাগছোপ, ট্যান এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
নারকেল তেল, কফি ও মধুর স্ক্রাব
চড়চড়ে রোদ, ধুলো, ধোঁয়া এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরৎকালে ত্বকে ট্যান, কালো দাগছোপ, ব্রণ ও অ্যাকনের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধানে কৃত্রিম ক্রিমের বদলে ঘরে তৈরি এই প্রাকৃতিক স্ক্রাবটি ব্যবহার করতে পারেন।
উপকরণ:
১ চামচ নারকেল তেল
২ চামচ কফি পাউডার
১ চামচ চিনি
আধা চামচ মধু
ব্যবহারের নিয়ম:
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। স্ক্রাব ব্যবহারের আগে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর এই পেস্টটি মুখে, হাতে বা পায়ে লাগিয়ে ৫-৬ মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে ঘড়ির কাঁটার দিকে ম্যাসাজ করুন এবং সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারের সতর্কতা
এই স্ক্রাবটি সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করা উপকারী। তবে এর বেশি ব্যবহার করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
বিশেষ সতর্কতা: এই স্ক্রাবে ব্যবহৃত কোনো উপকরণে যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে, তবে সেটি ব্যবহার করবেন না। পুরো মুখে লাগানোর আগে শরীরের অল্প কোনো অংশে (প্যাচ টেস্ট) লাগিয়ে দেখে নিতে পারেন আপনার কোনো অস্বস্তি হচ্ছে কি না। সমস্যা বোধ হলে লাগাবেন না।
সূত্র : নিউজ ১৮
জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?
সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে—এই প্রবাদটি বহু পুরোনো। তবে আধুনিক যুগে সংসার সুখের হয় স্বামী-স্ত্রী দুজনের প্রচেষ্টায়। যদিও পরিবারের গুরুদায়িত্বের অনেকটাই এখনো স্ত্রীর ওপর থাকে। তাই স্ত্রীকে সম্মান জানাতে এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আজ একটি বিশেষ দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্ত্রী প্রশংসা দিবস।
কীভাবে এলো এই দিবস?
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। এরপর থেকে এটি অনেক দেশেই পালিত হয়ে আসছে। এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীদের সম্মান জানানো, তাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। বিয়ের বয়স যত পুরোনোই হোক না কেন, সম্পর্ক সতেজ রাখতে স্ত্রীর প্রশংসা করা সব সময় জরুরি।
স্ত্রীর প্রশংসা করবেন যেভাবে
দিবসটি উদযাপনের জন্য এখানে কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হলো:
উপহার দিন: স্ত্রীকে উপহার হিসেবে একটি ফুলের তোড়া দিতে পারেন। প্রতিদিন তিনি যে কাজের কথা মনে করিয়ে দেন, তা নিজে থেকে করে তাকে অবাক করে দিন।
একসঙ্গে ঘুরতে যান: সুযোগ পেলে স্ত্রীকে নিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে পারেন বা ঘুরতে যেতে পারেন। এতে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হবে।
কাজে সাহায্য করুন: ঘরের কাজে স্ত্রীকে সহযোগিতা করুন। এতে তিনি অনুভব করবেন যে তার কাজ সহজ নয়, যা তাকে খুশি করবে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনের দক্ষ হাতেই সংসার চলে। তবে আজকের দিনটি বিশেষ করে স্বামীদের জন্য। এ দিনে স্ত্রীর প্রশংসা করলে একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বাড়ে, এবং সম্পর্ক আরও ভালো থাকে।
২৪ সিনেমাকে পেছনে ফেলে অস্কারের দৌড়ে ভারতের ‘হোমবাউন্ড’
২৪টি সিনেমাকে পেছনে ফেলে এ বছর অস্কারের জন্য ভারত থেকে নির্বাচিত হয়েছে পরিচালক নীরজ ঘায়ওয়ানের সিনেমা ‘হোমবাউন্ড’। শুক্রবার কলকাতায় ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মুক্তির আগেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
ঈশান খাট্টার ও জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমাটি এখনো ভারতে মুক্তি পায়নি। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। চলতি বছরের ২১ মে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় এবং সেখানে ছবিটি নয় মিনিটের ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’ পায়। এরপর এটি টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫০তম আসরেও পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডের সেকেন্ড রানার-আপ পুরস্কার জেতে।
পেছনে পড়ল যেসব আলোচিত সিনেমা
এবারের অস্কার মনোনয়নের জন্য জমা পড়া অন্যান্য আলোচিত সিনেমার মধ্যে ছিল ‘আই ওয়ান্ট টু টক’, ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’, ‘পুষ্পা টু’, ‘হিউম্যানস ইন দ্য লুপ’ এবং ‘কেশরী টু’-এর মতো নামও। তবে এবার কোনো বাংলা ছবি অস্কারের দৌড়ে জায়গা করে নিতে পারেনি।
চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
সাম্প্রতিক সময়ে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে ‘সুপারফুড’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে চিয়া সিড। এটি ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার ও খনিজ পদার্থে ভরপুর। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তবে এই পুষ্টিকর বীজটি সব ধরনের খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড মেশালে তা হজম ও পুষ্টি শোষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো চিয়া সিডের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না:
১. সাদা ভাত
চিয়া সিড উচ্চ ফাইবারযুক্ত হলেও সাদা ভাতে ফাইবার খুব কম থাকে এবং এটি দ্রুত হজম হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই দুই ধরনের খাবার একসঙ্গে খেলে হজমে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে। এই মিশ্রণ বেশি পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা বা পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. কলা
কলা একটি স্বাস্থ্যকর ফল, কিন্তু চিয়া সিডের সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে মেশালে তা ক্ষতিকর হতে পারে। ২০২১ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে, কলা ও চিয়া সিড—উভয়ই দ্রবণীয় ফাইবারের ভালো উৎস। এই দুটি খাবার একসঙ্গে খেলে হজম প্রক্রিয়া অনেক ধীর হয়ে যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ভারী ভাবের কারণ হতে পারে। তাই যাদের অন্ত্র সংবেদনশীল, তাদের জন্য প্রতিদিন এই মিশ্রণটি এড়িয়ে চলা ভালো।
৩. ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্ট
চিয়া সিড তরল পদার্থের সঙ্গে মিশলে জেলের মতো আকার ধারণ করে। সংবেদনশীল অন্ত্রের ক্ষেত্রে ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্টের সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে। ২০১৩ সালের একটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, ফলে শরীরের পক্ষে চিয়া সিডের ফাইবার প্রক্রিয়াজাত করা কঠিন হয়ে পড়ে। হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য চিয়া সিড ও ফুল ফ্যাট ডেইরি প্রোডাক্ট আলাদাভাবে খাওয়া উচিত।
৪. ডুবো তেলে ভাজা খাবার
পাকোড়া, সমুচা বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ডুবো তেলে ভাজা খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়। ২০২১ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, চিয়া সিড হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করলেও ভাজা খাবার তা ধীর করে দেয়। এই মিশ্রণটি বদহজম, অ্যাসিডিটি বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
৫. অতিরিক্ত চিনি
হালুয়া বা কেকের মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারে চিয়া সিড যোগ করলে এর উপকারিতা কমে যায়। অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং চিয়া সিডের ফাইবার এই প্রভাবের সঙ্গে সংঘর্ষ করতে পারে।
সুতরাং, চিয়া সিডের সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ পেতে হলে তা সঠিক খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করা জরুরি। সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে এর মিশ্রণই সবচেয়ে ভালো ফল দেবে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও টিভি নাইন বাংলা
আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব বাঁশ দিবস। এটি এমন একটি দিন যা আমাদের কাছে প্রায়শই ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হলেও, বিশ্বজুড়ে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনে বিশ্ব বাঁশ সংস্থা (World Bamboo Organization) বাঁশের বহুমুখী ব্যবহার ও সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিনটি পালন করে আসছে।
বিশ্ব বাঁশ দিবসের ইতিহাস
২০০৫ সালে বিশ্ব বাঁশ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অষ্টম বিশ্ব বাঁশ কংগ্রেস চলাকালে সংস্থাটির তৎকালীন সভাপতি কামেশ সালাম বিশ্ব বাঁশ দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। এই প্রস্তাবে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশের প্রতিনিধিরা সমর্থন জানালে দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব বাঁশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাঁশ কী ও এর ব্যবহার
বাঁশ মূলত একটি চিরহরিৎ উদ্ভিদ এবং ঘাস পরিবারের বৃহত্তম সদস্য। সাধারণত এটি গুচ্ছবদ্ধভাবে জন্মায়, যাকে আমরা বাঁশঝাড় বলি। পৃথিবীতে প্রায় ১৫০ প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। এটি কেবল আসবাবপত্র বা গৃহস্থালি সামগ্রী তৈরিতেই ব্যবহৃত হয় না, বরং এটি খাদ্য হিসেবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব বাঁশ সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে বাঁশের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা এবং দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহারকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি, বাঁশ শিল্পকে একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত হিসেবে গড়ে তোলা এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে বাঁশ চাষকে আরও জনপ্রিয় করাও এই দিবসের লক্ষ্য।
২১ ক্যারেট বনাম ২২ ক্যারেট: কোন সোনার গয়না বেশি টেকসই
সোনার গয়না যুগ যুগ ধরে নারীদের কাছে সৌন্দর্য, আভিজাত্য ও আর্থিক নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সোনার কদর সবসময়ই অন্য ধাতুর তুলনায় বেশি। অনেকেই সোনার গয়না শুধু সাজসজ্জার জন্য নয়, বরং বিনিয়োগ হিসেবেও দেখে থাকেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ৪০-৫০ শতাংশ, যার পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি, বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিরতা, আমদানির খরচ বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক সোনা বাজারে ওঠানামা। ফলে সোনা কেনার প্রবণতা বেড়েছে, তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা নিয়ে বিভ্রান্তি এখনও রয়ে গেছে।
সোনার বিশুদ্ধতা ক্যারেট দিয়ে নির্ধারণ করা হয়। ২৪ ক্যারেট সোনা শতভাগ খাঁটি হলেও তা অতিমাত্রায় নরম হওয়ায় দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত নয়। ২১ ক্যারেট সোনায় থাকে ৮৭.৫ শতাংশ খাঁটি সোনা এবং বাকি অংশ তামা বা রূপা, যা গয়নাকে শক্তিশালী ও টেকসই করে।
অন্যদিকে ২২ ক্যারেট সোনায় থাকে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি সোনা, ফলে এর রং আরও গাঢ় হলুদ হয় এবং টেক্সচার নরম হয়। এতে গয়না দেখতে আকর্ষণীয় হলেও দৈনন্দিন ব্যবহারে আঁচড় বা ভাঙার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই ২১ ক্যারেট গয়না নিয়মিত ব্যবহারের জন্য বেশি উপযুক্ত, আর ২২ ক্যারেট গয়না সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠান বা মাঝে মাঝে ব্যবহারের জন্য কেনা হয়।
বাজারে প্রতারণা এড়াতে সোনা কেনার সময় কিছু বিষয় যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। গয়নার গায়ে থাকা হলমার্ক বা স্ট্যাম্প পরীক্ষা করতে হবে; যেমন ২১K, ২২K, ৯১৬ বা ৮৭৫ লেখা থাকতে হবে এবং তা স্পষ্টভাবে খোদাই করা উচিত। খাঁটি সোনার রং সাধারণত গাঢ় হলুদ হয়; অস্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বা ফ্যাকাশে রং মিশ্রণের ইঙ্গিত দেয়।
সোনা চুম্বকে আকৃষ্ট হয় না, তাই সহজ একটি ম্যাগনেট টেস্ট করা যেতে পারে। এছাড়া আসল সোনা ভারী হয় এবং পানিতে সহজে ডুবে যায়। সিরামিক প্লেটে ঘষলে খাঁটি সোনা সোনালি রেখা রেখে যায়, নকল হলে কালো বা ধূসর দাগ পড়ে। পেশাদার জুয়েলারিরা নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে সোনার খাঁটিতাও যাচাই করেন।
-রফিক
জানুন নিয়মিত সাঁতারের ছয় বড় উপকারিতা
সাঁতার এমন এক ধরনের ব্যায়াম যা একই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে। এটি শুধু খেলা বা বিনোদন নয়, বরং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি পূর্ণাঙ্গ ফিটনেস কার্যক্রম। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীর সুস্থ থাকে, মানসিক চাপ কমে এবং জীবনের মান উন্নত হয়।
হৃদযন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালনে ইতিবাচক প্রভাব
সাঁতারকে একটি উৎকৃষ্ট কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পানির প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে, যা হৃদপিণ্ডকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। একই সঙ্গে এটি ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়িয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের কার্যকারিতা উন্নত করে।
পেশি গঠন ও শরীরের নমনীয়তা
সাঁতার এমন একটি ব্যায়াম যা শরীরের প্রায় সব পেশিকে সক্রিয় করে। হাত, পা, কাঁধ, পিঠ ও পেটের পেশি একসঙ্গে কাজ করে শক্তিশালী হয়। এর ফলে পেশি গঠিত হয় এবং শরীরের টোন উন্নত হয়। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীর নমনীয় হয়, ভঙ্গিমা সুন্দর হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি ফিটনেস অর্জন সম্ভব হয়।
ক্যালরি খরচ ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
সাঁতার ক্যালরি পোড়ানোর কার্যকর উপায়। পানির মধ্যে চলাফেরায় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শক্তি খরচ হয়। এ কারণে এটি দ্রুত অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্থূলতা কমে।
হাড় ও জোড়ের জন্য নিরাপদ
দৌড়ানো বা ভারোত্তোলনের মতো ব্যায়াম হাড় ও জোড়ের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সাঁতার একেবারেই ভিন্ন। পানির ভাসমানতা শরীরের ওজন বহন করে নেয়, ফলে হাড় ও জোড়ের উপর চাপ পড়ে না। এজন্য আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত বা জোড়ের ব্যথায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য সাঁতার একটি আদর্শ ব্যায়াম।
মানসিক চাপ হ্রাস ও ঘুমের উন্নতি
পানিতে ডুবে থাকা ও সাঁতার কাটার সময় শরীর ও মন প্রশান্ত হয়, যা এক ধরনের ধ্যানমূলক প্রভাব তৈরি করে। এটি মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমায়। নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীর স্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত হয়, ফলে ঘুমের মান উন্নত হয়। যারা অনিদ্রায় ভোগেন, তাদের জন্য সাঁতার প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।
হরমোন নিঃসরণ ও মানসিক স্বাস্থ্য
সাঁতারের সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোনকে “হ্যাপি হরমোন” বলা হয়, কারণ এটি মেজাজ ভালো রাখে, মন প্রফুল্ল করে এবং বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে সাঁতার শুধু শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করে।
তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, যেকোনো নতুন ব্যায়াম শুরু করার আগে বিশেষ করে যাদের পূর্ব থেকে শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে অপ্রত্যাশিত জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, সাঁতার এক অনন্য ব্যায়াম যা শরীরকে রাখে শক্তিশালী, মনকে রাখে প্রশান্ত এবং জীবনকে করে সুস্থ ও সুন্দর।
দিনের বেলা ভাতঘুম: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
আমাদের অনেকের কাছেই দিনের বেলার অল্প সময়ের ঘুম একটি রিসেট বোতামের মতো কাজ করে। দুপুরের খাবারের পর হালকা ভাতঘুম হোক কিংবা বিকেলের সামান্য ঝিমুনি—এ ধরনের ঘুমকে সাধারণত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে দেখা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দিনের বেলার অল্প সময়ের ঘুম স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মেজাজ সতেজ রাখে এবং কাজে মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও পরিমিতি জরুরি। কারণ অতিরিক্ত কিংবা অপ্রয়োজনীয় ঘুম ভালো করার পরিবর্তে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দিনের বেলা ঘুমের উপকারিতা
সঠিক সময়ে এবং স্বল্প সময়ের জন্য ঘুম নিলে এটি শরীর ও মনের জন্য শক্তিশালী পুনরুজ্জীবনের মাধ্যম হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১০ থেকে ২০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ—
- মনোযোগ ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায়
- শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
- মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়
- কখন ভাতঘুম সমস্যার কারণ হয়?
যদি ঘুমের সময় এক ঘণ্টার বেশি হয়, তবে এটি উপকারের চেয়ে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম শরীরে জড়তা তৈরি করে, ঘুম থেকে ওঠার পর তন্দ্রাচ্ছন্নতা বা দিশেহারা অবস্থার সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ জৈবঘড়ি বা বায়োলজিক্যাল ক্লক ব্যাহত করে, যার ফলে রাতে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
এছাড়া গবেষণা বলছে, দীর্ঘ সময়ের ভাতঘুম (৬০ মিনিট বা তার বেশি) ঘন ঘন নেওয়ার সঙ্গে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধির সম্পর্ক থাকতে পারে। যদিও সরাসরি ভাতঘুম এই রোগগুলোর কারণ নয়, তবে এটি অন্য কোনো অন্তর্নিহিত শারীরিক সমস্যা অথবা রাতের নিম্নমানের ঘুমের ইঙ্গিত হতে পারে।
সমাধান কী?
দিনের বেলার স্বল্প সময়ের ঘুম মোটেও ক্ষতিকর নয়; বরং দুপুরের পর অল্প সময়ের একটি ন্যাপ শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। তবে যদি ঘুম দীর্ঘ হয় বা ঘন ঘন নেওয়া হয়, তবে তা রাতের ঘুমের মান নষ্ট করে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, শরীরের প্রতি মনোযোগী হয়ে দিনের বেলায় পরিকল্পিতভাবে সীমিত সময় ঘুমাতে হবে। দুপুরের খাবারের পর ১০–২০ মিনিটের ভাতঘুম হতে পারে ক্লান্তি দূর করার কার্যকর উপায়, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুম সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
হাঁটার জাদু: সপ্তাহে পাঁচ দিনেই দূরে রাখুন হৃদরোগ ও চাপ
সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে কিংবা পড়ন্ত বিকেলের নিরিবিলি সময়ে হাঁটা শুধুমাত্র মনকে প্রফুল্ল করে না, বরং শরীরের জন্যও আনে বহুমুখী উপকার। চিকিৎসকরা বলেন, যারা ওজন কমাতে চান কিংবা সুস্থ জীবনযাপন করতে আগ্রহী, তাদের জন্য হাঁটাই হতে পারে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর শরীরচর্চা।
হাঁটা-হৃদযন্ত্র থেকে মানসিক স্বাস্থ্য পর্যন্ত
নিয়মিত হাঁটা এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে। এটি হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরকে হালকা রাখে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে করে উজ্জ্বল। তবে প্রশ্ন হচ্ছে প্রতিদিনই কি হাঁটা জরুরি, নাকি নির্দিষ্ট দিনে হাঁটলেই যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়?
পাঁচ দিনের সোনালী নিয়ম
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের (AHA) সুপারিশ অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মানের শারীরিক অনুশীলন প্রয়োজন। এর সহজতম উপায় হলো সপ্তাহে পাঁচ দিন, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা দ্রুত হাঁটা। নিয়মিত এ অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সামগ্রিক জীবনমান উন্নত করে। বিশেষজ্ঞরা তাই হাঁটাকে আখ্যা দেন “প্রিভেন্টিভ মেডিসিন” হিসেবে, যা আগেভাগেই নানা রোগকে প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সপ্তাহে এক–দুই দিন হাঁটলেও উপকার
সবাই নিয়মিত পাঁচ দিন সময় বের করতে পারেন না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং এবং জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে মাত্র এক বা দুই দিন প্রায় আট হাজার পদক্ষেপ হাঁটলেও হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। অর্থাৎ ব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন হাঁটার সুযোগ না পেলেও সপ্তাহান্তে দীর্ঘ সময় হাঁটলে শরীর ও মন সমানভাবে উপকৃত হয়।
বয়সের ছাপ মুছে ফেলে হাঁটা
হাঁটার রয়েছে বার্ধক্য ঠেকানোর অসাধারণ ক্ষমতা। নিয়মিত হাঁটলে ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ বয়সজনিত নানা রোগের ঝুঁকি কমে যায়। শুধু তাই নয়, হাঁটা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা হাঁটাকে এক প্রকার অ্যান্টি-এজিং থেরাপি হিসেবেও বর্ণনা করেন।
হাঁটা শুরু করার সহজ উপায়
হাঁটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি শুরু করতে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি বা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। দামি জুতা বা জিমে সদস্য হওয়ার দরকার নেই। প্রতিদিন সকালে বা সন্ধ্যায় মাত্র ৩০ মিনিট সময় বের করলেই যথেষ্ট। ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন না পারলেও অন্তত সপ্তাহে এক–দুদিন দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটুন। চাইলে বন্ধু বা পরিবারের কাউকে সঙ্গে নিলে হাঁটার সময়টা হয়ে উঠবে আরও আনন্দময়।
হাঁটা এমন এক সহজ অথচ কার্যকর অভ্যাস, যা শরীরকে রাখে ফিট এবং মনকে রাখে প্রফুল্ল। তাই সপ্তাহে নিয়মিত পাঁচ দিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটুন, আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে অন্তত সপ্তাহে এক–দুদিন দীর্ঘ সময় হাঁটা চালিয়ে যান। সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনের জন্য হাঁটাকে তাই জীবনের স্থায়ী সঙ্গী করে নেওয়াই শ্রেয়।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (AHA), সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC), জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (JAMA), জার্নাল অব জেরোন্টোলজি
পাঠকের মতামত:
- জীবনের সেরা বিনিয়োগ: ওয়ারেন বাফেটের এই পরামর্শ আপনার ভাগ্য বদলে দেবে!
- রানের বন্যা বইয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া: ভারতকে পিটিয়ে ৭৮১ রানে বিশ্বরেকর্ড!
- ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ভিপির জরিমানা করা অর্থ জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হচ্ছে: রিজভী
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- ত্বকের যত্নে নারকেল তেল ও কফি স্ক্রাব: দূর হবে কালো দাগ
- ‘৭টি যুদ্ধ থামিয়েছি, ৭টি নোবেল চাই’: ট্রাম্পের নতুন দাবি
- ইসরায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য কি তুরস্ক? মধ্যপ্রাচ্যে বাড়ছে উত্তেজনা
- ভারতের আসল শত্রু বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতা: নরেন্দ্র মোদি
- আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
- ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি : রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- ২১ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ভারতীয় সিনেমায় পরিবার নয়, প্রতিভা: নতুন মুখ যারা ছাড়বে নিজের ছাপ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সরকার টিকা ক্রয়ের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে
- ‘প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই’—সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার
- টেকসই উন্নয়নে নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতির ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা: মাশরাফি ও হাবিবুল বাশার সুমনের বিশ্লেষণ
- উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন নুরুল হক নুর
- অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
- পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব কী বললেন?
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশ, উৎপত্তিস্থল সিলেটে
- বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে না দাঁড়ালে অন্য শক্তি জায়গা নেবে : ফজলুর রহমান
- আবারও কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়
- ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছি: প্রভা
- লাতিন আমেরিকায় নতুন বিক্ষোভ, এবার পেরুতে ফুঁসে উঠেছে জেন-জি
- সন্ধ্যা পর্যন্ত সাত অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাউদ্দিন আহমেদের ইন্তেকাল
- ট্রাম্প প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত: এককালীন ফি নিয়ে আতঙ্কে বিদেশি কর্মীরা
- মিলিতাওয়ের দূরপাল্লার গোল, এমবাপ্পের নিখুঁত ফিনিশে রিয়ালের দাপট
- মৃত্যু কেন মুমিনের কাছে প্রিয়? হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা
- ইতিহাসের নতুন মোড়ে ব্রিটেন: আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি
- নীরব ঘাতক: যে ৫টি খাবার কিডনির ক্ষতি করছে
- জানেন কি? আজ স্ত্রী প্রশংসা দিবস, কেন এই দিনটি পালন করা হয়?
- সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
- মহালয়া: দেবীপক্ষের শুরু, পূজার আনন্দ শুরু হলো আজ থেকে
- এশিয়া কাপ: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ
- ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এরদোগান: টানাপোড়েনপূর্ণ সম্পর্কের পর কেন এই বৈঠক?
- আফগানিস্তান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা’: ট্রাম্পের হুমকিতে নতুন করে উত্তেজনা
- নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
- জাতিসংঘ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, সফরসঙ্গী চার রাজনীতিবিদ
- শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর এখন ফাইনালের স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ
- শানাকার তাণ্ডবে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ল শ্রীলঙ্কা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
- হিজাব-নিকাব নিয়ে হেনস্তা বন্ধে পাবিপ্রবি প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ
- সুপার ফোরে বাংলাদেশের দারুণ শুরু, তাসকিন-মেহেদীর আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা
- ভারত আক্রমণ করলে সৌদি আরব পাশে থাকবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
- শেখ হাসিনার দুঃশাসনের ইতিহাস নিয়ে ঢাকায় হচ্ছে ‘জুলাই স্মৃতি জাদুঘর’
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার