আবারও কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল সচিবালয়

বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সচিবালয়কেন্দ্রিক সংযুক্ত পরিষদের কর্মচারীরা আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছিল।
বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
পে-স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন।
সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ ১০ দিনের জন্য করা।
সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ ভাতা ২০ হাজার টাকা করা।
পরিবারের ছয়জনের জন্য রেশন চালু করা।
অবসরভোগী কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা ভাতা নিশ্চিত করা।
রবিবার সকালে কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে এবং পরে জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিবের দপ্তরের সামনে জড়ো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদীউল কবিরসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
নির্বাচন নিয়ে বড় বৈঠক: তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বসছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জাতীয় গণভোটের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দেশের তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দিন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে যে আগামীকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে দেশের অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পৃথক বৈঠকে মিলিত হবে কমিশন।
ইসি সচিবালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে প্রথম বৈঠকটি শুরু হবে দুপুর ১২টায়। এই সভায় সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচনের সময় মাঠ পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা এবং সমন্বয়ের বিষয়গুলো এই বৈঠকে প্রাধান্য পাবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সভা যেখানে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
এই সভায় নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। বৈঠকে মূলত ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগের ও পরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন ও গণভোটের সময় দেশের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত নজরদারি বাড়ানোর বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এটিই হবে নাসির উদ্দিনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বড় নিরাপত্তা বৈঠক। উল্লেখ্য যে ইতোমধ্যে নির্বাচনের সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং আগামী ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে ইসির এই সমন্বয় সভাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
জাতীয় নির্বাচনের সংশোধিত তফসিল ঘোষণা
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল কিছুটা সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে ইসি জানিয়েছে যে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের এবং তা নিষ্পত্তির সময়সীমায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। সংশোধিত সূচি অনুযায়ী আপিল দায়েরের সময় দুই দিন কমিয়ে তা নিষ্পত্তির জন্য আরও দুই দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। মূলত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়াগুলো আরও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতেই এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসির সংশোধিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা আগে ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে তা কমিয়ে ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি করা হয়েছে। এর বিপরীতে আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারির পরিবর্তে বাড়িয়ে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আপিল নিষ্পত্তির জন্য এখন মোট নয় দিন সময় পাওয়া যাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন কর্তৃক গত ১১ ডিসেম্বর ঘোষিত মূল তফসিলের অন্যান্য সময়সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর ক্ষমতা বলে কমিশন এই সাধারণ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারিত রয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ চলবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩০০ আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। একই দিনে সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫-এর ওপর একটি জাতীয় গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে নির্বাচন কমিশন পুনরায় নিশ্চিত করেছে।
এমিরেটস ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন সুদান সীমান্তে শহীদ ৬ বীর সেনা
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শাহাদতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় বীর সদস্যের মরদেহ আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দেশে এসে পৌঁছেছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে তাদের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। শহীদদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আগামীকাল রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর যথাযথ সামরিক মর্যাদায় তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে হেলিকপ্টারে করে পাঠিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
আইএসপিআর জানায় যে গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বর্বরোচিত ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এই নজিরবিহীন হামলায় ঘটনাস্থলেই ৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন। আজ বিমানবন্দরে মরদেহগুলো গ্রহণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ গ্রহণের সময় উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদানের মাধ্যমে তাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেন।
শহীদ হওয়া এই ছয় বীর শান্তিরক্ষী হলেন— করপোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), সৈনিক শামীম রেজা (রাজবাড়ী), সৈনিক শান্ত মন্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)। এই সন্ত্রাসী হামলায় আরও ৯ জন শান্তিরক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জন বর্তমানে কেনিয়ার নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইএসপিআর নিশ্চিত করেছে যে চিকিৎসাধীন সকল শান্তিরক্ষী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের এই সূর্যসন্তানদের আত্মত্যাগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শোকাতুর ও গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইনকিলাব মঞ্চের ২৪ ঘণ্টার চূড়ান্ত আলটিমেটাম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং জুলাই বিপ্লবের অকুতোভয় নেতা শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদিকে শেষ বিদায় জানানোর পর রাজধানী শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার আগে এই সমাবেশ থেকে বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্স চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা করেছেন যে আগামীকালের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে রবিবার বিকেল সোয়া ৫টা থেকে পুনরায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হবে।
এর আগে আজ দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ঠিক আগে পরিবারের পক্ষ থেকে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও খোদাবক্স চৌধুরীর অপসারণ দাবি করে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে হাদির ওপর নৃশংস হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি প্রশাসন। এই সময় তিনি খোদাবক্স চৌধুরীকে বিগত এক সপ্তাহের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জনগণকে স্পষ্ট তথ্য দেওয়ার আহ্বান জানান।
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা আজ এক বিশাল গণজমায়েতে পরিণত হয়। তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। জানাজা শেষে অত্যন্ত শোকাতুর পরিবেশে হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়ে আসা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
দাফন পরবর্তী সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা শান্ত থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির ওপর নজর রাখার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। আবদুল্লাহ আল জাবের স্পষ্ট করে বলেন যে কোনো ধরনের সহিংসতার উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না এবং ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকেই আন্দোলনের পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত জানানো হবে। হাদি হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং প্রশাসনের ব্যর্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে অঙ্গীকার করেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা।
সংসদ ভবনে মানুষের ঢল: শহীদ হাদির জানাজায় লাখো মানুষের ভিড়
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অকুতোভয় নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময় দুপুর ২টা হলেও সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত এবং দেশের দূর-দূরান্তের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ জানাজা স্থলে এসে জড়ো হতে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবি অনুযায়ী এই জানাজা হতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম বৃহৎ এক গণজমায়েত। ভিড় সামাল দিতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো এলাকা জুড়ে বিশেষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ জনতাকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। ভিড় সামলাতে প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা চৌকি। জানা গেছে যে বিশেষ নিরাপত্তার স্বার্থে চীন থেকে আনা আটটি অত্যাধুনিক আর্চওয়ে গেট বসানো হয়েছে যার ভেতর দিয়ে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে ছাত্র-জনতা জানাজা স্থলে প্রবেশ করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জানাজা স্থলের চারপাশের উঁচু ভবনগুলো থেকেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বলছেন যে এই জানাজা কেবল একজন নেতার বিদায় নয় বরং এটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক ঐক্যবদ্ধ শক্তির বহিঃপ্রকাশ।
এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গোসলের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এনএইচএ-এর সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন যে জানাজা শেষে শহীদ হাদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে। উল্লেখ্য যে গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। গতকাল সন্ধ্যায় তার মরদেহ দেশে পৌঁছানোর পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে আসে দেশজুড়ে।
হাদির জানাজা পড়াবেন বড় ভাই: সংসদ ভবনে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির শেষ বিদায়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এই জানাজার নামাজে ইমামতি করবেন মরহুমের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানাজা শেষে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির লাশের ময়নাতদন্ত আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিশেষ দল মর্গ এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। হাদির স্বজন ও সহযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষকে হাসপাতালের সামনে ভিড় করতে দেখা যায়। ময়নাতদন্ত শেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী গোসল ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সেরে মরদেহ সরাসরি সংসদ ভবনের জানাজা স্থলের অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার পুরো বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে। দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও হাদির স্মরণে পতাকা অর্ধনমিত রয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান হাদি। এরপর ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই তরুণ বিপ্লবী নেতা।
শরিফ ওসমান হাদি: একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও বিপ্লবের অমর উপাখ্যান
শরিফ ওসমান হাদি কেবল একটি নাম নন বরং তিনি চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের এক জ্বলন্ত প্রতীক এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীনতার এক সাহসী কণ্ঠস্বর। ফ্যাসিবাদের চোখে চোখ রেখে সত্য উচ্চারণের যে সাহস তিনি দেখিয়েছিলেন তা সমকালীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। জুলাইয়ের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যখন চারদিকে আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা তখন হাদি হয়ে উঠেছিলেন অবদমিত মানুষের কণ্ঠস্বর। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সত্য বলার ঝুঁকি থাকলেও নিশ্চুপ থাকার দায় আরও বেশি ভয়াবহ। আধিপত্যবাদ ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল থেকে তিনি লালন করেছিলেন এক নতুন ও ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন।
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া হাদি ছিলেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তার বাবা ছিলেন একজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম। ঝালকাঠির এন এস কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থান তাকে রাজনীতির সম্মুখভাগে নিয়ে আসে। জুলাই শহীদদের অধিকার রক্ষা এবং আধিপত্যবাদবিরোধী অবস্থানে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ যা নিপীড়িত তরুণদের এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।
হাদি প্রায়ই বলতেন যে ভয় পেলে চলবে না কারণ ইতিহাস ভীরুদের ক্ষমা করে না। তাকে দমাতে আসা অসংখ্য হুমকি বা শত্রুর ভয়কে তিনি তুচ্ছজ্ঞান করতেন। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন যে বুলেট ছাড়া কেউ তাকে থামাতে পারবে না। সত্যিই গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্সকালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা ঘাতকের বুলেট তার মস্তিষ্ক ভেদ করে দেয়। আট দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো দেশে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে প্রতিবাদের এক ‘আইকন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তাকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অকুতোভয় যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করেছেন।
শরিফ ওসমান হাদি আগামীর বাংলাদেশে এক নতুন ধারার রাজনীতির স্বপ্ন দেখতেন। তিনি গতানুগতিক পুরোনো রাজনীতির কঠোর সমালোচক ছিলেন এবং জনগণকে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে ‘চা-শিঙাড়া’ আড্ডার মতো ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করতেন। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল কাঠামোগত পরিবর্তন এবং নৈতিক রাজনীতির প্রতিষ্ঠা। তিনি প্রশ্ন তুলতেন যে রাষ্ট্র কেন বারবার সাধারণ মানুষের বিপক্ষে দাঁড়ায়। আজ যখন বাংলাদেশ এক গভীর রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন হাদির সেই সাহসী প্রশ্নগুলো আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। হাদি চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু তার রেখে যাওয়া স্বপ্ন ও আদর্শ এখন হাজারো তরুণের পাথেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শপথ নিয়েছেন যে প্রতিটি রাজপথে এখন থেকে হাজারো হাদি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখবে।
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে হাদির মরদেহ: কড়া পাহারায় সেনাবাহিনী
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মরদেহটি মর্গে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রাখেন। হাদির স্বজন, সহকর্মী এবং রাজনৈতিক সহযোদ্ধারাও এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভোর থেকেই প্রিয় এই নেতাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত মানুষ হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে যে ময়নাতদন্ত শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহ গোসল করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর ধর্মীয় ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে কফিন নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে যে আজ দুপুর ২টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে যা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকাতেও সম্প্রসারিত হতে পারে।
জানাজা উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যারা জানাজায় অংশগ্রহণ করবেন তাদের কোনো প্রকার ভারী ব্যাগ বা সন্দেহজনক বস্তু সাথে না আনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সংসদ ভবন ও এর আশপাশের পুরো এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সিঙ্গাপুর থেকে হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তা হিমাগারে রাখা হয়েছিল। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সংসদ ভবনে জানাজা শেষে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।
বিজিবি এখন সীমান্ত নিরাপত্তায় আরও পেশাদার: প্রধান উপদেষ্টা
দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বিশেষ বাণীতে তিনি বিজিবি সদস্যদের ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে অভিহিত করেন। চোরাচালান বন্ধ, মাদক নির্মূল এবং নারী ও শিশু পাচার রোধে বাহিনীর নিরলস পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে বিজিবি দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন যে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি অত্যন্ত পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমন এবং পুশইন রোধসহ বিভিন্ন ধরনের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় বাহিনীর সদস্যরা সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বিজিবি দিবস উপলক্ষে তিনি বাহিনীর সকল স্তরের সদস্য ও তাদের পরিবারকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন যে এই বাহিনী এ অঞ্চলের এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও অত্যন্ত গৌরবময় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বহন করছে।
মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দুজন বীরশ্রেষ্ঠসহ এই বাহিনীর ১১৯ জন সদস্য খেতাব পেয়েছেন এবং ৮১৭ জন সদস্য দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। তাদের এই বিশাল আত্মত্যাগ বিজিবির ইতিহাসকে চিরকাল মহিমান্বিত করে রাখবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত থেকে বিভিন্ন সময়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। বাণীর শেষে তিনি বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং বাহিনীকে আরও গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পাঠকের মতামত:
- নির্বাচন নিয়ে বড় বৈঠক: তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বসছে ইসি
- কোলের শিশু কেন ফর্সা? ভিক্ষুক নারীকে ঘিরে তুলকালাম
- অনিদ্রা ও ক্লান্তি দূর হবে: রাতে ঘুমানোর আগে সেরা ৫টি খাবারের তালিকা
- ভাষার দেয়াল ভাঙল গুগল: হেডফোনে সরাসরি শোনা যাবে ৭০ ভাষা
- আধুনিক জীবনযাত্রায় বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব: বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
- বড় সাজা পেলেন ইমরান-বুশরা: পাকিস্তান রাজনীতিতে নতুন মোড়
- আপনি জিতে গেছেন হাদি: তারকাদের আবেগঘন বার্তা
- সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে, গুড়ের চা পানের অবিশ্বাস্য ৪ উপকারিতা
- দিল্লী না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা: হাদি হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ
- জাতীয় নির্বাচনের সংশোধিত তফসিল ঘোষণা
- এমিরেটস ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন সুদান সীমান্তে শহীদ ৬ বীর সেনা
- মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা
- ইনকিলাব মঞ্চের ২৪ ঘণ্টার চূড়ান্ত আলটিমেটাম
- বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
- নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি
- বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস
- প্রবাসীদের জন্য আজকের রিংগিত রেট ও পরামর্শ
- ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে সেরা ৫ ইনডোর প্ল্যান্ট
- জানাজার নামাজে কী পড়বেন, কী করবেন না
- হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা
- যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে
- সংসদ ভবনে মানুষের ঢল: শহীদ হাদির জানাজায় লাখো মানুষের ভিড়
- সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
- হাদির জানাজা পড়াবেন বড় ভাই: সংসদ ভবনে শেষ বিদায়ের প্রস্তুতি
- অ্যাভাটারের নতুন ট্রেলারে ক্রিস ইভান্স: উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
- মৃত ব্যক্তির মাগফিরাত কামনায় জানাজার দোয়া ও এর তাৎপর্য
- ২০৩৫ সালে চাঁদে ফুটবল ম্যাচ? বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য দাবি
- গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- শরিফ ওসমান হাদি: একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ও বিপ্লবের অমর উপাখ্যান
- নির্বাচন পেছানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে হাদির মরদেহ: কড়া পাহারায় সেনাবাহিনী
- বয়স বাড়লেও টেস্টোস্টেরন থাকবে অটুট: জানুন কার্যকরী উপায়
- শনিবার দুপুরে ঢাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস
- আজকের খেলার সূচি: টিভিতে সরাসরি দেখবেন যেসব ম্যাচ
- ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়: ২০ ডিসেম্বর
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- রাজধানীতে আজ কোথায় কী? বের হওয়ার আগে জানুন আজকের সূচি
- বিজিবি এখন সীমান্ত নিরাপত্তায় আরও পেশাদার: প্রধান উপদেষ্টা
- আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি: মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
- ঢাকা ছাড়ছেন ডা. জুবাইদা রহমান: কাতার বিমানে যাত্রা
- হাদি হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল দেশ: দিকে দিকে বিক্ষোভ
- বেরিয়ে এলো ওসমান হাদি হত্যার ভয়ংকর পরিকল্পনা
- জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান
- এবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান
- হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
- শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা
- ওসমান হাদির জানাজা শনিবার জানাজা কোথায় ও কখন
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ডলারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার আজকের বিনিময় হার
- আইপিএল নিলামে তোলপাড়: রেকর্ড দামে বিক্রি ফিজ
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়








