সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি

হার্ট অ্যাটাক মানেই বুক চেপে ধরা ব্যথা—এই ধারণাটি অনেকের মধ্যে প্রচলিত। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সব হার্ট অ্যাটাক এমন স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। কখনো কখনো কোনো রকম বড় ব্যথা বা লক্ষণ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘নীরব হার্ট অ্যাটাক’ বা Silent Heart Attack। এটি অনেক সময় ধরা পড়ে না, কিন্তু এর পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ ও সাধারণ লক্ষণ
সাধারণত, হার্টের রক্তনালিতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এতে হার্টের পেশিগুলোতে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো বুকের মাঝখানে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা, যা বিশ্রাম নিলেও কমে না। এর সঙ্গে ঘাম, বমিভাব বা বমি হওয়ার অনুভূতিও হতে পারে।
নীরব হার্ট অ্যাটাক: যারা বেশি ঝুঁকিতে
গবেষণা বলছে, প্রতি ৫ জন হার্ট অ্যাটাক রোগীর মধ্যে একজনের হয় নীরব হার্ট অ্যাটাক। এই ধরনের অ্যাটাক সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস বা স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি, এবং যারা নিয়মিত ব্যথানাশক বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যেও এই ধরনের অ্যাটাকের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
বুকে ব্যথা না থাকলেও নীরব হার্ট অ্যাটাকের কিছু উপসর্গ থাকে, যেমন:
হঠাৎ হাতে, কাঁধে, চোয়ালে বা পিঠের ওপর দিকে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি।
গ্যাসের মতো পেটে অস্বস্তি বা বদহজম।
হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট।
মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথাব্যথা।
অতিরিক্ত ঘাম বা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
কীভাবে ধরা পড়ে?
নীরব হার্ট অ্যাটাক নির্ণয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়। যেমন: ইসিজি (ECG), ট্রপোনিন টেস্ট (রক্তের বিশেষ পরীক্ষা) এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম। যদি উপরোক্ত কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
নীরব হার্ট অ্যাটাক ধরা না পড়লে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে, পাম্পিং কমে যেতে পারে এবং জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই যেকোনো অস্বাভাবিকতাকে গুরুত্ব দিন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ধূমপান বা অনিয়মিত জীবনযাপন থেকে দূরে থাকুন। সতর্কতা, সচেতনতা এবং সময়মতো পদক্ষেপই পারে জীবন বাঁচাতে।
কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
বর্তমানে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কেবল বয়স্কদের নয়, তরুণদেরও সমানভাবে আক্রান্ত করছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে মাত্র এক মাসেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
সুষম আহার
কোলেস্টেরল কমাতে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, প্রচুর শাকসবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শস্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ এ ক্ষেত্রে সহায়ক। নিয়মিত তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা ও পেঁপে খেলে স্বাস্থ্যকর ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ
ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। যারা মদ্যপান করেন, তাদেরও এটি পরিহার করা উচিত।
নিয়মিত শরীরচর্চা
বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে কিছু সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখলে মানসিক চাপও কমে।
মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে ভালো রাখতে গান শোনা, বই পড়া কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও উপকারী হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমানো একদিনের কাজ নয়, তবে এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে মাত্র ৩০ দিনেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা সম্ভব। সুষম খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হলো সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে অনেক ক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই রোগের শুরুতে শরীরের ছোটখাটো পরিবর্তনকে অবহেলা করেন, যার কারণে রোগটি জটিল আকার ধারণ করে। চিকিৎসকদের মতে, কিছু সাধারণ উপসর্গকে গুরুত্ব দিলে ক্যান্সার দ্রুত শনাক্ত করা যেতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ:
১. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
অল্প সময়ের মধ্যে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া ক্যান্সারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না এনেও যদি ওজন কমে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. অস্বাভাবিক রক্তপাত
প্রস্রাব, পায়খানা কিংবা কাশির সঙ্গে রক্ত আসা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরের ভেতরে কোনো গুরুতর সমস্যার কারণে এমনটি হতে পারে, যা ক্যান্সারের ইঙ্গিত দেয়।
৩. দীর্ঘদিনের কাশি বা গলা বসে যাওয়া
সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে অনেকেই এটি এড়িয়ে যান। কিন্তু যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি থাকে অথবা গলা বসে যায়, তাহলে তা ফুসফুস বা খাদ্যনালির ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
৪. ত্বকে অস্বাভাবিক দাগ বা ক্ষত
ত্বকে নতুন কোনো দাগ, তিলের রঙ বা আকারের পরিবর্তন কিংবা কোনো ক্ষত যদি দীর্ঘ সময় ধরে না শুকায়, তাহলে তা স্কিন ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে।
৫. হজমের সমস্যা বা খাবারে অরুচি
খাবার গিলতে সমস্যা, পেটে অস্বস্তি বা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধামন্দা থাকা হজমতন্ত্রের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয় এবং রোগী সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬২৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।
আজ বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, ঢাকা বিভাগের (রাজধানী বাদে) ১১৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৩০ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৮৭ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে ১৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৭ জন, রংপুর বিভাগে ১৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯ জনে।
তুলনামূলকভাবে, গত বছর ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরও ডেঙ্গুর সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে, বাসা-বাড়ি ও আশপাশের জমে থাকা পানি সরিয়ে ফেলতে এবং ডেঙ্গুর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
-সুত্রঃ বি এস এস
জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আফরোজা আক্তার হঠাৎ পেটব্যথা ও রক্তক্ষরণে ভুগতে শুরু করেন। শুরুতে তিনি গুরুত্ব না দিলেও পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে আলট্রাসাউন্ডে জানা যায়, তার জরায়ুতে ছোট একটি ছিদ্র রয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যেই আলট্রাসাউন্ড করানো জরুরি। এতে ভ্রূণের অবস্থান বোঝা যায় এবং সম্ভাব্য জটিলতা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়। আফরোজার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, সচেতনতার অভাবে কীভাবে নারীরা নিজেদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, “অনেকে মনে করেন, জরায়ু কেবল সন্তান জন্মদানের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসলে জীবনের প্রতিটি ধাপে—মাসিক, যৌনসম্পর্ক, গর্ভাবস্থা, এমনকি মেনোপজের আগে-পরে—জরায়ুর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন।”
তিনি জানান, মাসিক চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা অত্যন্ত জরুরি। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে, ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার বিপজ্জনক। এ সময়ে গরম পানির ব্যবহার সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে। কারণ মাসিক চলাকালে জরায়ুর মুখ খোলা থাকে, ফলে সামান্য অসাবধানতাও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, অতিরিক্ত জোরে যৌনসম্পর্ক জরায়ুতে আঘাত বা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তাই যৌনমিলনের আগে ও পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত এবং মাসিক চলাকালে যৌনসম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ভালো।
ডা. দেওয়ান আরও বলেন, গর্ভাবস্থা ও সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর প্রতি বিশেষ যত্ন জরুরি। ভ্রূণ জরায়ুতেই থাকে ও বেড়ে ওঠে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা হয়, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় ভ্রূণ সঠিক স্থানে রয়েছে কি না। কারণ কখনো কখনো ভ্রূণ ডিম্বাশয় বা ফ্যালোপিয়ান টিউবে বেড়ে ওঠে, যা মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া গর্ভাবস্থায় পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ যৌন আচরণ জরায়ু ও শিশুর সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মেনোপজের আগে-পরে জরায়ুতে নানা পরিবর্তন দেখা দেয়। কেউ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ভোগেন, কেউ আবার যোনিশুষ্কতা নিয়ে বিভ্রান্ত হন। মেনোপজের পর অনেক নারীর জরায়ু বড় হয়ে নিচের দিকে নেমে আসে, যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা রশিদ বলেন, “অতিরিক্ত মাসিক, তলপেটে ব্যথা, অনিয়মিত মাসিক, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত বা দুই মাসিকের মধ্যে রক্তপাত—সবই জরায়ুর সমস্যার লক্ষণ। এর সঙ্গে যদি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্রমাগত পেটব্যথা বা হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।”
তিনি আরও পরামর্শ দেন—নিচের পেটে চাপ অনুভব, ঘন ঘন প্রস্রাব, বদহজম, খাবারে অনীহা, ওজনের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, যৌনমিলনে ব্যথা, অবসাদ বা মেনোপজ-পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিয়ে, অল্প বয়সে সন্তান জন্ম, ঘন ঘন গর্ভধারণ, একাধিক যৌনসঙ্গী, অপরিচ্ছন্নতা, সংক্রমণ, ধূমপান এবং বংশগত কারণ জরায়ুর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
গাইনোকলজিস্ট ডা. আশরাফুন নেছা বলেন, “সরকার জরায়ু ও স্তন ক্যানসার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জেলা ও কেন্দ্রীয় হাসপাতালে বিনামূল্যে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি স্বল্প খরচে চিকিৎসার সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসকদের সর্বশেষ পরামর্শ হলো, নারীরা যদি জরায়ু-সংক্রান্ত কোনো জটিলতায় ভোগেন, তাহলে দ্রুত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। দেরি করলে জটিলতা বেড়ে জীবনঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।
-রাজীব আহামেদ
নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস: ঢামেক পরিচালকের মন্তব্যে কাটল ধোঁয়াশা
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখন শঙ্কামুক্ত এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান এই তথ্য দেন।
ঢামেক পরিচালক জানান, নুরের নাকের হাড় ভেঙে গেছে, যে কারণে মাঝে মাঝে সামান্য রক্ত বের হচ্ছে। এই সমস্যা পুরোপুরি ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তবে তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের যে আশঙ্কা ছিল, তা কেটে গেছে। তিনি বলেন, “বর্তমানে তার কিছুটা জ্বর আছে, তবে শর্ট টাইম মেমোরি লস নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তা সঠিক নয়। এই ধরনের আঘাতে এমন জটিলতার আশঙ্কা নেই।”
আসাদুজ্জামান আরও জানান, নুরকে এখনই বাসায় নেওয়া সম্ভব নয়, পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তবে পরিবার চাইলে তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে।
তদন্ত কমিশন গঠন
এদিকে, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজাকে এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
আমরা সাধারণত মনে করি শুধু ধূমপানই ফুসফুসের ক্ষতি করে। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে এমন কিছু খাবার আছে যা ফুসফুসের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুস্থ ফুসফুসের জন্য এই ৫টি খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি।
১. প্রক্রিয়াজাত মাংস
হটডগ, সসেজ, বেকন এবং অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসে থাকা নাইট্রেট ফুসফুসের টিস্যুতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা দুর্বল করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত মাংস খান, তাদের ফুসফুসের কার্যকারিতা অন্যদের তুলনায় কম থাকে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়
সোডা, জুস এবং এনার্জি ড্রিংকসের মতো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয় ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়, যা সরাসরি শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এটি শরীরে প্রদাহ বাড়িয়ে হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
৩. ভাজা-পোড়া খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস এবং অন্যান্য ভাজা-পোড়া খাবারে প্রচুর পরিমাণে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের ফ্যাট শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে যাদের ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ আছে, তাদের জন্য এই খাবারগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪. অতিরিক্ত লবণ
বেশি লবণ গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পানি জমা হয়। এটি ফুসফুসে তরল জমা হওয়ার কারণ হতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। যারা ফুসফুসের রোগে ভুগছেন, যেমন—ফুসফুসীয় শোথ (Pulmonary Edema), তাদের জন্য অতিরিক্ত লবণ খুবই বিপজ্জনক।
৫. দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
কিছু মানুষের জন্য দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য যেমন—চিজ ও মাখন, ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমা হওয়ার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত কফ শ্বাস-প্রশ্বাসের পথকে সংকুচিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে হাঁপানি রোগীদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা।
তোমার ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে কমিয়ে দেওয়া বা বাদ দেওয়া জরুরি। এর পরিবর্তে তাজা ফল, শাক-সবজি এবং পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস করা উচিত।
তেজপাতার জলে জাদু! নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, কমবে ওজন
আজকাল অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন। কারণ অতিরিক্ত ওজন নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ওজন কমাতে যেমন খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তেমনি ঘরোয়া কিছু ডিটক্স পানীয়ও সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শুধু হজমশক্তিই নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তেজপাতার জলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেজপাতা ভিটামিন সি, এ ও খনিজে ভরপুর। প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তেজপাতার জল শরীরকে ডিটক্স করতে বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও কমে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি: তেজপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন। শুধু ভারতেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী ২২ কোটির বেশি। তাই রক্তে শর্করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস এই রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে দিনের শুরুতে খালি পেটে কিছু প্রাকৃতিক খাবার ও পানীয় গ্রহণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর হতে পারে।
খালি পেটে যে ছয়টি খাবার উপকারী
১. আমলকি (আমলা): ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আমলকি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কমানো এবং হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়।
২. দারুচিনি পানি ও গোলমরিচ গুঁড়া: দারুচিনি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তে শর্করা কমায়। গোলমরিচের ‘পাইপেরিন’ উপাদান দারুচিনির কার্যকারিতা আরও বাড়াতে সহায়ক। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. মেথি ভেজানো পানি: মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন ঘরোয়া উপায়। এতে থাকা দ্রবণীয় আঁশ রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে। এক টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ে এবং রক্তচাপও কমতে পারে।
৪. হলুদ পানি ও লেবুর রস: হলুদের ‘কারকিউমিন’ উপাদান রক্তে শর্করা কমাতে ও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সহায়ক। লেবুর রস এর কার্যকারিতা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৫. ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ): ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ ফ্ল্যাক্সসিড রক্তে শর্করা স্থিতিশীল রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। সকালে গুঁড়ো ফ্ল্যাক্সসিড পানি বা স্মুদির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
৬. টমেটো ও ডালিমের রস: টমেটোর ‘লাইকোপেন’ ও ডালিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুটির রস একসঙ্গে খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।
খাদ্যাভ্যাসের ভূমিকা
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আঁশ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও লিন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্যদিকে, অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিয়মিত পানি পান, ব্যায়াম এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ দীর্ঘমেয়াদে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অপরিহার্য।
ডায়াবেটিস কেন বিপজ্জনক?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে রক্তনালী ও স্নায়ুর ক্ষতি হয়। এর ফলে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, অন্ধত্ব এবং এমনকি হাত-পা কেটে ফেলার মতো ঝুঁকিও তৈরি হয়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রাণঘাতী পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং অনিয়মিত মলত্যাগের কারণ হয়। এটি সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন কারণে দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ফল খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। চলুন জেনে নিই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ফলগুলো উপকারী।
১. কলা
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘকাল ধরে একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোভিলাইকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর জন্য পুরোপুরি পাকা কলা খাওয়া জরুরি। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপরীত প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
২. কমলা
কমলা হলো ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস। এই সাইট্রাস ফলে কিছুটা রেচক প্রভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলায় থাকা ‘ন্যারিংজেনিন’ নামক একটি যৌগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ফাইবার পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন।
৩. নাশপাতি
নাশপাতি শুধু ফাইবারেই সমৃদ্ধ নয়, এতে ফ্রুকটোজ এবং সরবিটলও রয়েছে। এই দুটি উপাদান মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই নিয়মিত নাশপাতি খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।
৪. আপেল
আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া উভয়ই উপশম করতে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার মলত্যাগ বৃদ্ধি করে। আপেলের ভেতরের অংশে ‘পেকটিন’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে পাতলা পায়খানা হলে খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ভালো।
৫. পেঁপে
পেঁপে একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল, যা পানি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে ‘পেপেইন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর। পেঁপে অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খেয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো। নিয়মিত এই সুস্বাদু ফল খেলে পেটের সুস্থতা নিশ্চিত থাকে।
পাঠকের মতামত:
- সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
- নেহা ভাসিন বনাম এলনাজ নরৌজি: জিম লুকে কার স্টাইল বেশি পছন্দ?
- ঢাকাসহ দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস
- নতুন লুকে পূর্ণিমা, ছবি দেখে মুগ্ধ ভক্তরা
- গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে
- ‘বাঘ-সিংহের’ লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা, পরিসংখ্যান কাদের পক্ষে?
- কাল্কি বিতর্কের পর দীপিকার নতুন শুরু: শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘কিং’
- ফ্রান্সের বদলে আলজেরিয়ার জার্সি গায়ে লুকা জিদান
- পিআর পদ্ধতি ভারতের নীলনকশার অংশ: সরওয়ার আলমগীর
- যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
- ইসরায়েলের জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারে টানা পতন: সূচকে বড় পতন, কমেছে লেনদেন
- “গোয়েন্দা সতর্কবার্তায়ও নিষ্ক্রিয় পুলিশ, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিল ডিএমপি”
- বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন পৃথিবীর নতুন প্রতিবেশী!
- ওয়েস্ট-২০২৫: রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ
- “গেমিং আসক্তি থেকে সাইবার অপরাধ: কিশোরদের নতুন বিপদ”
- “টোগোতে ফের গ্রেপ্তার সমালোচক র্যাপার আমরন: উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি”
- “এস্তোনিয়ার আকাশে রুশ মিগ-৩১: ন্যাটোর জরুরি বৈঠক ডাকার ঘোষণা”
- “জলবায়ু বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব: COP30-এর আগে গুতেরেসের হুঁশিয়ারি”
- পাকিস্তানের পারমাণবিক সুরক্ষায় সৌদি আরব, চুক্তিতে কী আছে?
- ভারতে গ্রেফতার হলেন ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের হোসেন
- ইউরোপের আরেক দেশ এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে
- ঢাকায় শুটিং ও একাধিক অনুষ্ঠানে হানিয়া আমির, জেনে নিন তার সূচি
- বিনা খরচে চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা
- কৃষি খাতে নীরব দুর্ভিক্ষ: সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পচছে শত শত টন ফসল
- এশিয়া কাপ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, দেখে নিন আজকের খেলার সূচি
- দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য কঠিন হলো যুক্তরাষ্ট্র, এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়লো
- আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াবো, জোট নিয়ে নাহিদ ইসলামের স্পষ্ট বার্তা
- বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
- পাকিস্তান-সৌদি চুক্তি: নীরব সতর্কতা জারি করল ভারত
- মির্জা ফখরুল: বিপ্লবী সংগঠন ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়
- দিল্লিতে বৃষ্টি পড়লে এদেশে ছাতা ধরার চেষ্টা হচ্ছে: চরমোনাই পীর
- রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ এক হচ্ছে
- ‘ব্লাড মুন’ এর পর এবার সূর্যগ্রহণ: বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?
- যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের থাড ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল ইরান
- জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গ আর নেই
- ছাত্র সংসদ নির্বাচন আমাদের অর্জন: নাহিদ ইসলাম
- ঢাকায় পা রাখলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- আইফোন ১৭-এর জন্য এমন উন্মাদনা? বিক্রি শুরুর দিনে মারামারি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- সচিবের দুর্নীতি মামলা থেকে মুক্তি দিতে ১৫০ কোটি টাকার ডিলের তথ্য ফাঁস
- এক মাস পর আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব
- সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: অনলাইন জুয়া-জালিয়াতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার
- দুদুর হুঁশিয়ারি: নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিহত করবে
- প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন: ইউপিইউ’র প্রশাসনিক কাউন্সিলে বাংলাদেশের পুনর্নির্বাচন
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
- ডিএসই ব্লক মার্কেট বিশ্লেষণ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৫ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে শীর্ষ দশ গেইনার