নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ১০:১৯:১৯
নির্বাচনের আগে জোটের নতুন সমীকরণ: কোন পথে হাঁটছে বিএনপি-জামায়াত?
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জোট গঠনের তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবার আলাদা পথেই হাঁটছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। উভয় দলই নিজেদের জন্য পৃথক জোট গঠনের পাশাপাশি আসন সমঝোতার জন্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বামপন্থি দলগুলোরও জোট গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিএনপির জোট গঠনের কৌশল

আগামী নির্বাচনে কোনো দল এককভাবে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে নিয়েই একটি বড় জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে। যুগান্তরের খবর অনুযায়ী, বিএনপি ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে চায়। এর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং ১২ দলীয় জোটসহ প্রায় বিশটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ কয়েকটি ইসলামি দলেরও বিএনপির সঙ্গে জোটে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনের শিডিউল যখন ঘোষণা হবে, তখন আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করব। জোটের প্রয়োজন হলে জোট হবে। এখন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন।”

জামায়াত ও অন্যান্য দলের তৎপরতা

অন্যদিকে, জামায়াতও জোট ও আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি এবং জাগপাসহ বেশ কয়েকটি ইসলামি দল অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করছে। তবে জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করছে, তা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই স্পষ্ট হবে বলে জানা গেছে।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামপন্থি দলগুলো যাতে এক জায়গায় থাকতে পারে, সেই চেষ্টা করছি। আলাপ-আলোচনা চলছে।”

নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা

এনসিপিও জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। দলটি উদারপন্থি বলে পরিচিত কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এছাড়া, বাম ও ইসলামি দলগুলোর আরও দুটি পৃথক জোট গঠনের তৎপরতা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার নির্বাচনকে ঘিরে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় বিএনপি এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থানে রয়েছে। তবে জোট গঠন বা সমঝোতার কৌশল সঠিকভাবে নিতে না পারলে নেতৃত্বে থাকা দল প্রত্যাশিত ফল নাও পেতে পারে।


মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৮:৩৩:৪৮
মার্কা যাই হোক আমি নির্বাচন করবই: রুমিন ফারহানা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর বাজারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন যে প্রতীক বা মার্কা যাই হোক না কেন এলাকার মানুষের সিদ্ধান্তই তার কাছে চূড়ান্ত। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে জনগণের সমর্থন থাকলে তিনি এই আসন থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তিনি তার এই রাজনৈতিক সংকল্পের কথা জানান।

রুমিন ফারহানা সরাইল ও আশুগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন যে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে তিনি এই এলাকার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে দেশের বেশিরভাগ আসনে মনোনয়ন নিয়ে আনন্দ-উৎসব চললেও সরাইল-আশুগঞ্জের মানুষ এখনো জানেন না তাদের প্রার্থী কে। বিএনপি ইতোমধ্যে ২৭২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি এখনো ঝুলে থাকায় তিনি পরোক্ষভাবে দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে নিজের প্রচারণার ওপর জোর দিচ্ছেন। গত ১৭ বছর ধরে রাজপথে নিজের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন যে তার বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণেই তিনি রাজনীতি করছেন।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন যে গত ১৫ বছর এ দেশের মানুষ তাদের প্রকৃত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বর্তমান সরকার ২০২৬ সালে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি করছে তাতে বিএনপি আস্থা রাখতে চায় বলে তিনি জানান। তবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতে তিনি সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানিয়ে বলেন যে নির্বাচনের আগে সারা দেশের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসমূহ আইনের আওতায় এনে ভোটার এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি। গত কয়েক মাস ধরেই তিনি এই এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ ও সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করছেন।


বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৫৭:৩৪
বীর উত্তম এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোকবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান বীর সেনানী ও সাবেক মন্ত্রী এ কে খন্দকার বীর উত্তম আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

এ কে খন্দকারের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে জাতি একজন পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাহসী সামরিক নেতৃত্বকে হারাল।

শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল বলেন, শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছেন এবং এই অপূরণীয় ক্ষতিতে তিনি নিজেও গভীরভাবে ব্যথিত। তিনি উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধে এ কে খন্দকারের অবদান ছিল অসামান্য ও ঐতিহাসিক।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মরহুম এ কে খন্দকার মুক্তিবাহিনীর উপ-প্রধান তথা ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একজন দক্ষ এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে দেশগঠনে অবদান রাখেন।

শোকবার্তায় আরও বলা হয়, গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এ কে খন্দকার সাহসিকতা ও নেতৃত্বের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয় এবং ২০১১ সালে তিনি স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য এ কে খন্দকার যে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার আজীবন নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, এ কে খন্দকারের চিরবিদায়ে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে মর্মাহত। এই বীর সেনানীর মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

শোকবার্তার শেষাংশে বিএনপি মহাসচিব মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান রাব্বুল আলামিন যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন সেই দোয়া করেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।

-রফিক


নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৪৮:০৮
নজরুল মাজার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় ওসমান হাদি
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি–এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম–এর সমাধিসৌধের পাশেই তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর আগে বিকেল ৩টায় হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স কবরস্থানে পৌঁছায়। দাফন উপলক্ষে পুরো এলাকা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কবরস্থানের আশপাশে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সোয়াট সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।

নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শাহবাগ মোড় থেকে সমাধিসৌধ অভিমুখী সড়কে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুরো কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হয়।

এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। শোকাবহ এই জানাজায় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মো. গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক **নাহিদ ইসলাম**সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব জাবের এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

জানাজায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রিয় ওসমান হাদির কাছে একটি অঙ্গীকার জানাতে এসেছেন তিনি। হাদি যে আদর্শ ও মানবিক রাজনীতির কথা বলে গেছেন, তা যেন বাস্তবায়িত হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। ইউনূস আরও বলেন, হাদির মানবপ্রেম, মানুষের সঙ্গে তার সহজ সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দেশবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, জানাজায় মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢেউয়ের মতো মানুষের স্রোত নেমেছিল রাজধানীতে। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিদেশ থেকেও অনেকেই হাদির বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানাজার আগে বক্তব্যে হাদির বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অপরাধীরা যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে হত্যাকারীরা দেশ ছাড়তে পারলো, সেই প্রশ্ন জাতির সামনে রয়ে গেল।

তিনি আরও বলেন, তার ব্যক্তিগত কোনো দাবি নেই। তার ভাই শহীদ হয়েছেন এবং শহীদি মৃত্যুই ছিল তার আকাঙ্ক্ষা। আল্লাহ তাকে সেই মর্যাদা দান করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

-শরিফুল


বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৫:৩৫:০৫
বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়: মির্জা আব্বাস
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে যে গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেটিকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করেছেন, সেই গণতন্ত্রকে পুনরায় দেশে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানেই দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, আর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্বাগত জানাতে দেশের মানুষ প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণ চায় না, তারা মানুষের মতো দেখালেও প্রকৃতপক্ষে মানুষের শত্রু। ইতিহাস টেনে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৪৭ সালে যারা পাকিস্তানবিরোধী ছিল এবং ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজও দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে সক্রিয়।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, এই গোষ্ঠী সাময়িকভাবে নীরব থাকলেও সময় পেলেই তাদের নখ ও বিষদাঁত প্রকাশ করে দেয়। তাদের কর্মকাণ্ড পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো টিকে থাকতে পারে না উল্লেখ করে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি একাধিকবার সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সেই সহযোগিতা গ্রহণের পরিবর্তে সরকার দেশবিরোধী শক্তির সঙ্গে চলার পথ বেছে নিয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস, মব সহিংসতা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

তার অভিযোগ, গণতন্ত্রের নামে একটি মহল মব সৃষ্টি করে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে এবং সেই দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ধ্বংসকারী নয়। হত্যা, গুম কিংবা মব রাজনীতির সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।

তবে তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, শান্তিপূর্ণ রাজনীতির অর্থ এই নয় যে বিএনপি অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীরব থাকবে। মানুষের অধিকার রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে এবং সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করা হবে। শহীদ জিয়ার বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে ছিলেন, বিএনপিও আগামীতেও জনগণের পাশে থাকবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-১০ আসনের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৭ আসনের প্রার্থী হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী **হাবিবুর রশিদ হাবিব**সহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

-রফিক


যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৩:০৭
যেখানে হাদির কবর খনন করা হয়েছে 
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সম্মুখসারির নেতা শরিফ ওসমান হাদি–এর দাফনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে তার কবর খননের কাজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কবর খননের শেষ পর্যায়ের কাজ চলাকালে সমাধি প্রাঙ্গণের আশপাশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে ভিড় করে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। পুরো এলাকা জুড়ে একদিকে শোকের আবহ, অন্যদিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শরিফ ওসমান হাদির দাফনের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণকে নির্ধারিত স্থান হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার সমাহিতকরণের জন্য এই স্থান নির্বাচন করা হয়েছে।

এদিকে, শরিফ ওসমান হাদির দাফন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সাধারণ জনগণকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি এই অনুরোধ প্রযোজ্য। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসের একাধিক প্রবেশপথ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে স্বাভাবিক চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দাফন কার্যক্রম শেষে ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক চলাচল পুনরায় চালু করা হবে।

-রাফসান


নির্বাচন পেছানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:০৯:১৫
নির্বাচন পেছানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
ছবি : সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের জেরে দেশজুড়ে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন যে মূলত আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত করতেই পরিকল্পিতভাবে দেশে এই অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। তার মতে দেশে গত কয়েক দিনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এর মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে দেশজুড়ে অরাজকতা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক পদক্ষেপ দেখা যায়নি। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, জ্যেষ্ঠ সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর আক্রমণ এবং উদীচী ও ছায়ানটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত হিসেবে দেখছে বিএনপি। এছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনে হামলা এবং ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার মতো স্পর্শকাতর ঘটনাগুলো দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি শরিফ ওসমান হাদিকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন যে অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকারকে নস্যাৎ করে দেশে ফ্যাসিবাদের একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করার অপচেষ্টা চলছে। সরকারের নাকের ডগায় এই ধরনের তৎপরতা চললেও কার্যকর কোনো প্রতিরোধ না থাকায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে শান্তিকামী দেশবাসী এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রকারীদের সফল হতে দেবে না। দেশ রক্ষা ও অপশক্তিকে রুখে দিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত প্রস্থান এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে আবারও রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।


ঢাকা ছাড়ছেন ডা. জুবাইদা রহমান: কাতার বিমানে যাত্রা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ০৮:৫৭:৩৭
ঢাকা ছাড়ছেন ডা. জুবাইদা রহমান: কাতার বিমানে যাত্রা
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান সংক্ষিপ্ত সফর শেষে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) পুনরায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ডা. জুবাইদা রহমান আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের অভিমুখে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়বেন। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে মাত্র ১৫ দিন অবস্থান করে তিনি পুনরায় প্রবাসে ফিরে যাচ্ছেন।

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর দীর্ঘ সময় পর ডা. জুবাইদা রহমান বিদেশ থেকে বাংলাদেশে পৌঁছান। দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পরপরই তিনি অসুস্থ শাশুড়ি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ নিতে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাশে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন তিনি।

ডা. জুবাইদা রহমানের এই আকস্মিক সফর নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা থাকলেও মূলত অসুস্থ শাশুড়িকে দেখা এবং পারিবারিক কারণেই তিনি দেশে এসেছিলেন বলে দলের পক্ষ থেকে আভাস পাওয়া গেছে। সফরকালে তিনি অত্যন্ত নিভৃতে ছিলেন এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সার্বিক তদারকি করেছেন। আজ সকালে বিমানবন্দরে বিদায় জানানোর সময় দলের সীমিত সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।


জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ২১:৪৮:০০
জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করে জরুরি বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এটি একটি জরুরি বৈঠক এবং এতে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

দলীয় সূত্র অনুযায়ী, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা, দলীয় কৌশল এবং সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

এ ছাড়া দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

-রাফসান


হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ২১:৩৫:১১
হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরীফ ওসমান হাদির শূন্য আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত মডেল ও সমাজকর্মী মেঘনা আলম। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং সম্ভাব্য সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকার জন্য তার উন্নয়ন ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

ফেসবুক পোস্টে মেঘনা আলম উল্লেখ করেন, ঢাকা-৮ আসনকে তিনি দেশের মধ্যে নারীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তার ভাষায়, অতীতে বহুবার ‘দেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর’ প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও বাস্তবতায় সেসব রূপ পায়নি। একটি দেশ বা নগরীকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যাদের জীবনধারা, শিক্ষা, চিন্তা ও সামাজিক যোগাযোগে বৈশ্বিক মানসিকতার প্রতিফলন থাকে এবং যারা আন্তর্জাতিক পরিসরে গ্রহণযোগ্য। তিনি দাবি করেন, নিজেকে তিনি সেই বাস্তবধর্মী রূপান্তরের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চান।

পোস্টে আরও বলা হয়, বিশেষ করে ঢাকা-৮ এলাকায় নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় নারী ও কিশোরীদের স্ট্রিট হ্যারাসমেন্ট বা অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি এলাকায় একটি সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি, যেখানে হাঁটাচলা ও সাইকেল ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ও আলাদা সুযোগ থাকবে।

জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক পাবলিক ওয়াশরুম স্থাপনও তার প্রতিশ্রুতির অন্যতম অংশ। এসব স্থানে গোসল, ব্রেস্টফিডিং এবং শিশুর ডায়াপার পরিবর্তনের সুবিধা থাকবে। একই সঙ্গে কমিউনিটি লন্ড্রি সিস্টেম চালুর কথা বলা হয়েছে, যাতে বস্তিবাসী, পথচারী কিংবা পার্কে আসা সাধারণ মানুষ পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের সুযোগ পান।

মেঘনা আলম আরও জানান, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ঢাকা-৮ এলাকার মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং সামাজিক ও আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। তার মতে, টেকসই উন্নয়ন শুধু অবকাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; মানুষের জীবনমান উন্নয়নই হওয়া উচিত মূল লক্ষ্য।

তবে তিনি এখনো স্পষ্ট করে জানাননি কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি লড়বেন কি না, সে বিষয়েও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে পরিষ্কার অবস্থান জানাবেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত